নাটক রিভিউ-বান্ধবী যখন কাজের মেয়ে||
আসসালামু আলাইকুম
আমি @maria47।আমি একজন বাংলাদেশী।আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে একজন নতুন সদস্য। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি।নাটক দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। কিন্তু সময় স্বল্পতার অভাবে নাটক সেভাবে দেখা হয় না। আশা করি সকলের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
স্ক্রিনশট: youtube
নাম | বান্ধবী যখন কাজের মেয়ে |
---|---|
প্রযোজক | সজ্জাদ আহমেদ |
পরিচালক | মামুন আর রশিদ |
প্রধান সহকারী পরিচালক | শাহ্ নেওয়াজ ফয়সাল |
অভিনয়ে | মিরাজ খান,লামহা আনসু ও আরো অনেকে |
দৈর্ঘ্য | ৪২ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ১২ আগস্ট ২০২৪ |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রে:
- মিরাজ খান (নেহাল)
- লামহা আনসু (শাপলা)
স্ক্রিনশট: youtube
নাটকের শুরুতে দেখা যায় শাপলা একটি বাসাতে কাজের জন্য এসেছে এবং সেই বাসার মালিক তাকে বলে তার ছেলেকে ডেকে দিতে এবং টেবিলে নাস্তা দিয়ে যেন খেতে দেয়।সে তার মালিকের কথা মতো তার ছেলে রুমে চলে যায় এবং তাকে খুঁজে না পেয়ে বাথরুমের দরজা ডাকতে থাকে। আর বের হয়ে তাকে নাস্তা খেতে বলে। এরপর নেহাল বাথরুম থেকে বের হয়ে আসে এবং বলে কেন সে তো চিল্লাচিল্লি করছে। মেয়েটি তাকে দেখেই মগা বলে ডেকে ওঠে এরপর নেহার আশ্চর্য হয়ে যায় এবং তাকে জিজ্ঞেস করে কেন তাকে সেই নামে ডাকছে। সে তখন তাকে বলে আমি তোর ছোটবেলার স্কুল ফ্রেন্ড তুই আমাকে চিনতে পারছিস না।একসাথে আমরা দুজন একই স্কুলে পড়েছিলাম। তখন নেহাল অবশেষে তাকে চিনতে পারলেও কিন্তু তাকে এই মগা নামে ঢাকায় সে প্রচন্ড পরিমাণে রেগে যায় এবং সে তার মায়ের কাছে দিয়ে নালিশ করে। কেন তিনি এই রকম কাজের মেয়ে দেখেছেন। তার মা তাকে জিজ্ঞাসা করে কেন তুমি কি তাকে চিনতে তারপর তাদের স্কুলের একসাথে পড়ার কথা তার মাকে জানাই।তার মা সব কিছু শুনে বলেন ভালো হয়েছে তোমরা দুজন দুজনকে আগে থেকেই চিনতে। কিন্তু নেহাল তার মায়ের কথায় আরো রেগে যায় এবং সে রুমে চলে যায়।
স্ক্রিনশট: youtube
এরপর দেখা যায় নেহাল ছাদে দোলনায় বসে ফোনে কথা বলছে। এমন সময় শাপলা তাকে চা দিতে যায় এবং তার ফোনের কথা কথা চুপি চুপি শুনতে থাকে।কিন্তু নেহাল বুঝে যাওয়ায় তার ফোনটি কেটে শাপলার সাথে রেগে কথা বলে। এরপর শাপলা তাকে অনেক জড়াজড়ি করে তার সাথে একটা যেন সে ছবি তুলে। এরপর নেহাল শাপলার কথামতো একটা ছবি তুলে। সেই ছবিটি শাপলা ফেসবুকে আপলোড করে এবং সেই ফেসবুকে আপলোড করা ছবি নেহালের গার্লফ্রেন্ড দেখতে পায় এবং তাকে ডেকে পাঠায়। নেহাল সকালে উঠেই তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে যায়। দেখা করার কিছুক্ষণ পর সেই পথ ধরে শাপলা বাজার নিয়ে ফিরছিল এবং তাদেরকে একসাথে দেখতে পেলে সে অনেক কথা শুনিয়ে দেয়। নেহালের গার্লফ্রেন্ড সেখান থেকে রাগ করে চলে যায়। এরপর দেখা যায় নেহাল তাকে বাসায় গিয়ে রাতের বেলায় অনেক ঝাড়ি দেয় সে যেন তাকে আর এইভাবে রাস্তাঘাটে না ডাকে।তখন শাপলা তাকে বলে সে যদি তাকে শপিং করে দেয় তাহলে সে আর এইভাবে তাকে যেখানে সেখানে মগা বলে ডাকবে না।নেহাল তার কথা মতো খুশি হয়ে যায় এবং সে তাকে পরের দিন শপিং করতে নিয়ে যায় এবং আসার পথে তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে আবারো দেখা হয়ে যায়। এরপর তার গার্লফ্রেন্ড সেই শাপলার সাথে দেখে রেগে গিয়ে তার সাথে ব্রেকআপ করে চলে যায়।
স্ক্রিনশট: youtube
এরপর তারা বাসায় ফিরে দেখে নেহালের খালাতো বোন সাদিয়া এসেছে। নিহাল অনেক আগে থেকে সাদিয়া কেউ পছন্দ করত। এটা দেখতে পেরে শাপলা ভীষণ রেগে যায় সে তাকে কথা শুনিয়ে দেয়।এর পরের দিন দেখা যায় নেহাল সাদিয়াকে একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায় এবং সেখানে গিয়ে তাকে প্রপোজ করে। এমন সময় শাপলা তার আগের গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে সে রেস্টুরেন্টে পৌঁছে যায় এবং তার গার্লফ্রেন্ড সবকিছু চোখের সামনে দেখে।আর তাকে অনেক গুলো কথা শুনিয়ে চলে যায়।তার খালাতো বোনও তাকে ছেড়ে রেগে চলে যায়।এরপর নেহাল প্রচুর পরিমাণে রেগে যায় এবং তার বাবা-মাকে জানায় তারা যদি এই মেয়েকে বাসা থেকে না বের করে দেয় তাহলে খুব খারাপ হবে। তার বাবা মা তার কথামতো শাপলা কে বাসা ছেড়ে চলে যেতে পারে এবং শাপলা বাসা ছেড়ে চলে যায়।
স্ক্রিনশট: youtube
এরপর নেহালের মা অনেক ঝামেলার মধ্যে পড়ে যায়। কারণ তাকে বাসার সব কাজ একা করতে হচ্ছে। এই জন্য নেহাল কে বলে সে যেন শাপলাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। না হলে অন্য কোন মেয়ে যেন কাজের জন্য নিয়ে আসে। এরপর নেহাল তার মায়ের কথা মতোই শাপলাকে ফিরিয়ে আনতে যায়। কিন্তু শাপলা তাকে জানিয়ে দেয় সে ওই বাড়িতে ফিরবে না।কারণ শাপলা নেহালকে ভালোবাসার কথা জানায়। কিন্তু নেহাল সেটাকে গ্রহণ করে না। এরপর দেখা যায় নেহলের এক্সিডেন্ট হয়েছে। এরপর তার বাবা-মা শাপলাকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসে। আর শাপলা নেহালের সেবা যত্ন করতে থাকে। নেহাল প্রচন্ড অসুস্থ থাকায় সে হাঁটতে পারে না তার বাবা-মা সিদ্ধান্ত নেয় শাপলার সাথে নেহালের বিয়ে দিবে। এরপর তাদের দুজনকে ডেকে পাঠানো হয় এবং তাদের বিয়ের ব্যাপারে কথা বললে শাপলা রাজি হলেও নেহাল না করে। কারণ সে এর আগে তাকে গ্রহণ করে নি। ফিরিয়ে দিয়েছিল শাপলাকে।কিন্তু খুশিমনে শাপলা বিয়ে করার জন্য রাজি হয়ে যায় এবং তাদের বিয়ে হয়ে যায়।এরপর নাটকটির সুন্দরভাবে সমাপ্তি ঘটে।
স্ক্রিনশট: youtube
এই নাটকটির মাধ্যমে বুঝতে পেরেছি ধনী গরীব বলতে কিছু নেই।ধনী কিংবা গরীব যেই হোক না কেন তাকে কখনোই অবহেলা করা ঠিক না। বন্ধুত্ব কিংবা ভালোবাসা কোনটাই অপমানিত করাউচিত না ।নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অসাধারণ একটি ড্রামাফুল নাটক ছিল।
এইখানে লিংক
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47. আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি।
আপু আপনি দারুন একটি নাটক রিভিউ উপস্থাপন করেছেন। এই নাটকটি কখনো দেখিনি। তবে আপনার শেয়ার করা রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে নাটকটি দারুন হবে। সময় পেলে নাটকটি দেখবো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া নাটকটি সত্যি অনেক দারুন ছিল। আমার কাছে নাটকটি ভীষণ ভালো লেগেছে। সময় পেলে অবশ্যই দেখবেন ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ আপনি আজকে শেয়ার করলেন তো। নাটকটার সম্পূর্ণ রিভিউ পোস্ট পড়েই তো আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। মিরাজ এবং লামহা দুজনই আমার অনেক পছন্দের অভিনেতা এবং অভিনেত্রী। তাদের দুজনকে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এই নাটকের মধ্যে অনেক সুন্দর একটা বিষয় ফুটে উঠেছে। আর তা হচ্ছে গরিবদেরকে কখনোই অবহেলা করা উচিত না। এই নাটকটা এখনো পর্যন্ত না দেখা হলেও, আমি সময় পেলে নাটকটা দেখে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করবো।
মিরাজ খান খুবই ভালো অভিনয় করে। আর এই নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আপনি নাটক রিভিউ খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন আপু। অনেক ভালো লাগলো নাটক রিভিউ।
বান্ধবী যখন কাজের মেয়ে নাটকটার রিভিউ সম্পূর্ণ পড়ে খুব ভালো লাগলো আমার কাছে। সময়ের কারণে যদিও নাটক খুব একটা দেখা হয় না, তবে রিভিউর মাধ্যমে নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়ার জন্য চেষ্টা করি। এই নাটকের কাহিনীটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তাই আমি ভাবছি সময় পেলেই নাটকটা আমি দেখবো। আশা করছি আপনি প্রতিনিয়ত এরকম সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাবেন। অনেক ধন্যবাদ এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি৷ আপনার কাছ থেকে সুন্দর নাটক এর রিভিউ দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ আসলে মিরাজ খান এবং লামহা আনসু এর নাটক আমি অনেক পছন্দ করি৷ তাদের সবগুলো নাটকই আমি দেখার চেষ্টা করি৷ তবে এই নাটকটি আমি দেখে নিতে পারিনি৷ অবশ্যই সময় করে নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব৷ আজকে এই নাটকের মাধ্যমে আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম৷