জেনারেল রাইটিং-অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি|
আসসালামু আলাইকুম
আমি @maria47।--আমি একজন বাংলাদেশী। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।আমি কোনো রকম বেঁচে আছি।গরমে চারিদিকে অসুস্থতা বেড়ে যাচ্ছে।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজকে আমি অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে লিখতে যাচ্ছি। আশা করি সকালের কাছে ভালো লাগবে।
অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি:
![sun-1494070_1280.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbH7njxgjRSZTKjUtvTUYG6mBUHX2afCrAuyXWER1dhCd/sun-1494070_1280.jpg)
Source
কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা এতটা পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে যা বলার বাহিরে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষ অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। কম বেশি সকলেই জ্বর,সর্দিতে ভুগছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের দম নিতেও অস্বস্তি বোধ হচ্ছে। মানুষ একটু শান্তির আশায় বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। যেখানে গেলে একটু আরাম করে নিঃশ্বাসটা নিতে পারে। খোলা জায়গায় গিয়ে মানুষ একটু স্বস্তি পেতে চাচ্ছে। কিন্তু এতটা তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে খোলা মাঠে গেলেও সেই শান্তি মিলে না।
মধ্যবিত্তরা অতিরিক্ত তাপমাত্রায় পারেনা আরাম আয়েশে জীবন যাপন করতে। আর ধনীরা টাকার জোরে ঘরে দামি দামি ঠান্ডা মেশিন লাগায়। তাদের ওপর তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব ততটা পড়ে না। কিন্তু যারা দিন এনে দিন খায় তাদের জন্য খুবই কষ্টকর। খেটে খাওয়া মানুষগুলো তীব্র তাপমাত্রায় মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সারাদিন কাজ করে। এছাড়া যারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে জিনিস বিক্রি করে। আর যারা ফুটপাতে থাকে তাদের অবস্থা খুবই খারাপ।
মানুষজন ছাড়াও রাস্তাঘাট, নদী নালা, খাল বিল,আবাদি জমি অতিরিক্ত তাপমাত্রায় শুকিয়ে গেছে। নদীনালা,খালবিল শুকিয়ে যাওয়ার কারণে মানুষের অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষ যারা পুকুরে মাছ চাষ করে তাদেরও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আবাদি জমি গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে এর ফলে ভালো ফলন হচ্ছে না। ফলে কৃষকদের উপার্জনে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটছে। কোন কোন জমি অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ফেটে যাচ্ছে। আবাদি জমি খরায় পরিণত হচ্ছে। এই ফলে কৃষকরা একটু বৃষ্টির আশায় দিন গুনছে যাতে একটু পানি পড়ে তাদের ফসলগুলো ভালো হয়।
এছাড়াও বনের পশু পাখি গুলো অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে অনেক কষ্ট পাচ্ছে। নদী নালা, খালবিল সবকিছুর পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে তারা নিজেদের তৃষ্ণা মেটাতে পারছে না। পানির অভাবে অনেক পশুপাখির মৃত্যু হচ্ছে। বনে তারা হাহাকার হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটু শান্তির আশায়। বনের পশু, পাখিরা একটু গাছের ছায়া পেতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দৌড়াচ্ছে। যেখানে একটু ছায়া পাচ্ছে সেখানেই তারা আশ্রয় নিচ্ছে। তীব্র তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে সকলেই অনেক কষ্ট করছে। তীব্র তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে সকলের জীবন প্রাণহীন মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। যা হওয়ার দরকার তার থেকে তুলনামূলক অনেক বেশি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে কিছু লিখতে পেরে খুবই আনন্দিত। আশা করি আমার পোস্টটি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47. আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি।
এই গরমে আসলে কেউই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে না।
যেমন ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং তেমন পানির স্তর নিচে চলে যাওয়ায় পানির কষ্ট।
আসলে যেখানে আমাদের উচিত ছিল বনভূমি রক্ষা করা সেখানে তো আমরা বনভূমি কেটে উজাড় করে ফেলেছি।
যার কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে এখন মরুকরণ হয়ে যাচ্ছে দেশ।
যাইহোক আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন প্রচণ্ড গরম কে কেন্দ্র করে খুবই ভালো লাগলো
গরমের কারণে অবস্থা একদম নাজেহাল।ঠিক বলেছেন ভাইয়া যেখানে আমাদের গাছ লাগানো দরকার সেখানে আমরা গাছ কেটে ফাকা মাঠ বানাচ্ছি।
চারিদিকে শুধু হাহাকার কোন বৃষ্টিপাত নেই। তারপর প্রচন্ড গরম মানুষের মধ্যে অস্বস্তির নিঃশ্বাস । একমাত্র গ্রামের মানুষ গাছ তলায় আশ্রয় নিতে পারছে এটা একটু স্বস্তির। তাছাড়া মাঠের অবস্থা হাহাকার। ফসল যা ছিল সব নষ্ট হওয়ার দিকে। আজকে সেই বিষয়ে খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন ভালো লাগলো।
জি ভাইয়া বৃষ্টির আশায় চারিদিক হাহাকার।বৃষ্টি নামলে একটু শান্তি মিলবে।গাছের ছায়ায় গেলে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়।
বর্তমানে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে অবশ্য মানুষসহ পশু পাখিরও অনেক বেশি সমস্যা হচ্ছে। যদি এভাবে গরম আরো কিছুদিন চলতে থাকে অনেক বেশি সমস্যা হয়ে যাবে সবার। এখন সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই আমাদের। অনেক সুন্দর একটি জেনারেল পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষসহ সকল পশু পাখি, আবাদী জমি সবকিছুর নাজেহাল অবস্থা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বর্তমান সময়ে প্রচণ্ড গরম পড়ছে আর এই গরমে প্রতিটা মানুষের জনজীবন বিষন্ন হয়ে পড়েছে। প্রতিটা মানুষ অস্থিরতার সাথে দিন পার করছে। তবে পৃথিবীর বুকে যাই হোক না কেন সৃষ্টিকর্তার মঙ্গল থাকে। হয়তোবা এর মধ্যে কোন মঙ্গল নিহত রয়েছে। তবে আশা করছি এই অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বৃদ্ধি পরিবর্তন ঘটবে ইন-শা-আল্লাহ।
এবার এতোটাই গরম পরেছে যে কেউ স্বস্তিতে নেই।সবাই হাস ফাঁস করছে গরমে।কোন কাজই ঠিকমতো হচ্ছে না।গরমে মানুষ, পশু,পাখি অতিষ্ঠ হয়ে আছে।আজ গাছপালা কেটে ফেলার দরুন মরুভূমি হয়ে গেছে দেশটা।গাছ লাগাতে হবে আর পরিবেশ বাঁচাতে হবে।ধন্যবাদ আপু তাপমাত্রা নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বর্তমানে এখন অনেক গরম পড়ছে। ফ্যানের নিচে থেকেও মানুষ স্বস্তি পাচ্ছে না। অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এই গরমের কারণে কোন কাজ ঠিক মতো করা হচ্ছে না। আল্লাহপাক চাইলে এই তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটবে। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এই বছর যখন গ্রামে গেছি তখন দেখালাম খাল শুকিয়ে একদম ফেটে গেছে দেখলাম। যদিও কখনো এই খালের মধ্যে এমন শুকনা ভাব দেখি নাই যখন ছোট ছিলাম। সব দিকে খাল বিল শুকিয়ে সব ফেটে গেছে। এত গরমের তীব্রতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যা অসহ্যনীয়। আমাদের সকলের জন্য খুব খারাপ প্রভাব ফেলবে। সাবধানে থাকবেন আপু বাবুকে নিয়ে। অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর গুরুত্বপূর্ণ লেখা গুলো শেয়ার করলেন আপনি।
সত্যি আপু এই গরম আর সহ্য হচ্ছে না একটু বৃষ্টির আশায় সবাই হাহাকার করছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার জন্য ফসলগুলো নষ্ট হচ্ছে এছাড়া পশুপাখি থেকে শুরু করে মানুষের জীবন যেন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা যেন তাড়াতাড়ি এর অবসান হয়।
এখন যে পরিমানে গরম পড়ছে তার ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। একই সাথে গরম প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে এবং মানুষের জন্য সহ্য করতে পারছে না৷ সকলেই সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা করছে যাতে করে এই গরম কমে যায় এবং এই গরম থেকে বাঁচার জন্য কোন না কোন পদ্ধতি তিনি বের করবেন৷ ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য৷