জেনারেল রাইটিং-বাজারদরের দাম বৃদ্ধিতে অসহায় মানুষ|
আসসালামু আলাইকুম
আমি @maria47।আমি একজন বাংলাদেশী। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে একজন নতুন সদস্য। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজকে আমি বাজারদরের দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে লিখতে যাচ্ছি।আজকে আমি বাজারদরের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
বাজারদরের দাম বৃদ্ধিতে অসহায় মানুষ:
Source
বর্তমানে বাজারের দাম অনেক পরিমানে বেড়ে গেছে।প্রতিটা জিনিস আমদের সাধ্যের বাহিরে।বাজারের দাম বাড়লেও আমাদের কোনো আর্থিক উন্নয়ন হয়না।কিন্তু ক্রমশ জিনিস পত্রের দাম বেড়েই চলেছে।প্রতিটা খাবারের মূল্য এতটা পরিমানে বেড়ে গেছে বড় লোকরাও সেইখানে হিমশিম খাচ্ছে।জিনিস কিনতে গিয়ে বড় লোকদের খুব কষ্টকর হয়ে যায়।মধ্যবিত্তদের অবস্থা আরো নাজেহাল অবস্থা।তারা পারে না কিছু বলতে পারে না কিছু সহ্য করতে।প্রতিটা জিনিসের দাম আগের থেকে অনেক পরিমানে বেড়ে গেছে।যারা অসহায় মানুষ তাদের জন্য খুব কষ্ট কর হয়ে গেছে।তারা অল্প টাকা দিয়ে পারে না কোনো ভালো কিছু খেতে।তারা যা ইনকাম করে তা দিয়ে নুন আনতে পান্তা ফুরায় যায়।
যারা দিন আনে দিন খায় তাদের পেট চালাতে অনেক কষ্ট হয়।তারা ভালো মন্দ খেতে পারেনা। চল, ডাল কিনতেই তাদের অবস্থা খারাপ।কিভাবে তারা মাছ গোস্ত কিনবে।অসহায় দুরস্থ মানুষ গুলো খুব কষ্ট করে দিন পার করছে।ঠিক মত সংসার টানতে পারছে না।ছেলে মেয়েকে ঠিক মত ভালো খাবার টুকু খাওয়াতে পারেনা।একটা সবজির দাম তার সারাদিনের কামাই।অসহায় মানুষ গুলোই জানে তারা কত নিরুপায়।যদি সব কিছুর দাম নির্দিষ্ট দরে থাকতো তাহলে সকলেই ভালোভাবে খেয়ে পরেও সংসার চালাতে পারত।সকলেই শান্তি মত দিন পার করতো।এখন অসহায় গরীব মানুষ গুলো পারেনা নিজেরা ভালো মন্দ খেতে।সবাই চায় জীবন সুন্দর ভাবে চালাতে কিন্তু টাকার অভাবে তা পারেনা।তাদের ইচ্ছেগুলো টাকার অভাবে বলিদান দিতে হয়।
অসহায় মানুষ গুলো সারাদিন হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করার পরে কোনো রকমে খেয়ে রাত পর করে।এমন ও দিন যায় সারাদিন কোনো টাকা হয়না।সারাদিন কাজ করে যখন বাড়ি খালি হাতে ফিরে তখন বাচ্চা গুলোর মন খারাপ হয়ে যায়।যদি বাজারদর কম হতো তাহলে অসহায় মানুষ গুলো শান্তিতে দিন পার করতে পারত।যদি সকল জিনিস প্রত্রের দাম কমানো হতো তাহলে আমরা সকলেই ভালোভাবে জীবন যাবন করতে পারতাম।মাস শেষ না হতেই আমাদের হাত শূন্য হতনা।এখন এমন একটা সময় ঢাকা শহরে বাসা ভাড়া দিয়েও সব কিছু কিনেও মাসের শেষে টানাটানি হয়ে যায়।যদি জিনিসের দাম কমত একটু তাহলে ঢাকা শহরে খেয়ে পড়েও মাস শেষে কিছু জমত।
বাজারদরের দাম যদি একটু স্বাভাবিক হতো তাহলে আমরা সকলেই স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাবন করতে পারতাম।অসহায় মানুষগুলোর মুখেও হাসি ফুটত।জানিনা আদো এমন হবে কিনা।তবে আমরা যা আছি একটু হলেও ভালো আছি।কিন্তু অসহায় মানুষ গুলো দিন শেষে শূন্য হাতে বাড়ি ফিরে।তাদের থেকে আমরা হাজার গুন ভালো আছি।কোনো ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।ধন্যবাদ সকলকে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডি নাম @maria47. আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে জেতে অনেক পছন্দ করি।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
বর্তমানে সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেলেও সেই আনুপাতিকারে মানুষের ইনকাম বৃদ্ধি পায়নি। বিশেষ করে যারা দিন আরে দিন খায় তাদের ক্ষেত্রে খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারে গেলে টাকা মূল্যহীন দ্রব্যমূল্যের কাছে। সত্যিই যারা বাজার করে তারা এই বিষয়টি অনুধাবন করে। আপনি সেই বিষয়ে খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন ভালো লাগলো। যেটা থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রত্যাশা সবার।
আমরা সবাই চাই বাজারের দরদাম কমে যাক।
বাজারের সবকিছুর দাম বৃদ্ধিতে মানুষ আমরা বড্ড অসহায় হয়ে পরেছি।সবকিছুর দাম যেভাবে বেড়ে চলেছে,এভাবে চলতে থাকলে অসহায় মানুষগুলোর মতো আমরা যারা মধ্যবিত্ত তাদের ও সমস্যা হয়ে যাবে জীবনধারনের জন্য। তাই এর থেকে মুক্তি আমরা সবাই চাই।
জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে আমরা খুব অসহায় হয়ে পড়েছি।
আসলেই আপু বাজারে সকল কিছু দাম অনেক বেশি মযার কারণে গরিব-দুঃখীদের খুবই কষ্ট হয়ে গেছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ না পারে সইতে না পারে কইতে। আর এই বাজারের অবস্থা দেখে আরো বেশি খারাপ লাগে। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জিনিস পত্রের যে দাম তাতে অসহায় মানুষ গুলো খুব কষ্টে দিন পার করছে।
আসলে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী প্রতিনিয়ত বাজারে পরিস্থিতিকে অস্বাভাবিক করে তুলছে৷ তারা যদি ঠিকভাবে তাদের পণ্যের দাম ঠিক রাখত তাহলে এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না৷ তাদের কারণে অনেক মানুষ এখন না খেয়ে বেঁচে আছে৷ কেননা অসহায় মানুষদের কাছে এত টাকা নেই যে চার গুণ বেশি দাম দিয়ে কোন পণ্য ক্রয় করে খাবে৷ কারণ তাদের সারাদিনের সেই কষ্ট যখন তারা নিবারণ করতে না পারে এবং সেই কষ্টের টাকাগুলো যখন এক নিমিষে শেষ হয়ে যায় তখন তার থেকে বেশি কষ্টের আর কিছুই হতে পারে না৷
অসহায় মানুষ মানুষগুলো টাকার অভাবে ভালো মন্দ খেতে পারেনা।
একদম ঠিক বলেছেন।
আমাদের দেশে বাজার ব্যবস্থা খুবই দুর্বিষহ। সাধারণ মানুষজন অসহায় হয়ে পড়েছে। আর এই রমজান মাস উপলক্ষে প্রতিটা পণ্যের দাম আরো বেশি বেড়ে গেছে। মূলত দাম বাড়ার পিছনে বড় একটা সিন্ডিকেট কাজ করছে। আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট করেছেন আপু। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সত্যিই আমাদের সমাজের নিম্ন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে এক ধরনের দুর্যোগ নেমে এসেছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে আমাদের দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির এরকম পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যাহোক সময়োপযোগী চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণত জনগণ দিশেহারা। পবিত্র মাহে রমজান এলে সবকিছুর দাম অতিরিক্ত বেড়ে যায়। এতে করে সাধারণ মানুষের খুবই কষ্ট হয়। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বেশ ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। সবকিছুর দাম যেভাবে বেড়ে চলেছে এতে করে নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। আমাদের মাঝে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।