লাইফ সটাইল-মেয়ের খুনসুঁটির কিছু মুহূর্ত।
আসসালামু আলাইকুম
আমি @maria47 বাংলাদেশ থেকে। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই অনেক ভাল আছেন।আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়া আমিও অনেক ভালো আছি।গতকাল থেকে আমাদের এইখানে কারেন্ট নেই।এই জন্য এক্টিভিটিস ধরে রাখতে একটু সমস্যা হচ্ছে।আজকে বিকালে ৩০ মিনিটের জন্য কারেন্ট এসেছিল সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে নিজের ফোনটাকে চার্জ করে নিয়েছিলাম।ফোন কিছুটা চার্জ হওয়ার জন্যই আপনাদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে পারছি। আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে মেয়ের খুনসুঁটির কিছু মুহূর্ত শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
মেয়ের খুনসুঁটির কিছু মুহূর্ত
সকল বাবা-মা নিজের সন্তানকে ভীষণভাবে ভালোবাসে. আমি আমার মেয়েকে খুবই ভালোবাসি।বাবা-মা রা ছেলেমেয়েদের খুনসুঁটি,দুষ্টামি গুলো দেখলে আনন্দিত হয়। আমিও আমার মেয়ের যখন ছোটখাটো দুষ্টামি গুলো দেখি তখন আমার খুবই ভালো লাগে। মেয়ের হাসিখুশি মুখটা দেখলে সব দুঃখ দূর হয়ে যায়।যখন সে ঘুমিয়ে থাকে তখন তার দুষ্টামি গুলোকে ভীষণ মিস করি। তেমনি খুনসুঁটির কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আমার মেয়ে খুবই দুষ্ট। তাকে দেখে মনে হবে না সে এতটা দুষ্ট। কিছুক্ষণ তার সাথে যখন কেউ থাকবে তখন তার দুষ্টামি গুলো ধরতে পারবে। তাছাড়া অন্য সময় সে খুবই ভদ্রভাবে থাকে। বাহিরে তার দুষ্টামি গুলো প্রকাশ পায় না। বাহিরের কোন লোকজনকে দেখলে যেন তার ভদ্রতা দ্বিগুণ পরিমাণে বেড়ে যায়।কিন্তু সে এতটা পরিমান দুষ্ট তার কাছে না থাকলে বোঝা যায় না।ভীষণ ভালো লাগে মাঝে মাঝে তার দুষ্টামি গুলো আবার রাগ হয় ভীষণ। আমার মেয়ে যখন খোলামেলা পরিবেশে যায় তখন সে খুবই আনন্দিত হয়।তাকে নিয়ে আমি আমার গ্রামের বাড়ির পাশের ধানের ক্ষেতে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম তখনই সে এই খুনসুটি গুলো করেছিল। আর সেগুলোই আমি আমার নিজের ফোনের ফ্রেমে বন্দি করে রেখেছিলাম।
গ্রামে গেলে সে খুবই খুশি হয়।যা আমি বলে বোঝাতে পারবো না। আমি যখন ধান ক্ষেতের পাশ দিয়ে তাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। তখন সে ধানগুলো হাতে ছিঁড়ে নিয়ে খেলা করছিল। তার কাছে সব কিছু নতুন মনে হচ্ছিল। কারণ সে এর আগে কখনো এসব জিনিস দেখেনি। সে যেন নিজেকে অন্য জগতে সাজিয়ে তুলেছিল। কখনো ছোট ছোট ধানের দানাগুলো ছিড়ছিল, কখনো রাস্তার পাশে গিয়ে বসে পড়ছিল, আবার কখনো দু হাত তুলে মাটির রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিল।
সে তার মনের আনন্দে উড়ে বেড়াচ্ছিল। আবার আম গাছের ডালে বসে নিজেকে পাখি দাবি করছিল। তার এই দুষ্টুমি গুলো দেখলে নিজের চোখ জুড়িয়ে যায়। সন্তানের হাসি মুখ দেখলে সকলেরই ভালো লাগে।সন্তানের হাসি মাখা মুখ সকল বাবা-মা র কাছে যেনো অমূল্য রত্ন। সব কিছুর বিনিময়ে বাবা-মা নিজের সন্তানের মুখের হাসি দেখতে চায়। তারা চাইলে নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে পারে সন্তানের হাসি মুখের জন্য।আমি গর্ব করি আমি একজন মা।একজন মা জানে সন্তানের মুখের হাসির মূল্য।তার হাসি মুখটা দেখলে যেন সারাটা দিনের সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে মেয়ের খুনসুঁটির কিছু মুহূর্ত শেয়ার করতে পেরে খুবই আনন্দিত। আমি অনেক খুশি সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে। মেয়ের খুনসুঁটির কিছু মুহূর্ত শেয়ার করতে পেরে খুবই আনন্দিত। এই মুহূর্তটি সকলের সাথে ভাগাভাগি করতে পেরে আমি খুবই খুশি।আমার খুব ভালো লাগছে এমন একটা মুহূর্ত সকলের মাঝে শেয়ার করতে পেরে।আমার শেয়ার করা পোস্টটি আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47. আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি।
ঢাকায় ও একই অবস্থা ছিলো কারেন্ট এবং ইন্টারনেটের ও। যাই হোক, আসলেই ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাগুলো যদি প্রজাপতির মতোন উড়ে বেড়ায়, হাসিতে খেলে বেড়ায়, তবে বাবা মায়ের জন্য স্বর্গের মতোনই সুখময় হয়ে উঠে!! আপনার ছোট্ট পরীর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো আপু। 😍😍
ঠিক বলেছেন আপু ছোট বাচ্চারা প্রজাপতির মত উড়তে,ঘুরে বেড়াতে, হেসে খেলে বেড়াতে খুবই ভালোবাসে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
লোডশেডিং এর অবস্থার কথা শুনে সত্যিই অনেক খারাপ লাগছে। এরকম পরিস্থিতিতে কাজ করা একেবারেই অসম্ভব। কি আর করার। আশা করছি ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হবে। আপনার মেয়ের দারুন সব মুহূর্তগুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।