আমার বাংলা ব্লগ:- মুভি রিভিউ থ্রি ইডিয়েট,,,,
এমন একটি মুভি আপনাদের মাঝে রিভিউ করতে চলেছি যে মুভিটি আমি মনে করি আমার জীবনে সেরা একটি মুভি যে মুভিটি থেকে আসলে অনেক কিছুই শেখার আছে বোঝার আছে আজকে সেই মুভিটি নিয়ে কিছু কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি আশা করি আমার এই রিভিউ টি আপনাদের ভালো লাগবে।
2009 সালে মুক্তি পাওয়া একটি অসাধারণ মুভি।
আসলে জীবনে তো অনেক মুভি দেখেছেন বাংলা হিন্দি ইংলিশ অনেককিছুই দেখেছেন কিন্তু থ্রি ইডিয়েট মুভিটি আপনি কি একবারও দেখেছেন যদি আপনি দেখে থাকেন আমার মনে হয় আপনার দেখা সবচেয়ে সেরা মুভি ওইটা কারণ মুভিটি আসলেই অনেক ভালো মানের এবং অনেক কিছু বোঝানো হয়েছে।
এই মুভিতে যে সকল আর্টিস্ট কাজ করেছে আসলে তারা মনে প্রানে এবং মন থেকেই যেন অভিনয় করেছে মুলটি একজনের বাস্তব জীবন নিয়ে তৈরি করা যে জীবনে আসলে মুভিটিতে আরো সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
হয়তো থ্রি ইডিয়টস নাম শুনে কিছুটা হতভম্ব হয়ে পড়েছেন আসলে থ্রি ইডিয়টস মানেই তো তিনজন খারাপ ছেলে বা খারাপ মানুষ কিন্তু এই 3 ইডিয়টস কি করে দেখিয়েছে তাদের পরবর্তী প্রজন্মে সেটাই আসলে বোঝা দরকার।
আমরা সবাই স্কুল-কলেজের যাই ডিগ্রী পাওয়ার আশায় ডিগ্রী না পেলে ভালো কোন চাকরি পাব না ভালো কোন ঘরে বিয়ে হবে না বা ব্যাঙ্ক ব্যালান্স হবেনা ব্যাংক একটি কার্ড তৈরি করতে পারবোনা কিন্তু এমন কিছু স্টুডেন্ট আছে যারা ডিগ্রির জন্য নয় শুধুমাত্র পড়ালেখার জন্য এ কলেজে যায় আসলে এই গল্পটি ঠিক তেমনি।
যাকে নিয়ে এই মুভিটি তৈরি করা হয়েছে তার নাম রানছো দাস চঞ্চল(রানছো) মুভিটিতে পুরো কাহিনী এনাকে নিয়ে। তিনি ছোটবেলা থেকেই অনেক গরিব ঘরের জন্মে ছিলেন এবং গরিব পরিবারে জন্মানোর কারণে ঠিকভাবে স্কুলে যেতে পারত না কিন্তু স্কুলে পড়ার শখ ছিল তার অনেক বেশি।
তাইতো যখনই সময় পেত স্কুলে চলে যেত স্কুলড্রেস পড়ে এবং যে কোন ক্লাসে গিয়ে বসে পড়তো আসলে মাস্টাররা বুঝতে পারত না যে ওই ছেলেটি এই স্কুলের স্টুডেন্ট কিনা। এভাবেই অনেকদিন চলতে লাগলো শেষ ইচ্ছে অনেক কিছুই এমনকি ওর বাবা যে বাড়িতে কাজ করেন ওই বাড়ির একটি ছেলে ক্লাস টেনে পড়ে এবং ছেলেটি অনেক বদমাইশ ছেলে ঠিকভাবে স্কুলে যেত না তাইতো ওই ছেলের হয়ে রাঞ্চো প্রতিদিন ক্লাস করত।।
কিন্তু একদিন মাস্টার ধরে ফেলল তাকে কারণ সিক্সে পড়া ছেলে যখন ক্লাস টেনের অংক করে দিয়েছে ব্ল্যাকবোর্ডে এটা এক মাস্টার দেখে ফেলে এবং তখন তার কাছে পরিচয় জানতে চাওয়া হয় কিন্তু সে কোন পরিচয় দিতে পারছিল না এমন সময় যে বাড়িতে কাজ করত ওই বাড়ির মালিক আসলো এবং ওই বাড়ির মালিক অনেক বড়লোক ছিল নামিদামি মানুষ ছিল।
তাই মাস্টারদের কে বলল ওকে ছেড়ে দাও এবং ওকে যতদূর সম্ভব লেখাপড়া করব আমি কারন আমার ডিগ্রী দরকার আমার ছেলের জন্য আর ওর দরকার লেখাপড়া।
এভাবেই তার লেখাপড়ার চলতে থাকল এবং একসময় সে ইউনিভার্সিটি তে আসলো সেখানে এসে দুই বন্ধুর সাথে তাঁর সাক্ষাৎকার হলো যে তুই বন্ধু লেখাপড়ায় একেবারে খারাপ ছিল যারা সবসময় পরীক্ষার খাতায় ফেল করত এবং স্কুলের কেউই তাদেরকে দেখতে পারত না।
তাদের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব হয়ে যায় এবং তাদেরকে অনেক কিছু বোঝানোর চেষ্টা করে যে তোমার যে কাজ করতে ভালো লাগে যে বিষয় নিয়ে পড়তে ভালো লাগে সে বিষয় নিয়ে পড়ো তোমার বাবা-মা এক বিষয় ঠিক করে দিয়েছে এটা মনে করে তোমাকে এটাই করতে হবে এমন কোন কথা নাই তুমি যেটা ভালো লাগে তুমি সেটাই করো দেখবা তুমি ওটাতেই সাকসেসফুল হবে।
কিন্তু এক প্রকার বন্ধুরা শুনতে অবাধ্য হয় ওর কথা শুনে অনেকটা হেসেও দেয় কিন্তু পরবর্তীতে যখন যে যার পছন্দের কাজ শুরু করে সবাই অনেক খুশি এবং আনন্দিত হয়।
একসময় যখন তারা গ্র্যাজুয়েট পাশ করে যার যার চাকরিতে জয়েন হয়ে যায় তখন রানছো ইউনিভার্সিটি ছেড়ে চলে যায় কাউকে কিছু না বলে। এভাবে কয়েক বছর কেটে যায় ওই দুই বন্ধু তাদের প্রাণ প্রিয় বন্ধুর খোঁজ সবসময় করতে থাকে হঠাৎ করে একদিন তার খোঁজ মেলে এবং তারা তাদের খুঁজে নিয়ে আসার জন্য দুই বন্ধু বেরিয়ে পড়ে।
এভাবে খুঁজতে খুঁজতেই অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে একসময় তাকে খুঁজে পায় এবং খুঁজে পাওয়ার পর জানতে পারে তাদের বন্ধু সারা বিশ্বের ভেতরে নামিদামি একজন বৈজ্ঞানিক হয়ে গিয়েছে এবং বৈজ্ঞানিক। আসলে এটা দেখে তারা রীতিমত অবাক হয়ে যায় যে আসলে ও যেটা বলেছিল সেটাই করেছে এটাই আসলে পুরো কাহিনী তো আর বলে শেষ করা সম্ভব না যাইহোক আপনাদের মাঝে কিছুটা আংশিক স্টরি তুলে ধরেছি।
তাই আমি মনে করি জীবনে শিক্ষা মানেই যে বড়লোক হওয়া এমন কিছু নয় শিক্ষা মানে যে আপনাকে ভালো চাকরি পেতে হবে ভালো ঘরে বিয়ে করতে হবে আপনার টাকা পয়সা হওয়া লাগবে এমন কিছু না তাই জীবনে যেটা ভালো লাগে সেটা রুপোর আপনি খেয়াল করলে দেখবেন আপনার জীবন অনেক সুখী এবং সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠবে।
আশা করি আমার এই গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে এবং যদি আপনাদের সময় থাকে তাহলে অবশ্যই এই মুভিটি দেখতে ভুলবেন না।
অনেক সুন্দর মুভি রিভিউ করেছেন ধন্যবাদ
ভাই এই ছবিটি আমি এখন পযর্ন্ত ১৫ বার দেখছি। আমার খুব পছন্দের একটি মুভি। ধন্যবাদ এটা নিয়ে লেখার জন্য।
বেস্ট মুভি আমার দেখা । ভীষণ ভালো লাগে । সব দিক থেকেই অনেক শিক্ষনীয় শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনি একজন অভিজ্ঞ ইউজার হওয়ার পরেও বেশ কিছু ভুল করেছেন । কপিরাইট নিয়ম লঙ্ঘনের অপরাধে আপনাকে Mute করা হচ্ছে।