আমার কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
@maksudakawsar
খিলগাঁও, ঢাকা বাংলাদেশ
৬, অক্টবোর, ২০২২
কেমন আছেন আপনারা সবাই ? নিশ্চয় সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার কিছু এলো মেলো ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করবো। বিগত কিছুদিন হলো আমি নানা বাড়ী যশোর বেড়াতে যাই। বর্তমান ডিজিটাল যুগে ঢাকা হতে যশোর যেতে মাত্র পাঁচ ঘন্টা সময় লাগে। আর যার রুপকার হলো স্বপ্নের পদ্ধা সেতু । আজ আমি আপনাদের কাছে সেই পদ্ধা সেতুর কিছু ফটোগ্রাফিসহ আরও এলো মেলো কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরব।ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে নিশ্চয়।
তাহলে আসুন দেখা যাক আমার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট।
প্রথম ফটোগ্রাফি
সোহাগ পরিবহনে করে যশোরের উদ্দেশে আমরা ঢাকা পার করে আস্তে আস্তে পদ্মা নদীর পার দিয়ে পদ্মা সেতুর উপর উঠে যাই। বাসের জানালা দিয়ে যতদূর চোখ গেল শুধু নদী আর নদী। নদীমাতৃক আমাদের এই বাংলাদেশে নদীগুলো দেখতে কি যে সুন্দর তা আমি এই পদ্মা সেতু দেখে উপলব্দী করতে পারলাম।।
ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
আমরা যখন পদ্মা সেতু পার হচ্ছি তখন বিকেল। বিকেলের রোদ ছায়ার খেলায় দূর হতে চোখে পড়ল দু পাশ্বে চর জাগা নদীটি। আমরা এতদিন শুধু বইয়ে পড়েছি পদ্মা পাড়ের কথা। কিন্তু আজ দেখলাম কি সুন্দর চর জেগে উঠেছে এই অশান্ত পদ্মা নদীকে ঘিরে। যেখানে জেগে উঠেছে সবুজ ঘাসের মেলা। সত্যি অপরুপ এই বাংলার দৃশ্য।
ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
পদ্মা সেতুর উপর থেকে দেখা গেল নদীর উপর দিয়ে ড্রেসার মেশিন বসানো হয়েছে। যে মেশিনটি আস্তে আস্তে নদীর তলদেশ থেকে বালু তুলে নিচ্ছে । এধরনের বালু খনন করায় নদীর তলদেশে গভীরতা তৈরি হয়। তাই বালু তুলার এই দৃশ্যটাকেও আমি আমার ক্যামেরা বন্দী করতে ভুল করলাম না।
ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
পদ্মা নদীর ফটোশুট করতে যেয়ে আর একটি ছবি আমি আমার ক্যামেরা বন্দী করতে পেরেছি। যে ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে নদীর মাঝে মাঝে কিছু চর জেগে উঠছে। দূর হতে দেখলে মনে হয় নদীর বুকে কিছু সবুজ অরন্য জেগে উঠছে। আর এসব সবুজ অরণ্য মিশে যাচ্ছে দিগন্ত শেষের আকাশের বুকে।<
ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
সেদিন মামাবড়ী পৌছাতে পৌছাতে সন্ধ্যা হয়ে যায়| সন্ধ্যায় মামা বাড়ীতে পৌছেঁ চোখে পড়ল কিছু দৃশ্য। তার মধ্যে একটি নাম না জানা ফুলের ছবি তুলে নিলাম। সন্ধ্যায় ফুলগুলো দেখতে বেশ ভালই লাগছিল। কি সুন্দর চেয়ে আছে ফুলগুলো। শুনেছি এই ফুলের নাম সাদা বাহার।
ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
এবার সন্ধ্যার আলোয় চোখ পড়ল মামা বাড়ীর ডালিম গাছের দিকে। গাছের মধ্যে তাজা তাজা ডালিমগুলো ঝুলে আছে যা দেখে আমি অনেক আনন্দ পেলাম। তাই গাছে ঝুলে থাকা সেই ডালিম গাছের ডালিম এর ছবিও আমি আপনাদের জন্য ক্যামেরা বন্দী করে ফেললাম।
ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
বাড়ীর একটু ভিতরে ঢুকতে আমার চোখে পড়ল একটি খাচাঁর মধ্যে কয়েক প্রজাতির কিছু পাখি বন্দী অবস্থায় আছে। তারা শুধু কিচির মিচির শব্দ করে কি যেন বলতে চাইছে। আমি কিছুক্ষন চেষ্টা করলাম তাদের ভাষা বুঝার। কিন্তু তাদের ভাষা বুঝে উঠা সে আমার অসাধ্য।
ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
ক্রমিক | বিবরন | পরিমান |
---|---|---|
1 | ডিভাইস | Oppo-A16 |
2 | ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
3 | ভৌগলিক অবস্থান | এলোমেলো ফটোগ্রাফি |
সুজলা, সুফলা শষ্য শ্যামলা অপরুপ এ দেশের রুপ বৈচিত্র দেখতে হলে ঘুরে বেড়াতে হবে আমাদের এই বাংলার পথে প্রান্তরে। আমরা যেখানেই দু চোখ মেলি সেখানেই যেন বাংলার রুপ বৈচিত্র ফুটে উঠে। আশা করি আমার মত আপনারাও মুগ্ধ হবেন।
ভাল থাকবেন , সুস্থ্য থাকবেন।
আপনার নাম না জানা ফুলটি হচ্ছে নয়ন তারা। আর এই নয়ন তারা ফুলের কয়েকটা প্রজাতের আছে। সারা বছর জুড়ে ফুল দেয়, ফুল গুলো দেখতে বেশ দারুন লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো যেমন তেমন উপস্থাপনাটি ছিল দারুন। আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার অনুভূতিগুলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই জেনে ভালো লাগলো যে ফুলটির নাম নয়নতারা।
যমুনা সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ও একই দৃশ্যগুলো দেখা যায়।নদির মন উদাস করা আলাদা সৌন্দর্য আছে।অনেক সুন্দর হয়েছে ছবিগুলো।ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে অনেক ভাল বলেছেন নদীর একটা আলাদা সৌন্দর্য আছে।
বাহ আপনি অনেক সুন্দর করে কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো অসম্ভব ভালো লাগলো আমার। খুব সুন্দর করে যথার্থ বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। নয়ন তারা ফুলের ফটোগ্রাফি খুব ভালো লাগলো আমার। যেটির নাম আপনার জানা নেই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আমার ফটোগ্রাফি গোলাপটা সুন্দর লেগেছে জেনে আমার অনেক ভালো লাগছে। আপনাদের উৎসাহ উদ্দীপনা পেলে আগামীতে আরো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে পারব।
আপু আপনি আপনার নানুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় ঘুরতে গেলে বেশ ভালই লাগে। সেখানে গিয়ে আপনি দারুন সব ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপু আপনার প্রত্যেকটি সময় যেন ভালো কাটে এই কামনা করি।
আপু আমি আপনার জন্য দোয়া করি আল্লাহ আপনার প্রতিটি সময় যেন ভালো ভাবে কাটায় । আর আপনাকে ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টে প্রশংসা করার জন্য।
জি ভাইয়া আমি যেন খুশি লাগছে আমার নাম না জানা ফুলটির নাম নয়ন তারা। আমি শুধু মুগ্ধ হয়ে গেছি পদ্মা সেতুর দুই পাড়ের দৃশ্য দেখে।