লাইফ স্টাইল- অল্প টাকায় ভরপুর খাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
সুস্থ্যতা আল্লাহ তালার একটি বড় নেয়ামত। মানুষ অসুস্থ্য হলেই বুঝে যে তার কাছে সুস্থ্যতার কত প্রয়োজন। গতকাল রাত হতে কেমন যেন একটু অসুস্থ্য বোধ করছি। মন দেহ কোনটাই যেন চলছে না। আর তাই তো আজ সকাল থেকে কোন কাজই করতে মন চাইছে না । দুপুরে অফিস থেকে এসে এক ঘুম। কখন যে সময় পার হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। ঘুম থেকে উঠেই দেখি রাত ৮.০০। হি হি হি। আর তখনই বসে পড়লাম আপনাদের সাথে আমার আজকের ব্লগটি শেয়ার করার জন্য। কেমন আছেন প্রাণের বন্ধুরা? ভালোতো সবাই না? আমি @maksudakawsar। বাংলাদেশ হতে সংযুক্ত আছি।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
কর্মব্যস্তময় জীবনের মধ্য দিয়ে জীবনের প্রতিটি সময় পার করতে হচেছ। সেই সকাল হতে শুরু হয় জীবনের সাথে যুদ্ধ রাত অবদি চলতে থাকে। কোথা দিয়ে যে জীবনের সময় গুলো চলে যাচেছ সেটাই তো বুঝার সময় পাই না। আর এই কর্মময় জীবনে তো আর না খেয়ে থাকা চায় না। সেই ছেলেবেলা থেকেই কিন্তু আমাকে লোভনীয় কোন খাবারে তেমন টানে না। টানে না কোন বড় বড় হোটেল বা চাইনিজও টানে না। কিছুটা সময় পেলেই বা পেটে ক্ষুধা ধরলে চলে যাই ছোট খাটো কোন হোটেলে বা রাস্তার ধারে কোন খাবার দোকানে। না তার মানে কি আমি বড় বড় হোটেলে যাই না। সেখানে খাই না। না তা নয়। সত্য বলতে আমার কাছে মনে হয় ছোট ছোট হোটেল গুলোর খাবারই কেন জানি স্বাদ লাগে বেশী।
এই তো কয়েকদিন আগের কথা অফিসে বসে আছি । কেন জানি পেটে ক্ষুধায় পেট চুরচার করছে। আমি তো মনে করেছি শুধুমাত্র আমার পেট মনে একাই চুরচার করছে। কিন্তু দেখলাম যে না শুধু আমার পেট নয় আমার সাথে আমার আরও একজন কলিগের পেটও নাকি ক্ষধায় পেট চুরচার করছে। তো দুজনে সিদ্ধান্ত নিলাম একটু বাহিরে যেয়ে খাওয়া দাওয়া করবো। তো চলে গেলাম তার পরিচিতি একটি ছোট হোটেলে। যেটা নাকি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে। আর এখানে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাই খাওয়া দাওয়া করে।
আমরা দুজন হাটতে হাটতে চলে যাই সেই ছোট খাটো হোটেলে খাওয়া দাওয়া করতে। আমরা যখন পৌছাই সেখানে তখন বেলা ১২.৩০ মিনিট। বাপরে বাপ হোটেলে ভিতরে তো মহা ভিড়। বাহিরেও কিছু ছাত্রীরা অপেক্ষা করছে খাওয়ার জন্য ভিতরে সিট খালি হলে ঢুকবে। আর আমরা তো থো মেরে দাড়িঁয়েই রইলাম। প্রায় দশ মিনিট অপেক্ষা করার পর আমরা সিট পেলাম। তাই একজন সিটে বসলাম আর একজন খাবার অর্ডার করতে গেলাম। কারন দুজন গেলে যদি সিট দখল হয়ে যায়। এখানে কিন্তু বুফ সিস্টিমে খাবার রাখা হয়। তো আমিই গেলাম। তারপর তাদের বিভিন্ন খাবার দেখে অর্ডার করলাম। আমরা সেদিন নিয়ে ছিলাম মুরগী, ছোট মাছ রান্না আর ডাল।
খাবার শুরু করার পর দোকানের পিচ্চি মামা টারে ডেকে বললাম একটু কাঁচা মরিচ আর পেয়াঁজ চাওয়াতে মামা রেগে গিয়ে বলে নাই । যে দাম আবার কাঁচা মরিচ। মামার এ রকমের ব্রু কুচকানো দেখে আমরা তো হেসে শেষ।তো আমরা খাওয়া দাওয়া শুরু করে দিলাম। বলতে হয় দোকানের বাবুর্চির হাতের জোশ আছে। আলু দিয়ে ছোট মাছ রান্না যে এতো স্বাদের হয় তা এই দোকানের রান্না না খেলে বুঝা যেত না। ইস্ সাথে একটি কাচাঁ মরিচ হলে খারাপ হতো না। আমরা দুটো নিয়েছিলাম ছোট মাছ ভূনা। পড়ে আবার একটু করে কিন্তু দিয়েছিলো।
তারপর আমরা একে একে মুরগী আর ডাল দিয়ে আস্তে আস্তে আমাদের খাবার শেষ করি। কিন্ত মোট কথা আমাদের প্রতিটি খাবার কিন্তু বেশ স্বাদের ছিলো। মুরগী তো হেব্বী জোশ। আর ডালটার কথা কি আর বলবো। খাওয়ার সময় আমার বার বার একটি কথা মনে হচ্ছিলো যে এই ছোট হোটেলের খাবার এতো স্বাদের হলে এতো টাকা খরচ করে আর বড় বড় হোটেলে যাওয়ার কি দরকার। আর যে হারে এখানে ছাত্রছাত্রীরা খায় তাতে তো কম দামে বিক্রি করলেও দোকানদার দের বেশ লাভ হয়। আবার যে ছাত্রছা্ত্রীরা খায় তাদেরও কিছু টাকা আয় হয়।
এবার আমাদের খাবার হয়ে গেল। আমরা বিলের কথা বললাম। আমি তো ভেবেছিলাম দুজনে হয়তো ৫০০-৬০০ টাকা বিল আসবে। কিন্ত বিলের কথা শুনে তো আমার মাথায় হাত। আমরা দুজন তো আর কম খেলাম না। তো বিল আসলো মাত্র ৩৬০ টাকা। এখন বুঝলাম কেন ছাত্রছাত্রীরা এখানে খাবার খাওয়ার জন্য এতো ভিড় করে। এতো কম দামে খাবার খেয়ে নিজেদের টাকা সঞ্চয় করে রাখে আরকি। তো তখন আমার মনে হলো আমরাও কিন্তু মাঝে মাঝে এখানে খেয়ে নিজেদের অর্থ বাচিঁয়ে জমাতে পারি। হি হি হি
তো কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের লাইফ স্টাইল ব্লগটি? আপনাদের মন্তব্য পড়ার জন্য বসে রইলাম।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে এরকম হোটেল গুলোতে খাবারের মান খুব ভালো হয় আর দাম খুব কম থাকে। আপনারা দুইজনে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছিলেন কিন্তু দাম খুবই কম ছিল। এরকম হোটেল গুলোতে খাওয়া-দাওয়া করত কিন্তু আবার ভালো লাগে। আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর করে মুহূর্তটা শেয়ার করলেন।
আমি তো গরীব মানুষ তাই প্রায় এ ধরনের হোটেলে খাই আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
অল্প টাকায় খাওয়া দাওয়া দারুন লাগলো আপু।আপনারা দুজন খুব সুন্দর ভাবেই খাওয়া শেষ করলেন। আর শেষে বিল ও দেখলেন মাত্র ৩৬০ টাকা।আসলে ছাত্র -ছাত্রীদের জন্য এই ব্যবস্থা হয়তো।খুব ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ আপু।
মাত্র ৩৬০ টাকায় পের ভরপুর খাবার । হি হি হি। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এরকম ছোটখাটো লোকাল হোটেল গুলোতে আমিও মাঝে মাঝে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে থাকি। এই ধরনের হোটেলের খাবার কিন্তু বেশ মজাদার হয়। আপনারা দুইজনে তাহলে বেশ ভালোই তৃপ্তি সহকারে খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন। বিল তো দেখছি মাত্র ৩৬০ টাকা এসেছিল এটা তো আমিও বুঝলাম না। তবে এমনিতেই এই ধরনের হোটেলের খাবারের দাম খুব কম থাকে।
আমার কিন্তু এসব ছোট খাটো হোটেলে খেতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।