লাইফ স্টাইল- শত ব্যস্ততার মাঝেও ভালোবাসার আতিথীতায় মুগ্ধ ||lifestyle by @maksudakawsar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
শত ব্যস্ততার মাঝেও ভালোবাসার আতিথীতায় মুগ্ধ
সবাই কেমন আছেন? নিশ্চয় ভালো তাই না? আপনাদের ভালো থাকাটাই আমার কামনা। কারন আপনারাই যে আমার পরিবার। আর তাই তো শত ব্যস্ততার মাঝেও ছুটে আসি পরিবারের মাঝে কিছু নিজের ভালো লাগা আর মন্দ লাগা গুলো কে বিলিয়ে দিতে। ভালোবাসা এমন একটি বিষয় শত ব্যস্ততাকেও সে হার মানায়। ছিনিয়ে নেয় নিজের অধিকার। আর আজ সেই ভালোবাসাময় কিছু মহূর্ত নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে আসলাম।
আমি আবার ইদানিং চেষ্টা করি জীবনে ঘটে যাওয়া সবকিছুই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। কারন আমি মনে করি আমার পরিবারই আমার সুখ দুঃখের সাথী। জীবনে ঘটে যাওয়া ভালো থাকা বা দুঃখ ভরা মহূর্ত গুলো আমার পরিবারের সাথে তো একটু শেয়ার করা যায়। তানাহলে মনটা যেন কেমন করে। যাই হোক আপনাদের সবার সুখ আর স্বাচ্ছন্দময় জীবন কামনা করে আজ আবার শুরু করতে যাচিছ আমার ব্লগটি। আশা করি কিছুটা হলেও আপনাদের কে ভালো লাগার অনুভূতি দিতে পারবে।
চারদিকের যে থম থমে অবস্থা তাতে তো ঘর হতেই বের হতে ভয় লাগে। কিন্তু ভয় লাগলে হবে কি করে ? বের হতেই তো হবে। কারন জীবিকার টানে অফিসে তো যেতেই হবে। তার মধ্যে তো রয়েছে হাজারও ব্যস্ততার মধ্যে কাটানো জীবন। এখন এটা তো তখন সেটা। অবশ্য আশেপাশের মানুষগুলো আবার বুঝতে চায় না এই ব্যস্ততা। আর তাই তো ব্যস্ততাকে উড়িয়ে দিয়ে গ্রহণ করতে হলো বড় ভাসুরের বাসার দাওয়াত। না গেলে আবার বাসায় এসে কান ধরে নিয়ে যাবে। তাই তো কিছু ব্যস্ততা কে ধরে সরিয়ে রেখে চলে গেলাম নাচতে নাচতে সেই দাওয়াত খেতে।
কিন্তু বললে তো আর দৌড় দেওয়া যায় না। হাতে করে তো কিছু নিয়ে যেতে হয়। তাই না? আর তাই তো দুজনে মিলে যাওযার পথে একটু মিষ্টির দোকানে ঘুরে গেলাম। আরে ভাই মিষ্টির দোকানে যেয়ে তো পড়লাম এক সমস্যায়। আমি মিষ্টির দোকানে রাখা মিষ্টি গুলোর একটু ভিডিওগ্রাফি করছিলাম। কিন্তু কি বলেন তো মিষ্টির দোকানের ম্যানেজার কেন জানি আমাকে ভিডিও করতে দিলো না। কারন হিসাবে সে বলে আমার দোকানের ভিডিও করে ইউটিউবে ছাড়বেন, আর পয়ঁসা ইনকাম করবেন। আমার লাভ কি? আমি তো হতবাক। বন্ধ করে দিলাম ভিডিও গ্রাফি করা। মিষ্টি নিলাম তিন ধরনের। তারপর ম্যানেজার সাহেব কে জিজ্ঞেস করলাম বাড়ি কোথায়। আর এদিক দিয়ে আপনাদের ভাইয়া তো ভদ্র লোকের সাথে খাতিল জমিয়ে নিল। অবশেষে ভদ্র লোক কয়েকটি ফটোগ্রাফি করতে দিল আরকি।
এরপর মিষ্টি নিয়ে আমরা গেলাম দাওয়াত খেতে। বাপরে বাপ সেখানে যেয়ে তো দেখি ভাবী কত কিছু যে রান্না করছে। আমি তো অবাক। সেখানে শুধু আমরা ছিলাম না । সেখানে আরও আমার একজন প্রিয় মানুষও ছিল। যাই হোক । কাছা দিয়ে সেই সাজগোজ নিয়েই শুরু করে দিলাম ভাবী কে হেল্প করা। আমি যতই হেল্প করতে চাই ভাবী তো দিবে না। কি আর করার শুধু সুপটাই তৈরি করলাম আমি।তাও আবার চিকেন ম্যাগী সুপ। অবশ্য খেয়ে দেয়ে সবাই প্রশংসার ঝড় বয়ে দিয়েছিল।
আমরা বেশ আনন্দ আর মজা করলাম সেদিন। ভাবীর দুই ছেলে তো আমার বেশ ভক্ত। বলার সাথে সাথে চকবার চলে আসলো নিচ থেকে। তারপর আমরা বসিয়ে দিলাম গল্পের আসর। কি যে দুষ্টুমি সবার সাথে। সত্যি বলতে আমি ভাবীর বাসায় যেয়ে যে আনন্দ পাই সেটা কিন্তু আর অন্য কোথাও পাই না। তাই তো দাওয়াত লাগে না। মাঝে মাঝেই চলে যাই ভাবীর বাসায়। কিন্তু এবার নাকি ভাবী স্পেশাল ভাবে খাওয়াবে তাই দাওয়াত দেয়া।
তারপর ভাবী একে একে বিভিন্ন রকমের আইটেম দিয়ে টেবিল ভরে দিলো । যার মধ্যে ছিল ভেজিটেবিল ফ্রাইড রাইস, ফ্রাইড চিকেন, চিকেন কারী,চাইনিজ ভেজিটেবিল এবং মাংস। রেসিপি যেন কোনটার থেকে কোনটাই কম স্বাদ নয়। আমি যেহেতু এগুলো তেমন পছন্দ করি না। তাই সব কিছু একটু একটু করে টেস্ট করে রিভিউ দিয়েছি ভাবীকে। বাকী খাওয়াটা আপনাদের ভাইয়াই খেয়েছে। তবে খাবার শেষে কিন্তু কফি স্পেশাল ভ্যানিলা কিফি খেতে ভুল করিনি। এরপর খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষ করে মনের আনন্দ নিয়ে বাসার দিকে চলে আসলাম। সত্যি বলতে কিন্তু ভাবীর এ ভালো বাসা ভুলার নয়। যেন মায়ের আদর নতুন করে পাওয়া।
আজ এখানেই রাখছি। আগামীতে আবারও ফিরে আসবো নতুন করে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে। কেমন লাগলো আমার আজকের ব্লগটি? জানার আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করবেন। |
---|
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
ঠিকই বলেছেন আপু পরিস্থিতি যাই হোক না কেন কাজের তাগিদে বাইরে যেতেই হবে । সেটা যে কোন মুহূর্তে হোক না কেন । আর দাওয়াতে অ্যাটেন্ড করেছেন ভালো করেছেন মাঝে মাঝে এসব দেওয়াতে গেলে নিজের কাছে ভালো লাগে । এটা ভাল বলেছেন না গেলে কান ধরে নিয়ে যাবে চলে গিয়েছেন কান ধরার আগে । আপনি নাচতে নাচতে গিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো । আর খাবারগুলো অনেক লোভনীয় ছিল আমার তো দেখে খেতে মন চাইছে ।এরকম লোভনীয় একটা খাবারের দাওয়াত মিস করলে আসলেই অনেক বড় মিস হয়ে যেত ।
আপু আপনার বেশ কাছে কিন্তু থাকি চলে আসেন। গল্প হবে আড্ডা হবে আর আপনার প্রিয় জিনিস গুলো খাওয়া হবে। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ব্যস্ততা থাকলেও কাছের মানুষদের কাছে আমাদের ছুটে যেতেই হয় সব ব্যস্ততা ফেলে রেখে। নাচতে নাচতে দাওয়াত খেতে চলে গেলেন হি হি হি... ভালোই করেছেন। এখানকার প্রত্যেকটা আইটেম আমার অনেক বেশি পছন্দ। সবগুলো দেখেই লোভ লাগছে। ভালোই আয়োজন করেছে।
কি যে বলেন না আপু এমন একটি দাওয়াত পেলে কি আর হেটে হেঁটে যাওয়া যায়? নাচতে নাচতে যেতে হয়। ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এত ব্যস্ততার মধ্যেও আপনি আপনার বড় ভাসুরের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। দাওয়াত খেতে গিয়ে মিষ্টির দোকানে আপনাকে মিষ্টি ভিডিওগ্রাফি করতে দেয়নি এটা জেনে খুবই খারাপ লাগলো। তবে পরবর্তীতে আপনি কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে অনেক জায়গায় কিছু কিছু মানুষ ছবি তুলতে দেয়না। ভাবে এগুলো আমরা ইউটিউবে দিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করে ফেলব। যাইহোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এবং পোস্ট পরে বেশ ভালো লাগলো।
কি যে অবস্থা এখন কোথাও গেলে ফটোগ্রাফি করতে দিতে চায়না। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু এত মজার মজার খাবারের জন্যই নাচতে নাচতে চলে গেছেন,হা হা হা। আমি তো জানি মানুষ হেটে বা গাড়িতে করে দাওয়াত খেতে যায় আর আপনি যান নাচতে নাচতে,হি হি হি। বর্ণনা পড়ে অনেক হাসিঁও পেয়েছে। দারুন অনুভূতি। ধন্যবাদ।
আরে ভাই গাড়ি পাব কোথায়? স্টিমের দাম বাড়ুক তখন না হয় গাড়ি করে যাব। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খুব ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্টটি পড়ে। আর লোভনীয় সব খাবার, মিষ্টি দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে। পোস্ট পড়ে বুঝলাম আপনি আপনার ভাসুরের বাসায় দাওয়াত খেতে গিয়ে সবার সাথে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। তাই বলা যায়,শত ব্যস্ততার মাঝে আপনজনদের বাসায় নাচতে নাচতে দাওয়াত খেতে দিয়ে ভালোই করেছেন😅
আপু আপনার বাসায় দাওয়াত খেতে নাচতে নাচতে আসবো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
TWeet