লাইফ স্টাইল- ভর্তা-ভাতে দুপুরের আহার ||lifestyle by @maksudakawsar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
শুভ বিকেল ভালোবাসার আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সকলকে। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ। জীবন ছুটে চলার। আর জীবনের তাগিদেই ছুটে যেতে হয় বহুদূর। আর সবার মত আমিও ছুটি চলছি। এতটুকু যেন সময় নেই দম ফেলার। কারন আমাদের তো আছে হাজারটা চাহিদা। সেসব চাহিদা গুলোকে পূরণ করার জন্য হলেও আমরা ছুটি চলি এখান থেকে সেখানে। বেশ কিছুদিন যাবৎ ভাবছি ডাক্তার দেখাবো। কিন্তু সময়ের জন্য আর হয়ে উঠে না। শুনেছি বেশ ভালো ডাক্তার উনি। কিন্তু উনার চেম্বার কিন্তু বেশ দূরে আমার বাসা হতে। সেই মিরপুর রূপনগরে। গত কয়েকদিন আগে সকাল সকাল চলে গেলাম সেখানে। কারন উনি সকালেই বসেন। বেশকিছু সময় অপেক্ষা করার পর দুপুর আড়াইটায় তাকে দেখানোর সময় হলো। ততক্ষনে পেটের মধ্যে আগুন জ্বলছে। তো সিদ্ধান্ত নিলাম পাশের ভর্তা ভাত হোটেলে দুপুরের লাঞ্চটা করে নেওয়ার।
যেই ভাবনা, সেই কাজ। চলে গেলাম রাস্তার ওপারে অবস্থিত ভর্তা- ভাত হোটেলে। হোটেলের ভিতরে প্রবেশ করেই দেখি বেশ ছিমছাম হোটেল। চারদিকে বেশ গোছালো একটি পরিবেশ। নিরব আর নিস্তব্দ। কোন কোলাহল নেই। আবার কাপলদের জন্য খাওয়া দাওয়া করার আলাদা জায়গাও রাখা আছে। তো আমরা ভিতরে ঢুকে কাপলদের সেই জায়গায় চলে গেলাম। আমরা সেখানে বসার সাথে সাথে একজন ওয়েটার আসলো অর্ডার নেওয়ার জন্য। তো আমরা প্রথমেই জেনে নিলাম যে ওখানে কি কি খাবার পাওয়া যায়। যদিও হোটেলটির নাম ভর্তা-ভাত। তবুও এখানে কিন্তু সব রকমের খাবারই পাওয়া যায়। আবার কাচ্চিও পাওয়া যায়। তো আমি ভাবলাম কাচ্চি খাবো। কিন্তু কে শোনে কার কথা।
সাহেবের সখ জাগলো ভর্তা ভাত খাওয়ার। আচ্ছা আপনারাই বলেন তো শুধু কি ভর্তা-ভাতে পেট ভরে? না ভরে না। তাইতো আমি নিজেই কিছু আইটেমের অর্ডার করে দিলাম। মুরগীর মাংস, গুড়া মাছ, দু্ই পদের ভর্তা এবং সাথে করল্লা ভাজি অর্ডার করে দিলাম। ভর্তার মধ্যে নিলাম শুটকী আর বেগুন ভর্তা। তবে লক্ষ্য করে দেখলাম যে এখানকার পরিবেশনা কিন্তু বেশ ভালো। যেমন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, তেমনি এদের আতিথিয়তা। যা অনেক বড় কোন রেস্তোরায় গেলেও পাওয়া যায় না।
যেমন এদের পরিবেশনা, তেমন তাদের খাবারের স্বাদ। ভর্তা ভাজির স্বাদ কিন্তু আজও মুখে লেগে আছে। কি দিয়ে যে এত সুন্দর করে তারা ভর্তা করে আল্লাহ জানে। বাসায় বানালে তো আর এত মজা লাগে না। তারমধ্যে আরও বেশী স্বাদ হলো এদের গুড়া মাছ রান্না। মনে হয় সেই খাবার খেতে আবার ছুটে যাই। যদিও বাহিরের খাবার খাওয়া একদম ঠিক না। কিন্তু আামার মনে হয় এদের খাবারের স্বাদটাই আলাদা। তবে কি জানেন পেটের ক্ষুধার কাছে সমগ্র পৃথিবী পরাজিত। ক্ষুধা মানে না কোন বারন আর শাসন।
এদের মুরগীর রান্না রেসিপি যে কি টেষ্ট সেটা আপনারা একবার না খেলে বুঝবেন না। আমরা কিন্তু একবাটি মুরগীর মাংস দুজনে ভাগ করে খেয়েছিলাম। একবাটি মুরগীর মাংসের মধ্যে পাঁচ পিস করে দেওয়া। তাতে কিন্তু আমাদের দুজনের বেশ হয়েগেছে। আর হবে নাই বা কেন? এত গুলো খাবার খেলাম। ভর্তা, ভাজি, গুড়া মাছ আর সেই সাথে স্বাদে ভরা মুরগীর মাংস। তো খাওয়া দাওয়া শেষে বিল দেওয়ার পালা। কি আশ্চয্য! এত গুলা খাবার খাওয়ার পরও নাকি বিল আসলো মাত্র ৩৯০/- টাকা। আমি তো অবাক! কি করে সম্ভব? এর পর সাহেব পাচঁশত টাকার নোট দিলে ওয়েটার তাকে ২১০/- টাকা ফেরত দিলো। কি হলো বলেন তো? আরে বুঝলেন না তো? ওয়েটার ১০০ টাকা বেশী প্রদান করেছে। তখন আমি ওয়েটার কে বললাম, এভাবে দোকান চালালে দু দিন পর দোকান বন্ধ করে দিতে হবে রে ভাই।
আসলে যাদের বাহিরে কাজ থাকে তাদের কে মাঝে মাঝে এভাবেই বাহিরে খেতে হয়। হোক তা হাইজেনিক বা নন হাইজেনিক। আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো আপনাদের মাঝে নতুন কিছু নিয়ে। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন।
আজ শুধু চোখের সামনে খাবার খাবার। না জানি আমার নজরে সবার পেটব্যথা শুরু হয়ে যায় নাকি,হাহাহা।আপু ভর্তা দিয়েই আমার খাওয়া হয়ে যায় মাঝে মাঝে,যদি সেটা সুস্বাদু হয়। আর আপনি তো অনেক আইটেম অর্ডার করলেন।যাইহোক এটা ঠিক বলেছেন বাইরে কাজের জন্য বেরোলে মাঝে মাঝে এরকম খাবার খেতেই হয়।
চিমটি আপু। আমারও না তাই। ভর্তা হলে আর কিছুই লাগেনা। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হোটেলটি বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নই লাগলো আপনার ছবি দেখে। দামও তো বেশ কম অন্যান্য হোটেল গুলোর থেকে। তারউপর ফেরত দেয়ার সময় ফেতর ও দিয়েছে ১০০ টাকা বেশি! অসাধু কোনো ব্যক্তি হলে টুক করে পকেটে ভরে নিতো! আপনাকে ধন্যবাদ ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য, এর ফলে ভবিষ্যতে আশা করি সাবধান হবে।
হুম আপু যেমন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, তেমনি করে খাবারের দাম ও কম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দরিএকটি মন্তব্য করার জন্য।
ডাক্তারের কাছে গিয়ে ভর্তা ভাত হোটেলের দুপুরের খাবার খেয়েছে দেখে ভালোই লাগলো। হোটেল টি বেশ গোছানো এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখলাম। আবার খাবার গুলো দেখে লোভনীয় লাগছে। খাবার গুলো হিসেবে খাবারের দাম আমার কাছে দামটা তুলো না মুলক কম মনে হয়েছে। ভর্তা ভাতের হোটেলে খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
জি আপু খাবারের তুলনায় দাম অনেক কম হয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
হোটেলটা বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। আপনার ছবির মাধ্যমে হোটেলটি দেখে আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে। আপনার বর্ণনা পড়ে বুঝলাম খাবারের মানগুলো অসাধারণ। তবে আপনাকে 100 টাকা বেশি ফেরত দেওয়াই ওয়েটারকে ভুলটি বুঝিয়ে দিয়েছেন এটা খুব ভালো লাগলো। আশা করি পরবর্তীতে সে তার ভুল শুধরে নেবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
কি করবো বলেন তো আপু? অন্যের টাকা কি মেরে খেয়ে লাভ করা যায়? ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ডাক্তার দেখাতে গিয়ে ভাইয়ার সাথে দুপুরে একটি হোটেল থেকে লঞ্চ করলেন।সেখানে দোকানদার ভুলে ১০০ টাকা দিয়ে দিয়েছিলেন।আসলে এরকম ভুল মাঝেমাঝে আমি করি।তাই এটা তেমন কিছুনা আমার কাছে হাহা।এজন্য আমার হাতে বেশি টাকা দেয় না বাসার থেকে। খাবার দেখে মনে হচ্ছে কোয়ালিটি বেশ ভালোই ছিল।দামে কম মানে ভালো।যাক এরকম হোটেল এখনো আছে দেখে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আরে আপু আমি তো বেশী টাকা দেইনি। দোকানদারই আমাকে বেশী টাকা দিয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে ভালো খাওয়া দাওয়া করে ফেলেছেন। তবে আপনি ভালো করেছেন আড়াইটা বাজে ডাক্তার দেখাবেন তার আগে খাওয়া-দাওয়া করে ফেললেন। হোটেলের নাম বেশ চমৎকার ভাত ভর্তা হোটেল। যেভাবে আপনি পোস্ট দেখেছেন খাওয়া-দাওয়ার মান ভালো। তবে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে দেখলেন আপনার বিল এসেছে ৩৯০ টাকা। আসলে কিছু কিছু হোটেল আছে যেগুলো মানুষকে একদম বোকা বানিয়ে দেয়। যাইহোক তৃপ্তি মতে খাওয়া খেয়েছেন এটাই বড় কথা। এই হোটেলে খাওয়া খেয়ে ভালো অভিজ্ঞতাই হয়েছে আপনার। ধন্যবাদ আপনাকে পোষ্টটি শেয়ার করার জন্য।
হুম সত্য কথা এখানকার খাবার গুলো বেশ মজার হওয়ায় কিন্তু আমরা বেশ মন ভরে খেয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে বেশ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আরে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে তো আপনি খুব মজা করে খাবার খেয়েছেন। তবে আপনি ভাল করেছেন দুপুর টাইমে খাওয়া খেয়ে। তবে এরকম অনেক রেস্টুরেন্ট আছে যেগুলোর খাওয়া-দাওয়া মান অনেক ভালো। যদি ও খাওয়া দাওয়া রেস্টুরেন্ট গুলোতে দাম একটু বেশি হয়। সবচেয়ে বড় কথা খুব মজা করে তৃপ্তি সহকারে খাওয়া খেতে পারলেন ওটাই বড় কথা। তবে ভর্তার কথা শুনে আমার ও খাবার খেতে মন চাইছে।যাইহোক আপনি খুব মজা করে খাবার খেয়েছেন এবং অনেক সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
সত্যি বলছি ভাইয়া বেশ মজা করে খাবারগুলো খেয়েছিলাম। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আপু ভর্তা দিয়ে অনেক সময় খাবার খেতে খুবই ভালো লাগে। যেমন গরম ভাতের সাথে আলু ভর্তা । আর গমের রুটির সাথে বেগুন ভর্তা পটল ভর্তা এগুলা খেতে দারুন লাগে। আপনি হোস্টেলে ভর্তার সাথে আরও কয়েকটি আইটেমের খাবার অর্ডার দিয়ে দুপুরে খাবার শেষ করেছেন এবং সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া কখনো রুটি দিয়ে ভর্তা খাইনি আমি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।