নাটক রিভিউ- অবশেষে ||Drama Review||

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

আসসালামু আলাইকুম

নাটক রিভিউ- অবশেষে

শুভ বিকেল ভালোবাসার আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবার। সবার সুসাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ। নাটক বা সিনেমা যাই বলি না কেন সব কিছু কিন্তু আমাদের বাস্তব জীবন থেকেই নেওয়া। বাস্তবতার বাহিরে কোন নাটক বা সিনেমা নির্মিত হয় না বলে আমার বিশ্বাস। শুধু মাত্র মানুষের মাঝে বিনোদন ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই এ সমস্ত নাটক বা সিনেমা তৈরি করা হয়ে থাকে। আসলে মানুষ তার ব্যস্তময় জীবনে এতটুকু ভালো থাকার জন্য খুঁজে ফিরে বিনোদন। আর এই বিনোদনের মাধ্যম গুলোর অন্যতম হলো নাটক। আর তাই আজও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরও একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে। আশা করি আমার আজকের নাটকের রিভিউ পড়ে আপনাদেরও নাটকটি দেখার ইচ্ছে জাগবে।

Screenshot_6.png

প্রাপ্তি: YouTube

নাটকের কিছু তথ্য
নামঅবশেষে
পরিচালকরাইসুল ইসলাম অনিক
রচনাসাজিন আহমেদ বাবু
অভিনয়ইয়াশ রোহান, তানজিম সাইয়ারা তটীনি, মুনিরা মিঠু এবং আরও অনেকে
দৈর্ঘ্য২৯মিনিট
মুক্তির তারিখ১৮ই সেপ্টেম্বর/২০২৩
ধরননাটক
ভাষাবাংলা
দেশবাংলাদেশ
প্রচারআরটিভি
চরিত্র

★ ইয়াশ রোহান-আবির
★তানজিম সাইয়ারা তটীনি- নীলা

কাহিনী সংক্ষেপ

নাটকের মূল চরিত্র হলো আবির আর নীলা। আবির একজন চাকুীজিবী। ঘরে তার পঙ্গু মা। এদিকে নীলা আবিরদের পাশের ফ্লাটে নতুন আসে। নীলার মা নেই। তাই নীলা তার অসস্থ বাবাকে নিয়ে এই ফ্লাটে নতুন উঠেছে। এদিকে আবির এখনও বিয়ে সাদি করেননি। তাই প্রতিদিন বাসার সব কাজ শেষ করে মায়ের জন্য সব খাবার তৈরি করে দিয়ে তারপর অফিসে যায়। আবার অফিসে যাওয়ার পর মার সব খোজঁ খবরও রাখেন। এদিকে নীলা প্রতিদিন বারান্দায় দাড়িঁয়ে আবিরের অফিসে যাওয়া এবং তার মায়ের বারান্দা দিয়ে বিদায় জানানো দৃশ্য উপভোগ করে। এমনি একদিন আবিরের মা আবির কে বিদায় জানানোর পর হঠাৎ চোখ পড়লো নীলার দিকে।আবিরের মা নীলার সব খোজঁ খবর নিয়ে জানতে পারে তার মা নেই। আবিরের মায়ের নীলার কথা ‍শুনে বেশ মায়া লাগে। তাই আবিরের মা নীলা কে অবসর সময়ে তাদের বাসায় আসতে বলে। এমনকি মেয়েটির কথা আবিরের মা ফোন করে আবির কে জানায়।

Screenshot_4.png

Screenshot_5.png

এদিকে হঠাৎ একদিন নীলা আবিরদের বাসায় আসে। তখন আবিরের মা উইল চেয়ারে বসে কাপড় বাছ করছে। নীলা তখন মনে মনে ভাবে যে কি ছেলেরে পঙ্গু মায়ের জন্য একটা কাজের মেয়েও রাখে না। নীলা আবিরের মায়ের হাত থেকে কাপড় গুলো জোর করে নিয়ে গুছাতে গুছাতে আবিরের মাকে জিজ্ঞেস করে যে সে যেহেতু অসুস্থ তাহলে আবির কে কেন বিয়ে দেয় না। তখন আবিরের মা নীলা কে সব খুলে বলে। আবিরের অনেক ছোট বয়সে তার বাবা মারা যায়। তারপর থেকে আবিরের মা চাকুরি করতেন। হঠাৎ একটি অসুস্থতায় তার পা পঙ্গু হয়ে যায়। তখন আবির সংসারের সকল কাজ সহ সংসার চালোনোর দায়িত্ব বুঝে নেয়। এদিকে আবিরের মা পঙ্গু বলে কোন মেয়ে আবির কে বিয়ে করতে চায় না। যদি তার সেবা করা লাগে। এসব দেখে আবির নিজেই বলে পাত্রি দেখা বন্ধ করে দিতে। আর আবির নিজের হাতে সব দায়িত্ব বুঝে নেয়। তাছাড়া কোন কাজের মানুষও আসতে চায় না পঙ্গু মানুষের বাসায় কাজ করতে। এসব কথা বলতে বলতে আবিদের মা ইমোশনাল হয়ে যায় এবং কান্না করে। এরই মধ্যে আবিদ চলে আসে। আর আবিদ কে দেখে নীলা চলে যা যায়। তখন আবিদ তার মাকে নিষেধ করে এরকম করতে না। মা আবিদকে বলে যে মেয়েটি বেশ ভালো

Screenshot_7.png

Screenshot_9.png

এরপর নীলা একদিন আবিদের মায়ের জন্য পায়েস বানিয়ে নিয়ে আসে। আবিদ সেদিন বাসায় থাকে। আবিদ নীলা কে দেখে নিজ হাতে চা বানিয়ে খাওয়ায়। এরপর থেকে আবিদ আর নীলার ইশারায় কথা বলা শুরু হয়। এদিকে নীলা বাসায় এসে আবিদের মায়ের যত্ন নেয়। এসব দেখে আবিদের মা আবিদ আর নীলার বিয়ে দেওয়ার চিন্তা করে। এদিকে নীলার জ্বর আসলে আবিদের মা নীলার জন্য খাবার নিয়ে যায় এবং আবিদ নীলাদের বাসায় খাবার পাঠায়। এতো দিনে আবিদও মনে মনে নীলা কে পছন্দ করতে শুরু করে।

Screenshot_10.png

Screenshot_11.png

Screenshot_12.png

এদিকে নীলা একদিন আবিদদের বাসায় আসে। নীলা আবিদের মা কে জড়িয়ে বেশ কান্নাকাটি করে এবং আবিদের মা কে মা বলে ডাকে । নীলা আবিদের মাকে বলে তারা বাসা ছেড়ে চলে যাচেছ। নীলার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে আছে । সে লোকটি ইটালী থাকে। সে দেশে এসেছে এবং নীলা কে ইটালী নিয়ে যাবে। এসব কথা বলেতে বলতে নীলা আবিদের মায়ের হাতে একটি চিঠি ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়। এসব কথা আবিদ শুনতে পায় এবং বিষণ মন খারাপ করে।

Screenshot_13.png

Screenshot_14.png

Screenshot_16.png

নীলার দেওয়া চিঠিটি আবিদের মা পড়ে। চিঠিতে নীলা লেখে যে , তার বয়সের চেয়ে ৩০ বছর বয়স বেশী একজনের সাথে নীলার বিয়ে ঠিক হয়েছে। নীলার বাবা যখন অসুস্থ ছিল তখন নীলাকে বিয়ে করার শর্তে সেই ব্যক্তি সব টাকা দিয়েছে। এখন নীলার কিছুই করার নেই। ইচেছ না থাকা শর্তেও তাকে সেই মানুষটিকে বিয়ে করতে হচেছ। এরপর আবিদ এবং তার মা নীলার হবু বরের সাথে দেখা করে। আবিদের মা সেই লোকটিকে সব কথা বুঝিয়ে বলে। নীলা আবিদ কে ভালোবাসে, নীলা আর সেই ব্যক্তির বয়সের পার্থক্য সব কথা বলে তার কাছে আবিদের জন্য নীলা কে ভিক্ষা চায়। তখন আবিদের মায়ের কথায় মুগ্ধ হয়ে সে লোকটি নীলা আর আবিদের বিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে দিয়ে দিবে বলে স্বীকার করে। আর আবিদ আর নীলার মিলনের দৃশ্যের মধ্য দিয়েই নাটকটি শেষ হয়ে যায়।

Screenshot_17.png

Screenshot_18.png

image.png

❤️ব্যক্তিগত মতামত❤️

নাটকটির মধ্য দিয়ে পরিচালক একদিকে যেমন বুঝাতে চেয়েছেন যে টাকার জন্য মানুষ অনেক সময় নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করতে ভয় পায়। আবার অন্যদিকে পৃথিবীতে এখনও অনেক ভালো মানুষ আছে যারা ভালোবাসার প্রকৃত মূল্য দিতে যানে। অন্যদিকে কাউকে ভালোবাসলে যে তার পরিবার কে সহজে আপন করে নেওয়া যায় এই বিষয়টিও নাটকের মধ্যে ফুটে উঠেছে। সবকিছু মিলিয়ে নাটকটি আমার কাছে খারাপ মনে হয়নি।

❤️ব্যক্তিগত রেটিং❤️

৯/১০

❤️নাটকটির লিংক❤️

আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে নতুন ভাবে আপনাদের কাছে। কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগটি ? আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের আশায় রইলাম। সবাই ভালো থাকবেন ।

❤️ধন্যবাদ সকলকে❤️

image.png

Add a heading (1).png

image.png

image.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 11 months ago 

খুবই সুন্দরভাবে আপনি এই নাটকের রিভিউ করেছেন। এই নাটক দেখে আমি একদমই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। আমি এরকম একটি নাটক এর রিভিউ দেখতে পেরে খুবই খুশি হলাম৷ তবে আমি এ নাটকটি এখনো দেখিনি৷ অবশ্যই সময় করে আমি এই নাটকটি দেখে নেব৷

 11 months ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59887.64
ETH 2670.13
USDT 1.00
SBD 2.47