আমার কিছু মন ছুয়ে যাওয়া ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
@maksudakawsar
খিলগাঁও, ঢাকা বাংলাদেশ
কেমন আছেন বন্ধুরা ? আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন নিশ্চয় । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি আর একটি নতুন ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে আমি আবার নানাবাড়ী যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। না আসলে বেড়ানো না, পারিবারিক কাজে গিয়েছিলাম। সেখানে বেশ কিছু নতুন নতুন ছবি আমি আমার ক্যামেরা বন্দী করতে পেরেছি। যার কিছু ছবি আজ এখানে শেয়ার করছি।
তাহলে আসুন দেখা যাক আমার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট।
প্রথম ফটোগ্রাফি
গ্রামের বাড়ীতে এ বাড়ী সে বাড়ী ঘুরে বেড়ানোর সময় কত যে ফুলের গাছ চোখে পড়েছে। সেখানে মানুষজন আসলেই বেশ সোখিন। মামাতো বোনের বাড়ীতে যাওয়ার পর দেখলেম ভাগিনা বাড়ীর গেইটে কত সুন্দর করে পাতাবাহার গাছের বাগার গড়ে তুলেছে। খয়েরি রং এর পাতাবাহার গাছগুলো যেন আমার দিকে চেয়ে আছে আর আমাকে ডাকছে। তাই আমি ভাগিনার বাগানের সেই পাতাবাহার গাছের লোভ সামলাতে পারলাম না। নিয়ে আসলাম কিছু চারা সাথে করে।
ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
এই ফুলটি বা গাছটি কে বলা হয় সিঙ্গাপুরী ডেইজি বা বুনো ডেইজি। সাধারণত দুর্দমনীয় আগাছা হিসাবে চিহ্নিত হওয়ার আগে নানা দেশে এই গাছটি সুন্দর গ্রাউন্ড কভার হিসাবে বাগানে লাগানো হতো। আর তাই ঝিকরগাছা এলাকায় এই বিশেষ গাছটি দেখে আপনাদের জন্য উপহার হিসাবে নিয়ে আসলাম।
ছবির অবস্থান সোর্স
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
ছবির অবস্থান সোর্স আজ কে আমার ফটোগ্রাফি পোস্টের সবশেষ ছবিটি হলো একটি গ্রামের দৃশ্য। দূর হতে তোলা ছবিটির মধ্যে একটি গ্রামের প্রকৃতি অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। দুপুরে খর তাপের মধ্যে গ্রাম্য পথ বেয়ে হেটে যাওয়ার সময়ে অনেক সুন্দর একটা প্রকৃতি কে আমি আমার ক্যামেরা বন্দী করে নিলাম। ছবির অবস্থান সোর্স গ্রামের বাড়ীতে থাকাকালীন ঢাকা থেকে ফোন এলো তাদের নাকি রক্ত জবা ফুল চাই। আর এ কথা শুনে মামাতো ভাইয়ের মেয়ে শুরু করে দিল খোজ করা। কার বাড়ীতে রক্ত জবা পাওয়া যাবে। অবশ্য এটা সত্য যে যশোর জেলায় অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে। তাই তেমনি একজনের বাড়ীতে অবশেষে পাওয়া গেল সেই কাঙ্খিত রক্ত জবা ফুলের গাছ। ছবির অবস্থান সোর্স এই যে দেখছেন এই ফুলগাছটি এটার নাম নাকি জংলী টগর। সবুজ রং এর পাতার ভিতর ফুটে উঠেছে সাদা সাদা রং এর জংলী টগর ফুল। গাছটি দেখতে দূর থেকে বেশ ভাল লাগে। আর এর সুগন্ধও অনেক ভাল। এই ফুলের গাছটি আমার মামা বাড়ীতে অনেক গুলো আছে। ছবির অবস্থান সোর্স আমার আজকের শেষ ফটোগ্রাফিটি ফরো ধনিচা গাছ নিয়ে। গ্রামের বেশীর ভাগ মাঠ জুড়ে রয়েছে ধনিচা গাছের চাষ।এখানে কৃষকরা নিচু জমিতে সারিসারি ধনিচা গাছ চাষ করে থাকে। আগে মায়ের মুখে অনেক শুনেছি এ গাছের কথা। সবুজ রং এর এই গাছগুলো সারি বেধে জেগে উঠতে দেখা যায়। ছবির অবস্থান সোর্স সুজলা, সুফলা শষ্য শ্যামলা অপরুপ এ দেশের রুপ বৈচিত্র আমাকে আসলে অনেক মুগ্ধ করে। আর আমরা যখন গ্রামে বেড়াতে যাই এসব প্রকৃতি আমাদেরকে প্রাণবন্ত করে তোলে। আশা করছি আমার আজকের ছবিগুলো, আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। ভাল থাকবেন , সুস্থ্য থাকবেন।
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
ফটোগ্রাফার- মাকসুদা কাউছার
ক্যামেরা-Opp-A16
ক্রমিক বিবরন পরিমান ১ ডিভাইস Oppo-A16 ২ ফটোগ্রাফার @maksudakawsar ৩ ভৌগলিক অবস্থান ঝিকরগাছা, যশোর
গ্রামের বাড়িতে এসে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার মামাতো বোনের ফুল বাগানের ফুল দারুন। তাছাড়া ঢাকা থেকে রক্ত জবা ফুল নেয়ার জন্য ফোন এসেছে আর আপনারা অবশ্যই খুঁজেও পেয়েছেন রক্ত জবা ফুলগুলো আসলেই দারুন লাগছে। সবগুলো ফুলের ফটোগ্রাফি বর্ণনা সহ আপনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু আমার ফটোগ্রাফি পোস্টটি পড়ার জন্য। আর আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি পোস্টটির একটি সুন্দর কমেন্ট করেছেন। আসলে তখন রক্ত জবা ফুল দিয়ে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
আপনার মন ছোয়া ছবি গুলো আমারো মন ছুয়ে গেল।বেশ সুন্দর হয়েছে।বিশেষ করে ডেইজি গুলো দেখে।নতুন কয়েকটা গাছ সম্পর্কেও জানতে পারলাম।টগর ফুল গুলো কাছে থেকে দেখলে খুশি হতাম।ধন্যবাদ আপু সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমার মন ছোঁয়া ফটোগ্রাফি গুলো আপনার মন ছুতে পেরেছে জেনে ভাইয়া আমার খুবই ভালো লাগলো। আর আমি এটা যেন অত্যন্ত খুশি হলাম যে আপনি কয়েকটি নতুন গাছ সম্বন্ধে জানতে পেরেছেন।
গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সত্যি কিছু মনোমুগ্ধকর ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে পাতাবাহার এবং গ্রামের দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার মন ছুঁয়ে যাওয়া ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু পাতাবাহার এবং গ্রামের দৃশ্যের ফটোগ্রাফিতে আপনার বেশ ভালো লেগেছে জানতে পেরে আমারও খুব ভালো লাগছে।
নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আসলেই মন ছুয়ে যাওয়ার মত।বুনো ডেইজি ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো টি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।ভালো থাকবেন।
জি আপু বন্য ডেইজি ফুলের ফটোগ্রাফি টা আসলে অনেক মনমুগ্ধকর
আপনার মন ছুয়ে যাওয়া ফটোগ্রাফি গুলো আমারও মন ছুয়ে হয়ে গেছে আপু। বেশ চমৎকার প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন। সত্যিই শহরে খুজলেও এমন সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ পাওয়া যায় না যেখানে চমৎকার ফটোগ্রাফি করা সম্ভব। তবে গ্রামের পরিবেশে এই ফটোগ্রাফিগুলো করতে খুব ভাল লাগে। এভাবেই সুন্দর সুন্দর কাজগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করে এগিয়ে যান এবং অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু আপনার কমেন্ট পড়ে আমার মনও গেছে। এটা জানতে পেরে খুব ভালো লাগছে যে আমার মন ছুঁয়ে যাওয়া ফটোগ্রাফি গুলো আপনার মন ছুতে পেরেছে।
নানা বাড়ি ঘুরতে গিয়ে অনেক চমৎকার কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি করেছেন। সেই ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে খুবই চমৎকারভাবে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে আপনার উপস্থাপনা অনেক বেশি সুন্দর ছিল শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য এত সুন্দরভাবে আমার পোস্টটির প্রশংসা করার জন্য।
আপু প্রকৃতি নিয়ে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। একটি অপরিচিত ফুল দেখলাম যেটার নাম আপনি বললেন সিঙ্গাপুরী ডেইজি বা বুনো ডেইজি। এটা মনে হয় বাংলাদেশে আগাছা ফুলই বলা হয়ে থাকে। আপনার বাগিনার বাতা বাহার গাছটাও অনেক সুন্দর হয়েছে। দেখে ভাল লাগলো ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আপনাকে ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। আশরাফ আমি দেখলাম একটা ফুলের অনেকগুলো নাম হয়। একেকজনের কাছে একেক নামে ফুলগুলো পরিচিত হয়।
ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমারও মন ছুয়ে গেছে আপু সত্যি অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। খুবই ভালো লাগলো এত সুন্দর বর্ণনা সহকারের ফটোগ্রাফিগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে। তবে এর মধ্য থেকে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে ফুল ফুটে থাকা গাছের দৃশ্য দেখে। সব মিলিয়ে বলতে পারি অসাধারণ ছিল পোস্ট।
এইযে ফুল ফুটে থেকে গাছ টা দেখেছেন এই গাছটির নাম জংলি টগর.