নাটক রিভিউ- ও প্রজাপতি নাটকের রিভিউ

in আমার বাংলা ব্লগlast year

নাটক রিভিউ- ও প্রজাপতি

আসসালামু আলাইকুম

সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আমি @maksudakawsar। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার হিসাবে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আজকাল যেন ব্লগিং করাটা আমার একধরনের নেশায় পরিনত হয়ে যাচ্ছে। তাই তো শত ব্যাস্ততার মাঝেও আপনাদের মাঝে চলে আসতে হয় সব কিছু ভুলে। না হয় কেমন যেন রাতে ঘুম আর আসে না। তাইতো আজও তেমনি ভাবে চলে আসলাম একটি নাটকের রিভিউ করার জন্য। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

k.png

প্রাপ্তি: YouTube

নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

নামও প্রজাপতি
পরিচালকসোহেল আরমান
রচনাসোহেল আরমান
অভিনয়জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, কেয়া পায়েল, ওয়াহেদা মল্লিক জলি এবং আরও অনেকে
দৈর্ঘ্য৪৫মিনিট ১৫সেকেন্ড
মুক্তির তারিখঈদুল আযহা/২০২৩, ২য় দিন
ধরননাটক
ভাষাবাংলা
দেশবাংলাদেশ
প্রচারবাংলা ভিশন

চরিত্রেঃ

★ জিয়াউল ফারুক অপূর্ব-রনি
★কেয়া পায়েল- -তিতলী

কাহিনী সংক্ষেপ

Screenshot_5.png

Screenshot_4.png

স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

নাটকের প্রথমেই দেখা যায় রনি রেল স্টেশনে দাড়িঁয়ে ফটোশুট করছে। কারন সে ফটোশুট করতে সুন্দরবন যাবে। তাই ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছে। রনি কানাডা থাকেন। সে দেশে এসেছে কিছু ফটোশুট করার জন্য। প্রতিবছরই রনি এ সময়ে দেশে বেড়াতে আসে।এদিকে স্টেশন মাষ্টার তার ম্যানেজারের পরিচিত। সে এসে রনির খোজঁ খবর নেয়। এদিকে তিতলী একই স্টেশনে লুকিয়ে আছে । কারন কেউ তাকে খোঁজ করছে। একসময়ে তিতলী রনির পাশে যেয়ে বসে পড়ে। তখন রনি চমকে উঠে বলে আরে আপনি কে? আর আমার পাশেই বা কেন? তখন তিতলী বলতে থাকে এত রাগ করলে চলে চলো বাসায় চলো তিতলীর এসব কথা শুনে রনি তো বেশ রেগে যায়। তিতলী অনাবরত রনি কে তার স্বামী বলে দাবী করতে থাকে। এমন সময় স্টেশন মাস্টার এসে তাদের কে তার রুমে নিয়ে যায়। তখন তিতলী স্টেশন মাষ্টার আর রনি কে বলে আসলে সে এতক্ষন একজনের কাছ হতে বাচাঁর জন্য অভিনয় করেছে। তখন রনি এবং স্টেশন মাষ্টার তিতলীর বাবার নাম্বার চাইলে সে নাম্বার দেয় না। কিন্তু তাকে বাড়িয়ে পৌছে দিতে বলে। তখন ষ্টেশন মাষ্টার রনি কে বলে তিতলী কে বাড়ী পৌছে দিতে। যেহেতু এত ঝামেলায় রনির ট্রেন মিস হয়ে গেছে তাই রনিও বাসায় ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয় এবং তিতলী কে বাসায় পৌঁছে দিতে রাজি হয়।

Screenshot_6.png

Screenshot_7.png

Screenshot_8.png

স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

এদিকে গাড়ীতে উঠে তিতলী তার বাসার ঠিকানা দিতে চায় না। তখন রনি বেশ রেগে যায়। এরপর তিতলী রনিকে বলে কোথাও একটু আলাদা বসে রনির সাথে কথা বলবে। রনি তখন তিতলী কে নিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে যায়। তিতলী রনিকে জানায় তার বাবা মা আলাদা থাকে দুজন দু জায়গায় বিয়ে হয়েছে। এজন্য তিতলী একাকিত্ব বোধ করতো। তখন তিতলীর সাথে এক ছেলের ফেইস বুকে প্রেম হয়। তারপর একদিন ছেলেটির কথা মত তিতলী তার কাছে চলে আসে। কিন্তু ছেলেটির কাছে এসে সে জানতে পারে সে একজন মাস্তান। যেহেতু ছেলেটি তিতলীকে সেদিনই বিয়ে করতে জোড় করে, তাই তিতলী সেখান থেকে পালিয়ে এসেছে। কিন্তু এখন তিতলী আর তার বাবা মা কারো কাছে ফিরে যাবে না। সে যেকোন এক জায়গায় তার ব্যবস্থা করে নিবে। তিতলীর এসব কথা শুনে রনি তিতলীকে কয়েকদিনের জন্য নিজের বাসায় রাখার প্রস্তাব দেয় এবং তিতলী কে নিজের বাসায় নিয়ে যায়।

Screenshot_9.png

Screenshot_10.png

Screenshot_11.png

স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

বাসায় ফিরে রনি গ্রাম থেকে তার ফুফু কে খবর দেয় এবং দ্রুত চলে আসতে বলে। এদিকে রনি তার বাসার কাজের মানুষ কে বলে দেয় যে তারা যেন তিতলীর যত্ন করে। এদিকে তিতলী হঠাৎ চিৎকার করে উঠে যে সে সেই লোকটিকে রনির বাসার নিচে দেখেছে। রনি তখন তার বাসার দারোয়ান কে ডেকে বলে এমন কাউকে দেখলে রনিকে বলতে। এদিকে রনির ফুফু চলে আসে। সে এসে তিতলী কে দেখে বেশ খুশি হয় এবং তিতলীকে রনির বউ বানানোর জন্য রনি কে প্রস্তাব দেয়। রনি এসব কথা শুনতে চায় না এবং তার ফুফুকে না করে দেয়। কিন্তু তার ফুফু নাছর বান্দা সে রনি আর তিতলীর বিয়ে দিয়েই ছাড়বে। এদিকে তিতলী রনির জন্য বেশ মজার একটি রান্না করে রনি কে খাওয়ায়। সেই খাবার টি রনির বেশ পছন্দ হয়। এরপর রনির ফুফু রনি কে আর তিতলীকে এক সাথে বসিয়ে তাদের দুজনের বিয়ের কথা বলে। কিন্তু রনি কিছুতেই রাজি হয় না। রনির ফুফু রনিকে ধমক দিয়ে বসিয়ে তিতলীর মতামত জানতে চায়। তিতলী রনি কে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায়। এসব কথা শুনে রনি রাগ করে ঘরে চলে যায়। এদিকে বিয়ের কথা শুনে তিতলী আনন্দে মাতোয়ারা। সে হঠাৎ আবার সেই লোকটিকে দেখতে পায় এবং ভয় পায়।

Screenshot_13.png

Screenshot_15.png

Screenshot_16.png

স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

হঠাৎ তিতলী কে বাড়ীর কোথাও খুজেঁ পাওয়া যায় না। বাড়ীর কাজের মেয়ে এসে জানায় তিতলী কে কোথাও খুজেঁ পাওয়া যাচ্ছে না। একথা শুনে রনি ও রনির ফুফু অনেক রাগ করে এবং তিতলী কে খোজার জন্য বলে। আর অন্য দিকে সেই যে সে স্টেশন মাষ্টার যিনি রনির হাতে তিতলীকে পৌছেঁ দেওয়ার জন্য তার কাছে একজন মহিলা ডাক্তার আসেন তিতলীর খোঁজে। তাই স্টেশন মাষ্টার রনিকে ফোন করে। রনি স্টেশন মাষ্টারের ফোন পেয়ে বেশ দ্রুত স্টেশনে চলে যান। সেখানে যেয়ে রনি দেখেন যে এক পাশে অনেক লোকজন দাড়িঁয়ে আছে সেখানে তিতলী এক ভদ্র লোক কে ধরে টানাটানি করছে এবং তাকে নিজের স্বামী বলে দাবী করছে। আর সেই ভদ্র লোক অনেক রাগারাগি করছে। বেশ কিছুক্ষন পর ভদ্র লোক তিতলীর হাত হতে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যান।

Screenshot_18.png

Screenshot_19.png

Screenshot_21.png

Screenshot_22.png

স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

এদিকে রনি স্টেশন মাষ্টারের কাছ হতে জানতে পারে যে তিতলী একজন মানুষিক রোগী। সে মানুষিক হাসপাতাল হতে পালিয়ে এসেছে। তার প্রাক্তন প্রেমিক তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে সে এমন করে। এসব কথা শুনে রনির তিতলীর জন্য মায়া লাগে। তখন রনি তিতলীর কাছে যায়। কিন্তু তিতলী রনি কে চিনতে পারে না। রনি তিতলীকে বলে এখন আর তোমায় কেউ ডিসস্ট্রাব করবে না। তখন তিতলী রনি কে জিজ্ঞেস করে তুমি কে? রনি বলে আমি রনি। এবার তিতলী বলে আমি কে তোমার? তখন রনি বলে তুমি আমার প্রজাপতি। এরই মধ্যে মানুসিক হাসপাতালের লোকজন এসে তিতলী কে ধরে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু তিতলী যেতে চায় না। রনি তিতলীকে বলে তুমি যাও আমি আছি তোমার পাশে। ভয় পেওনা । তিতলী বলে মনে রেখ আমি তোমার প্রজাপতি কিন্তু। এদিকে মানুসিক হাসপাতালের লোকজন তিতলীকে জোর করে নিয়ে যায়। আর একটি আবেগ ঘন সময়ের মধ্য দিয়ে নাটকটি শেষ হয়ে যায়।

ব্যক্তিগত মতামত

নাটকটির মধ্যে পরিচালক বুঝাতে চেয়েছেন মানুষ যদি তার ভালোবাসা হারায় তাহলে পাগল ও হয়ে যেতে পারে। তখন তারা এতটুকু ভালোবাসার জন্য ছুটে বেড়ায়। আর রনিদের মত ছেলেরা যদি একবার কাউকে ভালোবেসে ফেলে তাহলে সে পাগল হউক আর যাই হউক তা বুঝতে চায় না। আসলে ভালোবাসা এমন একটি মায়া আর টান যা ইচেছ করলেই মন থেকে সরিয়ে দেওয়া যায় না।

ব্যক্তিগত রেটিং

১০/১০

নাটকের লিংক

❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️