লাইফ স্টাইল- প্রিয় কমিউনিটির অর্থে ব্লান্ডার কিনার অনুভুতি || lifestyle by @maksudakawsar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও কিন্তু বেশ ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ্। তবে বেশ ব্যস্ততায় সময় যাচ্ছে আমার। রাত আর দিন কিছুই যেন চোখে দেখি না। তবুও প্রতিদিন চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে কিছু কথা শেয়ার করতে। আর নিজেকে একটু প্রানবন্ত করতে। আর তাই তো সেই লোভে পড়ে আজও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে।
জীবনে বেশ ইচ্ছে ছিল যে অনলাইনে কাজ করবো। আর নিজের যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে কিছু বাড়তি আয় করবো। বহু চেষ্টা করেও যেন পাচ্ছিলাম না এমন একটি বিশ্বস্থ প্লাটফর্ম যেখান থেকে অনায়াসে আয় করা যায় কিছু অর্থ। অবশেষে পেয়ে গেলাম তেমনি একটি প্লাটফর্ম। হ্যাঁ বন্ধুরা আমি আমার বাংলা ব্লগের কথাই বলছি। এই প্লাটফর্মে কাজ করে অনলাইনে ইনকামের প্রতি আরও বেশী আগ্রহ সৃষ্টি হয়ে গেছে। তাই ধন্যবাদ জানাতে চাই প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে। আর ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের সবার প্রিয় ফাউন্ডার @rme দাদা কে। যার হাত ধরে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি আমাদের স্বপ্ন পূরণের এক মহা রাজ্যে।
প্রিয় কমিউনিটির অর্থে ব্লান্ডার কিনার অনুভুতি
প্রিয় কমিউনিটির অর্থে ব্লান্ডার কিনার অনুভুতি
Banner credit --@maksudakawsar
অবশেষে প্রিয় কমিউনিটিতে কাজ করার আয় দিয়ে নিজের ঘর সাজানোর নানা জিনিস কিনে নিলাম। আর এই অনুভূতিটুকু আমার কাছে বেশ আনন্দ আর উদ্দীপনার। আর হবেই না কেন? একমাত্র চাকরি জীবন ছাড়াই তো দেখছি যে কোন ইনকামের জন্য কিছু বিনিয়োগ করতে হয়। কিন্তু একমাত্র আমার বাংলা ব্লগই দেখলাম ব্যতিক্রম। যেখানে কাজ করে ইউজাররা নিজেদের হাতে কিছু অর্থ তুলে নিতে পারে অনায়াসে। এই যেমন আমিও গত কদিন আগে কিছু টাকা তুলে নিয়ে নিজের সংসারের কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিয়েছি।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
গত সপ্তাহে কিছু টাকা তুলেছিলাম। যেহেতু নতুন বাসায় এসেছি তাই কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা দরকার ছিল। আর ভাবলাম নিজের ইনকামের অর্থ গুলো কে ঘরের কোনে স্মৃতি করে রাখি। তাই তো কিছু জিনিস কেনা আর কি। আর সেই সকল কিছু জিনিসের সাথে ছিল আমার প্রয়োজনীয় ব্লান্ডার। যেটা দিয়ে আমার মসলা পেশা হয়ে যাবে। আসলে আমার বাসায় কোন মসলা পেশার ব্লান্ডার না থাকায় মসলা পিসতে আমার বেশ কষ্টই হচ্ছিলো। অবশেষে ব্লান্ডার কিনে সেই কষ্ট দূর করালাম।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
আরে বাপ রে বাপ ব্লান্ডার কিনতে যেয়ে যে কি ঝামেলা পোহাতে হয়েছে আমায়। সব দোকানদার গুলো শুধু নিজেদের লাভের কথা ভাবে। তাতে কাষ্টমারের ক্ষতি হয় হউক যেয়ে। কোন ব্লান্ডার যে কনবো সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। কেউ বলে মিয়াকো ভালো, কেউ বলে ভিভো ভালো, কেউ বলে জাইপেন ভালো। আবার কেউ বা বলে রিকু ভালো। কেউ কেউ তো বিক্রির জন্য ৫বছরের গ্যারান্টি আর ওয়ারিন্টি দিয়ে দেয়। হায় হায়! বিপদেই না পড়েছি। বুঝতেই পারছিলাম না কি করবো।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
এক সময় সিদ্ধান্ত নিলাম যে কয়েকটি দোকানে ঘুরে দেখবো যে সবাই কোনটা কে ভালো বলে। তারপর সিদ্ধান্ত নিবো যে কোনটা কেনা যায়। যেই ভাবনা সেই কাজ। জরিপ শুরু করে দিলাম। বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে যেটা বুঝতে পারলাম যে আমার কেনা ব্লান্ডার টিই বর্তমানে সেরা। আর ব্লান্ডারটি দেখতে ও বেশ। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম যে দশ জনে যেটাকে ভালো বলছে সেটাই নিয়ে নেই। কিন্তু দাম টা যে সমস্যা সৃষ্টি হয়ে গেল। বাপ রে ৫০০০/- টাকার নীচে দিতেই তো চায় না।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
অবশেষে বেশ দামাদামি করে আমাকে ব্লান্ডারটি কিনেই নিতে হলো। কারন এই ব্লান্ডার না হলে আবার মসলা বানাবো কি করে? তাই খুব কষ্টে ব্লান্ডারটির দাম ৪৫০০ টাকা পর্যন্ত আনতে পেরেছিলাম। তারপর ব্লান্ডার কেনার পর দোকানদার মামা বেশ সুন্দর করে ব্লান্ডাটির নিয়ম কানুন আমাদের কে বুঝিয়ে দিলো। আর আমরা আমাদের ব্লান্ডারটি নিয়ে ঢাং ঢাং করে বাসার দিকে চলে আসলাম।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
শেষ কথা
শেষ কথা
এতটুকু জীবনে অনেক টাকাই ইনকাম করা হয়েছে। কিন্তু স্টিমিট প্লাটফর্মের প্রথম ইনকামের টাকা গুলো হয়তো অনেক দিন আমার কাছে স্মৃতি হয়ে রয়ে যাবে। রয়ে যাবে আমার ঘরের প্রতিদিনের কাজের মাঝে আপনাদের সাথে কাটানো হাজারও স্মৃতি।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
অনেক ভালো একটা কাজ করেছেন। আসলে টাকা দিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস না কিনে কষ্ট করে লাভ কি।যাইহোক আপনি অনেক সুন্দর একটি ব্লেন্ডার কিনেছেন। আশাকরি এখন মসলা নিয়ে আপনার আর কোন সমস্যা হবে না। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
জেনে খুব ভালো লাগলো যে আপনি আমার নিজের অর্থ দিয়ে ঘর সাজানোর জিনিস। এই জিনিসগুলো আমাদের অনেক বেশি প্রয়োজন। মেয়েরা তো ঘরের জিনিস কিনতে বেশি পছন্দ করে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপু অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আরে বাহ!! আপু, আপনিতো কামাল করে দিলেন স্টিমের টাকায় ব্লেন্ডার কিনে। এখন আমাদের তাড়াতাড়ি মিষ্টি খাওয়ান। কেননা নতুন জিনিস কিনলে মিষ্টি খাওয়াতে হয় হাহাহা। যাইহোক আপু, আমার হাতের মোবাইলটিও কিন্তু স্টিমের টাকায় কেনা। আর সেই মোবাইল ব্যবহার করে আমি আমার প্রিয় কমিউনিটিতে কাজ করে যাচ্ছি। যাইহোক আপু অনেক ঘুরে ঘুরে পছন্দনীয় ব্লেন্ডার কিনতে পেরেছেন এটাই হচ্ছে বড় কথা। স্টিমের টাকায় ব্লেন্ডার কেনার সুন্দর অনুভূতিটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
যাক শুনে খুশি হলাম যে আপনিও একটি মোবাইল কিনেছেন স্টিমিট এর ইনকাম দিয়ে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু।আপনি স্টিমিট থেকে টাকা ইনকাম করে তা থেকে কিছু টাকা তুলে ব্লান্ডার কিনলেন।এটা খুব ভালো ই করেছেন।প্রতিদিন কাজের মধ্যে ও আপনি এই প্লাটফর্ম কে মনে করবেন। এটা খুব ভালো হলো।ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য।