জেনারেল রাইটিং- স্বার্থবাদী মানুষের ভিড়ে কমে যাচেছ বিশ্বাস, ভালোবাসা আর সম্মান ||written by@maksudakar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি প্রিয় বন্ধুরা সবাই বেশ ভালো আছেন। মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। সৃষ্টির প্রথম থেকেই মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে বেঁচে আছে। তাই মানুষের আছে অনুভূতি এবং অনুশোচনা। মানুষ তার বিবেকের কারনে পাপ পূর্ণ কাজ করে থাকে। যার বিবেক যত প্রখর তার বোঝার শক্তিও তত বেশী। একজন বিবেকবান মানুষ কখনও কোন পাপ কাজে লিপ্ত হতে পারে না। কারন তার ভিতরে সব সময়েই সৃষ্টিকর্তার ভয় কাজ করে।
বন্ধুরা প্রতি সপ্তাহেই চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে একটি হলেও জেনারেল রাইটিং শেয়ার করতে। তাই তো আজও চলে আসলাম আপনাদের জন্য আরও একটি নতুন জেনারেল রাইটিং নিয়ে।তবে আমি চেষ্টা করি আমার জেনারেল রাইটিং গুলোতে আপনাদের জন্য উপকারি কিছু কথা শেয়ার করতে। জানিনা আমার লেখা গুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগে। ভালো বা মন্দ দুটো মন্তব্যই আমি গ্রহণ করতে পিছ পা হবো না। কারন পৃথিবীতে সবাই কিন্তু সব জ্ঞানে জ্ঞানী নয়। শুধু মাত্র ক্ষুদ্র জ্ঞান হতে কিছু কথা তুলে ধরার চেষ্টা করে যাওয়া।
স্বার্থবাদী মানুষের ভিড়ে কমে যাচেছ
বিশ্বাস, ভালোবাসা আর সম্মান
স্বার্থবাদী মানুষের ভিড়ে কমে যাচেছ
বিশ্বাস, ভালোবাসা আর সম্মান
Banner credit --@maksudakawsar
Canva দিয়ে তৈরি
মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। পৃথিবীতে মহান আল্লাহ্ তায়ালার যত সৃষ্টি আছে তার মধ্যে মানুষ হলো সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বা সেরা সৃষ্টি। কারন মহান আল্লাহ্ পাক মানুষ কে সৃষ্টি করার সাথে সাথে তার মধ্যে দিয়ে দিয়েছে বিবেক, বুদ্ধি আর অনুভূতি। যা পৃথিবীর অন্য কোন প্রাণী বা সৃষ্টির মধ্যে দেয়নি। মানুষ কে এত কিছু দেওয়ার কারন হলো মানুষই শ্রেষ্ঠ। কথায় তো বলে সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই। তাহলে ভেবে দেখুন তো মানুষের সম্মান কতটুকু বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর সেই মানুষই পৃথিবীতে বিচরন করে তার শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে। কেউ কেউ সঞ্চয় করে নেয় নাম, যশ, খ্যাতি আর প্রতিপত্তি।
একজন মানুষ মায়ের গর্ভে দশ মাস দশ দিন থেকে এক সময় পৃথিবীর আলো দেখে। পৃথিবীর আলোয় সে দিনে দিনে বড় হয়ে বেড়ে উঠে। বুঝতে শিখে পৃথিবীকে। জানতে শিখে চারদিকের পরিবেশ কে। আর সেই সাথে নিজেকে গড়ে তুলে পৃথিবীর উপযোগি করে। এক সময়ে শিক্ষা দিক্ষায় নিজেকে গড়ে তুলে মানুষ হিসাবে। নিজেকে নিয়োজিত করে কর্মজীবনে। সংসারি হয়। সংসার সাজায়। নতুন নতুন স্বপ্ন দেখে নিজের জন্য আর পরিবারের জন্য। কখনও তার দেখা স্বপ্ন পূরন হয়, আবার কখনও সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। তবুও সে থেমে থাকে না আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখে।
কিন্তু মানুষ ভুলে যায় তার সৃষ্টির রহস্য। নিজের বিবেক কে অসৎ পথের কান্ডারি বানিয়ে অডেল সম্পত্তির মালিক হয়ে পৃথিবীতে গড়ে তুলে নিজের সাম্রাজ্য। মানুষ বোকার মত করে ভাবতে থাকে তার আগামী প্রজন্ম কি নিয়ে থাকবে? তার নিজের ভবিষৎ কি করে কাটবে? আর সামান্য সম্পত্তিতে হবে কিনা? এসব ভাবনা থেকেই মানুষের জীবনের জন্য চাহিদা বেড়ে যেতে থাকে। তার শুধু চাই আর চাই। সমাজে নিজেকে সবার উপরে দেখার জন্য সম্পদ চাই। নিজের স্ট্যাটাস ধরে রাখার জন্য সম্পদ চাই। নিজেকে সবার চেয়ে বড় করে দেখার জন্য সম্পদ চাই। মানুষের সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য সম্পদ চাই। আরও যে কত কি। শুধু চাই আর চাই। চাওয়ার যেন কোন শেষ নেই। নেই কোন সীমা রেখা। আর সেই চাওয়া কে পূরণ করতেই মানুষ যে কখন নিজেকে অমানুষের কাতারে নিয়ে বসিয়ে দেয় সেটা সে নিজেও বুঝতে পারে না। পারে না উপলব্দি করতে। সবার কাছেই সবাই ঠিক।
অথচ ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় যে, আজ অবদি পৃথিবীর কোন একজন ব্যাক্তি তার কামাই করা এত এত সম্পদের কোন একটি কানাকড়ি নিয়ে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে পারেনি। মানুষের মৃত্যু তো অবধারিত। এই স্বাদ গ্রহণ করা থেকে তো কেউ বঞ্চিত হয় না। কেউ কি আজ অবদি আমরত্ব লাভ করতে পেরেছে? না পারেনি। কারন এটাই তো প্রকৃতির নিয়ম। জম্মালে মরিতে হবে। পৃথিবী কারোই আসল ঠিকানা নয়। তাহলে এই যে এত এত প্রতিপত্তি রেখে যাওয়া কেন? কেন এত হাহাকার? কেন মানুষ কে প্রতারিত করা? আর কেনই বা অন্যের হক কেড়ে নিয়ে বড়লোক হওয়া? এই কথা গুলো কি কোনদিন কাউকে স্পর্শ করে না? জাগ্রত করে না মানুষের বিবেক কে। আমার তো মনে হয় করে না। আমরা প্রতিনিয়ত নিজেকে ভালো বলেই দাবী করে যাচিছ। কিন্তু আসলেই কি আমি আদৌ ভালো মানুষের কাতারে পড়ি ? এই কথাটিই মনে হয় আমাদের সবার আগে ভেবে দেখা প্রয়োজন।
আজকাল চারদিকে তাকালেই দেখো যায় যে স্বার্থবাদী মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে। বেড়ে গেছে মুখোশ পড়া মানুষের সংখ্যাও। সবাই এখন নিজের প্রয়োজনে অন্যায়ের সাথে আপোষ করছে। অন্যায় কেই আজকাল ন্যায় বলে প্রতিষ্ঠিত করার প্রবনতা বেড়ে যাচেছ। আজকাল মানুষগুলো অন্যায়ের প্রতিবাদ করে না। কারন পাছে তার নিজের কোন ক্ষতি হয়। বেড়ে যাচ্ছে চারদিকে প্রতারক মানুষের সংখ্যা। অন্যের সরলতা কে কাজে লাগিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে আজকাল সবাই ভালোবাসে। আর তাই তো দিনের পর দিন কমে যাচেছ মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ভালোবাসা আর সম্মান। মানুষ এখন ভয় পায় নিজের অস্থিত্বের। ভয় পায় নিজের জীবনের। আর ভয় পায় মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ভয়ঙ্কর মানুষ গুলো কে। কাকে বিশ্বাস করবে মানুষ? কার কাছে আশ্রয় চাইবে। মুখোশের আড়ালে যে আজ সব স্বার্থবাদী আর প্রতারকের ভিড়। কিন্তু এর শেষ কোথায়?
শেষ কথা
শেষ কথা
চারদিকের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা মানুষগুলোর মুখোশ উম্মোচন হউক। পৃথিবীর মানুষ গুলো খুঁজে পাক একটি বিশ্বাসযোগ্য পৃথিবী এমনটাই কাম্য।
ধন্যবাদ সকলকে
@maksudakawsar
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Tweet
আপনি একেবারে ঠিক বলেছেন৷ মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত এবং মানুষের যে সম্মান তা আর কোন কিছুকেই দেওয়া হয়নি৷ তাই এই মানুষের সম্মান প্রতিনিয়ত যেভাবে বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে এবং সাথে সাথে স্বার্থবাদী মানুষের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে৷ তারা শুধু নিজের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করতে থাকে৷ এই স্বার্থকে রক্ষা করার জন্য তারা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে৷ এই পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে তারা অন্যের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান রয়েছে সেটিও এখন আর করো নেই৷ মানুষ হিসেবে সে এখন প্রানীর থেকেও খারাপ হয়ে গিয়েছে৷ আসলে কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা এত সম্মান পাওয়ার অধিকারী হওয়ার পরেও তারা তাদের নিজের স্বার্থকে রক্ষা করার জন্য একেবারে নিচু পর্যায়ে চলে যায়৷ ধন্যবাদ এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর এবং মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
মানুষের এই জীবন ক্ষণস্থায়ী। প্রত্যেকটা জীবকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আমাদের এই পৃথিবী আমাদের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্র। যার ফলাফল আমাদেরকে মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে দেওয়া হবে। তারপরেও আমরা মানুষরা নিজেদের স্বার্থের পিছনে ছুটি। নিজেদের স্বার্থটা কে বড় করে দেখি। আশেপাশের মানুষদের কথা চিন্তা করার প্রয়োজনও মনে করি না। দেখতে মানুষ হলেও আমাদের মধ্যে আসলে মনুষত্ববোধ নেই। আপনার আজকের লেখাগুলো পড়ে ভালো লাগলো আপু। খুব দারুণ কিছু কথা লিখেছেন আজ।
এত সুন্দর মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপু দারুন তো বেশ দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আসলে এখন চারদিকে এখন মুখোশধারী এবং অসৎ লোকের সংখ্যা বেড়ে গেছে । কে যে আপন আর কে যে পর সেটাই বুঝতে পারি না। দিনে দিনে যেন অবস্থা আরও বেশী খারাপের দিকে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ এত সুন্দর করে উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
দারুন লিখেছেন আপু। লেখাগুলো বাস্তবের ই প্রতিচ্ছবি। আমাদের সমাজে এখন অন্যায়কে ই প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে। এই পৃথিবীতে অন্যায় করে পার পাওয়া গেলেও ওপারে কিন্তু শাস্তি ভোগ করতে হবে এটা কিন্তু আমরা সবাই জানি। তারপরেও আমাদের কিন্তু চৈতন্য বোধের অভাব দেখা যায়। মনুষ্যত্ব যেখানে নেই সেখানে মানবতাবোধ আশা করা বৃথা।ধন্যবাদ আপু চমৎকার ভাবে বিষয়টিকে ফুটিয়ে তোলার জন্য।
বেশ দারুন ছিল কথাটি। সব মিলিয়ে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলেই আপু আমাদের চারপাশে প্রতারক এবং ভন্ড শ্রেণীর মানুষদের আনাগোনা অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ হচ্ছে মুখোশধারী শয়তান। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য যেকোনো কিছু করতে পারে। তারা মৃত্যুর কথা স্মরণও করে না। কারণ তারা ভাবে এই পৃথিবীতে তারা স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবে। তারা যদি ভাবতো পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে, তাহলে কখনোই এমনটা করতে পারতো না। দিনদিন বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং সম্মান এই শব্দগুলো আমাদের সমাজ থেকে উঠে যাচ্ছে। যাইহোক দারুণ লিখেছেন আপু। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য।