জেনারেল পোস্ট- ঈদুল আযহা এবং কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
ঈদ মোবারক। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলকে জানাই পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা। আমি @maksudakawsar। পবিত্র ঈদের আনন্দ ঘন এই দিনে শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনাদের কথা কিন্তু একদমই ভুলিনি। আর আপনাদের কথা কি ভুলা যায়? আপনারা যে মিশে আছেন আমার হৃদয়ের গহিনে।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
ত্যাগের মহিমায় সমগ্র মুসলিম জাতি এই দিনটি পালন করে । সেই ছেলেবেলা হতেই ঈদুল আযহা আসলে একটু অন্য রকমের আনন্দ উপভোগ করি। কারন এই ঈদে মুসলমান জাতি পশু কোরবানীর করার মধ্য দিয়ে তাদের ঈদ আয়োজন পালন করে থাকে। ছোট বেলায় যখন আগে বাবা কোরবানীর পশু আনতে হাটে যেত তখন অপেক্ষায় থাকতাম যে কখন আসবে। আর কত বড় পশুই বা আনবে। আর পশু আনার পর শুরু হয়ে যেত প্রতিযোগিতা। যে করেই হোক প্রমান করতে হবে যে আমাদের পশু বসচেয়ে দামী। আর আমাদের পশু সবচেয়ে দেখতে বড়। আসলে তখন তো ছোট তেমন বুঝতাম না। তাই এমন টা করতাম।
তো একবার হয়েছে কি আমার বড় ভাই গেছে হাটেঁ কোরবানীর পশু আনার জন্য। তবে আমার বড় ভাই সব সময় ইদের আগের দিন পশু কিনতে পছন্দ করতেন। তাই সে ঈদের আগের দিনই গেল। পশু কেনার জন্য। কোরবানীর পশু আসবে, তাই বাসায় মসলা বাটার হিরিক পড়ে গেছে। প্রয়োজনীয় সকল মসলা পিশা শেষ। রাত শেষ হয়ে ভোর হয়ে এলো কিন্তু পশু নিয়ে আর বড় ভাইয়ের আসার নাম নেই। এদিকে ঈদের জামাতও শেষ। বেশ চিন্তার বিষয়। তারপর অনেক খোঁজাখুজি করে বড় ভাই কে পাওয়া গেল। জানা গেল শেষ দিন তো তাই সে কোন পশুই কিনতে পারেন নি। আর এ জন্যই সে ভয়ে আর বাসায় আসে নি। সেই থেকে আর কখনও ঈদের আগের দিন পশু কিনতে যাওয়া হয় না।
আমার কিন্তু প্রতি ঈদে বাচ্চাদের মত আনন্দ হয়। আর এবার ঈদেও তেমনি হয়েছে। তবে এবার কিন্তু আমার সাথে একটি হাস্যকর ঘটনাও ঘটেছে। এবার পশু কিনতে আমার ভাইয়ের সাথে আমার সাহেবও যায়। তো সারারাত হাটে থেকে ভোরের দিকে আমায় ফোন করে বলে বেশ সুন্দর মনের মত একটি পশু তারা কিনেছে। তো আমি তো বেশ খুশি হলাম। ভাবলাম সকালে যেয়ে একবার দেখে আসবো। তো সকালে চলে গেলাম আমার হাসবেন্ড কে সাথে নিয়ে কোরবানীর পশু দেখতে। তো সেখানে যেয়ে তো মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল। খারাপ হয়ে গেল কারন ফোনের কথার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। কিন্তু এগুলো আবার ভাবা যাবে না। তাই মনটা কে বুঝিয়ে একটু সেখানে বসলাম এবং আমাদের সেই পশুটিকে বিভিন্ন খাবার খেতে দিলাম। এমন কি নিজের ব্যাগ হতে টাকা বের করে পশুটার জন্য খের ও আনিয়ে খাওয়ালাম।যেহেতু আমাদের এটা ফ্লাট বাড়ী, তাই নিচের গ্যারেজ গুলোতে থাকে।
তো আমি আমার হাজবেন্ড এবং আমার বোন সেখানে বসে বসে আমাদের পশুর দিকে তাকিয়ে আছি আর গল্প করছি। হঠাৎ একজন ভদ্রলোক এসে আমাদের পশুটি খুলে নিয়ে যাচ্ছে। তো আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আমাদের পশুটি আপনি কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? কিন্তু জবাবে লোকটি যা বলল তা শুনে তো আমার চোখ কপালে উঠে গেছে। ভদ্রলোক বলছে এটা নাকি তাদের পশু। তারা ৭০৫০০ টাকা দিয়ে কিনিছে । এসব কথা শুনে একদিকে যেমন রাগ হচ্ছিল আমার হাজবেন্ডের প্রতি তেমনি আবার হাসিও পাচিছলো। এতক্ষন তাহলে আমাদের পশু মনে করে অন্যের পশুর সামনে বসে রইলাম। আর নিজের টাকা দিয়ে খের কিনি খাওয়ালাম। তানাহলে হলো কিছুটা ছোয়াব কামালাম।
তারপর আমাদের পশুটি খুজেঁ দেখেতো মনটা ভোরেই গেল। যা শুনেছিলাম ফোনে তার চেয়েও বেশী কিছু। আসলে সব কিছুই উপর ওয়ালার ইচেছ। তিনি যা চাইবেন তাই হবে। ভাগ্যের লিখন কিন্তু কেউ আর খন্ডাতে পারে না।কিন্তু বিষয় হলো যে লোকটি নিজে থেকে পশুটি কিনলো সে কি করে এত তাড়াতাড়ি তাকে ভুলে গেল?
কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগটি ? অপেক্ষায় রইলাম আপনাদের অনূভূতি গুলো জানার।
❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপু আপনাকে ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই ঈদ মোবারক। ঈদ মানে আনন্দ আর এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সকলের মাঝে। ত্যাগের মহিমা উদ্ভাসিত হয়ে সকলের ঈদ কাটুক নিরাপদ আনন্দে এই প্রত্যাশা করি আপু। ঈদের দিনে মুহূর্তগুলো খুব চমৎকার আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
এমন ঘটনা অনেকের হয়ে থাকে ভাইজান দেখা যাচ্ছে যে এমন একটা মুহূর্তে আর কোরবানির পশু কেনা হয়ে ওঠে না বাজার ফাঁকা হয়ে যায়। তবে ভালো লাগলো সমস্ত ঘটনা গুলো পড়তে পেরে।
আসলে আমাদের মুসলিমদের জন্য দুইটি ঈদ অনেক বেশি আনন্দের। এই দুই ঈদে সবাই মিলে অনেক আনন্দ করা হয়। আর ঈদ মানে হচ্ছে আনন্দ আর খুশি। ঈদুল আযহা তে যদিও অনেক ব্যস্ত থাকা হয় তবুও ব্যস্ততা শেষে বেশ মজা হয়। আপনারা তো দেখছি অন্যের পশুর সামনে বসে বসে গল্প করছিলেন নিজেদের পশু ভেবে। আবার খাবারও খাইয়েছিলেন। যাইহোক এই বিষয়টা পড়ে কিন্তু অনেক হাসি পেয়েছিল আমার।