লাইফ স্টাইল- কাজের অবসরে হালিম খাওয়ার অনুভূতি||lifestyle by @maksudakawsar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? বেশ ভালো আছেন তাই তো? আর আমি অনেক অনেক ব্যস্ত সময় পার করছি। এই তো আগামীকালই উঠে যাবো নতুন বাসায়। তাই তো গোছগাছ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে আমাকে। আর শত ব্যস্ততার মাঝেও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে আমার আজকের পোস্ট নিয়ে। আসলে আমার বাংলা ব্লগ পরিবার হলো আমার নিজের পরিবার । আর এই জন্যই সব সময় চেষ্টা করি নিজের সুখ আর দুঃখ গুলো কে আমার প্রিয় বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে। আজ তেমনি একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
কাজের অবসরে হালিম খাওয়ার অনুভূতি
কাজের অবসরে হালিম খাওয়ার অনুভূতি
Banner credit --@maksudakawsar
গত দুই দিন আগে গিয়েছিলাম রূপগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে একটি জরুরী কাজে। তো যে কাজে গিয়েছিলাম সেই কাজ শেষ করে যখন ঢাকার উদ্দেশ্যে আসছিলাম তখন বাজে সন্ধ্যা ছয়টা। কিন্তু হঠাৎ পথের মাঝে ঘটে গেল একটি ঘটনা। আমি এবং আমার হাজবেন্ড ছিলাম। তো পথের মাঝে আমাদের দুজনের মাঝে তর্ক হলো একজন লোক কে নিয়ে। মানে উনি একজন লোককে দেখে পিছন থেকে ভাবছে আমাদের পরিচিত কেউ। কিন্তু আমি বললাম না। আর এ নিয়ে মহা তর্ক। তো আমি বললাম যে উনি যদি আমাদের পরিচিত সেই মানুষ হয় তাহলে আমি তোমাকে আজকে কাচ্চি খাওয়াবো। আর না হলে তুমি আমাকে খাওয়াবা।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
তো আমরা দুজনে রাজি হয়ে গেলাম। তারপর আমরা সেই ভদ্র লোককে একটু অনুসরণ করতে লাগলাম। তবে সেই ভদ্র লোক কিন্তু ঠিকই দেখতে ছিলেন আমাদের কে। যেতে যেতে যখন মেইন রাস্তার চলে আসলাম, হঠাৎ ভদ্রলোক আমাদের কে দেখে ফেললেন। আমি তো ভাবলাম আমাদের কে দেখে রাগ করবে। ওমা কই রাগ তো দূরের কথা ভদ্র লোক কিছুই বললেন না। শুধু আমদের পরিচয় জানতে চাইলেন। তখন আমার হাজবেন্ড তাকে বলল যে তাকে আমাদের পরিচিত একজন মানুষের মত লাগে। তখন আর ভদ্রলোক আমাদের কে কিছুই বললেন না। আর আমি ফাঁকে পেয়ে গেলাম আমার ট্রিট খাওয়ার উপায়।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
না না আমি কিন্তুু কোন কাচ্চি বিরিয়ানী খাবো না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম হালিম আর গরম গরম পুরি খাবো। আর তাই করলাম। ঢুকে গেলাম পাশের একটি ভালো হালিম এর হোটলে। নেখানে যেয়ে গরম গরম পুরির সাথে হালিম অর্ডার করে দিলাম। তারপর আমরা অপেক্ষা করতে লাগলাম। বেশ কিছুটা সময় লাগলো হালিম আর পুরি দিতে। যদিও প্রথমে পুরি দিয়েছিল গরম গরম। আর সেদিন ক্ষধার্ত পেটে গরম গরম পুরি খেতে অনেক ভালো লাগছিল। আর সাথে যদি থাকে মাখানো মজাদার সালাদ তাহলে তো কথাই নেই।।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
কিছুক্ষনের মধ্যে চলে আসলো সেই বিখ্যাত মজাদার হালিম। বাপ রে বাপ যেমন গরম গরম হালিম, তেমনি তো তার স্বাদ। আমি কিন্তু গরম গরম পুরি দিয়ে হালিম খেলাম কয়েকটি। কি যে স্বাদের ছিল হালিম আর পুরি। তার সাথে আবার মজা করে খেলাম মজাদার সালাদ। সব মিলিয়ে এত সুন্দর এবং স্বাদে ভরা ছিল সেদিন এর সেই হালিম। আর তার সাথে ছিল ওয়েটার মামার দারুন আপ্যায়ন। আমরা কিছুটা সময় হালিম খেয়ে সেখানে অপেক্ষা করলাম।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
এদিকে হালিম খেতে খেতে শুনছিলাম যে পাশের দোকানে বেশ স্বাদে ভরা মালাই চা বানানো হয়। আমরা ভাবলাম যে আবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে এমন মজাদার মালাই চা খাবো কেন? তাই ওয়াটার মামা কে কিছু টিপস্ দিয়ে আমরা মজাদার মালাই চা এর অর্ডার করলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের হাতে চলে এলো সেই বিখ্যাত মালাই এর চা। ইস্ গ্রামের হোটেলে যে এমন সুন্দর মালাই চা বিক্রি করে সেটা কিন্তু জানা ছিল না। আর এমন মজাদার মালাই এর চা খেতে কার না ভালো লাগে বলেন তো? তারপর এলো বিল দেওয়ার পালা। আচ্ছা বলেন তো বাজিতে কে জিতলো? তাহলে কে পাবে ট্রিট। আমি তো জিতলাম তাই না। আর সব শেষে আমিই নাকি ট্রিট দেবো। কিন্তু আমিও কম কিসে। ট্রিট আদায় করেই তারপর ছেড়েছি।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
শেষ কথা
শেষ কথা
মাঝে মাঝে এমন ট্রিট পেলে কিন্তু মন্দ হয় না। তবে সেদিন কিন্তু বেশ স্বাদে ভরা মজাদার হালিমই ছিল গ্রামের সেই হোটেলে। আর তাই তো ভাবলাম এত মজাদার হালিম নিয়ে কিছু না লেখলে হালিম কে অপমান করা হবে।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপু আপনার বাসার প্রবলেমটা আরো আগেই আমি শুনেছিলাম । এখন লাইনের গ্যাসের নতুন বাসা পেয়েছেন শুনে খুশি হলাম। আসলে সব সময় সবদিক দিয়ে সবকিছু পাওয়া যায় না। তাই দুই এক দিক দিয়ে ছাড় দিতে হয়। হালিম টা দারুন ছিল। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বেশ সুন্দর একটি সময় কাটালেন যেহেতু পরিচিত মানুষ কি না সেটা নিয়ে বাজি ধরলে। শেষমেষ ভাই হেরে গেল। কাচ্চি বিরিয়য় খাওয়ার জন্য আপনাকে। শেষমেষ হালিম খেলেন ভাল লাগলো।
কি করবো টাকা নেই বলল, তাই ছাড় দিলাম। যাক আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মাঝেমধ্যে বাইরে এমন খাওয়া দাওয়া করতে আমারও ভালো লাগে, তাই আমরা দুই বন্ধু বামুন্দিবাজারে উপস্থিত হলে এই জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করে থাকি। সুন্দর একটি অনুভূতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। হালিম কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য উপকার।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে মাঝে মাঝে পিছন থেকে কাউকে দেখলে পরিচিত মনে হয়।ভাইয়াও সেরকম আপনার পরিচিত কাউকে ভেবেছিলো।তবে বাজি ধরে ছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।গরম গরম হালিম ক্ষুধার্ত পেটে অমৃত লেগেছিলো নিশ্চিই।মালাই চায়ের ফটোগ্রাফি দেখে তো লোভে পড়ে গেলাম।ঠিক বলেছেন মাঝে মাঝে ট্রিট পেলে মন্দ লাগে না।ধন্যবাদ সুন্দর একটি ভাইয়ার সাথে দুষ্ট মিষ্টি অনুভূতির পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমরা মাঝে মাঝে এমন করি। যে জিতে সে খাওয়ায়। তবে আমি একটি বেশীই ট্রিট পাই। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনারা দুজনে মিলে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। আসলে বাজি ধরে জিতলে বেশ ভালোই লাগে। আর মাঝে মাঝে এমন ট্রিট হলে কার ভালো না লাগে বলুন। যাই হোক দুজনে বেশ ভালো করে খাওয়া দাওয়া করেছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার
জন্য ।
আপু আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
তাহলে এরকম তর্ক বিতর্ক হলে তো অনেক ভালো হয়। আপনি এবং আপনার হাসবেন্ড তর্ক বিতর্ক লেগে আপনি ভালই টিপস পেলেন। যদিও যে লোককে নিয়ে আপনারা বাজি ধরেছেন সে আপনাদের পরিচিত না। তবে হালিম খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর মালাই চা কথা শুনে আমার জিভে জল এসে গেল। মালাই চা আমার অনেক প্রিয়। যাহোক খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
গাড়ির মধ্যে দুজন তর্ক বিতর্ক করে ভাজি ধরে আপনারে লাভ হয়েছে। ভাবতেছি কোথাও যাওয়ার সময় এরকম আমার হাজবেন্ডের সাথে তর্ক বিতর্ক করে ভাজি ধরবো। তবে লোকটি ভালো ছিল এই কারণে সে স্বাভাবিকভাবে আপনাদের সাথে কথা বলেছে। যদি মাইন্ড করত তাহলে আপনাদের কাছেও খারাপ লাগতো। হালিম খেতে সবাই অনেক পছন্দ করে। হালিম খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর মালাই চা খাওয়ার মজাই আলাদা। দেখতেছি পছন্দের খাবারগুলো খুব মজা করে খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হুম আপু বাজি ধরে তর্ক করে আমার লাভই হয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থেকে উৎসাহিত করার জন্য।