নাটক রিভিউ- যে প্রেম এসেছিল||Drama Review|
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
শুভ বিকেল ভালোবাসার আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবার। সবার সুসাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ। বিনোদন হলো আমাদের জীবনের একমাত্র চালিকা শক্তি। আর চালিকা শক্তিই বা হবে না কেন? চারদিকের যে অবস্থা তাতে তো দম ফেটে মরে যাওয়ার উপায় হয়েছে। আর এই দম ফাটা অবস্থা হতে মক্তি হতে চাই কিছুটা স্বস্থি। আর তাই তো মাঝে মাঝে এতটুকু স্বস্থি পেতে আমাদের প্রয়োজন কিছুটা বিনোদন। তাই তো আজও আমি চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরও একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে। আশা করি আমার আজকের নাটকের রিভিউ পড়ে আপনাদেরও নাটকটি দেখার ইচ্ছে জাগবে।
নাম | যে প্রেম এসেছিল |
---|---|
পরিচালক | রাফাত রহমান রিংকু |
রচনা | সোহেল রহমান |
অভিনয় | ইয়াশ রোহান, তানজিম সাইয়ারা তটীনি, সাবেরী আলম এবং আরও অনেকে |
দৈর্ঘ্য | ৪২ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ২৮ই সেপ্টেম্বর/২০২৩ |
ধরন | নাটক |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
প্রচার | ইউটিউব |
★ ইয়াশ রোহান-রাশেদ
★তানজিম সাইয়ারা তটীনি- তিথি
নাটকের মূল চরিত্র হলো তিথি এবং রাশেদ। রাশেদ একজন ডাক্তার। আর তিথি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। একদিন তিথির মা তিথিকে অফিসে ফোন করে বাসায় আসতে বলে। তিথির মা বলে তিনি অসুস্থ। যদিও বসের তারায় তিথি বাসায় আসতে রাজি হয়, তবু সে আগে বাসায় না যেয়ে আস্তায় দাড়িঁয়ে আইক্রিম খায়। কারন তিথি জানে যে তার মা মিথ্যা বলে তাকে বাসায় যেতে বলেছে। এটা হলো তার মায়ের অভ্যাস। বাসায় যেয়ে দেখবে যে হয় তার মা কোন কিছু রান্না করেছে সেটা রিভিউ দিতে বলবে। আর না হয় নতুন কোন শাড়ি কিনেছে সেটার রিভিউ দিতে বলবে। কিন্তু আজ কিন্তু তার ব্যতীক্রম হলো। তিথি বাসায় যেয়ে দেখে সবাই নতুন কাপড় পড়ে তৈরি হয়ে আছে। তিথির মা তিথিকে একটি বিয়ে শাড়ী ধরিয়ে বলে যে তৈরি হয়ে নে আজ তোর বিয়ে। তিথি কিছুতেই তার মায়ের উপর কথা বলতে পারে না।তাই স্বাভাবিক ভাবেই সে তৈরি হয়। কিন্তু তৈরি হয়ে তিথি আর বাসায় থাকে না। বিয়ের শাড়ী পড়ে বাহিরে চলে যায়। তিথি রিক্সায় করে যেয়ে একটি টং দোকানে বসে চা খায়।
তিথি রাতে তার রুমে ঢুকে টিবিলের উপর হতে ছেলেটির ছবি হাতে নিয়ে দেখে টং এর দোকানে যার সাথে দেখা হয়েছিল সেই ছেলেটিই এই ছেলে। কিন্তু তিথি বুঝতে পারে না ছেলেটি কেন তাকে মিথ্যে পরিচয় দিলো। পরদিন তিথি রাশেদের চেম্বারে যেয়ে রাশেদ কে বলে কেন সে তার সাথে মিথ্যা বলে কেন। রাশেদ তাকে বলে আপনার সাথে কথা বলার জন্য। তখন রাশেদের কাছে তিথি সরি বলে। রাশেদ তিথির সাথে অনেক ফান করে এবং এ ও বলে যে তিনবার বিয়ে থেকে পালানোর গল্প মিথ্যে। রাতে রাশেদ কল্পনা করে যে রাশেদ যখন তিথিকে বিয়ে করতে যাচিছল তখন তিথিকে সে রিক্সায় করে পালিয়ে যেতে দেখে। অবশ্য তিথির ছবি সে আগেই দেখিছিল। তখন রাশেদ টং এর দোকানে যেয়ে তিথির সাথে কথা বলে। তবে রাশেদের মা তাকে শান্তনা দিয়ে বলে যে যাতে কষ্ট না পায়।
এদিকে রাশেদ একদিন তিথির অফিসে যেয়ে তিথিকে আধঘন্টার ছুটি নিতে বলে এবং তিথি কে নিয়ে একটি রেস্টৃরেন্টে যায়। তখন রাশেদ তিথি কে তিথি কে বিয়ে করতে যাওয়ার কথা খুলে বলে। তখন কায়েদা করে তিথির বিয়ে করার ইচেছ আছে কিনা তা কৌশলে যেনে নেয় এবং তিথির পছন্দও যেনে নেয়। আর নিজেকে ছেলে হিসাবে কেমন লাগলো তা জানতে চায়। আর এদিকে রাশেদ তো তিথির প্রেমে পড়ে যায়।ঐদিকে তিথির মা তিথির জন্য ছেলে দেখে এবং রেস্টুরেন্টে কথা বলতে বলে। এদিকে রাশেদ ঠিক সময়ে খায় না দায় না, ঘুম নেই। পরদিন রেস্টু রেন্টে পাত্রের সাথে দেখা করতে গেলে তিথির পাত্র পছন্দ হয় না। কারন পাত্র এত বড় বড় কথা বলে যে তিথি শুনে তো পাগল হয়ে যায়।
এদিকে তিথি একদিন বৃষ্টির মধ্যে রাস্তা দিয়ে যাচিছল তখন রাশেদ কে দেখতে পায় রাশেদ একজন গরীব মহিলা কে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে। তখন তিথি রাশেদ কে তার রিক্সায় তুলে নেয়। এর পর থেকে রাশেদ আর তিথির মধ্যে বেশ ভালো একটা রিলেশন ঘরে উঠে। দুজনে দিনের পর দিন ফোনে কথা বলে, ঘুরতে যায়। আর এভাবেই তাদের সময় কেটে যাচিছল। এদিকে রাশেদের মা রাশেদের জন্য মেয়ে ঠিক করে। একদিন একটি মেয়ে রাশেদের বাসায় আসে রাশেদ কে দেখতে। তখন রাশেদ তাকে উল্টাপাল্টা কথা বলে বিদায় করে দেয়। রাশেদ বলে সে একটি বিয়ে করেছে এবং সেই বউ কে সে মাডার করে মেরে ফেলে। এই কথা শুনে মেয়েটি পালিয়ে যায়। আর রাশেদ এবং তিথির দিনে বেশ ভালো ভাবে কেটে যায়। দুজনে ঘুরা ফেরা আর মোজ মাস্তি তে থাকে।
এক সময়ে রাশেদ তিথি কে বলে যে তিথি আপনার ছবি দেখে আপনাকে আমার বেশ ভালো লাগে প্রথমেই। তখন আমাদের কোন পরিচিতি ছিল না। তাই তখন আপনি বিয়ের আসর হতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তো আমার সমন্ধে আপনি সব জানেন। আর এখন আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই। তখন তিথি তার সম্মতি দেয়। আর তখন তাদের বিয়ে ঠিক হয়। আর কাজী যখন বিয়ে পড়াতে যায় তখন আর পাত্র কে খুঁজে পাওয়া যায় না। মানে পাত্র পালিয়ে যায়। এদিকে তিথি বার বার রাশেদের মোবাইলে ফোন করে ও রাশেদ কে পায় না। ঐদিকে রাশেদ টং এর দোকানে বসে খুশি মনে চা খায়। রাতে রাশেদ তিথির কাছে ফিরে আসে। বাড়ীর ছাদে তিথি অনেক কান্না করে। তখন রাশেদ তার সমস্ত কষ্ট ভালোবাসা আর ভালো লাগার কথা তিথি কে বলে। রাশেদ তিথিকে বলে যে ঠিক এই কষ্টটাই আমি সেদিন পেয়েছিলাম। যেদিন আপনি পালিয়ে গিয়েছিলেন। তখন দুজনের ভালোবাসার মধ্য দিয়ে দুজন সিদ্ধান্ত নেয় কাজী অফিসে বিয়ে করবে। আর এর মধ্য দিয়েই নাটকটি শেষ হয়ে যায়।
নাটকটির মধ্য দিয়ে পরিচালক দুজন মানুষের ভালো লাগা আর ভালোবাসা কে খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। আসলে কারো প্রতি ভালো লাগা বা ভালোবাসা না থাকলে তার সাথে সংসার করা যায় না। আর এখানে দুটি মানুষের মনের মিল আর ভালোলাগা আর ভালোবাসা থেকেই দুজন বেশ কাছে আসতে পেরেছে। বহু চেষ্টা করেও তাদের বিচেছদ ঘটানো যায়নি। আমার কাছে নাটকটি এক কথায় অসাধারন লেগেছে।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে নতুন ভাবে আপনাদের কাছে। কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগটি ? আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের আশায় রইলাম। সবাই ভালো থাকবেন ।
সত্যি আপু ভালোবাসা না থাকলে কখনো সংসার করা যায় না। এই নাটকটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। আমিও কিছুদিন আগে দেখেছি। অনেক সুন্দর করে রিভিউ শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি খুব সুন্দর নাটক রিভিউ দিয়েছেন। আপনার রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। এখনও এই নাটক দেখা হয়নি তবে সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। বর্তমানের নাটক দেখতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
আরে তাড়াতাড়ি দেখে নেন। তা না হলে মিস হয়ে যাবে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি চমৎকার একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। কিছু দিন হলো এই নাটকটি দেখলাম। খুবই সুন্দর একটা নাটক। লাস্ট পর্যায়ে যখন ইয়াশ রোহান বিয়ে না করে পালায় যায় তখন আমি খুবই এক্সাইটেড।পরে তাদের মিল হয়ে এটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক আপনি চমৎকার ভাবে নাটকটির রিভিউ উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে ও অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খুব সুন্দর একটা রোমান্টিক নাটক আপনি রিভিউ করেছেন আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে, যদিও এই নাটকটা আমার দেখা হয়ে ওঠেনি দেখার চেষ্টা করব। আপনার উপস্থাপন খুবি সুন্দর ছিল।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
আসলে প্রত্যেকটা কাজের ফাঁকে ফাঁকে কিন্তু আমাদের সবারই বিনোদন নেওয়া উচিত। বিনোদন নিলে মনটা একেবারে ফ্রেশ থাকে এবং ভালো থাকে। আপনি যে প্রেম এসেছিল নাটকটার রিভিউ অনেক সুন্দর ভাবে করেছেন। আপনার এই নাটকের রিভিউ পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপু এই নাটকের শেষের দুইটা ফটো আপলোড হয়নি মনে হয়। এগুলো দেখবেন আশা করছি।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।