রেসিপি পোস্ট- বয়লার মুরগির ঝাল ঝাল রেসিপি || Prepare tasty recipe by @maksudakwasar||
বন্ধুরা কেমন আছেন আপনারা? আশা করি সবাই বেশ ভালো আছেন। আমি কিন্তু ভালো মন্দ মিলিয়েই আছি। কেন জানি মনে হয় জীবনটা যদি মিক্সাচার না হয় তাহলে জীবনে শান্তি পাওয়া যায় না। পাওয়া যায় না প্রশান্তি। কারন জীবনের জন্য কেন জানি টক ঝাল আর মিষ্টি সব কিছুরই প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয়। আর আমার কাছে কিন্তু এমন মিক্সার থাকতেই বেশ ভালো লাগে।
আমি @maksudakawsar, বাংলাদেশ হতে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন নিয়মিত ইউজার। প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে উপস্থিত হই নতুন কিছু শেয়ার করার জন্য। যদিও ইদানিং ব্যস্ততা এতটাই বেড়ে গেছে যে সময়ের সাথে যুদ্ধ করতে করতে দিনের আলো আর রাতের আধাঁর কোন কিছুই চোখে পড়ে না। তবুও হাজারও ব্যস্ততাকে দূরে ঠেলে দিয়ে চলে আসি বার বার আপনাদের মাঝে নিজের কিছু ভালো লাগা আর মন্দ লাগা শেয়ার করতে। আজও আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে।
আজ আসলাম আপনাদের মাঝে আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।আর আজ চেষ্টা করছি আপনাদের মাঝে একটি রেসিপি পোস্ট করার জন্য। সত্যি বলতে যতই পোস্ট করি না কেন। রেসিপি পোস্ট না করলে কেন জানি শূণ্য শূণ্য লাগে। মনে হয় এ সপ্তাহের পোস্ট মনে হয় পরিপূর্ণ হয়নি। তো যাই হোক। কিছুদিন যাবৎ কি যেন খেতে মনে চায়। মনে হয় কেউ যদি আমায় রান্না করে খাওয়াতো তাহলে আমি একটু রিলাক্স মুডে ঘুমাতাম। কিন্তু ভাগ্য বলে কথা। পৃথিবীতে নিজেই নিজের আপন। তাই তো গতকাল নিজের হাতে নিজের মন থেকে কল্পনা করে একটি রেসিপি তৈরি করলাম। আর চেষ্টা করলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগবে।
প্রথমে রেসিপিটি তৈরির জন্য আলু, মুরগী কেটে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর রেসিপিটির জন্য সব রকমের মসলা প্রস্তুুত করে নিতে হবে।
এবার চুলায় পাত্র দিয়ে তেল গরম করে নিয়ে ধুয়ে রাখা মুরগির মাংস এবং একটু হলুদ ও লবন দিয়ে ভেজে নিতে হবে।
এবার ভেজে নেওয়া মুরগির মাংসগুলো আলাদা একটি পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
এবার একই ভাবে ধুয়ে রাখা আলুগুলো ধুয়ে ভেজে নিতে হবে।
এবার পাত্রে রাখা তেলের মধে ভালো করে পেঁয়াজ ভেজে নিয়ে তাতে হলুদ মরিচ গুড়া, গরম মসলা, শুকনা মরিচ এবং লবন দিয়ে ভালো করে মসলা কষিয়ে নিতে হবে।
এবার কষানো সেই মসলার মধ্যে সামান্য পানি দিয়ে মসলাগুলো ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।
এবার কষানো সেই মসলার মধ্যে ভেজে রাখা মুরগি এবং আলু দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিয়ে আরও ভালো করে কষানোর জন্য ঢেকে দিতে হবে। এমন করে কিছুক্ষণ পর পর নেড়ে দিতে হবে।
বেশ কিছুক্ষণপর তরকারি ভালো করে কষানো হলে তাতে সামান্য পানি এবং আর কিছু পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নেড়ে দিতে হবে।
তরকারিতে যখন একটি কালার চলে আসবে এবং তরকারিটি হয়ে আসবে তখন তার উপর সামান্য পরিমান জিরা গুড়া দিয়ে নেড়ে দিতে হবে এবং কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
কিছু সময় পর দেখা যাবে যে তরকারিটি হয়ে গেছে এবং তরকারিতে একটি কালার দেখা যাচেছ। তখনই বুঝতে হবে আমাদের আজকের রেসিপিটি হয়ে গেছে।
এবার যখন দেখা যাবে তরকারিটি হয়ে গেছে তখন পরিবেশনের জন্য আলাদা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
❤️পরিবেশন❤️
❤️পরিবেশন❤️
এবার এই ঝাল ঝাল রেসিপিটি আলাদা একটি পাত্রে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
❤️খাবার টেষ্ট❤️
❤️খাবার টেষ্ট❤️
রেসিপিটি কিন্তু খেতে বেশ স্বাদে ভরপুর ছিল। এমন একটি রেসিপি দিয়ে গরম গরম ভাত খেতে কিন্তু ভালো লাগে। চাইলে রেসিপিটি করে দেখতে পারেন।
শেষ কথা
শেষ কথা
যাই হোক রেসিপিটি কেমন হলো সেটা কিন্তু আপনারা জানাতে ভুল করবেন না। অপেক্ষায় রইলাম আপনাদের মতামতের। আশা করি মন্তব্য করে আমাকে ধন্য করবেন।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
বয়লার মুরগির ঝাল ঝাল রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই ধরনের রেসিপিটা যদি একটু বেশি পরিমাণে মরিচ দেওয়া যায় তাহলে সেটা খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার তৈরি করার রেসিপি দেখেই যেন খেতে ইচ্ছা করছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সু্ন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে আলু দিয়ে বয়লার মুরগির ঝাল ঝাল রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। এমনিতেই বয়লার মুরগির মাংস খেতে আমি বেশ পছন্দ করি। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
আপু আপনি দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করছেন। বয়লার মুরগী খেতে আমার কাছে বেশ ভালোই লাগে। তবে এমন ভাবে ঝাল ঝাল করে রান্না করলে খেতে আরো বেশি মজা লাগে। আপনার রান্নার কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে রান্না টি অনেক সুস্বাদু হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এমন সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এটা সত্যি বলেছেন আপু এই পৃথিবীতে আপন বলতে নিজেই নিজের আপন। আপনি বয়লার দিয়ে ঝাল ঝাল রেসিপি তৈরি করেছেন দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। বয়লারের রেসিপি গুলো একটু ঝাল না হলে টেস্ট লাগেনা। আপনি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অসাধারণ একটি রেসিপি আপনি আমাদের সকলের মাঝখানে শেয়ার করেছেন আপু। এই মাংসের ঝাল আমি ভীষণ ভালোবাসি। ছুটির দিনে ঘরে এই পদ না হলে একেবারেই ভালো লাগেনা। আপনার ছবি সমেত উপস্থাপনা ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার পদ্ধতিতে একদিন মাংসের ঝাল রান্না করে খেয়ে দেখব।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
টক ঝাল মিষ্টি সবকিছুর প্রয়োজন আছে জীবনে। সব কিছুই গুরুত্বপূর্ণ। মুরগির মাংস ঝাল ঝাল করে রান্না করলে খেতে দারুন লাগে। চমৎকার একটি রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এত মজাদার একটা খাবার তৈরি করে একা একা খেয়ে নিয়েছেন। আমার তো দেখেই ইচ্ছে করছে, খেয়ে নিতে। যদি সুযোগ থাকতো তাহলে খেয়ে নিতাম। ঝাল ঝাল করে বয়লার মুরগির মাংস রান্না করলে খেতে বেশি ভালো লাগে। তেমনি নিশ্চয়ই এই রেসিপিটাও মজা করে খেয়েছেন। আমার কিন্তু দারুণ লেগেছে দুইটা এই রেসিপিটা।
আরে একা একা খেলাম কোথায়? আর একজন ছিল তো। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমার বাসায় এক-দু'দিন পরপরই ব্রয়লার মুরগির মাংস রান্না করা হয়। কারণ আমার ছেলে আবার মাংস ছাড়া কিছু খেতে চায় না। শহরে দেশি মুরগি পাওয়া খুবই কষ্টকর। তাইতো ব্রয়লার ছাড়া কোনো উপায় নেই। তবে এই মুরগির মাংস একটু ঝাল ঝাল রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু ধন্যবাদ এমন সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বয়লার মুরগির মাংস রান্নার ঝাল ঝাল রেসিপি টা কিন্তু ভীষণ ভালো লাগলো আপু। আপনার বন্ধন প্রণালী টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভীষণ মজা করে রেসিপিটা তৈরি করেছেন। খেতে মনে হয় ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে এমন সন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।