শৈশবের ফেলে আসা দিনগুলির স্মৃতি- শৈশবের বন্ধুত্ব এবং ঝগড়া II written by @maksudakawsar II
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
আমরা যারা আমাদের শৈশবটাকে ফেলে এসেছি। তারা কিন্তু প্রত্যেকেই চাই আবার সেই শৈশবে ফিরে যেতে। চাই শৈশবটাকে আবার খুব কাছ হতে উপভোগ করতে। মাঝে মাঝে হয়তো আমরা কেউ কেউ আমাদের সেই শৈশবে ফিরে যাই। ফিরে যাই হাজারও স্মৃতির মাঝে। কারন আমরা কেউ কখনও আমাদের জীবন থেকে ফেলে আসা শৈশব কে মুছে দিতে পারবো না।
কেমন আছেন সবাই? বেশ ভালো আছেন নিশ্চয়। আসলে প্রিয় মানুষগুলো ভালো থাকুক এই কামনাই করি। প্রতিদিনের মত করে আজও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন করে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে সব সময়ই ভাবী যে নিজের মনের মাঝে ঘুরপাক খাওয়া কথা গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। তাই তো আজও আবার সেই ছেলেবেলার কিছু স্মৃতি কথা নিয়ে চলে আসলাম আপনাদের মাঝে। আশা করি আমার আজকের পোস্টটিও আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগবে।
CANVA দিয়ে তৈরি
শৈশব আমদের জীবনের সাথে এমন ভাবে জড়িয়ে আছে যে আমরা চাইলেও সেই দিন গুলোকে ভুলতে পারি না। পারি না জীবন থেকে মুছে দিতে। আর পারি না সেই সব শৈশব কে ভুলে যেতে। জীবন চলার পথে বারে বারে সেই সমস্ত শৈশব আমাদের মাঝে উকিঁ দেয় । কি করে ভুলবো? ছেলেবেলা যে মিশে আছে আমাদের রক্তে রক্তে। আজও মনে পড়ে ছেলেবেলার বন্ধুদের কথা। কতই না ঝগড়া করতাম খেলার ছলে। কিন্তু আজ তো সেই বন্ধুগুলোকেই ঘুরে ফিরে মনে পড়ে। মনে পড়ে ফেলে আসা হাজারও স্মৃতি।
শৈশবে যখন তেমন কিছু বুঝতাম না। তখন বন্ধুদের সাথে কত যে ঝগড়া আর মান অভিমান করে সময় পার করেছি তার কিন্তু কোন হিসেব নেই। হিসেব নেই ঝগড়ার জন্য কতজনের পিঠে কিল বসিয়েছি। আর কতজনের সাথে যে আড়ি-ভাব খেলেছি। ছেলেবেলায় এমন ছিলাম যে কিছু থেকে কিছু হলেই ঝগড়া বাঁধিয়ে দিতাম বন্ধুদের সাথে। আর যখন ঝগড়া হতো তখন একেবারে কয়েকদিনের জন্য কথা বন্ধ করে দিতাম। আবার যখন বিকেলে খেলতে বের হতাম তখন ইচ্ছে করে সেই ঝগড়া লাগা বন্ধুকে দেখে মুখ ভেচকি দিতাম। আবার অনেক ভাবে রাগানোর চেষ্টা করাতাম।
অনেক সময় এমনও হয়েছে যখন অনেক দিন কথা না বলার কারনে দেখতাম যে আর কথা না বলে থাকতে পারছি না। তখন অন্য একজন বন্ধুকে মিডিয়া হিসাবে ব্যবহার করতাম যাতে করে আমাদের সাথে মিল করিয়ে দেয়। অবশ্য এই কথাটি আমাদের সেই বন্ধু ছাড়া আর কেউ জানতো না। তারপর সেই বান্ধবীর মাধ্যমে যার সাথে ঝগড়া হতো তাকে চিঠি লেখা হতো। ইস্ চিঠিতে যে কত রকমের কথা লেখতাম। তারপর সেই চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে আমরা আবার আগের মত করে মিলে যেতাম।
একবার আমার এক বান্ধবীর সাথে সে কি তুমুল ঝগড়া। তারপর তার সাথে প্রায় অনেক দিন কথা বন্ধ ছিল। আর তার সাথে কথা বন্ধ করে থাকতে বেশ কষ্ট হচ্ছিলো। তখন ছিল শীতের দিন। তো আমার সেই সময় দুপুরে গোসল করে, খাওয়া দাওয়া করে মাদর নিয়ে কোর্য়াাটারের বড় মাঠে নেমে যেতাম বই খাতা নিয়ে। বসে বসে পড়তাম। কিসের পড়াশুনা? বসে বসে চিঠি লেখতাম বান্ধবীদের কে। তো একদনি এমন একটি চিঠি আমাদের কোয়ার্টারের বড় একজন ভাইয়ার কাছে চলে যায়। সে ভেবেছে যে দেখি এত ছোট বয়সে কাকে চিঠি লেখে? তো সে চিঠি খুলে পড়লো। বুঝেনই তো ছেলেবেলার চিঠি। কত যে বানান ভুল ছিল। আর সেই চিঠি পড়ার পর যে সেই বড় ভাই আমাকে কতদিন এই নিয়ে ব্যাঙ্গ করেছে তার কোন হিসেব আমার কাছে নেই।
আবার কারও সাতে যদি ঝগড়া হতো তখন আমরা বলতাম যাও তোমার সাথে আজ থেকে আড়ি।আর হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল ব্যবহার করে আমরা আড়ি নিতাম। আবার যখন কারও সাথে মিল হতাম তখন বলতাম ভাব। আর তখন হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল ব্যবহার করতাম। হি হি হি। এমন আরও হাজারও স্মৃতি নিয়ে আমার শৈশব। যা এক যুগ কেন, বহু যুগ ধরেও শেষ হবার নয়। তাই মাঝে মাঝে চেষ্টা কর সেই সমস্ত স্মৃতি হতে কিছু স্মৃতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে।
শেষ কথা
শেষ কথা
সত্যি বলতে মুছে যাওয়া দিন গুলো আমায় যে পিছু ডাকে। তাই তো মনে ইচ্ছে জাগে একবার যদি সুযোগ পেতাম তাহলে আবার শৈশবে ফিরে যেতাম। আপনাদের ইচ্ছে কি একটু জানাবেন তো। অপেক্ষায় রইলাম আপনাদের মতামতের।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখা আজকের এই অতিথ ঘটনা। আসলে একজন মানুষ আরেকজনের দোষ পেলে সেটা নিয়ে ব্যঙ্গ করতে থাকে আর ছোটবেলায় এগুলো একটু বেশি হয়ে থাকে। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর ঘটনা। আশা করব জীবনের এমন ঘটনাগুলো আবারও আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খুব অসাধারণ একটি পোস্ট লিখলেন আপু। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার ছেলেবেলা ফেলে আসা অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। বিশেষ করে বান্ধবীর সাথে ঝগড়া করতাম তারপরে রাগ করে না থাকতে পেরে নিজেই সেঁধে কথা বলতাম বা কোন মাধ্যম ব্যবহার করতাম। আবার সেঁধে কথা বললে বলতো একদিন আছে দুই দিন নাই বেহায়াদের শরম নাই। আজ আপনার পোস্টটি পড়ে মনে পড়ল বেশি বেশি। এখন এই কথা মনে পড়লে হাসি পায় হিহিহি।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
হাহাহাহাহা আপনার শৈশব স্মৃতি পড়ে নিজেরও শৈশব স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেলো আপু।আমিও বান্ধবীদের সাথে ঝগড়া করে আপনার মত করে আড়ি দিতাম।ওর যার সাথে শত্রুতা থাকত তার সাথে ভাব করতাম।দারুন লেগেছে আপনার শৈশব স্মৃতি পড়ে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার এই শৈশবের স্মৃতি পড়ে আমিও একেবারে আমার শৈশবের স্মৃতিতে হারিয়ে গেলাম৷ আসলে আমরাও ছোটবেলায় এরকম করেছি৷ বন্ধুদের সাথে ঝগড়া থাকবে এটাই স্বাভাবিক৷ আমরা তো ঝগড়া করার পরে এক পর্যায়ে মারামারিও করে ফেলতাম৷ এর পরবর্তী সময় আবার আমরাই একসাথে হাঁটাচলা করতাম৷ খুব মজা লাগলো আপনার আজকের এই পোস্টটি পড়ে৷
ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।