ট্রাভেল পোস্ট- " অবশেষে দেখে আসলাম মিশরের পিরামিড " II written by @maksudakawsarII
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
"অবশেষে দেখে আসলাম
মিশরের পিরামিড "
"অবশেষে দেখে আসলাম
মিশরের পিরামিড "
Banner credit --@maksudakawsar
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই বেশ ভালো আছেন। আমি কিন্তু বেশ ভালো আছি। পৃথিবীতে সুস্থ এবঃ সুন্দর করে বাচঁতে হলে আমাদের কে কিন্তু ভালো থাকতে হবে। দূরে ঠেলে দিতে হবে শত ব্যাথা বেদনা আর হতাশা। মন খারাপ হলেই বের হয়ে যেতে হবে দূর দূরান্তে প্রকৃতির মাঝে নিজেকে ফ্রেশ করার প্রত্যাশায়। নিজের মনের মধ্যে লুকিয়ে রাখা যাবে না কোন কষ্ট, ব্যাথা বা বেদনা। হতাশার গন্ডি ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে হবে প্রশান্ত মন নিয়ে। আর তাই তো আমিও মাঝে মাঝে ছুটে যাই দূর দূরান্তে। আজ তেমনেই একটি ভ্রমন কাহিনী নিয়ে চলে আসলাম আপনাদের মাঝে। আশা করি আমার মত আপনাদেরও বেশ ভালো লাগবে আমার আজকের ভ্রমন কাহিনী। তাহলে দেরি কেন? চলুন পড়ে আসি আমার আজকের ভ্রমন কাহিনী।
বেশ কিছুদিন আগে বাংলার প্রেমের তাজমহল দেখতে গিয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জের প্যারাবোতে। সেদিন বাংলার প্রেমের তাজমহল দেখে এতটাই ব্যাকুল ছিলাম যে সমস্ত সময়ই চলে গিয়েছিল তাজমহলের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে। অথচ দুইটি জায়গা দর্শনের জন্য মোট ৩০০/- টাকার টিকেট কাটা হলেও আমরা কিন্তু মিশরের পিরামিড তেমন করে দেখতে পারিনি। কারন সেদিন রাত্র হয়ে গিয়েছিল। তবে সেদিন পরিচিত একজনের মুখে শুনেছিলাম যে মিশরের পিরামিড যেখানে সেটা নাকি একটি শুটিং স্পট । তাই সেদিনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আরও একদিন যাবো এবং সেদিন শুধু মিশরের পিরামিড নয় সমস্ত শুটিং স্পট ঘুরে দেখবো। আর যে ভাবনা সেই কাজ। গত কয়েকদিন আগে ছুটে গিয়েছিলাম সেই বিখ্যাত পিরামিড দেখতে।
তো আমরা তিনজন গেলেও পরিচিত লোক থাকায় আমাদের এবার আর টিকেটের দাম বেশী দিতে হলো না। মাত্র ২০০/- টাকায় তিন জন্ তাজমহল এবং পিরামিড ঘুরে দেখার সুযোগ পেলাম। আমরা অবশ্য দুপুরের খাবার পথেই সেরে নিয়েছিলাম। তারপর সুন্দর প্রকৃতির মাঝ দিয়ে চলে গিয়েছিলাম সেই বিখ্যাত পিরামিড দেখার উদ্দেশ্যে। কিন্তু পিরামিড দেখতে গিয়ে যে আমরা এত এত সুন্দর জায়গা আর অনেক না দেখা জিনিস দেখবো সেটা কিন্তু বুঝে উঠতে পারিনি। আমরা টিকেট কেটে ঢুকার সময়ই দেখতে পেলাম সুন্দর প্রকৃতি ঘেরাশুটিং স্পট। বেশ ঘুরে ফিরে শুটিং স্পটের ভিতর এবং বাহিরের পরিবেশ দেখেছি। আসলে শুটিং স্পটের মধ্যে দেখার মত অনেক কিছুই আছে। যেখানে বাংলা ছবির শুটিংও করা হয়ে থাকে। এছাড়াও সেখানে আমরা একুরিয়ামও দেখলাম।
আপনারা অবশ্যই বেহুলা লক্ষিন্দরের কথা শুনেছেন। শুটিং স্পটের ভিতরে কিন্তু সেই বেহুলার বাসর ঘর বেশ সুন্দর করে সাজানো রয়েছে। বেশ দারুন লাগছিল সেই বেহুলার বাসর ঘর দেখতে। বেহুার খাটের পাশেই একটি সাপ রাখা আছে। আমার মনে হয় আপনারাও একটু দেখলে বেশ ভালো লাগবে। তারপর আমরা বের হয়ে গেলাম। চারদিকের প্রকৃতি যেন আমাদের কে মুগ্ধ করে দিল। বেশ সুন্দর সুন্দর মূর্তি বানিয়ে সাজানো হয়েছে শুটিং স্পটের চারদিক টাকে। সেখানে রাখা আছে বড় বড় মূয়ূর পঙ্খিও।
তারপর তো আমি হতবাক। শুটিং স্পটের একপাশে বিশাল জায়গা জুড়ে রাখা হয়েছে ক্ষুদিরামের ফাসির মঞ্চ। সেই ছেলেবেলায় পড়েছিলাম এই ক্ষুদিরামের কথা। বেশ দারুন লাগছিল সমস্ত জায়গাটিকে। একপাশে ১১২ বছর আগের একটি জীপ গাড়ী রাখা আছে। মাঝখানে ক্ষুদিরামের ফাঁসির মঞ্চ। আর ফাঁসির মঞ্চের চারদিকে ছিল ইংরেজ সেনারা। তারপর তো আছেই ক্ষুদিরামের জেলখানা। একবার জেলখানায় ঢুকে ফটোগ্রাফিও করেছিলাম। হি হি হি। তবে আমার কাছে ক্ষুদিরামের ফাঁসির মঞ্চ আর এর চারপাশটা কিন্তু দারুন লেগেছিল।
তারপর গেলাম সেই ভঙ্কর মিশরের পিরাপিড দেখতে। বাপরে বাপ। গুটগুটে অন্ধকার। নিচে নামলেই যেন ভয় লাগে। মৃত কিছু পিরামিড আর আগের কালের রাজা বাদশাহদের পোশাক আশাক এবং গহনা রাখা আছে সেই গুহার ভিতর । চারদিক থেকে যেন কি এক ভয়ঙ্কর মিউজিক ভেসে আসছিল কানের মধ্যে। আর এমন দেখে তো আামার ছোট বোন বেশ ভয় পেতে শুরু করলো। আমিও অবশ্যই বেশ ভয় পেয়েছিলাম। তারপর খুব তাড়াতাড়ি বের হয়ে গেলাম সেই পিরামিড এর গুহা থেকে। বের হতেই মনে হলো যেন জীবন ফিরে পেলুম। যাই হোক তারপর আরও কিছুক্ষন সময় চারদিকের প্রকৃতি ঘুরে ফিরে দেখে চলে গেলাম আবার ও বাংলার প্রেমের তাজমহল দেখতে। কারন তাজমহল তো আমি দেখেছিলাম। কিন্তু আমার বোন তো আর দেখেনি। যদি পারি তাহলে অন্য কোন দিন আবারও আপনাদের সাথে তাজমহলের নতুন লুক নিয়ে সেদিনের ভ্রমনে কাহিনীর কিছু মজার ঘটনা শেয়ার করবো।আজ আর নয়।
শেষ কথা
শেষ কথা
মাঝে মাঝে নিজেকে একটু প্রশান্তি দিতে চলে যেতে হয় প্রকৃতির মাঝে। এতে করে মনটা যেমন ফ্রেস থাকে। তেমনি করে মনের ভিতর থেকে দূর হয়ে যায় হাজারও হতাশা। আমাদের এই সবুজ প্রকৃতির দেশে কিন্তু দেখার মত অনেক কিছুই আছে। আমরাতো চাইলেই মাঝে মাঝে নিজের প্রশান্তির জন্য এমন দৃশ্য গুলো দেখে আসতে পারি। তাতে করে কিছু অজানা জায়গাও দেকা হবে। আর অন্যদিকে নিজের মনটাও প্রশান্তি পাবে।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
নিজেকে ভালো রাখতে হলে ,খুশি থাকতে হলে, এবং দুঃখগুলো ভুলে যেতে হলে ,অবশ্যই ভ্রমণ করা এবং নতুন পরিবেশ সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করা অত্যন্ত জরুরি।
পোষ্টের টাইটেল পড়ে তো আমি মনে করেছি আপনি সত্যি সত্যি মিশরের গ্রামীণ ভ্রমণ করতে গেলেন কিনা।
কিন্তু পোস্টটি পড়ে দেখিনা বাংলার পিরামিড ভ্রমন করেছেন।
ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন খুবই ভালো লাগলো দেখে।
হা হা হা। যদি তাই হতো তাহলে কতই না মজা হতো। বেশ দারুন ছিল আজকের মন্তব্যটি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
হ্যাঁ মন খারাপ থাকলে হুট করে কোথাও চলে গেলে ভালই হয়, প্রথমে আমি ভেবেছিলাম আপনি মিশর চলে গেছেন, পরে দেখলাম না এখানে তাজমহল পিরামিড সবই রয়েছে, বেহুলার বাসর ঘরের খাট দেখা যাচ্ছে। ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন এটা বোঝা যাচ্ছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Tweet
নারায়ণগঞ্জের প্যারাবোতি জায়গাটি সত্যি অনেক সুন্দর। উক্ত জায়গাটি ভ্রমন করে উক্ত জায়গার অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। একই সাথে অনেক সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। মিশরের পিরামিড দেখতে গিয়ে সেখান থেকে তাড়াতাড়ি বের না হয়ে আরো একটু মনোযোগ দিয়ে দেখলে অনেক কিছু দেখতে পারতেন। যাহোক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর এবং মূল্যবান মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।