মামা শ্বশুড়ের ছাদ বাগানের ফল গাছের কিছু অসাধারণ ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
আজ সোমবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২২ ইং
বাংলা ১৩ কার্তিক ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কেমন আছেন? ভাল আছেন নিশ্চয়।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।
আজকে আবার আসলাম আপনাদের মাঝে একটি নতুন ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে।
গত কয়েকদিন আগে মামা শ্বশুড়ের বাসায় দাওয়াত ছিল। সাধারণত বছরে ৩৬৫ দিনের মধ্যে প্রায় আমাকে এর বাসায় তার বাসায় দাওয়াত খেয়ে কাটাতে হয়। তানাহলে আবার আত্নীয় স্বজনরা রাগ করে বসে থাকে। তাই চলে গেলাম বারিধারায় মামা শ্বশুড়ের বাসায়।
বিশাল বাড়ী তার। বিকেলে খাওয়া দাওয়ার পর আমরা চলে যাই বাড়ীর ছাদে তৈরি করা মামা শ্বশুড়ের বিশাল ছাদ বাগান দেখতে । আমি যখন ছাদে উঠলাম তখন আমি আনন্দে চিৎকার দিতে লাগলাম। কারন আমার মামা শ্বশুড়ের বিশাল এক ছাদ বাগান রয়েছে। সেখানে নানা রং এর ফুল আর ফল দিয়ে বাগান সাজানো হয়েছে। যা আমি আপনাদের মাঝে ধীরে ধীরে শিয়ার করবো। তবে আজকে আমি আপনাদের মাঝে সেই ছাদ বাগনের কিছু ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।
চলুন ঘুরে আসি মামা শ্বশুড়ের ছাদ বাগানের কিছু ফলের ফটোগ্রাফি পোস্টে-।
প্রথম ফটোগ্রাফি
আজকে প্রথম ফটোগ্রাফিটি হলো রঙ্গিন একটি ফলের। এই ফলটি আমরা ছেলেবেলায় অনেক খেতাম। আমি যতদূর জানি ফলটির নাম হলো করমচা। এই ফলটি খেতে একটু টক টক লাগে। আর মামা শ্বশুড় এই গাছের চারা ঢাকার বাহির হতে আনিয়েছে। গাছ ও গাছের ফলগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে। জানিনা আপনাদের কেমন লাগলো।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
আমার মনে হয় এই ফলটি চিনেনা এমন কেউ নেই। ফলটি আপনাদের সবার খুব পরিচিত একটি ফল। দেখি বলেন তো কে কে জানেন এই ফলের নাম? না থাক আমি বলে দিচ্ছি। এই ফলটির নাম হলো আতা ফল।ই ফলটি আমার বাবার খুব প্রিয় একটা ফল ছিল। ফলটি দেখলে আমার বাবার কথা মনে পড়ে যায়।
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
এবারের ফলটি আমাদের সবার খুব প্রিয় একটি ফল। কাঁচা বা পাকা যেভাবেই হোক না কেন আমরা সবাই এই ফলটি খেতে খুব পছন্দ করি। ভাবছেন এ সময়ে এই সুস্বদু ফলটি কি করে গাছে ধরলো? এটি একটি বার মাসি আম গাছ। এখানে বার মাসই আম ধরে। গাছের মধ্যে ঝুলে থাকা আমগুলো হতে অনেক কষ্টে একটি আম যোগাড় করে আমি লবন আর মরিচ ফাঁকি দিয়ে খেয়েও নিলাম।কারন পাকা আমের চেয়ে কাঁচা আম আমার খুব প্রিয় ।
আমার এবার এর ফলটি ও আপনাদের সবার পরিচিত। আর সবাই এই ফলটির নাম জানেন। এই ফলটির নাম হলো আনার। ফলটির ভিতরে লাল লাল দানা। আর এই দানাগুলোকেই চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে হয়। আমার কাছে এই ফলটি খেতে বেশ ভালই লাগে।
এবারের ফলটিও সবার কাছে পরিচিত। আর ফলটির নাম হলো কামরাঙ্গা। মামা কিন্তু এই ফলটিও লাগাতে ভুল করেনি। এই কামরাঙ্গা গাছের কামরাঙ্গা গুলো অনেক মিষ্টি। গাছের মধ্যে ঝুলে থাকা কামরাঙ্গা গুলো যেন বাগানের সৌন্দর্য্য কে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
পিয়ারা আমাদের দেশে খুব পরিচিত একটি ফল। এই ফলটি পছন্দ করেন না তেমন লোক খুব কমই পাওয়া যায়। মামা কিন্তু এই ফলটির ও বাগান গড়ে তুলেছে। আর সব গুলো ফল গাছের সাথে পিয়ারা গাছটি দল বেধেঁ সবুজের রাজ্য তৈরি করে নিয়েছে।
আজকের শেষ ফটোগ্রাফিটি হলো লেবু গাছ। এটা কে অনেকে ঔষুধি গাছ ও বলে থাকে। লেবু আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কে উন্নত করে তুলে। যার কারনে প্রাচীন কাল হতে মানব জাতি ঠান্ডা জ্বরে লেবু কে ঔষুধি গাছ হিসাবে ব্যবহার করে আসছে। আর মামা শ্বশুর কিন্তু এই গাছটি লাগাতে বিন্দুমাত্র ভুল করেন নি।গাছটির মধ্যে থোকায় থোকায় লেবু ধরে আছে। আর আমি এই লেবুগুলো থেকে কিছু লেবুও নিয়ে আসলাম নিজের জন্য।
কেমন লাগলো আমার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্টটি। আশা করি আমার মত আপনাদের কাছে ভাল লেগেছে। অপেক্ষায় রইলাম আপনাদের মতামত জানার জন্য।
ভাল থাকবেন , সুস্থ্য থাকবেন।
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | Oppo-A16 |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
ভৌগলিক অবস্থান | বারিধারা, ঢাকা |
কি আর বলবো এই অসময়ে আমের ছবি শেয়ার করে জিবে জল এসে গেছে।আমারো কাঁচা আম অনেক ভাল লাগে।মামা তো কিছু বাদ রাখেন নি ফলের বাগানে সব ফল আছে।আমারও ইচ্ছে আমি এভাবে বাগান করবো একদিন।লাল যে ফলটি বললেন টক,মিষ্টি কিছু বুঝিনা দেখতে কিন্তু লোভনীয় একটি ফল।চমৎকার ফটোগ্রাফি আপনার।
আপু চলে আসেন দুজন মিলে যাবো মামা শশুর বাসায় তারপর টক আম পেরে দুজন মিলে মজা করে খাব।
thank you
বাহ আপনার জীবনটা তো ভালই দাওয়াত খেয়ে কাটাতে পারেন বছরের ৩৬৫ দিন। আপনার মামা শ্বশুরের ছাদের ফল গাছের ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি অনেক সুন্দর ছিল ।ধন্যবাদ আপু সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আর বইলেন না আপু। অফিস বাসা আমার বাংলা ব্লক আর দাওয়াত সব মিলিয়ে আমি রীতিমতো হিমশিম উঠে যাচ্ছি।
আপনার মামা শ্বশুড়ের এত সুন্দর ছাদ বাগান দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। আর গাছে ধরে থাকা ফলগুলো দেখে আর কি বলব। ইচ্ছে করছে গাছ থেকে ছিঁড়ে একটি খেয়ে নিই।
করমচা ফলটি আমার কাছে বেশ নতুন এর আগে এটি কখনো দেখেছি বলে আমার মনে হয় না। তবে বেশ আকর্ষনীয় দেখতে এই ফলটি।
সম্মানিত এডমিন মহোদয় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার এই সামান্য পোস্টটি পড়ার জন্য। করমচা একটি টক ফল । আমরা ছেলেবেলায় এ ফলটি অনেক খেতাম।
আপু আপনি তো তাহলে দাওয়াত খাওয়ার উপরই আছেন। এত দাওয়াত কিভাবে খেয়ে থাকেন ।আপনার মামাশ্বশুরের ফলের বাগান বিশেষ করে ছাদের উপর সত্যিই দেখে মুগ্ধ হয়েছি। বিভিন্ন ধরনের ফল বিশেষ করে করমচা যেটা আমার খুবই প্রিয় লাল টপটপ করছে। ছোটবেলায় এগুলো অনেক খেয়েছি এখন গ্রাম্য পরিবেশে পাওয়া যায় না দেখে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আমার পোস্টে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আপনার মত করমচা আমারও খুব প্রিয়। আর আপনি মুগ্ধ হয়েছেন জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
সত্যিই অসম্ভব সুন্দর আপু আপনার মামার শ্বশুড়ের ছাদ বাগান। বাগানটি দেখে আপনি আনন্দে চিৎকার দিয়ে উঠলেন আমি হলেও তাই করতাম এত সুন্দর ছাদ বাগান দেখে। আমাদের বাড়ির ছাদো আপনার মামার শ্বশুড়ের বাড়ির ছাদের মত এত সুন্দর একটি ছাদ বাগান আছে। আমিও মাঝে মাঝে ছাদ বাগানের ফটোগ্রাফি শেয়ার করি। খুব সুন্দর করে গোছানো ছাদ বাগানটি। প্রত্যেকটা গাছ খুব সুন্দর সুন্দর ফল ধরে আছে। দেখে ছিড়ে খেতে ইচ্ছে করছে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এমন সুন্দর ছাদ বাগান দেখলে যে কেউ চিৎকার দিয়ে উঠবে। যাক আপু এটা যেন খুশি হলাম যে আপনাদের বাড়িতে এরকম একটা ছাদ বাগান আছে। তবে আপু আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এমন একটি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলেই আপু ছাদ বাগানে এমন সুন্দর সব ফলের চাষ হলে দেখে আশ্চর্য হয়ে চিৎকার দেওয়া স্বাভাবিক। সবগুলো ফলের দৃশ্য বেশ ভালো লেগেছে তবে আতাফল এর দৃশ্যটা সুন্দর হলেও আতাফল এখন খুব একটা পাওয়া যায় না।
ভাই আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আমি আসলে এর আগে এত সুন্দর ছাদ বাগান কোথাও দেখিনি।
ভীষণ ভালো লাগলো আপনার মামা শ্বশুরের ছাদ বাগানের ফলের গাছের ছবিগুলো দেখে। সত্যিই এগুলো দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। আপনার মতো আমি ওখানে থাকলেও ঐ একই কাজ করতাম, টুপ করে ছিঁড়ে নিয়ে খেয়ে ফেলতাম 😃
তবে করমচা ফলটি খাওয়া হয়নি এর স্বাদ কিছুটা টক বলছিলেন। সবমিলিয়ে ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটি।
ভাইয়া আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। ভাইরে ভাই কত কষ্ট যে পেরে খেয়েছি। গাছের জিনিস পারলে মালিকের কষ্ট লাগে।
আপু ছাদের ফলগাছ গুলো দেখে আমারই তো চিৎকার করতে ইচ্ছে করছে।ছাদে এত এত গাছ তাও আবার ফল ধরে আছে,সরাসরি দেখলে যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে।আম গাছ টা দেখে বেশি লোভ হচ্ছে। বারমাসি আম গাছ, এমন একটা আম আমার একটা যদি থাকতো। সব মিলিয়ে আসলেই অনেক চমৎকার। ছবি দেখে বুঝায় যাচ্ছে, আপনার মামা শশুর অনেক গাছ প্রেমী।ধন্যবাদ
বিশ্বাস করবেন না আমিও অত্যন্ত আশ্চর্য হয়েছিলাম। কি করে মামা এত সুন্দর করে ছাদ বাগান করল। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্যয
আপনার মামাশ্বশুর তাহলে খুবই প্রকৃতিপ্রেমী ।তাইতো তিনি ছাদ বাগানে এত চমৎকার সব ফলের গাছের চারা লাগিয়েছেন। বেড়াতে গিয়ে বেশ ভালই হয়েছে আপনি ফটোগ্রাফি করতে পেরেছেন এবং বারোমাসি কাঁচা আম খেতে পেরেছেন ।আমার কাছে অনেক ভালো লাগে কাঁচা আম খেতে ।আতাফল আমার খুবই প্রিয় তবে এগুলো এখনও কাঁচা পাকলে বেশি মজা লাগে খেতে।
জিয়াপুর সত্যিই বলেছেন আমার মামা শশুর আসলে অত্যন্ত প্রকৃতিপ্রেমী। শুধু ঢাকায় নয় সোনারগাঁও তার একটি সুন্দর বাগান বাড়ি আছে।