লাইফ স্টাইল- শীতের কুয়াশায় মালাই চা খাওয়ার খেসারত || lifestyle by @maksudakawsar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই বেশ ভালো আছেন। হাজারও ব্যস্ততার মধ্যে আজকাল দিন পার করতে হচেছ আমায়। আর তার উপর তো আছে শারীরিক অসুস্থতা। শীতের কুয়াশা যেমন আমাদের জন্য আনন্দের, তেমনি করে কারও কারও জন্য আবার যন্ত্রণারও । যেমন এমন শীতে অনেকে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর আমি তো গত কিছুদিন হলো বেশ অসুস্থ। যেমন শারীরিক ভাবে তেমনি মানসিক ভাবে। কিছুই ভালো লাগে না। তবুও সারাদিনের ব্যস্ততার পর এই বসলাম আপনাদের সাথে একটু কথা বলতে। বন্ধুরা শীতের কুয়াশার মধ্যে কিন্তু দু এক কাপ চা না খেলে আবার মনটা ভরে না। শরীরটা কেমন যেন ম্যাজ ম্যাজ করে। আর তেমনি এই শীতের রাতে মালাই চা খাওয়ার অনুভূতির কিছু কথাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য চলে আসলাম। আশা করি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।
শীতের কুয়াশায় মালাই চা খাওয়ার খেসারত
শীতের কুয়াশায় মালাই চা খাওয়ার খেসারত
Banner credit --@maksudakawsar
Source
Source
এই তো কয়েকদিন আগে কিছু জরুরী কাজে গিয়েছিলাম সেই পূবাঞ্চলে। তো এই বিষয়টি আমি ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। সেদিন আমাদের কাজ শেষ করে যখন নীলা মার্কেটে ঘুরতে গিয়ে ছিলাম সেদিন কিন্তু আমরা বেশ খাওয়া দাওয়াও করেছিলাম। আর সেসমস্ত বিষয় গুলো আপনাদের সাথে ধীরে ধীরে শেয়ার করবো ভাবছি। বন্ধুরা সেদিন এতটাই শীত আর কুয়াশা ছিল যে কুয়াশার মধ্যে একটু চা খেতে বেশ মনে চাচ্ছিলো। আমরা আবার একটু নিরিবিলি জায়গা খোঁজ করছিলাম। তো নীলা মার্কেটের বাহিরের দিকে একটি নিরিবিলি চায়ের দোকান পেয়ে গেলাম। তাও আবার মালাই চা । তো এমন শীতের মধ্যে মালাই চা পেলে কি আর কেউ ছাড়ে?
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
তো আমরা সেই মালাই চায়ের দোকানে গেলাম। আমরা যখন সেখানে গেলাম তখন দেখলাম বেশ কিছু চেয়ার বিছানো রয়েছে। কিন্তু সেখানে কোন লোকজন নেই। তো আমি বুদ্ধি করে নিজেদের জন্য তিনটি চেয়ার সরিয়ে রাখলাম। কারন এমন হাজার দেখেছি, আমি খালি জায়গা পেয়ে বসিনা। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে সেই জায়গা পূরন হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর দেখলাম আমি চেয়ার সরিয়ে রেখে খারাপ করিনি। কারন আমাদের তিনটি চেয়ার বাদে সব চেয়ার এর মধ্যে ফিলাপ হয়ে গেছে। এমন কি অনেক মানুষ দাঁড়িয়েও আছে। তাই মনে মনে নিজেকে ধন্যবাদ দিলাম।।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
এদিকে আমার ছোট ভাই আমাদের তিনজনের জন্য তিনটি মালাই চা এর অর্ডার করলো। অবশ্য তখন আর মালাই চা এর দাম করা হয়নি। কি আর করবে, নরমাল তো ত্রিশ টাকা করে দাম। এখানে না হয় পঞ্চাশ হবে। তাই অর্ডার করে দিল দাম জিজ্ঞেস না করেই। আর আমি সেই ফাঁকে ঘুরে ঘুরে মালাই চা বানানোর কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। অবশ্য সব গুলো ফটোগ্রাফি আমি করতে পারিনি। তবে মালাই চা বানানোর সবচেয়ে যে বিষয়টি আমার ভালো লাগে তা হলো মাটির পাত্রগুলো পুরানো।কারন মাটি পুরানোর গন্ধটা বেশ প্রিয় মনে হয়।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
বেশ কিছুক্ষন পরে আমাদের সেই প্রিয় মালাই চা আমাদের হাতে এসে পৌঁছালো। আর উপরে সর পড়া গরম গরম মালাই চা দেখে কিন্তু বেশ ভালো লাগলো। যদিও বেশ গরম ছিল মালাই চা, তবুও কিছু ফটোগ্রাফি করে আস্তে আস্তে খাওয়া শুরু করলাম। কারন এমন চা যদি তাড়াতাড়ি খেয়েনি তাহলে কিন্তু মজাটাই নষ্ট হয়ে যাবে। আর না পাবো মালাই চা এর স্বাদ , না পাবো শীতের জমানো ঠান্ডা হতে মুক্তি। তো বসে বসে মজা করে মালাই চা খেলাম আর গল্প করলাম। ও সেই মজা, সেই টেস্ট শীতের কুয়াশায় বসে গরম গরম মালাই চা খাওয়ার।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
বেশ কিছুক্ষণ গল্প করে চা খাওয়ার পর যখন চা শেষ হয়ে গেল তখন আসলো মালাই চায়ের বিল দেওয়ার সময়। হায়রে হায় ঢাকার শহরের মানুষ এমন বোকা হয়। আমাদের কে তিনজনের জন্য মালাই চায়ের বিল দিতে হলো ৪৫০/- টাকা। এও কি মেনে নেওয়া যায়।? কিন্তু কি করবো মেনে তো নিতে হবে। অবশেষে মালাই চায়ের স্বাদ মুখে নিয়ে ৪৫০/- টাকা বিল গুনে চলে আসতে হলো আমাদের কে। অবশ্য আমার তেমন কষ্ট লাগেনি। কারন বিল তো আর আমি দেইনি। বিল দিয়েছে ছোট ভাই। হি হি হি।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
শেষ কথা
শেষ কথা
শীতের কুয়াশায় হাতের কাছে মালাই চা পাবো আর খাবো না সে কি করে হয়। দাম যাই নেয় নেক। আমার তো টাকা যায় না। তাই দামী সেই মালাই চায়ের স্বাদ আমার মুখে এখনও লেগে আছে। পরের টাকায় কিছু খেলে সেটার স্বাদই লাগে অন্য রকমের।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আসলে শীতের সময় চা খাওয়ার মজাই আলাদা। আমি তেমন একটা চা খেতে পছন্দ করি না তবে এই শীত এসে চা না খেলে আর ভালো লাগে না। তবে মালায়ের চা তো দারুন স্বাদ লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এটা ঠিক যে শীতের মধ্যে চা খাবার মধ্যে অন্যরকমের একটা মজা রয়েছে কিন্তু এত বড় বিল হাতে ধরিয়ে দেবে এটা তো আমি ভাবতেই পেরেছিলাম না। যাইহোক আপনি তো বেঁচে গিয়েছেন দেখছি বিলটা ছোট ভাই দিয়ে দেয়াতে। হি হি হি
হুম বেচেঁ গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
শুধুমাত্র তিন জনের জন্য মালাই চায়ের বিল ৪৫০ টাকা দিতে হলো!😲 এটা তো পড়েই আমি অবাক হয়ে গেলাম আপু। এত বেশি দাম ! আমাদের এইখানেও মালাই চা পাওয়া যায়। তবে তিনজনে মিলে এমন চা খেতে গেলে সর্বোচ্চ ৯০ টাকার মতো খরচ হতে পারে। যাই হোক, এত বড় বিলের ধাক্কা আপনার উপর দিয়ে না গিয়ে, আপনার ছোট ভাইয়ের উপর দিয়ে গেছে বিষয়টা বেশ মজার🤪। আপনি এই জন্য কষ্ট কম পেয়েছেন যা পরে বুঝতে পারলাম। প্রিয় জিনিস খেতে গেলে মাঝে মাঝে এমন টাকার খেসারত দিতে হয় আপু।
এটাই তো ভাবছিলাম যে এত বড় বিল আমার উপর দিয়ে গেলে কি হতো? ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।