প্রকৃতির মাঝে শান্তি খোঁজার প্রয়াসে ঘুরে বেড়ানো
আসসালামু আলাইকুম
আজ সোমবার, ১৬ই নভেম্বর ২০২২ ইং
২৯ই কার্তিক ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
ভাল আছেন সবাই? আশা করি শীতের এই আগমনী সময়ে আপনারা সবাই সুস্থ্য ও ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও ভালবাসায় সিক্ত হয়ে বেশ ভাল আছি এবং সুস্থ্য থাকার প্রচেষ্টা করে যাচ্ছি। |
---|
বন্ধুরা ইতিপূর্বে আমার অনেকগুরো ব্লগ হতে আপনারা এই কথাটি খুব ভালভাবে উপলব্দি করতে পেরেছেন যে, আমি সাধারণত ঘুরে বেড়াতে বা ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। এজন্যই আমি সামান্য এতটুকু সময় পেলে চলে যাই কোথাও ঘুরে বেড়াতে। কারন এতে করে আমার মনের সকল কষ্টগুলো প্রকৃতির মাঝে বিলিয়ে দিয়ে আসতে পারি। বর্তমানে দিন যতই যাচ্ছে ততই যেন এই মানুষের সৃ্ষ্টি করা সমাজ ব্যবস্থা কঠিন থেকে কঠিন হয়ে আসছে। তাইতো মাঝে মাঝে বোবা প্রকৃতির কাছে নিজেকে নিয়ে যাই। কিছুটা শান্তি ভিক্ষা করে আনতে।
আর তাইতো কয়েকদিন আগে ছুটে গেলাম ঢাকার আমুলিয়া মডেল টাউনের নিকটে গ্রীণ মডেল টাউনে কাশফুল দেখার জন্য। যদিও সেদিন আর কাশফুল দেখা হয়ে উঠেনি।
মনটা কয়েকটা দিন যাবৎ খুবই অস্থির আর অসুস্থ্য। কিছুই যেন ভাল লাগছে না। মানুষের সৃষ্টি করা এই সমাজ টা আজকাল কেন যেন বিষাদময় মনে হয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম বিকালটা একটু প্রকৃতির কাছে শান্তি ভিক্ষা করতে যাবো। তাই অফিস ছুটির পর চলে গেলাম কাশফুল দেখতে। কিন্তু যে কাশফুল দেখার উদ্দেশ্যে যাওয়া। সে কাশফুল আর দেখা হলো না। কারন কাশফুলের বাগান এখন মাটিতে ভরাট হয়েগেছে। তাইতো কিছুটা সময় কাটাতে চলে গেলাম জহিুরুল ইসলামের প্রোজেক্টে। আর ঢুকে গেলাম তার বিশাল বাগানবাড়ির ভিতরে। বিশাল বাগানবাড়ির ভিতরে রয়েছ বসার জন্য ছোট ছোট কিছু ঘর। যেখানে মানুষ জন বসে কিছুটা সময় কাটাতে পারে এবং প্রকৃতির সুবাস গ্রহণ করতে পারে। দুপাশে ফুলের বাগান আর মাঝখান দিয়ে সেই ছোট্র ঘরে প্রবেশ করার জন্য রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে। আমার কাছে এরকম দৃশ্য দেখে বেশ ভালই লাগছে। সবুজ পাতার মাঝে সাদা রং এর এই ফুলটি আমি অনেক জায়গায় দেখেছি। এই ফুলটিকে কি নামে যেন ডাকে আমার এখন মনে পড়ছে না মনে পড়লে অবশ্যই আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। বাগানবাড়িরর সৌন্দর্য। বৃদ্ধি করার জন্য সম্পন্ন বাগান জুড়ে লাগানো রয়েছে এই ফুলের বাগান। বাগানবাড়ির চারপাশ ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন ফুলের সমারোহে বাগানবাড়িটি সাজানো হয়েছে। যার মধ্যে গোলাপী রং এর এই ফুল গাছটিও আছে। আমরা যখন সেখানে যাই তখন গাছটিতে বাগানের মালী পানি দিচ্ছিলো। তার কাছে জিজ্ঞেস করে ফুলটির নাম জানা যায়। একে কেউ ডাকে রঙ্গন গুল্ম । আবার কেউ বা ডাকে রুক্সিনী বলে। এরপর যখন পড়ন্ত বিকেল হয়ে আসছিল, তখন বাগানবাড়ি আর তার আশেপাশের দৃশ্যটা আমাকে মুগ্ধ করে তুলে। তাইতো জহিরুল ইসলাম এর প্রোজেক্টে নির্মিত তার বাগানবাড়িতে যেয়ে চারপাশের দৃশ্যও কিন্তুু আমি ক্যামেরা বন্দী করতে পেরেছি। এরপর যখন প্রকৃতির মায়া কাটিয়ে বাড়িতে ফিরতে হবে বলে মনে হলো তখন প্রকৃতির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আর আসার পথে সেই বিশাল বাগানবাড়ীর দ্বার প্রান্তে দেখাপেলাম সুন্দর একটি পামকিন গাছের।
এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু মানুষের বর্তমান সময়ের সমাজব্যবস্থা এতটাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে , যেখানে মানুষ সহজে জীবন যাপন করতে পারছে না।আমিও আপনার মত প্রকৃতির মাঝে শান্তির প্রবেশের জন্য ঘুরে বেড়াই। বিষয়টি আপনার মত আমার অনেক ভালো লাগে।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। যাক ভালো লাগলো জেনে যে আমার মত আরও প্রকৃত প্রেমী রয়েছে।
আপু জায়গাটা কিন্তু বেশ সুন্দর। এমন জায়গায় ঘুরতে খুবই ভালো লাগে। প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য কোথাও দেখতে পেলে আমি সেখান থেকে একবার হলেও ঘুরে আসি। ছুটির দিন ঘুরাঘুরির মজাই আলাদা। আমার মনে হচ্ছে কালই চলে যাই ঘুরতে। আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু আপনাকেও ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। তবে জায়গাটা আসলে বেশ সুন্দর।
আসলেই সমাজে এই মানুষের ভিড়ে থাকার কারণে মাঝে মাঝে মনটা খারাপ হয়ে যায়। এই সময় আমরা যদি মুক্ত পরিবেশে প্রকৃতির মাঝে ঘোরাফেরা করি তাহলে মনটা ভালো হয়ে যায়। পরে বুঝতে পারলাম আপনি খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটিয়েছেন। কাশফুল না পেলে মুহূর্তটা কিন্তু খারাপ ছিল না। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এই মুহূর্ত টা শেয়ার করার জন্য।
জ্বী ভাইয়া বর্তমানে আমার মনে হয় সমাজের মানুষের চেয়ে প্রকৃতি আমাদের প্রকৃত বন্ধু। প্রকৃতি স্বার্থপর না।
আপনি যে ফুলের নাম জানেন না। সেটা হলো মিনি টগর ফুল গাছ। কমবেশি এখন সব জায়গাতেই এই ফুল গাছ দেখতে পাওয়া যায়। বাড়ির সৌন্দর্য হোক আর অফিসের সৌন্দর্যই হোক এই গাছ দেখা যায়। আপনি প্রকৃতির মাঝে ঘুরতে গিয়েছিলেন সময় কাটানোর জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে এইরকম একটি পোস্ট আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই আমার এখন মনে পড়েছে এটাকে আবার অনেকে জংলি করে বলে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আজকাল সমাজ ব্যবস্থা অনেক বিষন্ন হয়ে গেছে।সমাজ কাঠামো যেন কি রকম হয়ে গেছে।এভাবে বিকাল বেলায় যদি বের হওয়া যায় তাহলে প্রকৃতির মাঝে অনেক শান্তি পাওয়া যায়।আপনি কাশফুল দেখতেগেলেন কিন্তু কাশফুল দেখতে পেলেন না অনেক দুঃখ লাগলো।তাতে কি হয়েছে কিন্তু আপনি যে বাগানবাড়িতে ঢুকছে প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু কাশফুল দেখতে গিয়েছে ঠিকই কিন্তু কাশফুল না দেখার কোন অতীত থাকে নি সেদিন। কারণ জায়গাটা অনেক সুন্দর।ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। সত্যি বলেছেন আমি খুব উপভোগ করেছি।
আপু জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে একটু নিজেকে সময় দিতে হবে বলে আমি মনে করি।আর জায়গাটা কিন্তু অনেক সুন্দর। যদিও আপনি কাশফুল দেখতে গিয়েছিলেন, দেখতে পাননি। কিন্তু যেখানে গেলেন সেখানকার ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারছি এখানে দারুন উপভোগ করেছেন।অনেক ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
তাইতো এখন মাঝে মাঝে চলে যে প্রকৃতির টানে। জ্বি আপু ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।