ভ্রমন পোস্ট- জাতীয় জাদুঘরের প্রথম তলার মিউজিয়াম ঘুরেফিরে দেখা।
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
সবাই ভালো আছেন তো আমার প্রাণপ্রিয় বন্ধুরা? আমি কিন্তু বেশ ভালো আছি। আমি আপনাদের সবার প্রিয় একজন ইউজার @maksudakawsar। যদিও আমি একজন চাকুরীজিবী. তবুও আমার কাছে কিন্তু সমস্ত ব্যস্ততার মাঝেও আপনাদের সাথে থাকতে ভালো লাগে। আর তাই তো সারাদিনের ব্যস্ততার সময় গুলোর গ্লানি ভুলতে প্রতিদিন একবার হলেও আপনাদের দরজায় একটু উকিঁঝুকিঁ করি। এই আর কি।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
ব্যস্তময় জীবনে যতটুকু সময় পাই আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি সেই সময়টুকু কে একটু আনন্দময় করে তুলতে। চেষ্টা করি জীবনের শত না পাওয়া বেদনাগুলো কে প্রকৃতি আর লোকারণ্যে বিলিয়ে দিতে। আর তাই তো ছুটির দিন গুলোতে চলে যাই কোন না কোন জায়গায় ঘুরে আসতে। এতে করে সারাটি সপ্তাহের ক্লান্তি গুলো একটু একটু করে দূর হয়ে যায়। আপনারা হয়তো জানেন যে আমি কিছুদিনে আগে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে বেড়াতে গিয়েছিলাম। যা আমি একটি পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ারও করেছি। সেদিন জাদুঘরে যেয়ে দেখি মোট ৪টি তলায় জাদুঘরের বিভিন্ন মিউজিয়াম। আর প্রতিটি তলায় সে কি বিশাল বিশাল মিউজিয়াম। ঘুরতে ঘুরতে দিন শেষ হয়ে যায়। এত শত গল্প তো আর আপনাদের সাথে একদিনে বলে শেষ করা যাবে না। তাই তো আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো জাদুঘরের প্রথম তলার মিউজিয়াম ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতার কথা।
আগেই বলেছি যে আমরা যখন জাদুঘরে পৌছাঁই তখন বিকেল ৪.৩০ মিনিটি বাজে। আমরা জাদুঘরে ঢুকে বেশকিছুক্ষন বাহিরে কিছুটা সময় কাটিয়ে নেই। কারন সেখানে ঢুকে দিখে অনেক মানুষ বাহিরের প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছে। তাই আমরাও কিছু টা সময় সেখানে থেকে বাতাসের সাথে প্রকৃতির খেলা উপভোগ করি। তারপর আস্তে আস্তে ভিতরে প্রবেশ করি। আমরা প্রথমে প্রথম তলার মিউজিয়াম টিতে পা রাখি। সেখানে ঢুকেই তো দেখি কি বিশাল এক বাংলাদেশের মানচিত্র।বেশ কিছুটা সময় সেই মানচিত্রটিকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখার চেষ্টা করি। তারপর আস্তে আসেত দেখতে পাই প্রথম তলার মিউজিয়ামটিতে বাংলাদেশের ভূ-ত্বাত্তিক বিষয় সহ গ্রাম বাংলার অনেক কিছু সংরক্ষন করা হয়েছে।
এবার এই ফ্লোরে ঘুরে ঘুরে আমরা দেখছি আর মু্গ্ধ হচ্ছি। বেশ সুন্দর করে মিউজিয়ামের গ্যালারীতে সাজিয়ে রাখা বাংলার পরিচিত কিছু ফুল, ফল আর গাছ গাছালি। বিভিন্ন জায়গা হতে মানুষ জন ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে এখানে এসেছে বাংলার প্রকৃত প্রকৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে। বাচ্চাগুলো ছুটে বেড়াচ্ছে আর জানতে চাইছে এটা কি ওটা কি। আমিও কিন্তু বেশ আনন্দ পাচিছলাম আর ফটোগ্রাফিও করছিলাম। ।
কেমন লাগলো বন্ধুরা আপনাদের কাছে জাদুঘরের মিউজিয়ামের গ্যালারীতে ঘুরে বেড়ানো কিছুটা সময়? আপনাদের মতামত গুলো জানার অপেক্ষায় রইলাম।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/maksudakawsar/status/1671413432833417217?s=20
আমি নিজেও চেষ্টা করি সব সময় ঘোরার জন্য। আসলে আমরা সবাই অনেক বেশি ব্যস্ত থাকি কাজ নিয়ে। যে সময়টা ফ্রী থাকে ওই সময়টা ঘুরাঘুরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাঝে মাঝে উঁকি ঝুঁকি দেওয়াটা খুবই ভালো। আগামীতে এমন সুন্দর জায়গায় যাওয়ার আগে আমাদের বলবেন যারা আমরাও শামিল হতে পারি। হাহাহা
জি ভাই অবশ্যই। আবার যখন কোন নতুন জায়গায় যাব তখন অবশ্যই আপনাকে নক দিব। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
সুন্দর একটি জায়গা অনেক লোকের আগমন ঘটে সেখানে। আমিও গিয়েছিলাম ঢাকায় ডিসেম্বর মাসে জাতীয় জাদুঘরে ঘুরে অনেক ভালো লাগছিল। আপনিও দেখছি খুব সুন্দর ঘোরাফেরা করলেন জাতীয় জাদুঘরে। সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলেন দেখে আবারো ভালো লাগলো। ধন্যবাদ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে উপহার দেওয়ার জন্য।
আমি তো জানি আপনি গিয়েছিলেন। আপনি তো আমাকে নিলেন না। তাই আমি একা একাই ঘুরে আসলাম। ধন্যবাদ আপু একটু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বিশেষ বিশেষ কিছু স্থানে ফটোগ্রাফি করতে অনেকে মানা করে থাকে তবুও সবাই সে কথা শুনে বসে থাকে না। ভালোলাগার জিনিসগুলো ফটোগ্রাফি করতে কার না ভালো লাগে, তাই সকলে চেষ্টা করে থাকে সুযোগে আপনার মত এভাবে ফটোগ্রাফি করতে। যাইহোক নতুন একটি স্থানে ভ্রমণ করতে গিয়েছেন, জাতীয় জাদুঘরের ভ্রমন করে মিউজিয়াম থেকে ফটোগ্রাফি করে সেই ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তা দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া বেশ সুন্দর একটি মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।