দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ঘাম ঝড়ানো সময়
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন বন্ধুরা ? আশা করি সবাই ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি বেশ ভাল আছি। আমি মাকসুদা আক্তার। তবে আপনাদের কাছে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। আমার বাংলা ব্লগ পরিবার আমার প্রিয় পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ আমার হৃদয়ের পরিবার। আর আমার বাংলা ব্লগ আমার ভালবাসার পরিবার। আর তাইতো পরিবারের মাঝে প্রতিদিন আমার কিছু না কিছু শেয়ার করা চাই। যদিও সমসাময়িক সময়ে আমি ব্যস্ততার মঙ্গল গ্রহে বসবাস করছি।
ব্যস্তময় সময়ের ব্যস্তময় জীবন। কিন্তু সমাজ আর প্রকৃতি তো আর আমার সমস্যাগুলো বা ব্যস্ততার জন্য বসে থাকে না। আমি যতই ব্যস্ত থাকি না কেন আমাকে তো পরিবার আর আত্নীয় স্বজন কে নিয়েই চলতে হয়। রাখতে হয় আত্নীয়তার বন্ধন অটুট। আপনার বা আমার কি সমস্যা সেটা কেউ বুঝবে না। বুঝবে শুধু তাদের কে কেন সময় দেওয়া হলো না। আসলে আজকে আমার মনে হচ্ছে পৃথিবী নয় মানুষ গুলো পাথরের মত কঠিন। নতুন জায়গায় পোস্টিং। সেই ভোরে আমাকে বের হতে হয়, আর ফিরতে ফিরতে সেই সন্ধ্যে। কিন্তু এর ই মধ্যে মরার উপর খারার ঘাঁ। বাসায় আসবে শ্বশুরবাড়ীর মেহমান। শ্বশুরবাড়ী বলে কথা। তাই বাজার ও হওয়া চাই তেমন। এ কারনেই শত ব্যস্তময় সময়ের মধ্যেও আমাকে চলে যেতে হলো বাজারে। না একা নয় সাথে ছিল শ্বশুড়ের আদরের ছেলে। বুঝে নেন তো সে কে?
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
বাপরে বাপ বাজারে যেয়ে তো দেখি আমি শুধু ঘেমে যাচ্ছি। কারন বহুদিন হলো আমি নিজে বাজারে যাই না। কিন্তু এরই মধ্যে যে সুজলা সফলা বাংলাদেশের বাজারের যে এত উন্নতি হয়েছে সেটা আমার জানা ছিল না। সবজির মধ্যে তো হাত দিলেই আগুন জ্বলে উঠে।বিশ্বের অনেক দেশে রমজানের আগে জিনিসের দাম কমে । আর আমাদের সোনার বাংলাদেশে রমজানে কোন জিনিসে হাত দেওয়ার সাধ্য কার । কারন দাম যে থাকে আকাশ চুম্বি।
করল্লা আর কাঁচা মরিচ তো ভাই ভাই। এদের দাম তো দেখি ১২০ টাকা। ঝাল আর তিতা ভিন্ন মাত্রার হলেও দামে কিন্তু ভাই ভাই। শুনে যেন বুকে একটা চাপ লেগে গেল। আর সবজির কথা কি বলবো যে সবজিতেই হাত দিচ্ছি সেটার দামই ৮০ টাকা। কি হলো রে বাপ এসব। এমনতো কখনও দেখি নি। মেজাজ টা বেশ বিগরে গেল। ভাবলাম ধাৎ মেহমান দের শুধু ডিম দিয়ে ভাত খাওয়াবো। মাথায় হাত ডিম ও দেখি আকাশ ছোঁয়া দামে পৌছে গেছে। শুধু টমেটো আর ফুল কপির দাম একটু কমই মনে হলো।
তারপর গেলাম আলু আর পেঁয়াজের বাড়িতে। যাক এইখানে যেয়ে যেন একটু নিঃশ্বাস নিয়ে বেচেঁ আসলাম। বেশ নাগালের মধ্যেই ছিল দাম। তাই ভাবলাম পেঁয়াজ আর আলু দিয়েই মেহমানদারী করা যায়। নারে ভাই তা কি আর হয়। তাই পরিমান মত কিনে নিলাম পেঁয়াজ আর আলু।
মসল্লার দোকানে যেয়ে মসলা কি কিনবো। দোকানদারের যে মুড তা দেখে তো মাথায় হাত। যেটা নিবেন একদাম। নো বারকগেনিং। সুতরাং তরকারি যেহেতু খেতেই হবে। তাই মসলাও কিনতে হবে। কিন্তু ব্যাগের দিকে তাকিয়ে তো মাথায় হাত কি করে যে কি করবো। চিন্তা করতে করতে কমিয়ে সমিয়ে কিছু কিছু মসলা নিয়ে মুডি দোকান দারের হাত হতে রেহাই পেলাম।
তারপর গেলাম মাছের দোকানে ভাই রে ভাই কি করবো। যে দাম মাছের কি যে করবো। আমার তো মনে হচ্ছিল যে এই মাছের বাজার গুলো শুধু সমাজের উচুঁ শ্রেণীর মানুষের জন্য। আমাদের মতো মধ্য বিত্ত পরিবার গুলোর জন্য ডাল ভাত আর আলু ভর্তাই যথেষ্ট। কিন্তু মেহমান বলে কথা তাই কয়েক পদের মাছ কিনতেই হলো। কারন মেহমান এসেছে ডাক্তার দেখাতে। তাই বেশ কয়েকদিনই থাকবে। তাইতো ইলিশ মাছ, রুই মাছ সহ আরও বেশ কয়েক পদের মাছ কিনে নিলাম। আর টাকার ব্যাগটাও খালি করলাম।
যাক অবশেষে মেহমানদের জন্য সোনার বাংলাদেশের সোনার ব্যবসায়িদের কাছ থেকে নিজের পকেট শূণ্য করে বাজার করে শরীরের ঘাম ঝড়াতে ঝড়াতে বাসায় চলে আসলাম। অবশ্য বাজারের ব্যাগগুলো শ্বশুরের ছেলেকেই বহন করতে হয়েছে। কিন্তু বাজার করে এসে বাসায় বসে বসে ভাবছি যে কি হবে এ দেশের গরীবদের অবস্থা? যাদের কোন ইনকাম নেই। তারা কি করে তাদের দিন কাটাচ্ছে?
❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️
![image.png](
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
যে সমস্ত মানুষগুলো দিন আই দিন খায় তাদেরকে বেঁচে থাকা বড় কঠিন হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত যেভাবে দ্রব্যমূলের দাম বেড়ে চলেছে এই দেখে দেশবাসী হতাশ। যাইহোক আপনি বাজার থেকে অনেক সুন্দর তথ্য নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন তবে এই বিষয়ে আমাদের সকল জনগণের সচেতন হতে হবে এবং বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।