লাইফ স্টাইল- চাঁদ রাতে হাতে মেহেদী পড়ার অনুভূতি|| lifestyle by @maksudakawsar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
ঈদ মোবারক। কেমন আছেন সবাই ? আশা করি বেশ ভালো আছেন। আমিও কিন্তু বেশ ভালো আছি। ঈদের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছি এদিক সেদিক। আর মোবাইলের ক্যামেরা বন্দী করছি বিভিন্ন রকমের স্মৃতি। যা পরবর্তীতে আপনাদের সাথে ধীরে ধীরে শেয়ার করবো ইনশাল্লাহ্। কারন ঈদের অনুভূতি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার না করে কি আর থাকা যায়?
প্রতিদিনের মত করে আজও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন করে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। হুম বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে আরও একিট লাইফ স্টাইল পোস্ট শেয়ার করতে যাচিছ। ঈদের চাঁদ রাতে হঠাৎই হাতে মেহেদী পড়ে নিলাম। বেশ অনেক বছর হয়েছে হাতে মেহেদী পড়া হয়ে উঠে না। তবে এবারও ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু ফ্রি পাইলে তো আর বসে থাকা যায় না। আর আজ চলে আসলাম সেই মজার কিছুটা অনুভূতি আজ আপনাদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই আজ আবার চলে আসলাম।।
চাঁদ রাতে হাতে মেহেদী পড়ার অনুভূতি
চাঁদ রাতে হাতে মেহেদী পড়ার অনুভূতি
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
ঈদের শপিং যতই করি না কেন । চাদঁ রাত বলে কথা। চাদঁ রাত আসবে আর আমি শপিং এ একটু যাবো না সেটা কেমন করে সম্ভব। এমনিতেই তো এবার বেশ ব্যাস্ততার মধ্যে রোজা গুলো পাড় করতে হয়েছে। চোখে মুখে অন্ধকার দেখেছি রমজানের প্রতিটি দিন। তারপর তো আছে পরিবারের জন্য ঈদের শপিং। এবার কিন্তু রমজানের শপিং আমাকে শেষের দিকেই করতে হয়েছে। আর তাই তো প্রায় দিনই রাতে শপিং শেষে কোন রকমের বাসায় ঢুকে সেহেরী খাওয়া। আর এমন করেই রমজানের শেষের কটা দিন আমাকে কাটাতে হয়েছে।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
এতকিছুর পরও যখন শপিং যাওয়ার পথে চোখে পড়ে রাস্তার পাশে হাজারও মেয়েরা হাতে মেহেদী পড়ছে তখন কেন জানি একটু এগিয়ে যেয়ে চুপি দিয়ে দেখে আসতে মনে চায়। আর তাই তো আমিও দু একদিন ছুটে গিয়েছিলাম দেখার জন্য। আর আমার এমন কৌতহল দেখে তো আপনাদের ভাইয়া আর থেমে থাকতে পারেনি। মনে মনে ভেবেই রেখেছে যে আমাকে সে মেহেদী পড়াবে তাও আবার মেহেদী রাতে।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
তো চাঁদ রাতে যখন বাহিরে গেলাম। তখন আপনাদের ভাইয়া আমাকে বেশ জোড় করেই ধরে নিয়ে গেল মেহেদী পড়ানোর দোকান গুলোতে। আমাকে জিজ্ঞেস করতে বলল মেহেদী পড়াতে কত করে নেয়। আমার তো তেমন ইচ্ছে নেই। তাই তো এসে বললাম দু হাতে ১০০০/- টাকা লাগবে। আর এক হাতে ৫০০/- টাকা। আমার কথা শুনে সে নিজেই চলে গেল উনাদের সাথে কথা বলতে। তারপর আমাকে নিয়ে জোড় করে বসিয়ে দিলো মেহেদী পড়ার জন্য। যদিও একটু সিরিয়াল ছিল বেশী। তবুও আপনাদের ভাইয়ার আগ্রহ দেখে আমার সিরিয়ালটি একটু আগে আগেই করে দিলো।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
বাপরে বাপ এত সময় নিয়ে কি কেউ বসে বসে মেহেদী পড়ে নাকি? একদিকে মশার কামড় আর অন্য দিকে বসে থাকতে কষ্ট। আমার তো হাত এক জায়গায় থেমে থাকে না। শুধু ছুটা ছুট করে। একবার এই দিকে তো আর একবার ঐদিকে। আমার এমন হাত পা ছুড়াছুড়ি করা দেখে ওনারাই বেশ অসহ্য হয়ে গেল। আমাকে এক ধমক দিয়েই বসিয়ে দিলো। আমি তো থো। তারপর যা হওয়ার হলো। আর এক সময়ে মেহেদী পড়ানো শেষ হয়ে গেল। তখন দেখলাম দু হাতে মেহেদী পড়ানো জন্য তারা বিল নিলো মোট ৬০০/- টাকা। আমি আর কিছুই বললাম না চুপে চুপে চলে আসলাম। পাছে যদি বকাঝকা খেতে হয়।
শেষ কথা
শেষ কথা
তবে চাঁদ রাতে মেহেদী পড়ার অনুভূতি কিন্তু সত্যি সত্যি ভিন্ন রকমের। একটু মেহেদী না পড়লে তো আর ঈদ ঈদ মনে হয় না। মনে জাগে না কোন আনন্দ।কি বলেন আপনারা?
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Tweet
সত্যিই আপু নানান ব্যস্ততায় হাতে মেহেদি পরা হয়ে উঠে না।কিন্তু চাঁদ রাতে হাতে মেহেদি না দিতে পারলে ঈদ ঈদ মনেই হয় না।আপনি তো খুব সুন্দর ভাবেই দুই হাতে মেহেদি দিলেন।আমিতো এক হাতে দিযেছি।যাক দুই হাত ৬০০ টাকা নিয়েছে।আবার মশার কামড় ও খেতে হলো।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
খেলাম মানে একেবারে পা লাল হয়ে গেছে। ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি দেখছি চাঁদনী রাতে খুব সুন্দর মনোরম দৃশ্যের মধ্যে হাতে মেহেদি দিয়েছেন। আসলে আপু খোলামেলা জায়গায় হঠাৎ চাঁদনী রাতে যদি ফাঁকা স্থান মেরে দিতে বসেন আর মেহেদী দেয়া খুবই ধৈর্যের একটা ব্যাপার এতে অনেকক্ষণ বসে থাকতে হয় আর হাত নড়াচড়া করা যায় না এতে মশার কামড় ও খেতে হয়। তবে যাই হোক খুব সুন্দর করে মেহেদী দিয়েছিলাম ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখতে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ভাইয়া আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
রমজান মাসে ঈদের আগে সবাই কমবেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ঈদের কিনা কাটা করার সাথে সাথে তাহলে হাতে অনেক সুন্দর করে মেহেদি লাগালেন। তবে ভাইয়া ভালোই করেছে জোরাজোরি করে আপনার হাতে মেহেদি লাগানোর জন্য নিয়ে গেল। তবে আপনি বলেছেন এক হাতে মেহেদী লাগানো ৫০০ টাকা কিন্তু আপনার দুই হাতে মেহেদি লাগিয়ে দিয়ে 600 টাকা নিলো। তবে আমাদের এদিকে এভাবে মেহেদি লাগানোর ব্যবস্থা নেই। খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
হাতে মেহেদি দিলে মেয়েদের বেশ ভালো লাগে। তবে ব্যস্ততার মাঝে সবার তো সব সম্ভব হয়ে ওঠে না। তারপরে হাতে মেহেদি দিতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। যাইহোক সুন্দর একটা অনুভূতি জানতে পেরে অনেক খুশি হলাম। আশা করি ঈদের দিন গুলি ভালো কাটলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর এবং সাবলীল মন্তব্য করার জন্য।
চাঁদ রাতে যদি হাতে মেহেদি না লাগানো হয়, তাহলে অন্যরকম লাগে। ঈদ যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায় এরকমই মনে হয়। প্রত্যেকটা মেয়ে হাতে মেহেদি লাগাতে অনেক বেশি পছন্দ করে। চাঁদ রাতে সবাইকেই দেখি হাতে মেহেদি লাগায়। আমার কাছে কিন্তু এই বিষয়টা অনেক বেশি ভালো লাগে। ঢাকাতে তো দেখছি রাস্তার পাশে বসে মেহেদি লাগানো হচ্ছে। দাম বেশি বললেও ভাইয়া নিজের আগ্রহ থেকেই আপনাকে মেহেদি লাগানোর জন্য জোর করে ছিল দেখে খুব ভালো লাগলো। তবে এক হাতে মেহেদি লাগানোর অনেক দাম দেখতেছি। কিন্তু এটার থেকে তো আমি মনে করি গ্রামটাই খুব ভালো। গ্রামে একে অপরের বাড়িতে গিয়ে এমনিতেই মেহেদি লাগিয়ে আসে আনন্দের সাথে।
হুম ভাইয়া তাই তো ভাবী যে শহরর চেয়ে গ্রামের মানুষই ভালো আছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
চাঁদ রাতে হাতে মেহেদি পড়ার মজাই আলাদা৷ আসলে আর কোন সময় চাঁদ মেহেদী পড়া হোক বা না হোক চাঁদ রাতে মেহেদি পড়াই হয়৷ এরকম মুহূর্তগুলো পড়তেও খুবই ভালো লাগে৷ ছোটবেলায় আমরা সকলে মিলে একসাথে বসতাম এবং সকলে একসাথে মেহেদী দিতাম৷ সে মুহূর্তটি একেবারে অন্যরকম ছিল৷ আজকে আপনার কাছ থেকে এটি পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল৷
দুই হাতে মেহেদী পরানোর জন্য ৬০০ টাকা আমার কাছে মোটামুটি ঠিকই মনে হয়েছে। তবে আমাদের ভাই যে অনেকটা ভালোবেসে আপনাকে মেহেদীর দোকানে নিয়ে গেছে, এটা তো অনেক ভালো কথা আপু। এরকম হাসবেন্ড তো অনেকের কপালেই জোটে না। যাইহোক, দুই হাতে মেহেদী দেওয়ার পর অনেক সুন্দর লাগছে আপু হাতগুলো দেখতে।