এনটিভি নাটক বাবার ঘর এর রিভিউ

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম

আজ বুধবার, ১৯ই অক্টোবর

বন্ধুরা কেমন আছেন আপনারা সবাই ? আশা করি সবাই ভাল ও সুস্থ্য আছেন। আর আমিও আপনাদের দোয়া ও ভালবাসায় মহান আল্লাহর রহমতে বেশ ভাল আছি।


আজকে আমি আপনাদের জন্য আমাদের সমাজের একটি বাস্তব চিত্র নিয়ে এনটিভি চ্যানেলে সাম্প্রতিক সময়ে প্রচারিত একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার মত আপনাদের কাছেও নাটকটি বেশ ভাল লাগবে।

babar-ghor_thumbnail_1.jpg

প্রাপ্তি: YouTube

তাহলে চলুন শুরু করা যাক-

গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

নাটকবাবার ঘর
পরিচালকমাহমুদ হাসান রানা
অভিনয়েফজলুর রহমান বাবু, মাজনুন মিজান, রুনা খান, মাসুদ হারুন , তন্ময় সোহেল এবং আরও অনেকে
লেখকমনসুর রহমান চঞ্চল
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা ভাষা
প্রচারসাম্প্রতিক সময়
সময়৪৬ মিনিট
প্লাটফর্মএনটিভি চ্যানেল

নাটকটির পটভূমি

নাটকের প্রথম দৃশ্যে দেখা যায়, একজন বৃদ্ধ ভদ্রলোক রিক্সায় চড়ে ফুল হাতে একটি বাড়ীর ভিতর প্রবেশ করেন। এরপর বাড়ীর ভিতরে বসে থাকা বাড়ীর বাড়ীওয়ালা তাকে দেখে এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করেন আরে ভাইজান হাতে ফুল কেন? কোন খুশির সংবাদ আছে নাকি? তখন বৃদ্ধ লোকটি হাসতে হাসতে উত্তর দেয়, নারে ভাই ফূল সবসময় খুশির বার্তা নিয়ে নিয়ে আসে না। কখনও কখনও দুখের বার্তাও নিয়ে আসে। আজকে চাকুরীর শেষ দিন ছিল, তাই কলিগরা ফেয়ারওয়েল দিয়েছে। তখন বাড়ীওয়ালা ভদ্রলোক বলেন তারমানে আজকে আপনার চাকুরীর শেষ দিন। ভালই হলো আর কত চাকুরী করবেন? বাকী জীবনটা ছেলে মেয়ে আর নাতী নিয়ে আনন্দে সময় কাটাবেন। আর আমার জন্য ভালই হলো এখন থেকে দুজন মিলে আনন্দে সময় কাটানো যাবে। তিনি হাসতে হাসতে আরও বলেন জীবনের এই দ্বিতীয় ইনিংসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রভিডেন্টফান্ড আর পেনশনের টাকায় স্বাচ্ছন্দে সুখকর জীবন।

index.png

(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)

নাটকের এ পর্যায়ে দেখা যায় যে, ভদ্র লোক নিজের ঘরে প্রবেশ করে দেখেন বাড়ীতে তার দুই ছেলে, বড় ছেলের বউ নাতি আর মেয়ে এসেছে। ভদ্রলোক তাদের কে দেখে মহা খুশি হন। তাই তিনি সন্তানদের জন্য ভালমন্দ বাজার করতে তার কাজের ছেলেকে বাজারে পাঠান। এতে করে সন্তানরা বাধা দিতে চাইলেও বড় ছেলের বউ খুব উৎসাহ নিয়ে বাজার করতে বলে। তারপর বড় ছেলের বউ নিজ হাতে রান্না বান্না করে। রান্না করার সময় বাড়ীর কাজের ছেলে বড় ছেলের বউ কে জিজ্ঞেস করে আচ্ছা ভাবী এতদিনতো কেউ চাচাজান কে দেখতে আসেনি, এমন কি মাসে একবার খোজখবর ও নেয় নাই। তয় আইজ বাড়ীতে সবাই কেন আইছে। এদিকে ভদ্রলোকের দুই ছেলে ও এক মেয়ে বাড়ীর ছাদে বসে নিজেদের মধ্যে সলাপরামর্শে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে।

index.png

(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)

নাটকের এ দৃশ্যে দেখা যায় যে, বড় ছেলের বউ শ্বশুরের সাথে গল্প করছে, এমন সময় বাড়ীর কাজের ছেলেটি ভদ্র লোক কে বলেন যে চাচা আপনেরে রিমা আপা ডাকছে। তখন ভদ্রলোক ও তার ছেলের বউ ড্রয়িংরুমে যান। সেখানে ভদ্রলোকের সন্তানদের সাথে ভদ্র লোকে একত্রে বসেন। বড় ছেলে বাবার উদ্দেশ্যে বলেন, ’’বোবা আমরা তিন ভাই বোন মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটাকে কঠিনভাবে নিলে কঠিন আর গভীরভাবে নিলে সহজ। সন্তান ছোট থাকতে বাবা-মা তাদের মানুষ করে, আবার যখন বড় হয় তখন তাদের বাবা মার প্রতি কর্তব্য থাকে।’’ এ বলে বড় ছেলে থেমে যায়। তখন ছোট ছেলে বলে ’’না মানে বাবা তোমার চাকুরী শেষ তুমি এখন এই ভাড়া বাড়ীতে একা একা থাকবে আর আমাদের ও তো এত সময় নেই যে তোমাকে প্রতিদিন এসে দেখে যাবো ‘’। এবার বড় ছেলে বলে তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তুমি আমাদের কাছে থাকবে। তখন তাদের বাবা বলে ও আচ্ছা ঠিক আছে, তা কার কাছে থাকবো সেটা তো বললে না। তখন বড় ছেলে বলে না তুমি সবার বাসায় এক মাস করে থাকবে। আর অন্য ভাই আর বোন বলে এতে করে তোমার মনও ভাল থাকবে। কিন্তু এই বিষয়টি ভদ্র লোকের বড় ছেলের বউ মেনে নিতে চায় না। তিনি চান তার শ্বশুর তার কাছেই থাকুক। ভদ্রলোকের বড় ছেলে বাবার কাছে তাদের সবার বিভিন্ন কারনে টাকার সমস্যার কথা বলেন। তখন ভদ্রলোক বলেন আমি শুধু তোদের মানুষই করতে পেরেছি। কিন্তু এ শহরে কোন সম্পতি করতে পারিনি। তবে তোরা চিন্তা করিস না আমার প্রবিডেন্ট ফান্ডের টাকা আমি তোদের মাঝে সমান ভাগে ভাগ করে দিব।

index.png

(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)

নাটকের এ দৃশ্যে দেখা যায় যে , তার ঘরে ঢুকে মৃত স্ত্রীর ছবির দিকে নিস্তব্দ হয়ে তাকিয়ে থাকেন। এরপর দেখা যায় বৃদ্ধ ভদ্রলোক তার এই বিষয়ট নিয়ে তার বাড়ীওয়ালার সাথে আলোচনা করেন। তখন বাড়ীওয়ালা বলেন, বিষয়টার মধ্যে আমি কোন সমস্যা দেখছি না ভাইজান। এই বয়সে সন্তানদের কাছে থাকবেন এইটাই তো স্বাভাবিক।ভালই তো আপনার সন্তানরা আপনাকে নিতে চায়। সন্তানদের কাছে যান। তারপরতো আমি আছি। আমারে আপনি শুধু বাড়ীওয়ালা মনে কইরেন না। আমার সন্তানরা সব দেশের বাহিরে থাকে। এখানে আমি একা। এখানে আমার আপন বলতে আপনিই আছেন। তখন ভদ্রলোক বলেন ঠিক বলছেন বৃদ্ধ বয়সটা সন্তানদের সাথেই কাটানো ভাল। অনেকের তো আবার এই ভাগ্যটা হয় না।

index-1.png

(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)

নাটকের এ দৃশ্যে দেখা যায়, ভদ্র লোকের বড় ছেলে আর নাতি টিবিলে নাস্তা করছে। ছেলে জিজ্ঞেস করে তোর মা কোথায়? তখন নাতি বলে মা বাজারে গেছে। কিছুক্ষন পর বাসার কলিং বেল বেজে উঠলে বড় ছেলে গেইট খুলে দেখে যে তার বাবা এসেছে। বাবাকে দেখে বড় ছেলের মুখটা কালো হয়ে যায়। ছেলে বাবা কে বলে বাবা তুমি কই তুমি আসবে আগে তো বলনি। এরপর ছেলে বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে অফিসে চলে যায়। এদিকে সিড়িতে ভদ্র লোকের বড় ছেলের সাথে তার স্ত্রীর দেখা হয়। তখন সে তার স্ত্রীকে বলে বাবা আসবে আমি তো জানতাম না। তখন তার স্ত্রী বলে কেন তোমরাই তো ঠিক করলে বাবা তোমাদের সবার বাসায় একমাস করে থাকবে। এরপর দেখা যায় যে, বড় ছেলের বউ শ্বশুরের জন্য চা করে নিয়ে আসে। একপর্যায়ে সে শ্বশুরের পাশ্বে যেয়ে বসে এবং শ্বশুর কে বলে বিশ্বাস করেন বাবা আমি এগুলো কিছুই জানতাম না। আমার ইচ্ছে ছিল আপনি আমাদের এখানেই থাকবেন। ঘরে একটা মরব্বী থাকাও অনেক ভাগ্যের বিষয়। তখন ভদ্রলোক তার ছেলের বউকে বলে নারে মা আমি অনেক ভাগ্যবান যে তোর মত একটা ছেলের বউ পেয়েছি।

index.png

(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)

এদিকে রাতে ভদ্রলোক তার নাতির রুমে বসে পেপার পড়ছে এর মধ্যে নাতী মোবাইল টিপতে টিপতে ঘরে প্রবেশ করে। তখন ভদ্রলোক তাকে বলে আজ থেকে আমরা দাদা নাতী এই বিছানায় একসাথে থাকবো। এ কথা শুনে নাতীর মুখ চোখ কালো হয়ে যায়। কিছুক্ষন পর ভদ্র লোকের নাতী তার বাবা মায়ের ঘরে যেয়ে জোড়ে জোড়ে বলে দাদা আমার ঘরে কেন? তোমরা জানো না আমি একা থাকতে পছন্দ করি। তখন বড় ছেলের বউ তার নাতীকে ধমক দিয়ে বলে তোমার দাদা যে কদিন থাকবে তার সাথে তোমাকে থাকতে হবে। তখন নাতী বলে উঠে ওকে তাহলে আমি স্কুলেও যাবো না আর পড়াশুনাও করবো না। এসব কথা শুনে ভদ্রলোক তার বড়ছেলের রুমে আসে আর ছেলেকে ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। তখন ছেলেটা তার বাবকে বলে বাবা তুমি তোমার নাতীর কথায় কষ্ট পেয়েছো না? তখন ভদ্রলোক বলে আমাকে নারে কিসের কষ্ট ওর বয়সে আমরাও এরকম একা থাকতে চাইতাম। এবার ভদ্রলোক বলে আমাকে তোদের স্টোররুম টা পরিস্কার করে দে আমি ঐ রুমেই থাকবো। আর সবাই কে খবর দে আমি আমার প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাটা ভাগ করে দিবো। এরপর কাজের ছেলেটাকে দিয়ে স্টোররুমে পরিস্কার করা হলে ভদ্র লোক সেই রুমেই থাকে।

index-1.png

(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)

নাটকের এ দৃশ্যে দেখা যায় যে, বৃদ্ধ ভদ্রলোক সোফায় বসে পেপার পড়ছে সেখানে তার নাতি আসে এবং ভদ্রলোকে বলে দাদু তুমি আমার উপর রাগ করেছো? আসলে আমি কারো সাথে রুম শেয়ার করতে পারি না। একথা শুনে ভদ্রলোক বলে নারে দাদু। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার একটা টেরাং ছিল সেখানে নাটাই ঘুরি আরও কত কিছু থাকতো আর আমার এ্ টেরাং যদি কেউ ধরতো তাহলে আমার ও মন খারাপ লাগতো। এদিকে ভদ্র লোকের সেই কাজের ছেলেটা তাকে জিজ্ঞেস করে চাচা আপনি তো কখনও এই রাকম ঘরে থাকেন নাই। এখানে আপনের অনেক কষ্ট হইতাছে না। তখন বৃদ্ধ ভদ্র লোক বলে নারে সবার সাথে আছি এটাই বড় কথা।

index.png

(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)

এদিকে রাতে ভদ্রলোকের ছোট ছেলে আর মেয়ে আসে। আর তাদেরকে নিয়ে রাতে সবাই একত্রে খেতে বসে। খাওয়ার টেবলে ভদ্রলোকের মেয়ে তার বাবাকে বলে বাবা এই যে আমরা সবাই এসেছি তোমার ভাল লাগছে না। তখন ভদ্র লোক বলে হ্যা এ বাড়ীতে এসেছি আজ ২০-২২ দিন হলো এসেছি এর মধ্যে তোমরা আজকে আসলা এটাতো ভাল লাগারই কথা। একতা বলে ভদ্রলোক খাবার টেবিল থেকে উঠে যায়। তখন তার ছোট ছেলে বলে কি ব্যাপার বাবা কি রাগ করলো নাকি? এবার ভদ্রলোকের বড় ছেলে বলে না আসলে বাবা আমার বাসায় আসছে প্রায় একমাস হলেো এবার তোর বাসায় যাওয়ার পালা এই কথাই বাবা মনে করিয়ে দিল। এ কথা শুনে ছোট ছেলে বলে না আমার বাসায় নেওয়া যাবে না, আমার বউ বাবা যাওয়ার কথা শুনে রাগারাগি করে বাবার বাড়ী চলে গেছে। তখন বড় ভাই তার বোন কে বলে তাহলে তোর বাসায় যাবে। একথা শুনে ছোট বোন তার ভাই কে বলে আমি তো আগামী মাসে দেশের বাহিরে যাচ্ছি, আমার বাসায় কিভাবে যাবে? এসব কথা শুনে বড় ছোলের বউ বলে বাহ্ ভাল কথা একজন বাবার পেনশনের টাকা দিয়ে ফ্লাটের কিস্তি দিবে, আরেকজন নতুন গাড়ী কিনবে আর একজন দেশের বাহিরে ঘুরতে যাবে। অথচ যার টাকায় এতকিছু হবে তারই কোন থাকার জায়গা ঠিক করা নেই। একথা শুনে তিন ভাইবোন বড় বউ কে বলে তুমি যা জানো না তা নিয়ে কথা বলতে এসো না। বাবা আমাদের জন্য কিছুই করে যান নি। আজ আমাদের এই অবস্থার জন্য বাবা দায়ি। এসব কথা শুনে বড় বউ বলে আমি তোমাদের সাথে নেই। তবে মনে রেখ তোমাদেরও সন্তান আছে আর সন্তান হবে। প্রকৃতি কিন্তু কাউকে ছাড় দেয় না। প্রকৃতি কিন্তু সময় মত সব ফিরিয়ে দেয়।আর এসব সব কথা ভদ্রলোক তার রুমে বসে শুনেছে।

index.png

(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)

পরদিন ভোরে বড় ছেলে ড্রয়িংরুমে বসে চা খেতে খেতে তার স্ত্রী কে জিজ্ঞেস করে বাবা কোথায়? বাবা কে তো রুমে দেখলাম না। তখন বড় ছেলের স্ত্রী উত্তর দেয় বাবা চলে গেছে। ও হ্যা আর একটি কথা বাবার যে প্রভিডেন্টফান্ডের টাকা তোমাদের কে দেওয়ার কথা ছিল তা তোমরা পাবা না। আমি থাকতে তা হতে দিবো না। বাবার টাকা ব্যাংকে থাকবে সেই টাকা দিয়ে তিনি চলবেন। তার মৃত্যুর পর সেই টাকা তোমাদের সবার মাঝে সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। এসব কথা শুনে বড় ছেলের মন খারাপ হয়ে যায়। সে স্তব্দ হয়ে বসে থাকে।

index-1.png

(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)

নাটকের শেষ দৃশ্যে দেখা যায় যে, বৃদ্ধ ভদ্রলোক তার মৃত্যু স্ত্রীর ছবির সাথে কথা বলে। তিনি তার মৃত্যু স্ত্রীকে বলে আমি ভুল করেছি তোমাকে ছেড়ে চলে যেয়ে। আমি আর যাবো না। তবে তুমি তোমার সন্তানদের কে অভিশাপ দিও না। এসব কথা বলতে বলতে ভদ্রলোক কান্নায় জড়িয়ে পড়ে। এদিকে সেখানে তার কাজের ছেলে আর বাড়ীওয়ালা ভদ্রলোক দাড়িয়ে থাকে।

index.png

(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)

রিভিউ

নাটকটি দেখে আমার খুব ভাল লেগেছে। আসলে বাবা মা আমাদের কে বড় করে মানুষের মত মানুষ বানায়। কিন্তু আমরা বড় হয়ে শুধু বাব মায়ের অর্থ সম্পত্তির জন্য হায়হুতাস করি। কিন্তু তাদের যে কি দরকার বা তাদের শেষ জীবনে তারা কিভাবে চলবে আমরা সেই কথা কখনও ভেবে দেখি না। আমার মনে হয় নাটকটি আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্র নিয়ে বানানো হয়েছে। তবে নাটকটিতে একটি ভাল বিষয় আছে যে এখানে বড় ছেলের বউটাকে ভাল মানুষ হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

রেটিং

পরিচালনা১০
কাহিনী১০
অভিনয়ে১০

ভাল থাকবেন , সুস্থ্য থাকবেন।

4bEjbgCbFMvA8T33kKpp3RsBvZue1Hns5Cwuz57pgmmNsNm69BvSk1AJmpxNTS4pL3vHiENLbAz3uRYvkzCHo62J16v8SBo7zpHgViW2yotwk1h5RE41hP2qzb7ELuJ3M646bDwEPdWALxxSwivrhMnjnGhcCBFuAKUHSjQuMNQZSJx9eV.gif

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovTUshBEnxRTgb9n2LUqHX7h1H2p2D18YQFUDgxbpg8bp7AxwH9vK7k1SRqaoEJbCQrboh4ga6xfDvigcW6zfkH8S.png

আমি মাকসুদা কাউছার। ভালবাসি আমার বাংলা কে। ভালবাসি ফটোগ্রাফি, রান্না এবং প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে। এরই মাঝে আমি আবার লেখালেখি করতেও পছন্দ করি। তাই আমার নিজের মনের আবেগ ও কথাগুলোকে সাবলীল ভাষায় প্রকাশ করার জন্য আমার প্রিয় মাতৃভাষা বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালবাসি।বাংলা আমার মায়ের ভাষা।

pBMyo3B2Sao2EbuHAFTX1CNWMbam25xJGPs4sKmLS6XL7jPcLJ4PhfmbsQbXEmSBkiJH1y8vcCZLEDiVjH9fUC37Hpjmz6Czw4oJd4hidqWpdsEDnaUW3Rt3p3eTZGQkoiwZDyH4hdDt99wPqRBy3pVZE1qtEmMBB3MC4V4MJCpzUCii.png

Sort:  
 2 years ago 

Thank you

 2 years ago 
আপনার এ নাটকটি আমার সে ভাবে দেখা হয়নি। তবে আপনার নাটকে রিভিউ গুলো পড়ে বুঝতে পারলাম এই নাটকের বাস্তব জীবনের সাথে অনেক মিল রয়েছে। বর্তমানে আমাদের সমাজে এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটে চলেছে।বাবা মা আমাদেরকে এত যত্ন করে লালন-পালন করেছে,সে বাবা-মাকে আমরা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করি। একদিন সব চলে যাবে, কিন্তু বাবা-মা চলে গেলে সে বুঝবে আসলে সে কি হারিয়েছে। অনেক সুন্দর একটা নাটক রিভিউ করেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
 2 years ago 

আপনি এই নাটকের মাঝে বর্তমান সমাজের বাস্তব চরিত্র তুলে ধরেছেন। বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় কিছু কিছু সন্তানেরা ঠিক এমনই, মা-বাবা তাদেরকে কষ্ট করে লালন পালন করেছে কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে তারা মা বাবাকে দেখে না। মা-বাবার কথা তারা শুনতে পারে না শেষমেশ তারা তাদের সম্পত্তি নিয়ে একে অপরের সাথে দ্বিধা দ্বন্দ্বে জড়িত হয়। কিন্তু তারা হয়তো এটা মনে রাখে না যে তারাই তাদেরকে এই পৃথিবীতে এনেছে এবং বড় করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য এত চমৎকার একটি নাটক রিভিউ।

 2 years ago 

আপনি খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দিয়েছেন ।নাটকটি আমি কয়েকদিন আগে অর্ধেক দেখেছি পুরাটা দেখার সুযোগ হয় নি। তবে নাটকটি দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে নাটকের চরিত্র এবং সংলাপ গুলো খুবই অসাধারণ ছিলো। আপনার পোস্টটি দেখে নাটকটি পুরো দেখার ইচ্ছে হলো। সময় পেলে অবশ্য দেখে নেবো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

 2 years ago 

সম্পন্ন নাটকটি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন।
সম্পন্ন রিভিউটি পড়ে মনে হচ্ছে নাটক টি আর দেখার প্রয়োজন নেই। কেননা নাটকের প্রত্যেকটি ঘটনাতে খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন।

 2 years ago 

সন্মানীত এডমিন মহোদয়। আজ আমি অত্যন্ত গর্বিত যে আমার একটি পোস্টে আপনি কমেন্ট করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ দেওয়ার সেই দুঃসাহস আমার নেই। ভালো থাকবেন আর আমার জন্য দোয়া রাখবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 60752.38
ETH 2453.49
USDT 1.00
SBD 2.63