ফান্দে পড়ে জোড়া চশমা কেনা
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন বন্ধুরা ? আশা করি সবাই বেশ ভালই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালই আছি। যদিও জটিলতার মধ্য দিয়ে পার হচ্ছে জীবনটা। আমি মাকসুদা আক্তার। তবে আপনাদের কাছে আমি @maksudakawsar হিসাবেই পরিচিত। আমি প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে গল্প, কবিতা, রেসিপি, ট্যাভেল, ভিডিও কভার এবং ডিজিটাল আর্ট সহ ভিন্ন ধরনের পোস্ট করতে বেশ পছন্দ করি। তারই মাঝে চেষ্টা করি আমার জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু বিষয়ও আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে। হয়তো বা আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের কারও কারও বেশ ভাল লাগে। আবার কারও কারও বেশ খারাপ লাগে। তা যাই হোক আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি আপনাদের কে ভাল কিছু উপহার দিতে। তাইতো আজ আপনাদের সাথে এমন একটি বিষয় উপস্থাপন করতে যাচ্ছি যা হাস্যকর ও বটে। আশা করি আমার আজকের গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালই লাগবে। তবে আমি আশায় থাকবো আপনাদের ভাল আর খারাপ মন্তব্য গুলো জানার। ছবি সোর্স এইতো কয়েকদিন আগের কথা। একটি জরুরী প্রয়োজনে আমাকে পান্থপথ যেতে হয়েছিল। তো সন্ধ্যায় আমি আর ছোট ভাই রওনা হয়ে গেলাম পান্থপথের উদ্দেশ্যে। আমরা দুজনেই লাব্বাইক বাসে উঠে পড়লাম। অবশ্য সন্ধ্যা হওয়াতে বাসে সিট পাওয়াটাই বেশ মুসকিল। তবু যেতে হবে। কি আর করার। মৌচাকের কাছে এসে বাসের লোক নামাতে বাসটায় সিট খালি হলো। আমি সামনেই একটি সিটে বসে পড়লাম। এরই মধ্যে কখন যে আমার চশমা টা মাটিতে পড়ে গেল নিজেই বুঝলাম না। আমি তো আমার চশমাটা খোঁজা শুরু করলাম। হঠাৎ দেখি একজন মহিলা আমার চশমাটি অন্য একজন মহিলা কে দিচ্ছে। আমি তখন বললাম, আরে এটা তো আমার চশমা। যাই হোক তারপর আমি চশমা হাতে পেয়ে গেলাম। কিন্তু যতক্ষনে আমি চশমাটা হাতে পেলাম ততক্ষনে আমার চশমাটি আর পড়ার যোগ্য না। ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু চশমা তো আমার অনেক প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। আর চশমা ছাড়া তো যাওয়া যাবে না। বড়ই চিন্তায় পড়ে গেলাম। কিছুদূর যেয়ে দেখলাম রাস্তায় প্রচুর জ্যাম। আর গাড়ীটা যেখানে থামানো সেখানেই চশমার দোকান। আমি সাধারণ আমার যত চশমা তা এই মার্কেটের একটি বড় দোকান থেকেই কিনি। তাই আর দেরি না করে নেমে গেলাম চশমা কেনার জন্য। কারন পড়ে হয়তো আর সময় হয়ে উঠবে না। যে ঝামেলার জীবন আমার। তাই বাস হতে নেমে ছোট ভাই কে নিয়ে ঢুকে পড়লাম আমার পছন্দের চশমার দোকানে। এই মার্কেটের এই একটি দোকান যেখানে অনেক কাস্টমার হয়। আর একটি কথা আমি যে ডাক্তার কে চোখ দেখাই তিনি কিন্তু আবার দোকানে বসে। আবার ডাক্তার সাহেবও আমার বেশ পরিচিত। আবার এই দোকানের মালিক ও কর্মচারী সবার সাথে আমার বেশ ভাল সম্পর্ক। তবুও আমি সবসময় সবুজের কাছ থেকে পছন্দের চশমাটা কেনার চেষ্টা করি। কারন ছেলেটি ভাল বুঝে আমার পছন্দ। তাই চলে গেলাম সোজা সবুজের কাছে। আমার চশমার বেহাল দশা দেখে আর চশমা ভাঙ্গার ঘটনা শুনে সবুজ তো হাসতে হাসতে শেষ। যাই হোক সবুজ বলল আগে ডাক্তার সাহেব কে দেখিয়ে চশমা নিলেভাল হবে । আমি ভাবলাম বেশ কিছুদিন হলো চোখ দেখানো হয় না। তাই ডাক্তার সাহেব কে চোখ দেখানো যেতেই পারে। তাই পান্থপথ যাওয়ার প্ল্যানটা ক্যান্সেল করে ডাক্তার সাহেবর জন্য অপেক্ষা করলাম। প্রায় আধ ঘন্টা পড়ে ডাক্তার সাহেব চেম্বারে ঢুকলো। আর এর মধ্যে চা পানি খাওয়া হয়েও গেল। আরে নিজের টাকায় নয়। সেই দোকানে গেলে আমাকে এককাপ চা দিবেই। যাই হোক ডাক্তার সাহেব আসলে প্রথমে আমাকেই ভিতরে যেতে দেওয়া হলো। অবশ্য বাহিরে অনেক রোগীও ছিল। ডাক্তার সাহেবও আমার চশমার ফ্রেম দেখে কিছুক্ষণ খিল খিল করে হাসলো। তারপর ভাল করে চোখ দেখে পাওয়ার লিখে দিলো। চোখের পাওয়ার কোন পরিবর্তন হয়নি।বরং আর একটু পাওয়ারের চশমা আমাকে পড়তে হবে। আমি পাওয়ারের কাগজ সবুজের কাছে দেওয়াতে সবুজ অনেক সুন্দর সুন্দর ফ্রেম আমাকে দেখালো। আমি না হলেও ৫০-৬০ টি ফ্রেম দেখে ফেললাম। ফ্রেম পছন্দ করতে আমার বেশ সময়ই লাগছিল। পছন্দ করতে করতে অনেক ফ্রেমই আমার পছন্দ হয়ে গেল। অবশেষে সব ফ্রেম গুলো হতে দুটো ফ্রেম পছন্দ করে নিয়ে নিলাম। দুটো নিলাম সবুজের বুদ্ধিতে। যাতে একটা ভাঙ্গলে অন্যটা ব্যবহার করতে পারি। হা হা হা। দুটি ফ্রেমের দাম কষাকষি করে অবশেষে ২২০০/- টাকা দিতে হলো। তারপর আমরা অপেক্ষা করতে লাগলাম। কারন পরিচিত হওূয়ায় চশমা সাথে সাথে দিয়ে দেয়। আর এই ফাঁকে আমি দোকানটার কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম আপনাদের জন্য।
Made By-@maksudakawsar
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার চশমাটি ভেঙ্গে গিয়েছে এটা জেনে খুবই খারাপ লাগলো। আপনি একসাথে দুইটা চশমা কিনে ভালোই করেছেন। দোকানের ঐ লোকটি তো দেখছি বেশ ভালোই বুদ্ধি দিয়েছে আপনাকে। যখন একটি চশমা ভেঙ্গে যাবে তখন আরেকটি চশমা লাগাতে পারবেন আপনি। এবার থেকে সাবধানে চলাফেরা করবেন তাহলে চশমা আর ভাঙবে না। বাসে চড়ে তাহলে আপনার ২২০০ টাকাই খরচ হয়ে গেল।
জি আপু এখন থেকেই সাবধানে চলাফেরা করবো।
দুইটা জিনিসের প্রতি আমার খুব লোভ আপু একটা হচ্ছে করি পরা আর একটা হচ্ছে চশমা।ঘড়ি পরি শখের জন্য স্টাইলের জন্য দুইটায় আর চশমাটা স্টাইলের জন্য হলেও কিন্তু সার্জিক্যাল চশমা ইউজ করতে হয় চোখে সমস্যার কারণে।তবে আপনার চশমা ভেঙ্গে যাওয়ার গল্পটা বেশ দারুন ছিল।প্রথমে মনে করছিলাম আপনি স্টাইলিশ চশমা পরেন।আবার আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম সার্জিক্যাল চশমা😀😀😀।তবে যে চশমাটা নিয়েছেন আমার কাছে বেশ পছন্দ হয়েছে।
নারে বোন আমি সার্জিক্যাল চশমাই পড়ি।
যদিও আপনি পাওয়ারি চশমা কিনেছেন কিন্তু আমার কাছে কিন্তু দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমি আগে কখনো চশমা লাগাইনি কিন্তু এমনিতে দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার একসাথে দুইটা চশমা কেনা হলো এটা কিন্তু ভালই হয়েছে। তাহলে যে কোন সময় যদি একটা চশমা খুঁজে না পাওয়া যায় অথবা ভেঙে যায় তাহলে আপনি আরেকটি ব্যবহার করতে পারবেন। আমাদের জীবনটা তো এরকম খরচার উপরে যাবে। না হলে তো আমরা জীবনে উন্নতি করতে পারব না। যাইহোক ভালোই ছিল।
জি আপু একটি হারিয়ে বা নষ্ট হলে আর একটি ব্যবহার করতে পারবো।
যারা চশমা ব্যবহার করে তাদের চশমা গুলো যদি খারাপ হয়ে যায় তাহলে অনেক কষ্ট লাগে তাদের। আপনার চশমা খারাপ হয়ে এগুলো শুনে খারাপ লাগলো আমারও। অনেকদিন আগে গাড়িতে উঠেতে আমারও সশমাটা এভাবে পড়ে গেল। পরে চশমাটা একদম ভেঙে গেল। আর চশমা দোকানে যখন যাওয়া হয় তখন সশমার ফ্রেমগুলো দেখলে সব নিতে মন চায়। আপনি একজোড়া চশমা ২২০০ টাকা পেয়েছেন। তাও আবার জলদি দিয়ে দিল। পোস্টটি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
জি ভাইয়া দুটি চশমা ২২০০ টাকা দাম নিয়েছে।