জেনারেল রাইটিং- স্বপ্ন টানে দিলাম পাড়ি....... ||written by@maksudakar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি প্রিয় বন্ধুরা সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও কিন্তু বেশ ভালো আছি। তবে বেশ কষ্টের মধ্যে যাচেছ দিন গুলো্। আরে বুঝলেন না? কাজের বুয়া গেছে বাড়িতে আর সেই ফাঁকে আমিই হয়ে গেছি কাজের বুয়া। তবে মাঝে মাঝে কাজের বুয়া হওয়া কিন্তু খারাপ নয়। এর মধ্যে ভিটামিন আছে। আরে একদিকে যেমন শরীরের ব্যায়াম হয় আবার অন্য দিকে কাজের বুয়াদের কষ্টটুকু উপলব্দি করা যায়।
বন্ধুরা প্রতি সপ্তাহেই চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে একটি হলেও জেনারেল রাইটিং শেয়ার করতে। তাই তো আজও চলে আসলাম আপনাদের জন্য আরও একটি নতুন জেনারেল রাইটিং নিয়ে।তবে আমি চেষ্টা করি আমার জেনারেল রাইটিং গুলোতে আপনাদের জন্য উপকারি কিছু কথা শেয়ার করতে। জানিনা আমার লেখা গুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগে। ভালো বা মন্দ দুটো মন্তব্যই আমি গ্রহণ করতে পিছ পা হবো না। কারন পৃথিবীতে সবাই কিন্তু সব জ্ঞানে জ্ঞানী নয়। শুধু মাত্র ক্ষুদ্র জ্ঞান হতে কিছু কথা তুলে ধরার চেষ্টা করে যাওয়া।
মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে বছরে দুটো আনন্দ আসে।যার একটি হলো পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এবং অন্যটি হলো পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। আর এই দুই ঈদ-ই যেন আসে এক অপার আনন্দ আর উদ্দীপনা নিয়ে। সবাই যেন পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়ে। উদগ্রীব হয়ে পড়ে প্রিয় মানুষদের কে প্রিয় কিছু উপহার দেওয়ার জন্য। পরিবারের মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারলেই যেন সবার ঈদ গুলো উঠে আরও আনন্দময়।
তবে আমার মনে হয় এই ঈদ গুলো আমাদের বাঙালিদের জীবনে আরও বেশী আনন্দ নিয়ে উপস্থিত হয়। গ্রাম বাংলার হাজারও মানুষ জীবিকার তাগিদে পরিবার পরিজন হতে দূর দূরান্তে বসবাস করে। যার কারনে হয়তো মাসের পর মাস, আবার বছরের পর বছর অনেক মানুষকেই কাটাতে হয় পরিবার পরিজন ছাড়া। আর এমন মানুষ গুলো এবং পরিবার গুলো বছরের এই একটি সময়ের অপেক্ষায় থাকে। অপেক্ষায় থাকে প্রিয় মানুষগুলোর সাথে একত্রে কিছুটা সময় পার করার। যার কারনে হাজারও স্বপ্ন গেথেঁ রাখে মনের মাঝে।
ঈদের আনন্দ কে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য নাড়ির টানে ঘরে ফেরা মানুষগুলোর হাসি মাখা মুখ দেখলেই বুঝা যায় যে কতটা স্বপ্ন নিয়ে মানুষ গুলো পরিবার পরিজনের কাছে ছুটে যাচ্ছে হাজারও বাধাঁ কে অতিক্রম করে। তাদের কাছে যেন কোন কষ্টই কষ্ট মনে হয় না। আমরা যদি ঈদে বাড়ী ফেরা মানুষ গুলোর দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখি যে বাস ট্রেন বা লঞ্চে কোন জায়গা না থাকার পরও মানুষ ঝুলে ঝুলে ঠাসা ঠাসি করে নাড়ির টানে পরিবার পরিজনের কাছে ছুটে যায়। কিন্তু হাজারও কষ্টের মাঝেও তাদের মুখে আর চোখে থাকে আনন্দ আর উল্লাস।
ঈদে নতুন পোশাক আর হাজারও রকমের খাবার দাবারের পাশাপাশি পরিবারের হাসি মাখা মুখ যেন সমস্ত বাড়ী ফেরা মানুষগুলোর কাছে সারা বছরের স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্ন গুলো কে বুকের মাঝে ধারন করে বাঙালিরা কাটিয়ে দেয় দিনের পর দিন আর বছরের পর বছর। একটি মাত্র দিনের জন্য একটি মাত্র দিনের আনন্দের জন্য তখন ঘর ছাড়া মানুষ গুলো হাজার মাইল পাড়ি দিতে পারে অনায়াসে। স্বপ্ন নিয়ে কাধেঁ ব্যাগ ঝুলিয়ে উঠে পড়ে বাসে বা লঞ্চে। জায়গা পাক বা নাই বা পাক। হয়তো বা তাদের কেউ কেউ সারা রাত জেগে থেকেই তাদের আনন্দটুকু উপভোগ করে।
হাজারও বাধাঁ আর ঝড় ঝঞ্জাট কে অপেক্ষা করে যখন এসব নাড়ির টানে ছুটে যাওয়া মানুষ গুলো তার পরিবার পরিজনের সাথে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নেয় তখন মনে হয় কষ্ট গুলো বিদায় নেয়। আর কয়েকটি দিন পরিবারের সাথে আনন্দ আর উম্মাদোনায় কাটিয়ে এক সময়ে আবার জীবিকার তাগিদে ছুটে আসে। তাতে কি কিছুটা সময় তো পরিবারের সাথে আনন্দ আর উদ্দীপনায় কাটাতে পারলো। তাই তো এসব ঘরে ফেরা মানুষ গুলো অন্তরে থাকে, স্বপ্ন টানে দিলাম পাড়ি....... ।
শেষ কথা
শেষ কথা
এমন স্বপ্ন গুলো আমায় বেশ টানে। আমিও মাঝে মাঝে ভাবী যে নাড়ির টানে ছুটে যাওয়া এসব মানুষগুলোর সামিলে যদি আমি সাথী হতে পারতাম। তাহলে আমিও হয়তো কিছুটা উপলব্দি করতে পারতাম এসব নাড়ির টানে ফিরে চলা হাজারও মানুষের মনের আনন্দ।
ধন্যবাদ সকলকে
@maksudakawsar
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Tweet
কাজের বুয়া হয়ে তাহলে ভালোই ভিটামিন নিচ্ছেন শরীরে 😆
নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার আনন্দ এখন পর্যন্ত উপলব্ধি করতে পারিনি। তবে মনে হচ্ছে কয়েকদিন পর ভার্সিটি তে অ্যাডমিশন নেওয়ার পর হয়তো এটা ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারব। এই আনন্দটা আসলে অন্যরকম। নিজের পরিবার আত্মীয়-স্বজন সবার সাথে ঈদ উদযাপন করাটা অনেক বেশি আনন্দের।
তাতো নিতেই হচ্ছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঈদ উপলক্ষে সবাই নিজের আপন জনদের সাথে ঈদ পালন করার জন্য বাড়ি ফিরেছে। প্রত্যেকটা কর্মী যতই কষ্টে থাকুক না কেন, ঈদের সময়টাতে তাদের মুখে হাসি থাকে। কারণ পরিবারের মুখেও হাসি ফোটাতে হবে তাদেরকে। ঈদের আনন্দটা ভাগাভাগি করে নেয় সবাই সবার সাথে আর বাড়ি ফিরে আসে সবাই। আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে এই জেনারেল রাইটিং টা লিখেছেন যেটা আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনার লেখা পুরো পোস্ট অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আমার কাছে ভালো লেগেছে পড়তে।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর এবং উৎসাহ মূলক মন্তব্যের জন্য।
নিজের আপনজনের সাথে ঈদ উদযাপন করার মধ্যে যে আনন্দটা থাকে, সেই আনন্দ আর কোথাও পাওয়াই যায় না। প্রত্যেকটা মানুষ নিজের আপনজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করার জন্যই ছুটিতে বাড়ি এসেছে। নিজের আপনজনদের সাথে থাকলে তো রাতে ঘুমই আসে না। শুধু আড্ডা দিতেই এবং আনন্দ করতেই ইচ্ছে করে। সেই মানুষগুলোর মনের ভেতর থেকে অন্যরকম একটা আনন্দ এবং অনুভূতি যারা স্বপ্নের টানে পাড়ি দেয়। অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখা আজকের পোস্টটা। সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন দেখে বেশি ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
নিজের আপনজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করার মজাই আলাদা। সকলে নিজের আপনজনের সাথে ঈদ করার জন্য বাড়িতে আসে এবং যা কিছুই হোক না কেন আপনজনদের সাথে বাড়িতে আসতে সকলে ব্যস্ত থাকে৷ ঈদ উদযাপন করতে করতে এতটাই আনন্দঘন মুহূর্ত সৃষ্টি হয়ে যায় যা মুখে বলে প্রকাশ করা যাবে না৷ আর আজকে আপনি সেরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যা দেখে খুব ভালো লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর এবং সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এরকম একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।