ভালবাসার একটি রোমান্টিক গল্প- ভালবাসা কখনও শেষ হয় না- শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন বন্ধুরা ? আশা করি সবাই বেশ ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি বেশ ভাল আছি। আমি মাকসুদা আক্তার। আপনাদের কাছে @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। আপনাদের মাঝে আপনাদের পছন্দের বিষয় গুলো নিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য প্রতিদিন আপনাদের কাছে চলে আসি। জানিনা আপনাদের কতটুকু খুশি করতে পারি।
বন্ধুরা আজ আবার আসলাম আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব রোমান্টিক গল্পের দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব নিয়ে। ইতেমধ্যে আমি গল্পটির প্রথম পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপনারা আমার গল্পটি পড়ে আগ্রহ প্রকাশ করায় আজ আমি গল্পটির শেষ পর্ব আপনাদের কে উপহার দেওয়ার জন্য চলে আসলাম। আর আপনারা যারা আমার গল্পটির প্রথম পর্ব পড়তে পারেননি তাদের জন্য গল্পে প্রথম পর্ব পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইল। তাই গল্পটির প্রথম পর্বের লিংক আজকের পোস্টে দেওয়া হলো । তাহলে চলুন শুরু করা যাক আমার আজকের গল্পটি।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
এরপর নাজমা আর খোকন কে ফিরিয়ে দিতে পারেনি। ভাগ্যের হাতে আগামী ভবিষৎ ছেড়ে দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে নাজমা আর খোকনের ভালবাসা। এভাবে দিনের পর দিন যায়। একসময় নাজমা আর খোকন দুজনেরই এইচ এস সি পাশ করে যায়।এরই মধ্যে নাজমার পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় নাজমা কে আর পড়াশুনা করাবে না। নাজমার বাবার এক অফিস কলিগ এর ছেলে সৌদি আরবে থাকে । আর সেই ছেলের সাথে নাজমার বিয়ে ঠিক করে নেয়। তাই নাজমার ও পড়াশুনা আর করা হলো না। এদিকে নাজমা যেহেতু কলেজে যাওয়া আসা করে না তাই খোকনের সাথে এখন আর নাজমার তেমন কথা বলা হয় না। কিন্তু নাজমার এক বান্ধবীর মাধ্যমে খোকন আর নাজমা চিঠি আদান প্রদান করে। তাই নাজমা খোকন কে চিঠিতে সমস্ত ঘটনা ভেঙ্গে বলে।
এদিকে খোকন তার মায়ের কাছে নাজমার বিষয়টা খুলে বলে। কিন্তু খোকনের মা সমস্ত ঘটনা শুনে খোকন কে সাফ নিষেধ করে দেয় যে, কোন ড্রাইভারের মেয়ে কে সে ছেলের বউ করে নিবে না। খোকন পড়ে বিশাল এক বিপাকে। কারন খোকন তার মাকে বিষণ ভালবাসে। সমস্ত পৃথিবী একদিকে আর তার মা একদিকে।কিছুই বুঝতে পারছে না খোকন কি করবে। একদিকে মা আর একদিকে প্রেমিকা। এদিকে নাজমা বার বার খোকন কে চিঠি দিয়ে তাগাদা দিচ্ছে। কি আর করার জীবনের যন্ত্রণায় খোকন একসময় বিষ খায়। কিন্তু না বিষ খেয়ে খোকন কিন্তু মারা যায়নি। বরং খোকনের বিষ খাওয়ার কারনে সমস্ত এলাকায় নাজমা আর খোকনের প্রেমের কথা জানাজানি হয়ে যায়।
এতে করে দুই পরিবারের লোকজন আরও খেপে যায়। এদিকের খোকনের মা খোকনকে পুরা থ্রেট করে যে খোকন যদি নাজমাকে ভুলে না যায় তাহলে এবার তার মা বিষ খাবে। খোকন সব কিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয় যে যাই হোক সে তার মাকে হারাতে পারবে না। তাই সে নিজের বুকে পাথর বেধে নাজমা কে ভুলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই সে নাজমা কে চিঠি লিখে জানিয়ে দেয় যে তার পরিবারের পছন্দ মত বিয়ে করে নিতে। এরপর নাজমা বহুবার খোকনের সাথে যোগাযোগ করতে চেয়েছে। কিন্তু খোকন নাজমাকে কোন পাত্তা দেয় না। খোকনের কোন সারা শব্দ না পেয়ে আর খোকনের অবহেলা দেখে এবার রাগে দুখে আর যন্ত্রণায় নাজমা নিজেই বিষ খায়।
নাজমার সাত ভাই। তার মধ্যে এক ভাই মাস্তান। চোখের সামনে বোনের এই অবস্থা দেখে নাজমার ভাইরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। তাই তারা দল বেধে যায় খোকন কে শায়েস্তা করতে। তার হা পা ভেঙ্গে দিতে। এলকার মানুষ অবস্থা বেগতিক দেখে খোকন কে একটি ঘরে লুকিয়ে রাখে। কিন্তু নাজমার ভায়েরা টের পেয়ে সেই ঘরের দরজা ভাঙ্গতে চেষ্টা করে। এলাকার একজন মুরব্বী বাধা দিলে নাজমার মাস্তান ভাই এক ঘুষি মেরে সেই মুরব্বী চারটা দাঁত ফেলে দেয়। তবে তারা খোকন কে আর খুঁজে পায় নাই। কারন খোকন ততক্ষনে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় নিজের গ্রামে।
এদিকে খোকনের মত নাজমাও কিন্তু বিষ খেয়ে মারা যায়নি। তাই অবস্থা বেগতিক দেখে আর খোকন কে আর খুঁজে না পেয়ে নাজমাকে অবশেষে বিয়ের পিড়িঁতে বসতে হয়। নাজমা বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করলেও খোকন কিন্তু বেশ কয়েক বছর বিয়ে করেন নি। একসময় খোনকন সিদ্ধান্তও নেয় যে সে আর বিয়ে করবে না। কিন্তু না মায়ের কসমের মুখে খোকন কে বিয়ের পিড়িঁতে বসতে হয় বেশ কয়েক বছর পর।
আর এভাবেই শেষ হয় নাজমা আর খোকনের প্রেম কাহিনী। কিন্তু নাজমা আর খোকন কিন্তু এখন আর আগের সেই বয়সের নেই। আজ তারা বৃদ্ধ। তবুও আজও বন্ধু মহলে বা ফেইজ বুকের পাতায় কোন নাজমার নাম দেখলে বা শুনলে খোকন কে কমেন্ট করতে বা জিজ্ঞেস করতে দেখা যায় কোন নাজমা। বন্ধুরা তাহলে আপনারাই বলেন ভালবাসা কি কখনও শেষ হয়?
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপু আপনার আগের পর্বটা পড়া হয় নি। তবে এই পর্বটা পড়ে নাজমা ও খোকনের প্রেম কাহিনী সম্পর্কে জানতে পারলাম। সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো ভুলা যায় না। নাজমা ও খোকনের ভালোবাসা কখনো ভুলার নয়। তবে খোকন তার মায়ের জন্য শুধু নাজমাকে ভুলে যেতে বাধ্য হয়েছে।যাইহোক অবশেষে দুজনে বেঁচে সংসার করছে এটাই অনেক। সব ভালোবাসা শুধু মিলনে থাকে না কিছু ভালোবাসা হারানোর মাধ্যমে ও বেঁচে থাকে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
আমার মনে হয় নাজমা আর খোকনরা বেচেঁ থাকে চিরজীবন ভালবাসায়।
আপনার লেখা গল্পের প্রথম পর্বটি যদিও আমার পড়া হয়নি।তবুও এই পর্বটি পড়ে বুঝলাম অনেক লড়াই করতে হয়েছে ভালোবাসার জন্য।কিন্তু শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হতে হয়েছে দুইজনকে।হয়তো দুজনেই সংসারী হয়ে আলাদাভাবে খুশি নেই তবুও ভালোবাসা জীবন্ত।সুন্দর লিখেছেন, ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর কথা বলেছেন আপু। ভালবাসা জীবন্ত সুন্দর।
আপু আগের পর্ব যদিও আমার পড়া হয়নি।তবে এই গর্ব পড়ে নাজমা আর খোকনের ভালবাসার গল্প পড়ে খুব ভাল লাগলো। সত্যিকারের ভালোবাসা কখনও হারিয়ে যায় না। দুজনের মাঝে বেঁচে থাকে আজীবন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই গল্পটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আমারও তাই মনে হয়। তা না হলে খোকন কিন্তু আজও নাজমা কে খুজেঁ।
আসলে ভালোবাসা কখনোই শেষ হয় না। ১০০% এর মধ্যে ৯০% মানুষ পরিবারের কারনে তাদের ভালোবাসার মানুষকে পায় না যার কারণে তারা এরকম সিদ্ধান্ত নেয়। নিজেদের পরিবার তাদের সন্তানের জীবন নিজের হাতেই নষ্ট করে। হয়তো তারা মনে করে অন্য কারো সাথে বিয়ে দিয়ে দিলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু মন থেকে তারা জীবনেও সেই সম্পর্ক মেনে নেয় না। সত্যিকারের ভালোবাসা সব সময় মনের ভেতরে বেঁচে থাকে কখনো হারিয়ে যায় না। যাইহোক গল্পটি পড়ে এমনিতে খুবই খারাপ লেগেছে। শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো।
আমি কিন্তু আপনার এ কথার সাথে একমত যে, বেশীর ভাগ পরিবার ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।
ভালোবাসা কখনোই শেষ হয় না কথাটি আসলেই ১০০% ঠিক। যদিও প্রথম দিকের পর্বটি আমার পড়া হয়নি তবে শেষ পর্বটি পড়ে আমার অনেক কষ্ট লাগলো। সব ভালোবাসা যে মিলন ঘটে তা কিন্তু নয় কিছু কিছু ভালোবাসা আছে ব্যর্থতার মাঝে বেঁচে থাকে ।
মনে তো হয় মিলনের চেয়ে ব্যর্থতায় বেশী সুখ।
আসলে ভালোবাসা কখনো শেষ হয় না আপনার এই কথাটির সাথে আমি কিন্তু পুরোপুরি ভাবেই একম। পরিবারের কারনে দুইটা মানুষ ভালোবাসার মানুষকে হারিয়েছে। আসলে পরিবারগুলো তাদের নিজেদের সন্তানের ভবিষ্যৎ এবং তাদের সুখ নিজেরাই নষ্ট করে দেয় আমার মনে হয়। মন থেকে মেনে নিলেই তো হয় ভালোবাসার সম্পর্কটা। তারা দুজন যদি সুখে থাকতে পারে তাহলে কেন তাদেরকে এক হতে দেয় না। যাইহোক গল্পটি বেশ ভালোই লিখেছেন।
কেন যে এক হতে দেয় না সেটা পরিবার গুলোই বলতে পারবে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।