শৈশবের ফেলে আসা দিনগুলির স্মৃতি - "স্মৃতি ভরা শৈশবের জন্মদিন " II written by @maksudakawsarII
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আর সব সময়ই চাই আমি ভালো থাকতে। কারন নিজে ভালো না থাকলে পাশের মানুষগুলো কে ভালো রাখাটা মুশকিল হয়ে পড়ে। আর তাই তো সব সময়ে ভালো থাকার কাজ করে যেতে হবে। আর ভালো থাকতে বা নিজেকে ভালো রাখতে যে জিনিস গুলো বেশী প্রয়োজন তা হলো নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে সমস্ত অসুস্থ্যতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা। দোয়া করি সবাই যে সুস্থ্য এবং সুন্দর জীবন যাপন করতে পারেন।
বন্ধুরা আজ আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে সেই শৈশবের হারিয়ে যাওয়া কিছু স্মৃতি তুলে ধরতে। শৈশব কে আমরা কখনও ভুলতে পারিনি বা ভুলতে পারবো না। আর ভুলে যাওয়ার কোন উপায়ও নেই। কারন শিকড় কে কেউ ভুলে যেতে পারে না। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয় শৈশবের হাজারও স্মৃতি। আর আজ আমি তেমনই কিছু স্মৃতি তুলে ধরবো আপনাদের মাঝে।
শৈশবের ফেলে আসা দিনগুলির স্মৃতি
" স্মৃতি ভরা শৈশবের জন্মদিন "
শৈশবের ফেলে আসা দিনগুলির স্মৃতি
" স্মৃতি ভরা শৈশবের জন্মদিন "
Banner credit --@maksudakawsar
প্রতিটি শিশু পৃথিবীতে আসে পৃথিবীকে আলোকিত করতে। তেমনি কোন একদিন আমিও চলে এসেছিলাম এই পৃথিবীকে আলোকিত করতে। কিন্তু আমার মনে হয আমি এই পৃথিবীকে আলোকিত করতেই পারিনি। পারিনি আশেপাশের মানুষ গুলো কে নিজের ভালোবাসা আর দায়িত্বশীলতা দিয়ে মুগ্ধ করতে। তবুও আমি পৃথিবীর একজন বাসিন্দা। আর পৃথিবীতে কোন একদিন আজকের ০৯ই জানুয়ারী আমি এসেছিলাম সকলকে বিষাদের ছোঁয়ায় রাঙিয়ে তুলতে। কি দিতে পেরেছে এই এত গুলো বছরে আশে পাশের মানুষ গুলো কে? সবাই কে কি আমি খুশি করতে পেরেছি? আসলে আজ যে আমার জন্মদিন সেটাই তো আমার মনে নেই । সকালে অফিস আসার পথে ফেইসবুকে কোন একটি ম্যাসেজ দেখেই মনে হলো আজ আমার জন্মদিন। অথচ অতীতে এই দিনটিকে কি সুন্দর করেই না উদযাপন করতাম। সেই কথা গুলোই আজ বার বার মনে হচেছ।
সেই ছেলেবেলায় যখন স্কুলে পড়তাম তখন স্কুলের বন্ধুদের কে নিয়েই জন্মদিন পালন করা হতো। বেশ আনন্দ করতাম। আর তখন নিজের জন্মদিন পালন করা না হলে কেন জানি বেশ মন খারাপ থাকতো। আগের থেকেই মনে রাখতাম কোন দিন আমার জন্মদিন আসবে? আর কোন দিন অনুষ্ঠান করবো? বেশ আয়োজন করে কেক কাটতাম। ঘর সাজানো হতো বেলুন আর রকমারী কাগজ দিয়ে। অনেক মজা হতো সেই অনুষ্ঠান গুলোতে। নিজেকে রানী রানী মনে হতো। কি যে সাজ সাজতাম তখন। তখন তো আর এত কিছু বুঝতাম না।
সবকিছুর মাঝখানে বেশী আনন্দ পেতাম সবার দেওয়া উপহার গুলোর জন্য। কেউ দিত গল্পের বই, কেউ দিত গানের ক্যাসেট আবার কেউ বা দিত প্রিয় কোন নায়ক নায়িকাদের পোস্টার। তখন মজা করে এক একটা উপহার খুলতাম আর বেশ মজা পেতাম। এমন উপহার পেলে কার না ভালো লাগে বলেন তো। অনেক যত্ন করে তখন জন্মদিনের উপহার গুলো সাজিয়ে রাখতাম পড়ার বইয়ের সুকেস এর একপাশে।
আমার আজও মনে পড়ে সেই দিনের সেই কথা। আমার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমার বান্ধবীর ছোট ভাই আমাকে রানী মুর্খার্জীর একটি পোস্টটার গিফট করেছিল। কারন আমার কাছে তখন রাণী মুখার্জী কে বেশ ভালো লাগতো। কিন্তু কথা হলো পোস্টার টি বেশ সুন্দর ছিল, অথচ আমি দেয়ালে টাঙ্গাতে গিয়ে পোস্টরটি একটু ছিড়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমার বান্ধবীর ভাইয়ের কান্না তো আর থামে না। সে জে কি কান্না। পড়ে অবশ্য আবারও নতুন একটি পোস্টর কিনে এনে আমাকে আবারও দিয়েছিল।
হাজারও স্মৃতিগুলোর মধ্যে আমার ফ্রেন্ড এর আমার জন্য কেক কিনতে গিয়ে পাঞ্জাবী ছিড়ে আসা, জন্মদিনের কেক ভেঙ্গে যাওয়া, বন্ধু বান্ধবদের আনন্দ উচ্ছাস সহ হাজারও স্মৃতি গুলো আজ বার বার মনে পড়ছে। মনে হচ্ছে সেই দিন গুলোই মনে হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সময় ছিল। কিন্তু তখন সেই সব সময়ের মূল্য বুঝতে পারিনি।
শেষ কথা
শেষ কথা
আসলে এই দিনটি মানুষের জীবনে এমন একটি দিন যখন একটি মানুষ বেশ আনন্দ আর ভালো লাগার সময় অতিবাহিত করে। আর সেই সাথে বার বার ফিরে পেতে চায় এই সকল দিন গুলো। তবে আজকের এই দিনটিতে আপনাদের কাছে শুধু মাত্র দোয়া চাই আমার জন্য। আপনাদের দোয়া আর ভালোবাসাই আমার জন্য অনেক বড় এবং আনন্দের।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
শুভ জন্মদিন আপু। অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে। আপনার জন্মদিনে কামনা করি, সুস্থ্য ও সুন্দর থাকুন সবসময়। জন্মদিন নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। আসলে শৈশবের স্মৃতি মানেই মধুর। কখনো ভুলা যায়না।আপনি ঠিকই বলেছেন, ফেলে আসা দিন গুলোই পৃথিবীর শ্রেষ্ট সময় ছিল।লেখাটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন- আনন্দে থাকুন।
শুভ জন্মদিন।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের মাধ্যমে আমার জন্য এত ভালোবাসা প্রদান করায়। দোয়া রাখবেন ভালো মানুষ হয়ে যেন বেচেঁ থাকতে পারি।
শুভ জন্মদিন আপু। আমার তো একেবারে জানাই ছিল না আপনার আজকে জন্মদিন। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই আপনাকে অনেক বেশি। আর দোয়া করি যেন হাসিখুশি ভাবে প্রত্যেকটা বছর কাটিয়ে দিতে পারেন, সবার সাথে ভালো থেকে। আসলে আপনারা তো দেখছি স্কুল জীবনে বন্ধু-বান্ধবরা মিলে বেশ মজা করে জন্মদিন পালন করতেন। তবে এভাবে কখনো আমার জন্মদিন পালন করা হয়নি। এমনিতে ছোটবেলার সবকিছুই ছিল অনেক বেশি আনন্দের। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর করে পোস্টটা লিখে সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য। পোস্টটা না পড়লে তো বুঝতেই পারতাম না আপনার আজকে জন্মদিন। আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি। সব সময় যেন ভালো থাকেন এটাই কামনা।
আপু দোয়া করবেন যেন সবার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বেচেঁ থাকতে পারি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনাকে জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আসলে আপু ছোট বেলার মতো মধুর স্মৃতি কখনো হয় না।আসলে আপু কথাই আছে না এসেছে নতুন শিশু ছেড়ে দিতে হবে স্হান চলে যেতে হবে আমাদের। আমরা যখন বড় হয়ে গেছি তাই হয়তো আমাদের আগের মতো কেউ মনে রাখে না। সবাই কি মনে রাখবে আমাদেরি তো মনে থাকে না হা হা হা।ধন্যবাদ আপু বেশ ভালো লেগেছে পোস্ট পড়ে।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে আমাকে আনন্দিত করার জন্য। দোয়া রাখবেন সব সময় যেন ভালো থাকতে পারি।
শুভ জন্মদিন আপু। আপনার জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। দোয়া করি জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত যেন আপনার ভালো কাটে আনন্দময় হয় এবং সফলতায় ঘিরে জীবনটা সুন্দর হোক।
আমাদের জীবনের শৈশবের স্মৃতিগুলো আসলেই মধুর। আমরা যতই বড় হচ্ছি শৈশবের স্মৃতিগুলো মনে করলে অনেক ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে মন্তব্য করে আমাকে মুগ্ধ করার জন্য। ভালো থাকবেন সব সময়।
প্রথমেই আপু আপনাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু 🌼। হাসি আনন্দে ভরে উঠুক আপনার জীবন। আসলেই আপু শৈশবের সেই সময়টা বড্ড মিস করি। ছোট্র কাগজের গিফট, টেপের জন্য ক্যাসেট এগুলোর দাম কম হলেও সুখের জন্য যথেষ্ট। আজ দেখেন সবই কেমন জানি হয়ে গেল
ধন্যবাদ ভাইয়া মনের মাধুরী দিয়ে আমার জন্য এত বড় দোয়া করার জন্য।
প্রথমেই আপু আমার তরফ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিবেন। আশা করছি আপনার পরবর্তী সময় গুলো খুবই ভালোভাবে কাটবে। হাসি খুশি আনন্দে যেন পরবর্তী সময় গুলোকেও কাটাতে পারেন এটা দোয়া করি। ছোটবেলার জন্মদিনের স্মৃতিগুলো সবার মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। পুরোটা পড়তে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আর একটা কথা আপু, আমাকে কিন্তু জন্মদিনের ট্রিট দিতে ভুলবেন না। এভাবে হাসিখুশিভাবে নিজের জীবনটাকে এগিয়ে নিয়ে যান।
আরে ভাই একটা কথা কেন? আপনি একশ কথা বলেন সমস্যা নেই। যখন মনে চায় চলে আসেন। তবে আসার সময় জন্ম দিনের গিফট আনতে যেন ভুল করবেন না। হি হি হি। ধন্যবাদ এমন সুন্দর করে আপনাদের ভালোবাসায় সিক্ত করায়।
প্রথমেই আপনাকে জানাচ্ছি জন্মদিনের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আপু আপনার মনে হতেই পারে, জন্মের পর থেকে আশেপাশের মানুষদেরকে কতোটা খুশি করতে পারলাম বা কি দিতে পারলাম। কিন্তু বর্তমান যুগে কাউকে প্রকৃত ভাবে খুশি করা খুবই কঠিন। দিতে পারলে খুশি, আর না দিতে পারলে নারাজ। তখন আশেপাশের মানুষদের কাছে থেকে শুনতে হয় আমরা ভালো না,এটা সেটা আরও কতো কি। আসলে কিছু দিয়ে কখনো মানুষের মন ভরানো যায় না। যাইহোক ছোটবেলা কতো সুন্দরভাবে জন্মদিন পালন করতাম, আর এখন তো জন্মদিন পালন করা দূরে থাক,জন্মদিনের তারিখও মনে থাকে না। ছোটবেলায় জন্মদিন পালন করার স্মৃতি গুলো মনে পড়লে আসলেই খুব ভালো লাগে। আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে যে বাস্তবতা সম্পর্কে বেশ ভালো জ্ঞান আপনার। দোয়া করবেন ভাইয়া আমার জন্য। ধন্যবাদ মন্তব্যের মাধ্যমে ভালোবাসায় সিক্ত করার জন্য।
শুভ জন্মদিন আপু।অনেক অনেক ভালোবাসা আর শুভেচ্ছা জানাই আপনাকে। মানুষ হিসেবে একজন মানুষ সবাইকে সুখি করতে পারেনা।তবে মানুষ হিসেবে আপনি একজন দায়িত্ববান মানুষ এটা ই কম কি বলেন তো।নিজের কাছে নিজেকে যখন একজন ভালো মানুষ ভাবতে পারা যায় তাই ই অনেক।ধন্যবাদ আপু সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ভালো কিনা সেটা কখনও খুঁটিয়ে দেখার চেষ্টা করিনি। তবে সব সময় ভালো মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার অনেক আকুতি রয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার পোস্ট টি পড়ে মন ছুয়ে গেলো।আসলে শৈশব গুলো সবার রঙ্গিন ছিলো।ছোট ছোট বিষয়ে কিংবা ছোট ছোট গিপ্ট পেলে মনে হতো আকাশ হাতে পেয়েছি। জন্মদিনের জন্য সারা বছর প্লান করা হতো দিন গোনা হতো।কতই না মধধুর ছিলো শৈশব গুলো।সব থেকে ভালো লাগলো আপনার বান্ধবীর ভাই পোস্টার গিপ্ট করেছে এবং লাগাতে গিয়ে ছিরে গেছে বলে সেকি কান্না। আসলে এই স্মৃতিগুলো আমৃত্যু ভুলাবার নয়। ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর একটি স্মৃতি ঘেরা শৈশবের স্মৃতিচারণ করে পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।