বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? ভালো আছেন তো? আমি কিন্তু বেশ ভালো এবং সুস্থ আছি। প্রতিদিন রান্না বান্না। আর সেই সাথে চাকুরী। একদম ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে মনে হয় ইস্ কেউ যদি আমার রান্ন গুলো একটু করে দিয়ে যেত তাহলে কতই না মজা হতো। আমি ‍শুধু বসে বসে খেতাম। আর তারপর তো আছে কি রান্না করবো সেই টেনশন। এত গুলো টেনশন থাকলে কি আর চলে বলেন তো।

তবুও তো রান্না করে খেতেই হবে। আর তাই তো আজও আবার আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম আমার কষ্টে রান্না করা রেসিপি গুলোর মধ্য হতে ভালো লাগার মত একটি রেসিপি নিয়ে। শীতের সবজি দিয়ে রান্না করা আমার আজকের রেসিপি টি যদি আপনাদের ভালো না লাগে তাহলে পয়ঁসা ফেরত। হি হি হি। তবে আমার কাছে আবার শালগম ভালো লাগে না। কিন্তু কি আর করার সবার পছন্দ তো তার দূরে ফেলে দেওয়া যায় না। আমার ভালো না লাগলেও আপনাদের কাছে কিন্তু বেশ ভালো লাগবে।

প্রথমে রান্নার জন্য মাছ, আলু , লাউ কেটে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর তেল মসলা, টমেটো, পেঁয়াজ এবং ধনেপাতা প্রস্তুত করতে হবে।

এবার একটি পাত্রে তেল গরম করে নিয়ে তাতে পরিমান মত পেঁয়াজ ভেজে নিতে হবে।

এবার ভেজে নেওয়া পেঁয়াজের মধ্যে সকল মসলা এবং লবন দিয়ে মসলা গুলো ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। তারপর একটু পানি দিয়ে মসলা গুলো আরও একটু ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।

এবার কষানো সেই মসলার মসলার মধ্যে তেল ভেসে উঠলে তাতে ধুয়ে রাখা শিং মাছ গুলো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।

মাছগুলো ভালো করে কষানো হয়ে গেলে সে গুলো একটি পাত্রে তুলে নিতে হবে।

মাছ কষানো সেই মসলার মধ্যে ধুয়ে রাখা আলু এবং শালগম দিয়ে একটু নেড়ে দিতে হবে।

বেশ কিছুক্ষন পর যখন দেখা যাবে যে আলু এবং শালগম স্বেদ্ধ হয়ে এসেছে তখন তাতে পরিমান মত পানি দিয়ে একটু অপেক্ষা করতে হবে। তারপর পানি ফুটে উঠলে তাতে কষিয়ে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে।

এবার মাছগুলো তরকারির সাথে ভালো করে কষানো হলে এবং একটু পানি শুকিয়ে আসলে তাতে কেটে রাখা টমেটো গুলো দিয়ে একটু নেড়ে দিতে হবে।

এবার বেশ কিছুটা সময় চুলায় রান্না বসিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। তারপর তাতে ধনেপাতা কুচি দিয়ে আরও কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে হবে। কিছুক্ষন পর দেখা যাবে যে রান্না হয়ে গেছে।

এবার আলাদা একটি পাত্রে নামিয়ে নিয়ে পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।

রান্না শেষে রেসিপিটি গরম গরম পরিবেশন করতে হবে। এই রেসিপিটি গরম ভাতের সাথে খেতে কিন্তু দারুন লাগবে। তাই রান্না হওয়ার সাথে সাথে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

এমন একটি রেসিপির টেস্টের কথা মুখে বললে কমই হয়ে যাবে। আপনারা চাইলে রেসিপিটি বাড়িতে করে খেয়ে দেখতে পারেন।

গরম ভাতের সাথে এমন একটি রেসিপি খেতে যে পরিমান স্বাদ লেগেছে সেটা এক কথায় বলা মুশকিল। কেমন হলো আজকের রেসিপিটি জানার অপেক্ষায় রইলাম।

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।

আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।