বেগুন, আলু আর ডিম দিয়ে মজাদার তরকারি রান্না রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আজ রবিবার, ৬ই নভেম্বর, ২০২২ ইং
বাংলা ২০ই কার্তিক ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আমি মাকসুদা আক্তার, আমার স্টিমিট আইডির নাম @maksudakawsar। আমি একজন বাংলাদেশী ব্লগার। আমি চেষ্টা করি প্রতিদিন নতুন নতুন বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে। আর তাইতো আজ আবার আসলাম মজাদার আরও একটি রেসিপি নিয়ে, যাতে করে আপনারা বাসায় বসে আমার এই রেসিপিটি রান্না করে খেতে পারেন।
আজ আমি আপনাদের জন্য আরও একটি শীতের রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। আমার আজকের রেসিপিটি হলো বেগুন, আলু আর ডিম দিয়ে মজাদার তরকারি । আশা করি আমার মত আপনাদের কাছেও ভাল লাগবে আমার আজকের রেসিপিটি।
তাহলে চলুন দেখে আসি আমাদের আজকের বেগুন আর আলু দিয়ে ডিম তরকারি রান্নার রেসিপি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ
ক্রমিক | বিবরন | পরিমান |
---|---|---|
১ | ডিম | ৪ পিস |
২ | তেল | পরিমান মত |
৩ | কাঁচা মরিচ | ৪/৫টুকরা |
৪ | পিয়াজ কুচি | ৩/৪টি |
৫ | আদা বাটা | ১ চা চামচ |
৬ | রসূন বাটা | ১চা চামচ |
৭ | হলূদ গুড়া | ১ চা চামচ |
৮ | মরিচ গুড়া | ১চা চামচ |
৯ | জিরা গুড়া | ১চা চামচ |
১০ | লবন | পরিমান মত |
১১ | আলু | ২/৩টি |
১২ | বেগুন | ২৫০গ্রাম |
১৩ | ধনেপাতা | পরিমান মত |
প্রথম ধাপ
প্রথমে রান্নার জন্য চারটি ডিম সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এবার ২৫০ গ্রাম বেগুন ও ২/৩ টি আলু কে তরকারির জন্য কেটে ভাল করে ধুয়ে আলাদা আলাদা পাত্রে রাখতে হবে। মাছ ও তরকারি কাটা হয়ে গেলে ৩/৪ টি পিয়াজ কুচি, আদা রসুন বাটা, ৪/৫টি কাঁচা মরিচ, লবন এবং হলুদ, মরিচ, জিরা গুড়া ও ধনিয়া পাতা কুচি রান্নার জন্য গুছিয়ে রাখতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার চূলায় একটি পাত্রে পরিমান মত তেল দিয়ে তাতে সামান্য একটু লবন ও হলুদ দিয়ে ডিমগুরো লাল লাল করে ভাজতে হবে। ডিমগুলো ভাজা হয়ে গেলে সেগুলো আলাদা একটি পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
চুলার পাত্রে থাকা আগের তেলের মধ্যে পিয়াজ কুচি ও সামান্য লবন দিয়ে পিয়াজগুলো লাল লাল করে ভেজে নিতে হবে। এরপর ভেজে রাখা পেয়াজগুলোর মধ্যে একে একে হলুদ, মরিচ, জিরা গুরা এবং আদা রসুন বাটা দিয়ে মসল্লা ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। মসল্লাগুলো ভাল করে মিশানো হয়ে গেলে তাতে সামান্য পরিমান পানি দিয়ে একটু নেড়ে দিয়ে মসল্লা কসানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
চতুর্থ ধাপ
এ পর্যায়ে কসোনো মসল্লাতে আরও এককাপ পানি দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। যাতে মসল্লার উপর তেল ভেসে উঠে এবং কাচাঁ মসল্লার গন্ধটা চলে যায়। এভাবে মসল্লা প্রায় ১০ মিনিটের মত কসাতে হবে।
পঞ্চম ধাপ
মসল্লাতে যখন তেল ভেসে উঠবে তখন তাতে একে একে আলু আর বেগুন দিয়ে একটু ভাল করে মসল্লার সাথে মিশেয়ে দিতে হবে। তারপর তরকারির মধ্যে লবনের পরিমান পরখ করে তাতে প্রয়োজনীয় লবন দিয়ে দিতে হবে। এবার একটা ঢাকনা দিয়ে তরকারিটা ঢেকে দিতে হেবে এবং তরকারি কসানো না হওয়া পর্যন্ত কিছুক্ষণ পর পর নেড়ে দিতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ
যখন আলু আর বেগুন সিদ্ধ হয়ে আসবে। তখন ভাল করে নেড়েচেড়ে তাতে আগে থেকে ভেজে রাখা ডিমগুলো দিয়ে আবার ভাল করে নেড়ে দিয়ে একটু অপেক্ষা করতে হবে।
সপ্তম ধাপ
এবার ডিমগুলো তরকারির সাথে ভাল করে মেশানো হয়ে গেলে তাতে পরিমান মত পানি দিয়ে আবার ঢেকে দিয়ে তরকারিতে জ্বাল আসা পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে।
অষ্টম ধাপ
তরকারিতে যখন জ্বাল আসবে তাতে আগে থেকে কেটে রাখা কাচাঁ মরিচ দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে দিতে হবে। তারপর আবার ঢাকনা দিয়ে পানি শুকিয়ে আসা পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে।
নবম ধাপ
কিছুক্ষণ পর পানি শুকিয়ে আসলে তাতে সামান্য একটু জিরা গুড়া ছিটিয়ে দিয়ে একটু অপেক্ষা করতে হবে। তারপর তরকারি চুলা হতে নামিয়ে আলাদা একটি পাত্রে নামিয়ে ফেলতে হবে।
পরিবেশন ও শেষ ধাপ
তৈরি হয়ে গেল আমাদের বেগুন, আলু আর ডিম দিয়ে মজাদার তরকারি রান্না। এখন যে ডিসে তরকারি নামানো হয়েছে তাতে তরকারির উপর আগে থেকে কেটে রাখা ধনিয়াপাতা ছড়িয়ে দিয়ে সুন্দর ভাবে পরিবেশন করতে হবে গরম গরম বেগুন আলু দিয়ে ডিম তরকারি রান্না রেসিপি।
কেমন লাগলো আমার আজকের রেসিপি? জানাতে ভুলবেন না যেন।
ছবিতে ব্যবহার করা ডিভাইস | Oppo |
---|---|
মডেল | A16 |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
ক্যাটাগরী | মজাদার বেগুন আলু দিয়ে ডিম তরকারি রান্নার রেসিপি |
ফটোগ্রাফির অবস্থান | খিলগাঁও, ঢাকা |
আপনারা সবসময় প্রাণবন্ত, ভাল ও সুস্থ্য থাকুন।
ডিমের সাথে আলু, বেগুন দিয়ে মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন।পোষ্টের গুণগত মান এবং সৃজনশীলতা রক্ষায় আপনিও ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট দিছেন অনেক ভালো লাগলো।আলু, বেগুন আর ডিম দিয়ে তরকারি রান্না করলে অনেক ভালো লাগে খেতে।সব সময় মাছ-মাংস খেতে ভালো লাগেনা।মাঝে মাঝে এভাবে বিভিন্ন রেসিপি করে খেতে ভালো লাগে।আপনার রেসিপি টা দারুন হয়েছে।দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
আমার জন্য দোয়া করবেন। আগামীতে আমি যেন আরও সুন্দর সুন্দর পোস্ট আপনাদেরকে উপহার দিতে পারি। ধন্যবাদ আপু উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
বেগুন আলু দিয়ে ধনিয়া পাতার সমন্বয়ে আপনি বেশ সুন্দর একটু রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজাদার ছিল।রান্নার ধাপগুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য আপু।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।রেসিপি সত্যি সুস্বাদু ছিল।
বেগুন এবং আলু দিয়ে রান্না করা সবজি তরকারি খেয়েছি। তবে তার সাথে ডিম ব্যবহার করে কখনোই খাইনি। রেসিপিটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে খুবই ইউনিক একটি রেসিপি। বেগুন এমনিতেই চমৎকার একটি সবজি সাথে যদি ডিম দেওয়া হয় খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজা হবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। আপনার কাছে নতুন হলেও রিসিপিটি অত্যন্ত সুস্বাদু।
ডিম আমার সব থেকে প্রিয় খাবার।কিন্তু তারপরেও কখনো বেগুন দিয়ে ডিম খাইনি।খাওয়া হয় বলেও জানা ছিল না।তবে দেখেই খেতে ইচ্ছা হচ্ছে।অবশ্যই বাসায় বানাবো।ধন্যবাদ আপু আমার প্রিয় আইটেম এর ব্যতিক্রম ধর্মী রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া ভালো লাগলো ,ডিম আপনার সবচেয়ে প্রিয় খাবার জেনে। ধন্যবাদ ভাই আমাকে উৎসাহিত করার জন্য
বেগুন, আলু আর ডিম দিয়ে মজাদার তরকারি রান্না করেছেন। শীতের সময় বেগুনসহ অন্যান্য সবজি খেতে দারুন লাগে, আর সাথে ডিম থাকলে তো কথাই নেই। ভালো উপস্থাপনা ছিল আপু।
শীত কিংবা গরম সব সময় ডিম দিয়ে তৈরি করা রেসিপি গুলো খেতে ভালো লাগে। ডিম দিয়ে আলু রান্না করে খেয়েছি অনেক। তবে আলু বেগুন একসাথে কখনো রান্না করিনি। মনে হচ্ছে এভাবে রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগবে। আপু আপনার শেয়ার করা রেসিপি দারুন হয়েছে। রেসিপিটির মাঝে নতুনত্ব ছিল। আর ডিমের রেসিপিতে ধনিয়া পাতা কখনো দেইনি।
আপু আমার মনে হয় রেসিপিটি একবার রান্না করে চেষ্টা করে দেখুন। রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু। ধন্যবাদ আপনাকেও সাথে করার জন্য।
দিদি বেগুন, ডিম দিয়ে এই তরকারিটার কি কোন আলাদা নাম আছে? আমি মনে হয় ইউটিউবে একজন কে দেখে ছিলাম এই ধরণের একটা পদ দিয়ে ইটিং শো করতে। তবে তার টায় আলু ছিলো না। আপনার এই রান্না টি আমার বেশ ভালো লেগেছে।
তো আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। তবে এ রান্নাটি আমি আমার মায়ের থেকে শিখেছি। ছেলেবেলা দেখতাম মা এই রান্নাটি করতো।
হ্যাঁ আপু দেখতে পাচ্ছি এখন সবাই শীতের রেসিপি গুলো শেয়ার করছে ।আপনি খুব সুন্দর করে বেগুন ডিম ও আলু দিয়ে রেসিপি করেছেন। এইভাবে করে কখনো রেসিপি।বেশ ভালো লাগলো,ট্রাই করবো একদিন আপু।
আপু আসলেই এই রেসিপিটি একবার বাড়িতে ট্রাই করে দেখুন। আমি আশা করি আপনার কাছে বেশ ভালো লাগবে।
অনেক ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। বেগুন, আলু আর ডিম দিয়ে মজাদার তরকারি রান্নার রেসিপি আমি আগে কখনো খাইনি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমি অবশ্যই বাসায় এই রেসিপিটি তৈরি করব। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আশা করি এভাবে সুন্দর সুন্দর রেসিপি আমাদেরকে উপহার দিবেন।
বেশ ভালো নাম দিয়েছেন আপু ইউনিকে একটি রেসিপি। জানিনা ইউনিক হয়েছে কিনা তবে চেষ্টা করেছি রেসিপিটি ভালোভাবে করার জন্য। ধন্যবাদ আপু আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।