একটু আনন্দের ঘুরাঘুরি, আর মজাদার কিছু ট্রিট
আসসালামু আলাইকুম
আজ বুধবার, ০৪ই জানুয়ারী ২০২৩ ইং
বাংলা ১৯ই পৌষ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
হ্যালো, কেমন আছেন বন্ধুরা ? আশা করি সবাই বেশ ভালই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালই আছি।
আমি মাকসুদা আক্তার। তবে আপনাদের সকলের কাছে আমি @maksudakawsar হিসেবেই বিশেষভাবে পরিচিত। আপনারা জানেন যে, আমি আপনাদের কাছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হয়ে থাকি। আমি প্রতি নিয়ত চেষ্টা করি আমার লেখনির মাধ্যমে আপনাদের কে একটু আনন্দ বা প্রশান্তির ছোঁয়া দিয়ে যেতে। জানিনা কতটুকু সফলতা অর্জন করতে পেরেছি। সে বিচারের ভার টুকু না হয় আপনাদের হাতেই থাকুক।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে একটি আনন্দ দায়ক দিনের কিছু গল্প বলব। আমরা সবাই আজ নতুন বছরে দিনযাপন করছি। মাত্র কয়েকদিন আগে আমরা পুরানো বছর কে পিছে ফেলে চলে এসেছি নতুনের কাছে। সেই পুরানো বছরের শেষের দিন আর নতুন বছরের প্রথম দিন কে আপনারা সবাই বিভিন্ন ভাবে উদযাপন করেছেন। কিন্তু না আমি হয়তো আপনাদের মত করে উদযাপন করতে পারিনি। কারন আমি আবার এইসবকিছুর বিপরিত পথে চলি। তবুও ঘরের মানুষের খুব অনুরোধের বলি না হয়ে পারলাম না। চলে গেলাম তার সাথে বছরের প্রথম দিনের কিছুটা সময় বাহিরের প্রকৃতিতে নিজেকে রাঙিয়ে তুলতে। ও থুককু আমরা তো বছরের প্রথম দিন যেতে পারিনি। কারন আমরা তো আবার চাকুরীজিবী। আপনারা সবাই হয়তো জানেন যে আমি ঘুরতে বেশ পছন্দ করি। কিন্তু পারিবারিক কিছু সমস্যার কারনে আমার এবার কেন জানি কোথাও যেতে ভাল লাগছে না। তবুও চলে গেলাম তার সাথে তার অনুরোধে।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
একটু আনন্দের ঘুরাঘুরি, আর মজাদার কিছু ট্রিট-
এবার বছরের প্রথম দিন রবিবার। আমাদের প্ল্যান ছিল বছরের প্রথম দিনটাই একটু নিজেদের মত করে ঘুরে বেড়ানো। কিন্তু যেহেতু আমরা দুজনই চাকুরীজিবী তাই কি আর করার বাধ্য হয়ে আমাদের কে ৩১ শে ডিসেম্বর বের হতে হলো। আমাদের দুজনেরই একটি প্রিয় জায়গা আছে। আর সেটা হলো পূর্বাঞ্চল লেকভিউ। তাই সেখানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমরা দুপুরের পরে রওনা দেওয়ার প্ল্যান করলাম। কারন আমরা রাতের খাবারটা বাহিরে খাওয়াবো। আমরা দুজনে বিকেলের আগে চলে গেলাম পূর্বাঞ্চলে লেকভিউ তে। বছরের শেষ দিন হওয়ায় সেদিন রাস্তায় ছিল প্রচন্ড জ্যাম আর ভিড়।
আমরা পূর্বাঞ্চলে যেয়ে পৌঁছাই তখন প্রায় বিকেল। সেখানে আমরা পৌছেঁ প্রথমে বড় বড় রাস্তাগুলো তে কিছুক্ষন ঘুরে বেড়াই। বেশ ভাল লাগছিল জায়গাটি মনে হচ্ছিল কোলাহল পূর্ণ ঢাকা শহর ছেড়ে কিছু দিনের জন্য প্রকৃতির এই আবাস স্থলে বসবাস করলে কেমন হয়। আমরা আমাদের মত করে অনেক সময় সেখানে কাটালাম। দূর দিগন্ত নিরিবিলি পরিবেশ আরও কত কি।
তারপর আমরা সেখানে ঘাটে রাখা রং বে রং এর বোটগুলোতে ঘুরে বেড়ালাম বেশ কিছুক্ষন। বিকেলের আবহাওয়ায় বেশ ভাল লাগছিল। আর নদীর বুকে ঘুরে বেড়ানোর সময় এক স্নিগ্ধ বাতাস যেন মন কে ছুঁয়ে দিয়ে গেল বেশ কিছুক্ষণ। নদীর দু পাশের দৃশ্য যেন আমাকে ব্যাকুল করে তুলেছে। কি সুন্দর দৃশ্য! মনে হচ্ছিল পটে আঁকা ছবি। নদীর বুকে বেধেঁ রাখা বোটগুলো দেখতেও বেশ সুন্দর লাগছিল। আমরা বোট ভাড়া করে দুজনে বেশ কিছু সময় ঘুরে বেড়ালাম আর মজার মজার ফটোগ্রাফি করলাম।
এরপর আমরা সেখানে আরও বেশ কিছু সময় ঘুরাঘুরি করি। একসময় সন্ধ্যা হয়ে আসলে আমরা রওনা দিলাম আমাদের বাসার উদ্দেশ্যে। কারন আমাদের প্ল্যান হলো রাতের খাবার আমাদের প্রিয় ক্যাফে তে খাবো। আর সেটা হলো খিলঁগাও তালতলা রোডে। অবশ্য এর আগের আর একটি পোস্টে আমি এই ক্যাফের বিষয়ে আপনাদের সাথে কিছু ছবিও শেয়ার করে ছিলাম।
নির্ধারিত সময়ে আমরা পৌছে গেলাম আমাদের ক্যাফে। ততক্ষনে সমগ্র খিঁলগাও যেন রেডি হয়ে আছে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে। আমরা ক্যাফেতে প্রবেশ করে খাবারের অর্ডার করে অপেক্ষা করতে লাগলাম। আজকের মেনু পুরাটাই তার পছন্দ। কারন ট্রিট তো দিচ্ছে সে। যাইহোক কিছু সময় অপেক্ষা করার পর চলে আসলো আমাদের রাতের খাবারের সেই স্পেশাল ট্রিট।আর এতকিছু খেলাম কিন্তু তার ছবি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো না সেটা তো আমি মেনে নিতে পারবো না।
খাওয়া দাওয়া তো শেষ হলো, এখন কি করবো ৩১শে ডিসেম্বর উদযাপন করবো? না আমরা কিন্তু তা আর করিনি। আমরা চলে গেলাম বাসায়। তারপর ঘুমিয়ে পড়লাম। তার জেগে উঠলাম নতুন বছরের নতুন আলোয় নিজেকে নিয়ে নতুন রূপে।
কেমন লাগলো বন্ধুরা আপনাদের কাছে একটু আনন্দের ঘুরাঘুরি, আর মজাদার কিছু ট্রিট নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কিছুটা মূহূর্ত? জানার অপেক্ষায় রইলাম। |
---|
আপনারা দুইজনে তো দেখছি বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন। আমার কাছে কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে আপনাদের ঘুরাঘুরি করার মুহূর্ত পড়ে। খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন আবার দেখছি বেশ ভালো ভালো খাওয়া দাওয়া করেছেন।আপনাদের দুজনের কাটানো এত সুন্দর একটি মুহূর্ত সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
ভাইয়া আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ আমাদের এত সুন্দর প্রশংসা করার জন্য।
আপনাদের ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনারা অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আপনারা দুজন চাকরি জিবি তারপর ৩১ ডিসেম্বরে আপনারা বিকেল বেলা ঘুরতে বের হলেন। সেনা পরিবেশে ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। তবে আপনারা অনেক ভালো ভালো খাবার অর্ডার করে খাবার গুলো খেলেন। আসলে মাঝে মধ্যে আমরাও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। হয়তো সময়ের কারণে ঘুরতে যাওয়া হয় না। ৩১ ডিসেম্বরের উদযাপন না করে ঘুমিয়ে গেলেন। পরের দিন নতুন বছরের আগমন ফেলেন ঘুম থেকে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য। এবং অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি আপু মাঝে মাঝে দুজন মিলে সময় কাটালে বেশ ভালই লাগে।
আপনারা দুইজন যেহেতু চাকরিজীবী তাই এত বেশি সময় থাকবে না এটা স্বাভাবিক।সময় না থাকার কারণে আপনারা দুজন ৩১শে ডিসেম্বর ঘুরতে গিয়েছেন। এটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।আপনার পোস্ট পড়ে আমি বুঝেছি দুজন মিলে একটু বেশি ভালো সময় কাটিয়েছেন। কয়েকদিন পর পর এভাবে কিন্তু ঘুরতে যেতে ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু আপনাদের মত চাকরিজীবী যারা রয়েছে তাদের ঘোরা হয়না কারণ তারা কোন মতে সময় ম্যানেজ করতে পারেনা। আনন্দের সাথে এরকম একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন সত্যি ভীষণ ভালো ছিল। ধন্যবাদ।
ব্লগার অফ দা উইক বলে কথা আপনি বুঝবেন না তো কে বুঝবে। আমরা আসলে বেশ ভালই সময় কাটিয়েছি
পুরাতন বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরের আগমনে মনের আনন্দে সুন্দর করে ঘোরাফেরা করেছেন। এভাবে মাঝে মাঝে পরিবারকে নিয়ে কোথাও দূরে ঘুরতে যাওয়া এবং ভিন্ন ধরনের কিছু খাওয়া-দাওয়া করে মনের প্রশান্তি নিয়ে আসলে অনেক ভালো লাগে।আপনার খাবার দাবার দেখে তো অনেক লোভ লেগেই গেছে। এই ধরনের খাবার দাবার দেখলে আমি আবার লোভ সামলাতে পারিনা।সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন বেশ ভালো লেগেছে।
চলে আসো আপু আমার এখানে ভালো একটি রেস্টুরেন্ট আছে কিনে খাওয়াবো।
আপনি ঘুরতে পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো আপু।তাছাড়া আপনারা আপনাদের পছন্দের জায়গায় নিজেদের মতো করে সময় কাটিয়েছেন এটা খুবই আনন্দদায়ক।আসলে ব্যস্ততার মাঝে ও এই সময়গুলো স্মৃতি হয়ে থাকে, ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বী আপু জায়গাটি বেশ সুন্দর চাইলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন
আমরা কোন কিছু সেলিব্রেশন করিই প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানোর বাহানায়।আর পাশে প্রিয়জন থাকলে প্রতিদিন ই খুশির দিন।দুইজন মিলে অনেক ভাল সময় কাটিয়েছেন দেখে মন ভরে গেল।প্রিয়জনের সাথে প্রিয় জায়গায়।ধন্যবাদ আপু আপনাদের ভাল মুহুর্ত ও খাওয়াদাওয়ার মুহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বুঝতেই তো পারলেন পাশে প্রিয়জন থাকলে খুশির দিন। তাই তাড়াতাড়ি করে বিয়ে করে ফেলুন।
আপনার তিনি কিন্তু খুব স্মার্ট🤭 যাইহোক পুরো পোস্ট পড়ে যেটা বুঝলাম খুব সুন্দর একটা দিন এবং সন্ধা কাটিয়েছেন দুইজনে। বিশেষ করে নৌকা ভ্রমণ এবং আপনার পছন্দের মানুষের পছন্দের খাবার আইটেম। 🙂 ভালো হোক আপনাদের আগামী দিনের পথচলা।