শুভ সকাল ভালোবাসার কমিউনিটির ভালোবাসার সকল কে। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই বেশ ভালো এবং স্নিগ্ধ আছেন। আজও সকলের সুস্থতা এবং সুন্দর জীবন কামনা করে আবারও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। মাঝে মাঝে কোথায় যেন হারিয়ে যাই। খুঁজে পাই না নিজেকে। তবুও চলে যাচ্ছে জীবন। খুব ভোরে যদি প্রকৃতির স্নিগ্ধতা দেখা যায় দুচোখ মেলে তাহলে সারাটি দিন এমনতেই বেশ ভালো কাটে। মনটা থাকে প্রফুল্ল। দেহ থাকে সতেজ আর তরতাজা। তাই তো আমাদের বেশ সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় ঘুরে বেড়ানো উচিত।

আজ যখন ভোরে উঠে অফিসে আসছিলাম তখন ভাবছিলাম কি পোস্ট শেয়ার করবো আজ আপনাদের মাঝে। কিন্তু যখন অফিসের বাহিরের প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম হঠাৎ মনে পড়লো জাতীয় জাদুঘরের কথা। মনে পড়লো জাদু ঘরে ঘুরতে যেয়ে তো কত কত পাখির ফটোগ্রাফি করে ছিলাম। সেগুলোর কয়েকটি যদি আমার প্রিয় বন্ধুদের সাথে শেয়ার করা হয় তাহলে কেমন হয়। আর যেই ভাবনা তাই করলাম। জাদুঘরের গ্যালারি হতে নিজের ক্যামায় ফটোগ্রাফি করা কয়েকটি পাখির ফটোগ্রাফিই আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আশা করি আমার আজকের পোস্টটিও আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগবে।

পাখি ভালো লাগে না এমন মানুষ কিন্তু খুঁজে পাওয়াটা বেশ জটিল। চারদিকে এমন অনেক মানুষ আছে যারা পাখি লালন পালন করতে বেশ ভালোবাসে। যত্নে পাখিকে রেখে দেয় নিজের কাছে। আবার পাখিদের মধ্যে এমন অনেক পাখি আছে যে, যে গুলো বেশ সহজেই মানুষের কাছে পোষ মেনে যায়। টিয়া পাখি হলো সে সব পাখিদের মধ্যে একটি। যাকে বেশ সহজেই আমরা পোষ মানাতে পারি। আবার এমন অনেক টিয়া পাখি আছে যারা কিন্তু কথাও বলতে পারে। তাই জাদুঘরের গ্যালারিতে যখন দেখলাম এমন কয়েকটি টিয়া পাখি তা তুলে নিয়ে আসলাম নিজের ক্যামেরায়।

জাদুঘরের একটি বড় গ্যালারিই নানা রকমের পাখি দিয়ে সাজানো হয়েছে। গ্যালারির এই মাথা হতে সেই মাথা পর্যন্ত হাটলে শুধু পাখি আর পাখি। আমি তো আর এত পাখির নাম জানিনা। যেহেতু ঢাকায় থাকি তাই পাখির সাথে তেমন করে আমি পরিচিত নয়।পেচাঁর কথা বইয়ে অনেক পড়েছি, আবার শুনেছিও কিন্তু স্বচোখে কখনও পেচাঁ দেখার সৌভাগ্যও আমার হয়নি। কিন্তু যাও জাদুঘরে দেখলাম তা কেমন আপনারাও দেখে নেন তো।

আর জাদুঘরের গ্যালারিতে রয়েছে অজানা অনেক পাখি। যেগুলোর নাম আমার জানা নেই ।তবে শুধু আমি একাই নয় হাজারও মানুষ গ্যালারির এপার হতে সেই পার শুধু ঘুরে বেড়িয়েছে পাখিগুলো দেখার জন্য। আমার কাছে বেশ আনন্দও লাগছিল হরেক রকমের পাখিগুলো দেখতে। কিন্তু আবার মনটা খারাপ লাগছিল যে আমি কেন এদের নাম জানিনা।

পাখিগুলো এমন সুন্দর করে গ্যালারিতে সাজানো রয়েছে যে দেখতে মনে হয় গ্রামের কোন গাছে পাখি গুলো বসে আছে। তবে আপনারা আবার ভাববেন না যেন পাখিগুলো সত্যিকারের। আমিও আপনাদের মতই ভেবেছিলাম। পড়ে তো নিজেই বোকা সেজে গেলাম। আসলে পাখি গুলো কোনটাই জীবত নয়। তবুও ঘুরে ঘুরে দেখতে ভালো লাগছিল জাদুঘরের পাখি গুলো।।

গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে হাজারও পাখির মধ্যে এখানে বেশীর ভাগ পাখিই রাখা হয়েছে জাদুঘরের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য। আর গ্যালারি তে রাখা পাখি গুলোর দিকে তাকালে কিন্তু মনে হয় কোন গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছি। এত এত পাখি দিয়ে গ্যালারি পূর্ণ যে কোনটা রেখে কোনটার ফটোগ্রাফি করবো সেটাই তো ভেবে উঠতে পারছিলাম না। তবে বেশ ভালো সময় কেটেছে জাতীয় জাদুঘরের পাখির গ্যালারিতে।

আজ এখানেই রাখছি। আগামীতে আবারও ফিরে আসবো নতুন করে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে। কেমন লাগলো আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো? জানার আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করবেন।

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। আমি একজন বাংলাদেশী নাগরিক। পেশাগত জীবনে আমি একজন চাকরি জীবি এবং গৃহীনি। সেই ছেলেবেলা হতেই আমি গল্প আর কবিতা লেখার চেষ্টা করে আসছি। অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করা আমার যেমন সখ, তেমনি ভাবে নিজেকে কিছুটা স্বচছতার মধ্যে পরিচালিত করাও আমার প্রতিজ্ঞা। সেই ছেলেবেলা হতেই গান বেশ ভালোবাসি। গান শুনতে ও গাইতে আমি বেশ পছন্দ করি। সেই সাথে পছন্দ করি গল্প কবিতা লিখতে। আমি ভিডিও এডিটিং সহ অনলাইন প্লাটফর্মের নানাবিধ কাজ করতে পারি। মাঝে মাঝে গলা ছেড়ে গান করতে বা গান রেকডিং করা আমার এক সময়ের বেশ জনপ্রিয় সখগুলোর একটি। তবে ইচ্ছে আছে নিজের দক্ষতা কে আরও বেশী বৃদ্ধি করে নতুন নতুন কাজ নিজের আয়ত্বে আনা। অবশ্য আল্লাহ যদি চান। ভালোবাসি প্রাণপ্রিয় মাকে। ‍যিনি মহান আল্লাহর মেহমান হয়ে চলে গেছেন ওপারে। তবে জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃখ হলো আমার প্রাণপিয় মাকে নিজের ভালোবাসার কথা বলতে না পারা। সবার কাছে আমার জান্নাতি মায়ের জন্য দোয়া চাই ।