সিলেটের বন্যা ও মানবতা-10% Beneficiary To @shy-fox 🦊 & 5% @ abb-school📚
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছো বন্ধুরা?
নিশ্চয় সবাই ভালো আছো । আমিও তোমাদের দোয়ায় ভালো আছি।
তোমরা সবাই জানো সাম্প্রতিক একটি বিষয় সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। এমন কি এই বিষয়টি আমার বাংলা ব্লগের এডমিন প্যানেল কেও ভাবিয়ে তুলেছে। আর সেটা হলো সিলেটের বন্যা।
অনেকেই বলছে দুই হাজার চার সনের পর এটা একটি ভয়াবহ বন্যা।
ছুটির দিনে যখন দুপুরের বিশ্রামের জন্য আসলাম। তখন ইউটিউবের সংবাদ মাধ্যম গুলোতে চোখ রাখতেই চোখে পানি চলে আসলো। আসলে বেশ কিছুদিন যাবৎ সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি আমাকেও ভাবিয়ে তুলেছে।
আর তাই আজ মনের খারাপ লাগা থেকে বন্যায় সিলেটের জনজীবন নিয়ে কিছু লেখা আমার।
শুরু করা যাক-
গত 17 জুন থেকে সিলেট বিভাগের সবকটি জেলার উপজলাগুলোতে পানি ঢুকে পড়ে। তলিয়ে যায় রাস্তাঘাট। ফসলি জমি এবং পানির তীব্র স্রোতে ভেসে যায় গ্রামের পর গ্রাম। আর এই অবস্থায় মানুষ আশ্রয় নিয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রে। মানুষের মানবিক জীবন বিপর্যস্থ আজ। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে, বিস্তীর্ণ এলাকার অবস্থা বেগতিক। শহর থেকে প্রতন্ত্য অঞ্চলে যাওয়ার উপায় নেই। এছাড়াও সীমান্তবর্তী উপজেলা গুলোও যোগাযোগ বিহীন এবং অধিকাংশ স্থাপনা পানির নিচে। হাজার মানুষ পানি বন্ধী। সেই সব লোকজন নৌবাহিনী টিমের সহায়তায় আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে। এর মধ্যে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট।
বন্যা কবলিত লোকজন প্রায় তিন চার দিন পর রান্নাকরা খাবার চোখে দেখে । তাও আবার কেউ ত্রাণ নিয়ে গেলে। কারন বাড়ী ঘর, সমস্ত শহর ও গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। আর তাই চুলাও জ্বালানো যাচেছ না।শুকনো খাবার খেয়ে বেচেঁ আছে অনেকে। সমস্যায় জর্জরিত মানব জীবন। মানুষ কত অসহায়। না খেয়ে কত দিন চলে যায়। খাবার কথা মনেই নেই। কারন বন্যার পানির সাথেই যে তাদের বসবাস। এখানে এমন কিছু দুর্গম এলাকা আছে যেখানে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছায় না। তাতে করে অনেক মানুষ না খেয়ে ধুকে ধুকে মারা যাচ্ছে ।
ছোট ছোট বাচ্চারা পানির মধ্যে বসবাস করছে। মানুষজন বাড়ীঘরের জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করে পানি বন্ধী ঘরে মাচা বেধে বসবাস করছে। এর মধ্যে অনেকে সাপ, বাংঙ সহ অন্যান্য বিষধর জন্তুর সাথে বসবাস করেছে।
এখানে মানবতা এতটা অসহনীয় যে, কোন ত্রাণ ভর্তি ট্রলার দেখা মাত্র দলে দলে তারা ত্রাণ সামগ্রীর জন্য জমা হতে শুরু করে। আর এই সময়টাই আপতত: তাদের কাছে ঈদ ঈদ মনে হয়। অনেকে আবার বন্যার পানি খেয়ে জীবন যাপন করছে। অনেক বড় বড় দালান কোঠা, মানুষজন , পশু পানিতে তলিয়ে গেছে। আর তাই মানুষ আজ নিস্ব হয়ে গেছে।
সিলেট বিভাগেরে এমন কোন শহর বা গ্রাম নেই। যেখানে বন্যার পানি প্রবেশ করে নাই। বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ কে বানানো হয়েছে আশ্রয় স্থল।
সিলেট বাসির মানবেতর এ্ই জীবন যাপনে কিছুটা স্বস্থি ফিরিয়ে দিতে আজ মানবতার জয় হয়েছে। জাতী ধর্ম নির্বিশেষে সকলে সহায়তার হাত বাড়ীয়ে দিয়েছে। প্রতিদিন শহর ও দূর দুরান্ত হতে বিবভন্ন সংগঠন, দেশী বিদেশী সংস্থা প্রতিনিয়ত ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে চলে যাচ্ছে সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চল সমূহে।
আজ সময় এসেছে মানবতার সহায়তা করার। মানুষের পাশে দাড়াঁনোর ।
আর তাই আসুন, আজ আমরা সবাই মিলে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষের পাশ্বে দাড়াঁই।
ধন্যবাদ সকলকে । অনেক সময় নিয়ে আমার লেখাগুলো পড়ার জন্য ।
মাকসুদা আক্তার
খিঁলগাও, ঢাকা,বাংলাদেশ
@maksudakawsar
আসলেই নিউজ ফিট দেখলে খারাপ লাগে,এরা কত আসহায়।তাদের কাছে খাওয়াটাই এখন অনেক কিছু।আল্লাহ হেফাজত করুন। আমাদের সকলের উচিত এদের পাশে দাড়ামো।ধন্যবাদ আপনাকে
আপু আপনাকে ধন্যবাদ । আল্লাহ তাড়াতাড়ি করে এই অসহায় মানুষগুলোর সমস্যাগুলো দূর করে দেন।
আমরা বাঙালিরা নীতিকথায় পারদর্শী, কিন্তু কাজের বেলায় ঠন ঠন। যদিও আমি একজন বাঙালি, কিন্তু মাঝে মাঝে বাঙালি পরিচয় দিতে নিজের লজ্জা বোধ হয় কিছু মানুষের জন্য। তবে একটা কথা থেকে যায়। যদি ভাল মানুষ না থাকতো হয়তো পৃথিবীটা থাকতো না। আজ বন্যায় কবলিত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে হাজারো মানুষ। আবার কিছু মানুষ ঘরে বসে তামাশা দেখছে। আমাদের জন্য খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার, যেখানে বাংলাদেশ সরকার সুন্দরবনের বাঘ গণনার জন্য এক কোটি ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে। সেখানে বন্যায় কবলিত সিলেট বাসীর জন্য ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। আর বাংলাদেশ সরকারের তুলনায় সাধারন মানুষ এর চেয়ে শতগুণ বেশি ত্রান দিয়েছে অসহায় দুস্থ পরিবারের মাঝে। যাইহোক আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুবই ভালো লেগেছে, হৃদয় বিদায়ক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য রইল ভালোবাসা অবিরাম।
ধন্যবাদ ভাইয়া । মনে হচ্ছে আপনি খুব যত্ন সহকারে আমার পোস্টটি পড়েছেন । এভাবেই পাশে থাকবেন
আসলেই আপু এই নিউজগুলো দেখলে খুবই খারাপ লাগে। আর যেদিন থেকে সিলেটে বন্যা এবং বন্যার পানিতে ভড়ে গেছে সেই নিউজ গুলো দেখছি অনেক খারাপ লাগছে। কিন্তু এটাও জেনে ভাল লাগছে অনেক মানুষ আসলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন তাড়াতাড়ি খুব তাড়াতাড়ি বিপদমুক্ত করেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া । মনে হচ্ছে আপনি খুব যত্ন সহকারে আমার পোস্টটি পড়েছেন । এভাবেই পাশে থাকবেন
মানবতার সেবায় আমাদের সকলকে আত্মনিয়োজিত করতে হবে। শুধু সিলেটের এই ঘটনাকে বলে নয়, এই থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে আমাদের জনস্বার্থে।
জি ভাইয়া সত্যিই বলেছেন । আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত বিভিন্ন ভাবে আমাদের চারপাশের অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো।
আসলেই সিলেটের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ। তবে দেশের লোকজন যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তাতে বন্যার্তদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে। ভালোই লিখেছেন। কিছু বানান ভুল আছে অনুগ্রহ পূর্বক সংশোধন করে নিন। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া বানানগুলো ঠিক হয়েছে। তবে আপনাকে ধন্যবাদ না দিলেই নয়। কারন আপনি অনেক মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্ট গুলো পড়েন এবং আমাদের সঠিক রাস্তা দেখান।
সিলেটের এই দৃশ্যগুলো দেখলে এমনিতেই চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসে ঠিক বলেছেন আপনি এখনই সময় এসেছে মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। এখন আমাদের মানবতা দিকটা প্রকাশ পাবে সিলেট কে সাহায্য করার মধ্য দিয়ে। দোয়া করি যেন তারা খুব শীঘ্রই তাদের বিপদ কাটিয়ে উঠতে পারে।
ধন্যবাদ ভাইয়া । জি সত্যিই এখন আমাদের মানবতা দিকটা প্রকাশ পাবে সিলেট কে সাহায্য করার মধ্য দিয়ে। তাই আমও দোয়া করি যেন তারা খুব শীঘ্রই তাদের বিপদ কাটিয়ে উঠতে পারে।