লেকভিউতে আনন্দের ঘুরাঘুরি আর খাওয়া দাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
প্রকৃত পক্ষে একথা সত্য যে, ঘুরে বেড়ালে মন ভাল হয়ে যায়। মনে আসে প্রফুলতা। আর কর্মে আসে স্পৃহা। আর সে ভ্রমন যদি হয় প্রকৃতির সাথে প্রেম তাহলে তো কোন কথাই নেই। শীতের এই আমেজে অনেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেশ দেশান্তরে। আনন্দ উদ্দীপনায় পাড় করছেন তাদের জীবনের কিছু সময়। কিন্তু আমার ইচ্ছে থাকা শর্তেও এবার কোথাও ঘুরতে যাওয়া যাচ্ছে না। তার কারন পারিবারিক কিছু সমস্যার মধ্য দিয়ে আমি সময় পাড় করছি। মনটাও তাই বেশী ভাল না। কেন জানি নিজেকে বেশ অসহায় মনে হয়।
যাক বন্ধুরা আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন এবার বিজয় দিবসে আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম ঢাকার অদূরে পূর্বাঞ্চল লেক ভিউ তে। এই জায়গাটিকে আবার অনেকে নীল লেক ও বলে। বিশাল জায়গা জুড়ে এই লেক পার অবস্থিত। আপনাদের হয়তো মনে আছে এখানে বেড়াতে যেয়ে আমি প্রায় ৪৫০ টি ফটোগ্রাফ করে ফেলেছিলাম।
বন্ধুরা আজ আমি সেদিনের সেই ভ্রমণের কিছু অংশ নিয়ে আপনাদের সামনে আসলাম। আশা করি আপনাদের বেশ ভাল লাগবে আমার আজকের পোস্টটি।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
সেদিন ছিল অনেক কুয়াশায় ভরা। তার মধ্যেই আমরা চলে গেলাম লেক ভিউতে ঘরার জন্য। জায়গাটিতে যাওয়ার অনেক ইচ্ছে ছিল অনেক দিনের। সেখানে আমাদের পৌছাতে পৌছোতে প্রায় দুপুর ১.০০ বেজে গেল। আমরা যখন গেলাম তখনও সেখানে কোন মানুষ আসেনি। আসলে এখানে মানুষ সব ঘুরতে আসে বিকেলে আর সন্ধ্যার পর। তাই আর কি করার আমরা কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করলাম।
সেখানে যেয়ে দেখলাম একটি ভাসমান হোটেল রয়েছে। যার নাম হলো শাপলা। পানির মধ্যে কাঠের উপর নির্মান করা হয়েছে এই হোটেলটি এই হোটেলের মজার বিষয় হলো এখানে ভাত বা মাংস কিছু রান্না করা হয় না। শুধু এখানে বিকেলে বারবিকিউ আর কাবাব বানানো হয়। যা চলে রাত অবধি। তাই আমরা কিছুক্ষন ভাসমান এই হোটেলটি ঘুরে দেখলাম। বেশ ভালই লাগছিল। আমরা বেশ কিছুক্ষন সেখানে থাকলাম আর কিছু ফটোগ্রাফিও করলাম।
এরপর প্রায় খাবার সময় হয়ে গেল তখন সেই শাপলা হোটেলে যেয়ে দেখি তারা সন্ধ্যার জন্য বারবিকিউ রেডি করছে। কিন্তু তাদের এখানে কোন ভাত হবে না। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম যে একটু কাছেই একটি খাবার হোটেল আছে যেখানে খুব কম দামে খাবার পাওয়া যায়। তাই আমরা হাটতে হাটতে হোটেলের দিকে গেলাম। হোটেলের ভিতরে যাওয়ার আগে চোখে পড়ল তাদের হাত ধোয়ার জন্য বাহিরে একটি হাউজ। আর সেই হাউজের পানিগুলোও নীল। তারপর আমরা হোটেলেল ভিতর প্রবেশ করে তাদের সাজানো আইটেমগুলো দেখলম আর খাবার অর্ডার করে খেতে বসে পড়লাম। আমরা কিন্তু সবগুরো আইটেম টেষ্ট করেছি। আর চারজন মিলে খাওয়ার পরও একানে আমাদের বিল আসলো মাত্র ৭০০/- টাকা। বিশ্বাস করেন আমরা কিন্তু খাবার কোন অংশে কম খাইনি। আর মামাদের ব্যবহার ও কিন্তু বেশ ভাল ছিল। এছাড়াও খাবার টেষ্টও কিন্তু সেরকমের।
খাওয়া দাওয়ার পর আমরা বেশ কিছুক্ষন বিশ্রাম নিলাম এই জায়গায়। তারপর বের হয়ে দেখলাম পাশেই গরুর দুধের চা । আর আপনারাতো জানেন যে গরুর দুধের চা আমার কতটা প্রিয়। তাই আমরা সেই দোকানে যেয়ে চারকাপর চায়ের অর্ডার দিলাম। চা খাওয়ার পর আমাদের তো মেজাজ ঠান্ডা হওয়ার কথা। কিন্তু না মেজাজ টা গরম হয়েই গেল। কারন মামার চায়ের স্বাদ তো ভালই না তার উপর এক কাপ চায়ের দাম রাখলো ৩০/- টাকা করে। বলেন তো কেমন লাগে?
তারপর চা খাওয়া শেষ করে আমরা নীল লেক ভিউ ভিজিট করতে বের হয়ে যাই। যার বর্ণনা দিতে গেলে দুই দিন লেগে যাবে। অনেক মজার জার্নি ছিল। তাই ভাবছি আস্তে আস্তে আপনাদের সাথে শেয়ার করি। এতে করে আপনারাও মজা পাবেন আর আমিও সময় পাবো। বুঝেনই তো ৪৫০টি ছবি যে ভ্রমনে তোলা হয় তা কত আনন্দদায়ক হতে পারে।
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | Oppo-A16 |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
ভৌগলিক অবস্থান | লেকসিটি পূর্বাচল, ঢাকা |
কেমন লাগলো বন্ধুরা আপনাদের কাছ আমার আজকের ভ্রমন পোস্ট ? জানার অপেক্ষায় রইলাম। |
---|
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলেই এই শীতের সময় ঘোরাঘুরি করার সেরা মুহূর্ত। যাই হোক ঢাকায় গিয়ে লেক ভিউতে দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন এরকম সুন্দর পরিবেশ নিরিবিলিয়ে জায়গা সময় উপভোগ করতে অনেক ভালো লাগে। আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো আপনার কাটানো মুহূর্তের ফটোগ্রাফি ও গল্প।
ভাইয়া আমি তো ঢাকাই থাকি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন ঘুরে বেড়ালে মন ভালো হয়ে যায়। মনে আসে প্রফুলতা। আর কর্মে আসে স্পৃহা। আপনি ৪৫০ টি ফটোগ্রাফি করেছেন ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছেন তাহলে। আমি তো যেখানেই যাই ৪- ৫০০ ফটোগ্রাফি আমার করতেই হয়, না হলে আমার কাছে ভালো লাগে না। আস্তে ধীরে শেয়ার করলে ভালই হয় তাহলে আমরাও শান্তিতে পড়ে বুঝতে পারব আপনিও শান্তিতে লিখতে এবং শেয়ার করতে পারবেন। যাই হোক ধন্যবাদ ঘোরাঘুরির বিষয়টা ভালো লাগলো।
জি আপ আপনাদের জন্যই আমি আস্তে ধীরে শেয়ার করবো
ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুবই কম রয়েছে। আমি ভীষণ পছন্দ করি ঘোরাঘুরি করতে। আপনি তো দেখছি বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছেন এবং খাওয়া-দাওয়াও করেছেন সেই সাথে। আমি তো ভেবেছিলাম আপনি মনে হয় খুবই মজা করে চা খাবেন। কিন্তু চা খাওয়ার পর আপনার মাথা গরম হয়ে গেছে এটা জেনে খুবই খারাপ লাগলো। মনে হচ্ছে চা খেতে এত বেশি ভালো লাগেনি আপনাদের। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
নারে ভাই চা টা আর মজা করে খেতে পারলাম কই?
আসলে ঘুরতে গেলে মন মেজাজ দুইটাই ফ্রেশ লাগে । আমাদের মাঝে মাঝে সময় বের করে ঘোরা উচিত। আপনি নিরিবিলি পরিবেশে লেকের পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। আপনি যতগুলো ছবি তুলেছেন সেটা তো কয়েক পর্বে শেষ করা লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া আমিও চাচ্ছি ছবি গুলো কয়েক পর্বে শেয়ার করতে।
জানুয়ারি মাসে প্রচুর শীত হলেও সবাই কিন্তু এই সময় প্রচুর ঘোরাঘুরি করে এবং পিকনিকে যায়। আপনি খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন। ধন্যবাদ আপু আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু সবটুকু মূহূর্ত কিন্তু এখন ও শেয়ার করা হয় নাই।