ভ্রমন পোস্ট- হাতির ঝিলের মুক্ত বাতাসে কিছুটা সময়
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
ব্যস্ত জীবন। একটি নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য যেন সময় নেই। নেই কোন অবসর। আজ এটা তো কাল সেটা লেগেই আছে। একটু যে কোথাও ঘুরে আসবো বা ঘুরতে যাবো তারও কোন সময় নেই। এদিকে অনেক হাপিয়ে গেছি। মন চায় দূরের কোন গ্রামে যেয়ে ভরা নদীর পানিতে নৌকায় ঘুরে বেড়াই বেশ কিছুটা সময়। বিকেলের গোধূলী বেলার সূর্য ডোবাটাও তখন দেখা হয়ে যাবে। সেই সাধ তো আর পূরণ করতে পারছি না। তাই মনটা আজ বেশ উদাসীন। আমার মনের অবস্থা যাই হউক। আপনারা কেমন আছেন সবাই? আমি @maksudakawsar। আপনাদের সাথে যুক্ত আছি বাংলাদেশ হতে। আজ আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরও একটি ব্লগ নিয়ে।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
গত কিছুদিন আগে ছুটির দিনে হঠাৎ মনে হলো একটু রিলাক্স এর দরকার। কিন্তু ঢাকা শহরে যে অবস্থা, সেখানে রিলাক্স করার জায়গা কোথায়। হঠাৎ মনে হলো বিকেলের এই আবহাওয়ায় একটু কাছাকাছি হাতিরঝিলে ঘুরে আসা যাক। একটু হাতির ঝিলের লেকে বোর্ডগুলোতেও কিছুটা সময় ঘোরা যাবে। আগে তো মহাখালী তে অফিস থাকতে প্রায় এই বোর্ডে করেই গুলশান-১ এ চলে যেতাম। কিন্তু এখন তো আর যাওয়া হয় না। আর বিকেলে হাতিরঝিল এলাকার পরিবেশও থাকে বেশ ঠান্ডা। তাই আর দেরী না করে আমরা চলে গেলাম সেখানে। হাতিরঝিল পৌছে দেখি মানুষে মানুষে সয়লাব। সবাই যেন গরমে অতিষ্ঠ হয়ে মুক্ত বিহঙ্গে ডানা মেলে ঘুরেবেড়ানোর জন্য এখানে এসেছে। আমরা বেশ কিছুক্ষন হাতিরঝিলের ব্রীজ গুলোর উপর মুক্ত বাতাসে দাড়িঁয়ে ছিলাম।
তারপর শুরু করলাম এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ানো। আমরা তো বেশ সময় ধরে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছি। আর ফটোগ্রাফি করছি। আবার মাঝে মাঝে লেকের ধারে বসে নিজেদের মত করে কিছু সময়ও পার করছি। আসলে হাতিরঝিলে ফাস্টফুড ছাড়া তেমন কিছু পাওয়া যায় না। কিন্তু আমরা ইদানিং ওসব খাওয়া কমিয়েই দিয়েছি। তাই হাতির ঝিলে যতটা সময় ঘুরে বেড়িয়েছি তার পুরাটুকুই কেটেছে বাদাম, ঝালমুড়ি আর আইক্রীম খেয়ে। কিন্তু ফটোগ্রাফি আর ভিডিওগ্রাফি করতে যেয়ে ঘটে গেল একটি ঘটনা।
আমি ব্রীজের উপর দাড়িঁয়ে যখন ফটোগ্রাফি করছিলাম তখন হঠাৎ আমার হাত ফসকে আমার Yd22s-vivo মোবাইলটি হাত থেকে পড়ে গেল। মাত্র তিন কি চার মাস হলো মোবাইলটি কিনেছি ২৩০০০/- টাকা দিয়ে । আমি তো ভেবেছিলাম প্রটেক্টর লাগানো আছে তাই ভিতরে কিছু হবে না। কিন্তু না মোবাইলের প্রটেক্টর তো গেছেই সাথে আমার নতুন মোবাইলের কাচঁও গেছে। মনটাই বেশ খারাপ হয়ে গেল। কি আর ফটোগ্রাফি করবো। আজ আর মোবাইলের গল্প করবো না। সেই ভাঙ্গা মন আর মোবাইল দুটো নিয়েই সেদিনের বাকী ফটোগ্রাফি গুলো করেছি।
বসে বসে যখন মনের দুঃখে বিভর তখন হঠাৎ ভাবলাম যে লেকে চড়া বোর্ডগুলো তে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসি। যদি মনের দুঃখ কিছুটা কমে। তাই আর বসে না থেকে চলে গেলাম বোর্ডে। কিন্তু আমরা কিন্তু সেদিন আর গুলশানে গেলাম না । অন্যান্য লোকের সাথে একঘন্টার জন্য একটি বোর্ড ভাড়া করলাম। জনপ্রতি ১০০ টাকা করে। আমাদের দুজনের জন্য ভাড়া পরলো ২০০/০টাকা। যাক দুশত টাকা তাতে কি। প্রকৃতির এমন মজা তো আর কোথাও পাবো না। তো বোর্ডে লেকের পানি আর চারপাশের সবুজ অরণ্য দেখতে তো বেশ মজাই লাগছিল। মনে হচিছলো আমরা মনে হয় সিলেটের টাঙ্গুয়া হাওড়ে বেড়াতে গিয়েছি। হি হি হি
আমরা যখন বোর্ড থেকে নামলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা ৭.০০ বেজে গেছে। কিন্তু আমরা তখনও বাসায় আসার সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমাদের আরও কিছুটা সময় সেখানে বসে বসে প্রকৃতির বিশুদ্ধ বাতাস খেতে মনে চাইলো। আরে বাতাস তো আর খাওয়া যায় না। বাতাস অনুভব করার ইচেছ জাগলো। তাই বেশ কিছুটা সময় বাদাম নিয়ে গল্প করলাম আর বসে বসে হাওয়া গুলো অনুভব করলাম। বেশ ভালোই কিন্তু লাগছিল আমাদের । মুক্ত বিহঙ্গে ঘুরে বেড়ানো। কোন চিন্তা ভাবনা কিছুই তো নেই।
তো বসে বসে গল্প করতে করতে একটু দুষ্টমি মাথায় আসলো। ভাবলাম সবাই তো দিনের আলোতে চোখে সানগ্লাস পড়ে ছবি তোলে। তো আমরা একটু যদি রাতের আলোতে সানগ্লাস পড়ে ছবি তুলি তাহলে কেমন লাগেবে? তো আপনারাই একটু দেখেন তো দুজন দুষ্ট লোকের এমন করে ছবি তোলা কেমন হলো। আর এরকম কিছু দুষ্টুমি করতে করতে অবশেষে বাসায় আসার সময় হয়ে গেল। যদি মনে চাচ্ছিলো না। কিন্তু কি আর করার রাস্তায় তো আর ঘুমানো যাবে না। হি হি হি। তাই চলে আসতে হলো প্রকৃতির কাছে বিদায় নিয়ে।
আজ এখানেই শেষ করছি। চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত ভালো লাগার মতো করে কিছু ব্লগ শেয়ার করতে। তাই আশা করি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের আশায় রইলাম। সবাই ভালো থাকবেন এবং সাবধানে থাকবেন।
পোস্টের ধরন | ভ্রমন |
---|---|
ডিভাইস | VIVO-Y22S |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
স্থান | হাতিরঝিল, ঢাকা, বাংলাদেশ |
আমি @maksudakawsar আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। পেশায় চাকুরী জীবি। তবে পাশাপাশি আমি একজন গৃহিনী কাম ব্লগার। সমাজের অসহায় মানুষ গুলোর হাতছানিতে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনা। গান, কবিতা আর ভ্রমন আমার বেশ সখের একটি বিষয়। সেই সাথে গল্প লেখতেও আমার বেশ ভালো লাগে। ভালোবাসি আমার জান্নাতি মা কে । মায়ের অভাব খুব কষ্ট দেয় আমায়। পৃথিবীতে মা ছাড়া আর কেউই আপন না। তাই মা কে ভালোবাসুন সবাই।
❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmPvpuVEKcuADe4Q4QTCaYgX94unPsrwnH1mRJVCyWmiYo/image.png)
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/maksudakawsar/status/1682388307517538304?s=20
খোলা জায়গায় এভাবে সময়ে অতিক্রম করতে খুবই ভালো লাগে। দুজনকে সানগ্লাসে জাস্ট অসাধারণ। এই সুন্দর প্রকৃতিকে বিদায় জানাতে নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হয়েছিল। কিছুই করার নেই ঘরে গিয়ে তো ঘুমোতে হবে। 😁
কষ্ট তো হয়েছিল আপু। পারলে তো থেকেই যেতাম। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি ঠিক বলেছেন আপনার ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে হাতিরঝিলের মনোরম প্রকৃতি। যদিও কখনো হাতিরঝিল যাওয়া হয়নি,কিন্তু শুনেছি হাতিরঝিল দেখতে অনেক সুন্দর। ঠিক বলেছেন আপু রাস্তায় তো আর ঘুমানো যাবে না ,না হলে রাতটা ওখানেই পার করে দিতেন 😁। ধন্যবাদ আপনাকে আপু আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু রাস্তায় তো ঘুমানো যাবে না। তাইতো চলে আসতে হল।
এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু ঢাকা শহরের বর্তমানে যে অবস্থা তাতে কোথাও মুক্ত ভাবে ঘোরাঘুরি করার উপায় নেই। খুবই ভালো করেছেন হাতিরঝিলে এসে একটু মুক্ত বাতাস খেয়ে। আমিও মাঝে মাঝে এখানে যাই আর সময় অতিবাহিত করে আসি।
ভাইয়া বাতাসটা খাওয়া যায় না। তাহলে আমি কি করে খাব। আমি মুক্ত বাতাস অনুভব করেছিলাম। হিহিহি। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনাদের সান গ্লাস পড়ে ছবিতে অনেক সুন্দর লাগছে আপু।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
হাতির ঝিলের মুক্ত বাতাসে দেখছি বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছিলেন। এরকম জায়গা গুলোতে গেলে সত্যি খুব ভালো মুহূর্ত কাটানো যায়। এরকম প্রকৃতির মাঝে ঘুরতে গেলে সত্যি খুব ভালো মুহূর্ত কাটানো যায়। ঘোরাঘুরির পাশাপাশি আপনারা বাদাম, ঝাল মুড়ি, আইসক্রিম খেয়ে মুহূর্তটা কাটিয়েছিলেন এটা জেনে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পারছি খুব সুন্দর করে মুহূর্তটা কাটিয়েছিলেন।
জি আপু অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম সেদিন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।