এখন শুধু অপেক্ষার প্রহর গুনি।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম

আজ সোমবার, ১৫ই নভেম্বর ২০২২ ইং
২৮ই কার্তিক ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই বেশ ভাল ও সুস্থ্য আছেন। আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি বেশ ভাল আছি।

বন্ধুরা প্রতিদিনের মত আজও আবার আপনাদের মাঝে চলে আসলাম নতুন আরও একটি ব্লগ নিয়ে। আপনারা সবাই হয়ত জানেন যে আমি সাধারণত প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্লগ করে থাকি। এর কারন হচ্ছে আপনারা যেন বরিং না হউন। আর আমার ব্লগগুলি পড়ে আপনারা যাতে একটু স্বস্থি বোধ করতে পারেন। তাইতো আপনাদের মাঝে আজ আসলাম একটি গল্প নিয়ে। আশা করি আমার মত আপনাদের কাছেও গল্পটি বেশ ভা লাগবে।

sunset-110305_1920.jpg

লোকেশন

এখন শুধু অপেক্ষার প্রহর গুনি।

নিলয় বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে মাস চারেক আগে। ঢাকায় এসে সে প্রথমে একটি মেছে থাকতো । কিন্তু মনোয়ার সাহেবের অনুরোধে আপততঃ সে তার চিলেকোঠার একটি রুমে থাকে। নিলয় আসিফ সাহেবের ছেলে মিনম্বয় কে পড়ায়। আসলে মনোয়ার সাহেব একজন অমায়িক মানুষ। তিনি নিলয়ের কাছ থেকে চিলে কোঠা রুমের কোন ভাড়া নেন না। নিলয় কে তিনি বলেন, তুমি শুধু আমার ছেলেকে পড়াবে আর বাড়ির সবার সাথে মিলেমিশে থাকবে। তোমার কোন ভাড়া লাগবে না। মনোয়ার সাহেবের স্ত্রী ও মেয়ে খুব ভাল মানুষ। মেয়িটির নাম সুপ্তি। কিন্তু কেন জানি সুপ্তি নিলয় কে একদম সহ্য করতে পারে না। নিলয় কে দেখলে কপাল কুচকে থাকে। আবার সুযোগ পেলে খারাপ ব্যবহারও করে। কিন্তু তারপরও সব কিছু মিলিয়ে বেশ ভাল দিন যাচ্ছিল নিলয়ের। ‍

একদিন সন্ধ্যার পর নিলয় ছাদে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছে। হঠাৎ বাড়িওয়ালার মেয়ে সুপ্তি ছাদে আসে আর নিলয় দেখে তার মাথা গরম হয়ে যায়। তখন সে নিলয় কে অনেক বকাবকি করে। সুপ্তি নিলয় কে ছাদে আসতে নিষেধ করে দেয়। কিন্তু নিলয়ের খোলা ছাদের নিচে দাঁড়িয়ে জোড় জোড়ে নিশ্বাঃস নিতে আর আকাশের দিকে চেয়ে থাকতে ভাল লাগে। আর এসব কথা নিলয় সুপ্তিকে অনুরোধের সুরে বলেন। এরপর সুপ্তি রেগে যেয়ে নিলয় কে তার ‍রুমে বসে আকাশ দেখতে বলে এবং আরও বলে সুপ্তি যখন ছাদে আসবে তখন নিলয় যেন ছাদে না আসেন। সুপ্তি রাগের মাথায় বিরবির করে, তার বাবা উদ্দেশ্যে বলে, আব্বু যে কেনো বেচালার মানুষ ভাড়া দেয়। এসব কথা বলতে বলতে সুপ্তি ছাদ হতে নেমে যায়। এসব কথা শুনে নিলয় বেহায়ার মত ঠাঁই দাড়িয়ে আকাশ দেখতে লাগলেন। আর ভাবছেন কি আর করবো আমার তো আর উপায় নাই। এই আকাশই যে আমার সব। এরপর নিলয় বুক ভরা নিশ্বাস নিয়ে রুমে চলে যায়।

image.png

লোকেশন

নিলয় মিনস্বয় কে সাধারণত বিকেলে পড়ায়। নিলয় আজ যখন মিনম্বয় কে পড়াতে আসে তখন পড়ার ফাকেঁ মিনম্বয় নিলয় কে বলে ভাইয়া আপনাকে অনেক অসুস্থ্য দেখাচ্ছে। কারন নিলয় মিনম্বয় কে প্রায় তিন বৎসর ধরে পড়ায়, কখনও মিনম্বয় নিলয় কে এত অসুস্থ্য দেখেনি। নিলয় মিনম্বয় এর কথাটি এড়িয়ে যান। এরপর নিলয় তার বাড়িতে ফোন করার জন্য নিচে ফোনের দোকানে যায়। নিলয় বাড়ি হতে আসার পর কোন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। যাতে তার বাড়ির লোকজন তাকে খোঁজে না পান। নিলয় যখন নিচে ফোন করতে যান তখন দোকানদারও নিলয় কে একই কথা বলল। নিলয় কে নাকি অনেক অসুস্থ্য দেখাচ্ছে। নিলয় এবারও তার কথা এড়িয়ে গেল। আসিফ যখন বাড়িতে ফোনে কথা বলে তখন পরিবারের সবাই তাকে বাড়িতে ফিরে যেতে অনুরোধ করে। কিন্তু নিলয় তাদের কথাও এড়িয়ে যায়।

ঢাকায় একটা মাত্র টিউশনি দিয়ে নিলয়ের চলতে খুব কষ্ট হচ্ছে। দিন দিন অসুস্থ্য হয়ে যাচ্ছে। আজকাল শরীরটা কাজ করতে চায় না তার। রাতে ছাদে নিলয় দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছে। এরমধ্যে হঠাৎ ছাদে সুপ্তি আসে। সুপ্তি ছাদে নিলয় কে দেখে বিষণ রেগে যায়। সুপ্তি নিলয় কে বলে বাবার মাথাটা তো চিবিয়ে খেয়েছেন। বাড়ি ভাড়া তো দেন না।তারপর আবার বারবার নিষেধ করার পরও ছাদে এসে দাঁড়িয়ে থাকেন। আপনাকে না ছাদে আসতে বারন করেছি? আপনার মনে হয় লজ্জা নেই। আমি আপনার জন্য খুব বিরক্ত। আপনাকে আমার একদম সহ্য হয় না। আপনি দয়া করে এখান থেকে চলে যান। আপনি চলে গেলে আমি খুব খুশি হবো। নিলয় সুপ্তির এসব কথা সারারাত ধরে ভাবে। এরপর নিলয় সিদ্ধান্ত নিল সে চলে যাবে। তাই সে মনোয়ার সাহেবের কে বলে যে সে মেছে চলে যাবে। মনোয়ার সাহেব নিলয় কে অনেক অনুরোধ করলেও নিলয় তার নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকে। নিলয় তার এক বন্ধুর সাথে কথা বলে, মেছে রুম ঠিক করে ফেলে এবং আরও কয়েকটি টিউশনিও ঠিক করে নেয়।

depression-20195_1920.jpg

লোকেশন

নিলয়ের আবার ডাইরি লেখার অভ্যাস। মন খারাপ থাকলে বা সময় পেলেই সে বসে যায় ডাইরি লিখতে। এখন প্রায় প্রতিরাতেই ডাইরিতে তার জীবনের কিছু কথা লেখে রাখে। আজও নিলয় বসলো ডাইরি লিখতে। হঠাৎ নিলয়ের মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে। তাই নিলয় নিচে নেমে গেল মাকে ফোন করতে। প্রতিবারের মত এবার ও নিলয়ের পরিবারের সবাই তাকে বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ করলো। কিন্তু নিলয় এবার ও তাদের কথা এড়িয়ে গেল। নিলয় ঘরে ঢুকে দেখে টেবিলের উপর কে যেন খাবার দিয়ে গেছে। কিন্তু নিলয় তার ডাইরিটা কোথাও খোঁজে পাচ্ছে না। নিলয় মনে করে মিনম্বয় খাবার দিতে এসে দুষ্টামি করে নিয়ে গেছে। থাক আজ অনেক রাত হয়ে গেছে। তাই আজ আর যাবো না। কাল মিনম্বয়ের কাছ থেকে সে ডাইরিটা নিয়ে নিবে।

আসলে সেদিন নিলয় কে খাবার দিতে মিনম্বয় নয় সুপ্তি গিয়েছিল। মিনম্বয় ঘুমিয়ে পড়ায় মায়ের অনেক বকাবকি তে সুপ্তি নিলয়ের জন্য খাবার নিয়ে যায়। সপ্তি নিলয়ের ঘরে ঢুকে দেখে ঘরে কেউ নেই। টেবিলের উপর একটা ডাইরি পড়ে আছে। সুপ্তি খাবার রেখে ডাইরিটা একটু নাড়াচাড়া করে দেখে ডাইরিতে অনেক লেখা। সুপ্তির একটু কৌতহল জাগে । তাই সে ডাইরিটা পড়ার লোভ সামলাতে পারেনি। তাই সে নিলয়ের ডাইরীটা চুরি করে নিয়ে যায়। রাতে ঘরে বসে সুপ্তি নিলয়ের ডাইরিটা পড়ছে আর কাঁদছে।

ডাইরিতে লেখা ছিল, কয়েকমাস আগে নিলয় যখন মেছে থাকতো তখন হঠাৎ করে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বাড়িতে মায়ের কাছে যায়। সেখানে নিলয়ের মা তাকে ভাল একজন ডাক্তার দেখান। ডাক্তার সাহেব নিলয়ের সব টেষ্ট করে বুঝতে পারে যে, নিলয়ের ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে এবং সেটা প্রায় শেষ ধাপে। নিলয়ের পরিবারে তারা মোট তিন। ভাই দুই ভাই বিবাহিত। কিন্তু একমাত্র বসত বাড়ী ছাড়া নিলয়ের বাবার তেমন সম্পত্তিও নেই। এদিকে রাতে নিলয়ের বাবা, দুই ভাই ও ভাইয়ের বউ সবাই মিলে নিলয়ের বিষয়ে আলোচনায় বসে। নিলয়ের বাবা বলেন, আমার ছেলেকে সুস্থ্য করে তুলতে আমি আমার সব সম্পত্তি বিক্রি করে দিবো। এ কথা শুনে নিলয়ের ভাইয়েরাও বাবার সাথে একমত পোষন করে। আর এসব কথা নিলয় সব পাশের ঘরে শুয়ে শুয়ে শোনে।

bend-1296747_1280.png
লোকেশন

নিলয় রাতে শুয়ে শুয়ে ভাবতে থাকে, তাদের পরিবারটা একটা সুখী পরিবার । এখানে কোন অসুখ ছিল না। কিন্তু বর্তামানে একমাত্র অসুখ হলো নিলয়। আর কি করে নিলয় পারবে তার পরিবারের সাথে এতটা স্বার্থপরতা করতে? বাবার শেষ সম্বল বিক্রি করে দিলে কি হবে, তার আর ভাইদের ভবিষৎ? কি হবে ভাইয়ের বউ আর ছোটছোট ছেলেমেয়েদের? মানুষ কে তো একদিন মরতেই হবে। কিন্তু নিলয় যদি একটু আগে মরে তাতে সমস্যা কি? সে না হয় একটু আগেই মরলো। তাতে তো একটি পরিবার বেচেঁ গেল। তাই নিলয় সিদ্ধান্ত নেয় সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবে। এজন্য নিলয় রাতে ব্যাগ গুছিয়ে রাখে। ভোরে উঠে একটা টিঠি টেবিলে চাপা দিয়ে কাউ কে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। আর চিঠিতে নিলয় লেখে আমাকে তোমরা খোঁজ করো না, কোন রকম টেনশন করো না। আমি যেখানেই থাকবো ভালই থাকবো। এসব কথা ডাইরিতে পড়ে সুপ্তি হাউমাউ করে কাদঁতে থাকে। সে বলে আমি এসব কি করলাম? না জেনে একটা অসুস্থ্য মানুষ কে কষ্ট দিলাম। আমি তো অনেক বড় অপরাধ করেছি।

এদিকে নিলয়ের শরীরটা খুব খারাপ যাচ্ছে। তাই সে ডাক্তারের সাথে দেখা করেন। ডাক্তার তার সব পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিলয়কে বলে দেয় যে, তার হাতে আর একমাস সময় আছে। নিলয়ের মনটা বেশ খারাপ। হাতে বেশি সময় নেই। মাকে খুব দেখতে মন চাচ্ছে। তাই রাতে ছাদে দাঁড়িয়ে নিলয় আকাশের দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকে। হঠাৎপিছন থেকে সুপ্তি নিলয় কে বলে, তাহলে চলে যাচ্ছেন? না গেলে হয় না। আমি না হয় অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি। আমাকে ক্ষমা করে দেওয়া যায় না? সুপ্তির এতগুলো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগেই সুপ্তি বলে, আমি আপনার ডাইরিটা পড়েছি। আপনি কেন আমাদের কাছে এতবড় সত্য গোপন করলেন? তখন নিলয় বলে, ওকে আপনি অপরাধ করলে করেছেন। আপনাকে ক্ষমা করে দিলাম। তবে আমাকে যেতে হবে। যে মেছে সিট নিয়েছি সেখানে বিশাল বড় খোলা আকাশ। আর আমাকে কেউ আকাশ দেখতে বারন করবে না। এসব কথা শুনে সুপ্তি কিছু না বলে কাঁদেতে কাঁদতে চলে যায়।

সুপ্তি এখন প্রায় রাতে ছাদে আসে। নিলয়ের সাথে গল্প করে । নিলয়ের মন ভাল রাখার চেষ্টা করে। আবার মাঝে মাঝে নিলয় কে বিভিন্ন জিনিস গিফটও করে। নিলয় বুঝতে পারে যে, মেয়েটির অপরাধবোধ থেকেই আমার প্রতি একধরনের দূর্বলতার সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে। কিন্তু না এই দূর্বলতাকে বেশী দূর যেতে দেওয়া যাবে না? পরে মেয়েটি বেশ কষ্ট পাবে। আমিতো আর মাত্র একমাস আছি। তারপর মেয়েটির কি হবে? তাই নিলয় সিদ্ধান্ত নেয় আগামীকাল সকালে সুপ্তি যখন কলেজে যাবে ঠিক তখনই তাকে এ বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে। তা না হলে মেয়েটি অনেক অনেক কষ্ট পাবে। কারন ডাক্তার তার সব পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিলয়কে বলে দেয় যে, তার হাতে আর একমাস সময় আছে।

love-3497782_1920.png

লোকেশন

এদিকে নিলয় মনোয়ার সাহেবের পরিবারের সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায় স্টেশনে। তবে আসার সময় সুপ্তির সাথে দেখা হয়নি নিলয়ের। স্টেশনে বসে আছে নিলয়। আজ বাড়ির সবার কথা মনে পড়ছে নিলয়ের। খুব বাড়ি যেতে মনে চাচ্ছে। কিন্তু নিলয় বাড়ি ফিরবে না। কারন নিলয়ের হাতে আর একমাস সময় আছে। কোন বাবা মা চোখের সামনে সন্তানের মৃত্যু মেনে নিতে পারবে না। তাইতো নিলয় আজ অপেক্ষায় আছে। একদিন কোন একটি নতুন ট্রেনে করে বাড়িতে যেয়ে সবাইকে সারপ্রাইজ দিবে। আর সেটাই হবে হয়তো নিলয়ের জীবনের শেষ ট্রেন। নিলয় স্টেশনে বসে সুপ্তি কে নিয়েও ভাবছে। কেন সুপ্তি নিলয়ের জন্য এত কান্না করলো? কি করবে সুপ্তি যখন নিলয় থাকবে না? আচ্ছা সুপ্তি কি নিলয় কে ভালবেসে ফেলেছিল?

hand-4661763_1920.jpg

লোকেশন

কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের গল্প? আসলে সুপ্তি কি এই মৃত্যু পথযাত্রী নিলয়কে ভালবেসে ফেলেছিল? জানার অপেক্ষায় রইলাম।

আপনারা সবসময় প্রাণবন্ত, ভাল ও সুস্থ্য থাকুন।

❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️

@maksudakawsar

image.png

Sort:  
 2 years ago 

অনেক ভাল একটি গল্প পড়লাম।সুন্দর ছিল গল্পটি।নিলয়ের জন্য অনেক খারাপ লাগছে।সে জানে আর মাত্র ১মাস পর সে মারা যাবে।তার মনের মাঝে যে কি ঝড় চলছে তা কেউ ভাবতেও পারে না।ধন্যবাদ আপু সুন্দর গল্পটি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আপনার মত নীলের জন্য আমারও প্রচুর খারাপ লাগছে।

 2 years ago 

নিলয়ের অসুস্থতার কথা জেনে সত্যিই খারাপ লাগলো আপু। হয়তো সুপ্তি নিলয়কে ভালোবেসে ফেলেছিল। কিন্তু তার ভালোবাসা দিয়ে নিলয়কে আটকে রাখতে পারল না। আসলে এভাবেই হয়তো ভালোবাসার মানুষগুলো হারিয়ে যায়। হয়তো দূর অজানায় চলে যায়। দারুন একটি গল্প লিখে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।

 2 years ago 

যে পথটা সত্যি বলেছেন সুপ্তি নিলয় কে সত্যিকারে ভালবেসে ফেলেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

সুপ্তি তার মন উজার করে নিলয় কে ভালোবেসেছিল। কিন্তু বিধাতার ভাগ্যের লিখনে চলে যাবে নিলয়।এটা মেনে নেওয়া অনেক কষ্টের।আসলে
ভালোবাসার মানুষকে হারানোর কষ্টটাও দ্বিগুণ । আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। খুব সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপু ।

 2 years ago 

আপু আপনি একবারে সত্য কথা বলেছেন ভালোবাসা হারানোর কষ্ট দ্বিগুণ। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

মিলনের অসুস্থতার কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। সে জানে সে কিছুদিন পর মারা যাবে । সত্যি এরকম ভাবে ভালবাসার মানুষগুলো হয়তো হারিয়ে যায়। খুবই ভালো একটি গল্প ছিল। এরকম গল্প গুলো পড়তে খুবই ভালো লাগে গল্পের মাধ্যমে অনেকের জীবন সম্পর্কে জানা যায় এবং বাস্তবিক ঘটনা জানা যায়।

 2 years ago 

ভাইয়া মিলন না নিলয়। আপনি একদম সত্যি কথা বলেছেন গল্পের মাধ্যমে অনেকের জীবন সম্বন্ধে জানা যায়।

 2 years ago 

আসলে প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা শুধুমাত্র তার প্রিয় জনে বোঝে।সুপ্তি তার সবটুকু দিয়ে নিলয় কে ভালবাসলেও তাকে ধরে রাখতে পারবেনা। হ্যাঁ আপু গল্পটি পড়ে এটাই বোঝা যাচ্ছে যে সুপ্তি নীলয় কে আসলে অনেক ভালবেসে ফেলেছে।

 2 years ago 

জ্বী আপু সত্যি আসলে ডিলিট অনেক ভালোবেসে ফেলেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। তবে নিলয়ের অসুস্থতার কথা শুনে মন ভীষণ খারাপ হয়ে গেলো। আসলে ভালোবাসার মানুষগুলো যদি হারিয়ে যায় তখন খুবই কষ্ট লাগে । এত চমৎকার গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

 2 years ago 

ভাইয়া গল্পটা আপনার কাছে ভাল লেগেছে যে না আমার খুবই ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

গল্পটি পড়ে ভাল লাগলো আপু।নিলয়ের অসুস্থতা জেনে খারাপ লাগলো। সে বাঁচবে না জেনে তার মনের উপর কি হচ্ছে তা খুবই কষ্টের।সুপ্তি নিলয়কে ভালবেসে ফেলেছিল। কিন্তু ভালবাসা দিয়ে ও আটকে রাখা গেল না। এভাবেই হয়ত ভালবাসার মানুষগুলো হারিয়ে যায়। দারুন একটি গল্প শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

আপু প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ আমার গল্পটি এত প্রশংসা করার জন্য। হ্যাঁ সত্যি বলেছেন শক্তি নিলে কে ভালোবেসে ফেলেছিল।

 2 years ago 

উফফ্ বুকের ভেতরটা কুঁকিয়ে উঠলো গো দিদি!এই এমন কোন দৈববল নেই যাতে নিলয় সুপ্তির কাছে ফিরে আসে! ভালোবাসা এত অসহায় হয়ে পড়ে কেনো মাঝে মাঝে বুঝি না। দারুন লিখেছো। খুব ভালো লাগলো। ভীষণ মন ছুঁয়ে যাওয়ার মত গল্প একটা।

 2 years ago 

ধন্যবাদ দিদি তোমাকে। আমার গল্পটি এত প্রশংসা করার জন্য। আসলে ভালোবাসা গুলো এমনই হয়।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.034
BTC 64029.44
ETH 2756.43
USDT 1.00
SBD 2.65