লাইফ স্টাইল- একটু সর্তকতায় বেচেঁ গেলে কিছু প্রাণ || lifestyle by @maksudakawsar ||
প্রানের প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের প্রাণপ্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া এবং মহান আল্লাহ্ এর অশেষ রহমতে বেশ ভালো আছি। কেন জানি আজকাল মনে হয় এখন আমাদের ভালো থাকা আর মন্দ থাকাটা নির্ভর করে পারিপার্শ্বিকতার উপর। তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত ভালো থাকার।
আমি @maksudakawsar, বাংলাদেশ হতে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন নিয়মিত ইউজার। আমি মনে করি এমন একটি কমিউনিটির একজন নিয়মিত ইউজার হয়ে থাকাটাও গর্বের বিষয়। হাজারও ব্যস্ততার মাঝেও আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন নতুন এবং ভিন্ন কিছু পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হতে। তাই তো আজ আবার একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম।
বিবেক হলো মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু। আমাদের অবশ্যই আমাদের বিবেক কে এমন করে পরিচালনা করা উচিত যাতে করে আমাদের জন্য অন্য কারও কষ্ট না হয়। কারন আমাদের একটু অসর্তকতার জন্য বা আমাদের একটু ভুলের জন্য অন্যের জীবনে ঘটে যেতে পারে অনেক দূর্ঘটনা। কিন্তু আমরা কি সেই বিবেক কে এতটুকুও কাজে লাগাই? আমার তো মনে হয় না, আমরা বেশীর ভাগ মানুষই নিজেদের কে নিয়ে ব্যস্ত। আর আমাদের এই নিজেদের কে নিয়ে ব্যস্ততার জন্যই অনেক সময় ঘটে যায় অনেক বড় বিপদ। বন্ধুরা আজও চেষ্টা করছি আপনাদের মাঝে একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট শেয়ার করতে। আশা করি আমার আজকের পোস্টিও আপনাদের ভালো লাগবে।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
মাঝে মাঝে চারদিকের অবস্থা দেখলে বেশ ভয় হয়। কখন যে কোন দুর্ঘটনায় পড়তে হয় কেউ বলতে পারে না। সকালে বাসা হতে বের হলে যে বাসায় সুস্থ ভাবে যেতে পারবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। থাকবেই বা কি করে? কখন যে কি হয় সেটা বলাই তো মুশকিল। এই তো কয়েকদিন আগে আমাদের অফিসে ঘটে গেল একটি দুর্ঘটনা। অফিস করছিলাম। হঠাৎ দেখলাম উপর থেকে সব মেডিকেল ছাত্র-ছাত্রীরা তাড়াতাড়ি করে সিঁড়ি বেয়ে নীচের দিকে নামছে। আবার বেশ লোকজনের ভিড়। বিষয়টা বুঝার আগেই পুরো মেডিকেল কলেজের বিদ্যুৎ চলে গেল। এবার তো একটু আগ্রহ হলো। তারপর কলিগদের কাছে জানতে পারলাম আমাদের অফিসের ছয় তলায় আগুন লেগেছে। তখন কেমন লাগে বলেন তো? আমি তো ভয়ে একদম শেষ।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
আমরা মেয়েরা সব বাহিরে গিয়ে দাঁড়ালাম। আর ছেলেরা সবাই মুখে মাক্স পড়ে উঠে গেল ছয় তলায় আগুন নিভাতে। আমরা তখন অফিসের বাহিরে চলে গেলাম। বাহিরে গিয়ে দেখি যে পুরো মেডিকেল কলেজের রাস্তায় ছাত্র- ছাত্রী এবং শিক্ষক। সবার মধ্যে একটি আতঙ্ক কাজ করছে। এদিক দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী তো এসে হাজির। কিন্তু কথা হলো যতক্ষনে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী আসলো, ততক্ষনে নাকি উপরের আগুন নেভানো হয়ে গেছে। কিন্তু কি আশ্চর্য বিষয়। আগুন নিভানোর পর ফায়ার সার্ভিসের আগমন। ঐ যে কথায় বলে না যে, ডাক্তার আসার পূর্বে রোগী মারা গেল। সেই রকম আরকি।তো ফায়ার সার্ভিস এসে তাদের মত করে একটু দেখানোর চেষ্টা করলো আর কি তাদের কাজ।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
এইদিকে প্রিন্সিপাল স্যার শুধু ছাত্র-ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে দিলো। তারা তাদের মত করে বাসায় চলে গেল। আর আমরা রয়ে গেলাম অফিসে। আমাদের ভাগ্যে আর ছুটি জুটলো না। ভাগ্য বলে কথা। যাই হোক সেটা না হয় গেল। এখন বিষয় হলো আগুন কি করে লাগলো? সবাই যখন উপর থেকে আগুন নিভিয়ে আসলো তখন জানলাম যে,উপরে রাখা পুরানো ফার্নিচারে নাকি আগুন লেগেছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো সেখানে আগুন গেল কি করে? যাই হোক সেটা তো আর আমার বিষয় নয়, তাই অহেতুক চিন্তুা বাদ দিলাম।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
কিন্তু ভেবে দেখেন তো সেদিন যদি সেই আগুনের তান্ডব সমস্ত অফিসে ছড়িয়ে পড়তো তাহলে আমাদের কি হতো? আসলে একটু সর্তকতার জন্যই বেচেঁ গেল কিছু প্রাণ। সেদিন যদি কলেজের লিফট বয় এই আগুন না দেখতো, যদি সে প্রতিটি ক্লাসে ক্লাসে যেয়ে না জানাতো। তাহলে হয়তো সেই আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারতো বহুদূর। আর আমাদের অবস্থাও তখন কি হতো বুঝতেই পারছেন। সেদিন লিফট বয়ের কথায় অফিসের সব স্টাফ একত্রে হয়ে নিজেদের জীবন কে বাজি রেখে বাচিঁয়ে দিলো পুরো কলেজ কে। আর একটু সর্তকতায় বেচেঁ গেল কিছু প্রাণ।
শেষ কথা
শেষ কথা
আসলে আমি মনে করি প্রতিটি অফিসে আগুন নিরোর্ধক কিছু থাকা প্রয়োজন। যাতে করে ফায়ার সার্ভিসের উপর নির্ভর না করে নিজেরাই কিছুটা চেষ্টা করতে পারে। আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
কি ভয়ংকর দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন আপনারাও আপনার মেডিকেল কলেজ। আসলে ফায়ারসার্ভিস তো মানুষ আসতে তো সময় লাগবেই।সব ছাত্র ছাত্রী নিচে নেমে আসতে পেরেছে জেনে ভালো লাগলো।আগুনের তান্ডব অফিসে ছড়িয়ে পরলে ভয়ংকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতো আপু।সত্যি তো আগুন পুরানো ফার্নিচারে গেলো কি করে।এসব ভাবনার বিষয়। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
যাক ভাই এত খোঁজার দরকার নেই , বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি সেটাই অনেক। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
খুব ভালো ভাবে বেঁচে গিয়েছেন সবাই।আল্লাহকে শুকরিয়া।বড় কোন ঘটনা সত্যি ই ঘটে যেতে পারতো। সবই আল্লাহর ইশারা।আল্লাহ লিফটের বয়কে দিয়ে আপনাদের সজাগ করে দিয়েছেন।সত্যি আপু আজকাল সব জায়গাতেই আগুন নেভানোর জন্য কিছু থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।আল্লাহকে আবার শুকরিয়া জ্ঞাপন করলাম।
একদম ঠিক আপু আল্লাহ্ এর কাছে শুকরিয়া। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অনেক ভয়ংকর একটা দুর্ঘটনার হাত থেকে আপনারা সবাই বেঁচে গিয়েছেন এটা শুনেই খুব ভালো লাগলো। আসলে এই ধরনের দুর্ঘটনা গুলো আমাদের জীবনের কাল হয়ে আসে। তবে প্রত্যেকটা স্টাফ নিজেদের প্রাণকে বাজি রেখে আগুন নিভিয়েছে এই বিষয়টা শুনে অনেক ভালো লাগলো। অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত ওখানে। তবে আমার তো মাথায় এটা ঢুকতেছে না ওখানে আগুন কিভাবে গেল। আর পুরনো ফার্নিচারে কি করে আগুন লাগলো। তবে যাই হোক আল্লাহর দরবারে অনেক অনেক শুকরিয়া কারো কিছু হয়নি।
জি আপু একতা থাকলে সবই সম্ভব। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সব সময় আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করেই থাকা উচিত। আমরা যদি আগে থেকে সব বিষয়ে সতর্ক থাকি, তাহলে কোনো রকম দুর্ঘটনা ঘটবে না ভয়ঙ্কর ভাবে। ফায়ার সার্ভিস আসতে এমনিতে একটু সময় লাগে। তবে আপনাদের অফিসের স্টাফরা একসাথে হয়ে আগুনটা নিভিয়ে ফেলেছিল শুনে ভালো লেগেছে। ভাগ্য ভালো যে খারাপ কোনো কিছু হয়নি। অনেক বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে ওখান থেকে বাঁচতে পেরেছেন এটাই অনেক।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।