"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪৩ || শেয়ার করো তোমার প্রথম অনলাইন ইনকামের অভিজ্ঞতা।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম

প্রথম অনলাইন ইনকামের অভিজ্ঞতা

dollar-1969930_1280.jpg

source

শুভ রাত্রি ভালোবাসার আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবার। সকলের সুস্বাস্থ্য এবং ‍সুন্দর জীবন কামনা করে আবার আজ চলে আসলাম "আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪৩ -এ আমার অংশ গ্রহন নিয়ে। জীবনটাই আসলে এক রকমের প্রতিযোগিতা। কি করে বেচেঁ থাকবো? কার আগে কে বড় হবো? কার চেয়ে কে আগে সম্পত্তি কিনবো? এসব ভাবতে ভাবতে আর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করতে করতেই তো জীবন পার হয়ে যায়। আর সেই সাথে পার হয়ে যায় সময়। জীবনের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করতে করতে আজ আমিও জীবন প্রতিযোগিতার একজন স্থায়ী প্রতিযোগি হয়ে উঠেছি। তাই তো যে কোন প্রতিযোগিতা দেখলেই অংশ গ্রহণ করার ইচ্ছে জাগে প্রবল। কিন্তু সময় আর পারিপাশ্বিক অবস্থার জন্য সব প্রতিযোগিতায় আমার অংশ গ্রহণ করা হয়ে উঠে না। কিন্তু আজ আর থেমে থাকতে পারলাম না। পারলাম না হাত দুটো কে লুকিয়ে রাখতে এই প্রতিযোগিতার আসর হতে। এবারের প্রতিযোগিতাটি হলো আমার প্রাণের প্রতিযোগিতা। যেখানে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টের অনুভূতি শেয়ার করতে পারবো।

জীবন যুদ্ধে আমি কি পরাজিত নাকি বিজয়ী তা না হয় আপনারা বিচার বিশ্লেষণ করবেন। সেই এস. এস. সি পরীক্ষার পর হতে আমার জীবন যুদ্ধ শুরু। আজও করে যাচিছ সেই যুদ্ধ। এস. এস.সি পরীক্ষার পর হতে শুরু করলাম আমার টিউশনি লাইফ। কারন ভালো একটি কলেজে পড়তে হবে। আর ভালো কলেজে পড়তে হলে খরচও পড়বে সে রকমের। কিন্তু ভালো কলেজে পড়ানোর খরচ পরিবার হতে না নিয়ে নিজেই নিজের টিউশনি হতে খরচ করার চেষ্টা করলাম। কারন বাবা ছিল একজন সরকারি চাকরিজীবি। সুতরাং বুঝতেই পারছেন। যাই হোক সেইযে টিউশনি ধরলাম সরকারি চাকরি না হওয়া পর্যন্ত আমার টিউশনি চলতে লাগলো। অবশ্য চাকরি হওয়ার পরও বেশ কিছুদিন সেই টিউশনি করতেই হয়েছে আমাকে। অফিস থেকে ফিরেও সন্ধ্যায় আমাকে টিউশনি করতে হতো। কারন বাবা ইতোমধ্যে গত হয়েছে। বড় ভাই অসুস্থ্য। আর পুরো পরিবারের দায়িত্ব তখন আমার কাধেঁই ।

অফিসে আমি কথা কম বলার চেষ্টা করি। তো কাজের ফাকেঁ আমি কম্পিউটার আর অনলাইনে সময় কাটাই। ‍মানে ইউটিউবে গান শুনি, সংবাদ পত্র পড়ি, মেইল চেক করি, আর মাঝে মাঝে গুগুলে সার্চ করে দু্ই একটি রোমান্টিক গল্প বা উপন্যাস পড়ি, এই আর কি। তখন আমার অনলাইন সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা ছিল না। এমন কি ছিল না নিজের কোন ফেইসবুক একাউন্ট। সবাই ফেইসবুক চালাতো। আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখতাম। আর দেখবো নাই বা কেন। তখন তো আমার কোন স্মার্ট ফোনও ছিল না। ছিল শুধু অফিসে একটি কম্পিউটার। তো একদিন আমার এক কলিগ কে দেখলাম সে ফেইসবুক নিয়ে বেশ ঘাটাঘাটি করছে। তো আমি তাকে বললাম যে আমাকে অফিসের কম্পিউটারে একটি একাউন্ট করে দিতে। সে আমাকে বলল যে তার এখন সময় নেই, অন্য একদিন এসে করে দিবে। ওমা প্রায় একমাস তার পিছে ঘুরেও তাকে দিয়ে আর একাউন্ট করাতে পারলাম না। এতে কিন্তু আমার লাভই হয়েছে। সেই জেদ আমাকে পেয়ে বসলো। আমিও প্রতিদিন ইউটিউব দেখে দেখে ফেইসবুকে একাউন্ট করা শিখে গেলাম। এরপর কম করে হলেও দুই তিনশত মানুষ কে আমি ফেইসবুক একাউন্ট করে দিয়েছি। আর তখন হতেই অনলাইনের প্রতি আমার ঝোক আরও বেড়ে গেল।

আমি তখন একজন ‍উপ-পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারি হিসাবে কাজ করি। তো আমার ম্যাডাম আমাকে খুবই আদর করতো। পারিবারিক অনেক আলোচনাই ম্যাডামের সাথে করতাম। ম্যাডাম বুঝতে পারলো পরিবার কে চালাতে আমাকে বেশ হিমশিম খেতে হচেছ। অবশ্য এ’কদিনে ম্যাডাম বেশ বুঝতে পারলো যে আমার কম্পিউটার এবং অনলাইন সম্পর্কে বেশ ভালো অভিজ্ঞতা আছে। কারন ব্যক্তিগত সহকারি হিসাবে তার অনলাইনের সব কাজ আমিই করতাম। শুধু ম্যাডামের নয়। আমাদের শাখার প্রায় সব অনলাইন ভিত্তিক কাজগুলো আমাকে দিয়ে করানো হতো। এভাবেই যাচিছলো আমার জীবন। সারাদিন অফিসের কাজ শেষে বাসায় এসে টিউশনি করে বেশ ক্লান্ত হয়ে পরতাম। তার মধ্যে অসুস্থ্য বড় ভাইকে নিয়ে আজ এ হাসপাতালে তো কাল সে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করা। সব মিলিয়ে আমার যে কি অবস্থা ছিল সেটা কেবল আমিই বুঝতাম।তবে আমার এত কষ্টের জীবন ম্যাডামও কিছুটা উপলব্দি করতে পেরেছিল। আর এজন্যই ম্যাডাম আমাকে সবার চেয়ে একটু আলাদা করে দেখতো

একদিন সকালে অফিসে গেলাম। ম্যাডাম ও আসলো। বেশ কিছুক্ষন পর ম্যাডামের কাছে একজন ভদ্রলোক আসলো। পিয়ন ডেকে তাকে নাস্তা পানি দিয়ে আমি আমার ডেস্কে বসে কাজ করছি। এমন সময় ম্যাডাম আমাকে ডাকলো। তারপর সেই ভদ্রলোকে আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। তো ভদ্র লোক বেশ কিছুকক্ষন কম্পিউটার সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা যাচাই করলো। তারপর উনি আমাকে একটি কার্ড দিয়ে তার অফিসে দেখা করতে বলল। আমি বিষয়টি কিছুই বুঝতে পারলাম না। পরবর্তীতে সেই ভদ্রলোক চলে গেলে আমি ম্যাডাম কে বিষয়টি জিজ্ঞেস করলাম। তখন ম্যাডাম আমাকে জানান যে সেই ভদ্রলোক ম্যাডামের কাজিন। তার একটি আইটি ফার্ম আছে। সেখানে বিদেশী কাজ করা হয়। যাকে বলে ফ্রিল্যান্সিং । আর এখন বাংলাদেশের মানুষ এই কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করছে। আমাকে নাকি সেই ভদ্রলোক কাজও শিখাবে এবং কাজও দিবে। তাহলে আমাকে আর টিউশনি করতে হবে না। প্রথমে কয়েকদিন কষ্ট হবে। তারপর কাজ শিখে গেলে আমি চাইলে আমার অফিসে বসেও তার কাজ করে দিতে পারবো। শুধু ম্যাডামের জন্য উনি আমাকে এই সুবিধাটুকু দিবে। আমি তখন ম্যাডাম কে বললাম যে, আমার তো অত টাকা নেই কাজ শেখার মত। ম্যাডাম উঠে এসে আমার মাথায় হাত রেখে বলল, ম্যাডাম নাকি আমার টাকাটা দিয়ে দিয়েছে। আমি নাকি উনার মেয়ের মত।

তো সেই থেকে শুরু হলো আমার অনলাইন জগতে কাজ শেখা এবং কাজ করা। বেশ কিছুদিনের মধ্যে আমি কাজ শিখে নিলাম। উনি আমাকে ডাটা এন্ট্রির কাজ এবং ই-মেইল মার্কেটিং এর কাজটি প্রথমে বেশ সুন্দর করে শিখে নিলেন। প্রায় ১৫ দিন কাজ শেখার পর আমিও নিজেই সেই কাজ করা শিখে গেলাম। আর তখনই সেই ভদ্রলোক আমাকে কাজ দেওয়া শুরু করে। আমি অফিস আওয়ারের পর ঘরে বসে প্রতিদিন সেই কাজ করে উনাকে মেইল করে দিতাম। বাসায় বসে কখনও রাত ১টা কখনও রাত ২টা পর্যন্ত কাজ করতাম। তারপর আবার সেই সকালে উঠে অফিসের জন্য দৌড় দিতাম। আর এভাবেই শুরু হয় আমার অনলাইন ক্যারিয়ার। প্রতি মাসে আমি প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকার মত কাজ করে দিতে পারতাম। ভদ্রলোক আমার টাকা গুলো সব সময় আমার ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দিতো। আমি কিন্তু কোন দিন সেই টাকা ‍তুলে দেখিনি। ভেবেছিলাম একেবারে কয়েক লাখ টাকা হলে তুলে একটি ভালো কাজে লাগাবো। এভাবেই বেশ কয়েক মাস কেটে গেল। কিন্তু ঐ যে ভাগ্য বলে একটি কথা আছে। কপালে নাকি সবার সুখ সয় না। আমারও কপালে কখনও সুখ সয় না।

হঠাৎ একদিন বড় ভাই বেশ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তাকে বাসার পাশে একটি হাসপাতালে নিলে ডাক্তার বলে তার আইসিইউ লাগবে। কারন বড় ভাই ম্যাসিভ হার্ট এ্যাটাক করেছেন। এরপর বড় ভাই দশদিন সেই আইসিইউ তে জীবন ‍মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থেকে অবশেষে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেন। তখন সব মিলিয়ে হাসপাতালের বিল এসেছিল প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। অবশ্য আমি তখন এসব বলতে পারবো না। কারন বড় ভাইয়ের এমন অবস্থা সইতে না পেরে আমিও কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ি। তখন ডাক্তার আমাকে ফুল বেড রেস্ট লেখে দেয়। কিন্তু এত টাকার যোগাড় কোথা হতে হবে? আমারও বেশ চিন্তা শুরু হয়। হঠাৎ মনে পড়ে যায় আমার অনলাইনে ইনকাম করা টাকার কথা। আমি ফোনে আমার ব্যাংকে খোঁজ করি মোট কত টাকা সেখানে জমা হয়েছে। অবশেষে জানতে পারি ব্যাংকে অনলাইন ইনকামের টাকা ১,৫০০০০ টাকা জমা হয়েছে। তারপার আর কি করার সেই টাকা এনে আমার ছোট ভাইয়ের হাতে তুলে দেই। ছোট ভাই আরও টাকার যোগাড় করে বড় ভাইয়ের দাফন সম্পন্ন করেন। আর আমার অনলাইন ইনকামের প্রথম টাকা গুলো এভাবেই প্রিয় মানুষের জন্য ব্যয় করা হয়।

তারপর বেশ কিছুদিন মানসিক ভাবে অসুস্থ্য থাকায় ‍সেই ভদ্রলোকের কাজ আর করা হয়নি। অবশ্য উনি আমাকে প্রায় ফোন দিতো। পরবর্তীতে সেই কাজ করার মত শারীরিক এবং মানুষিকভাবে সক্ষম ছিলাম না। আর পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে আমার অনলাইনের কাজ শিখার গুরু পুরো পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। এরপর আর অনলাইনের কাজ করা হয়নি। তবে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করে সাইফক্সের প্রথম ভোট পেয়ে কিন্তু আমি বেশ খুশি হয়েছিলাম। আমার মধ্যে এক অন্যরকমের ভালো লাগা কাজ করেছিল। যা অন্য এক সময়ে আপনাদের সাথে অন্য কোন পোস্টের মাধমে আলোচনা করবো।

আশা করি আমার জীবনের প্রথম অনলাইন ইনকামের অভিজ্ঞতা পড়ে সম্মানিত বিচারক প্যানেলের কিছুটা হলেও মন কে ছুয়ে যাবে। আজ আর নয়। আবার আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে নতুন ভাবে আপনাদের কাছে। কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগটি ? আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের আশায় রইলাম। সবাই ভালো থাকবেন এবং সাবধানে থাকবেন।

❤️ধন্যবাদ সকলকে❤️

image.png

Add a heading (1).png

image.png

image.png

Sort:  
 2 years ago 

সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে ভীষণ খারাপ আর ভালো লাগা কাজ করলো আপু।আপনি সংগ্রাম করছেন সেই এস এস সি থেকে।আজ ও করে যাচ্ছেন।জীবন মানেই সংগ্রাম।কারো হয়তো একটু বেশী, কারো হয়তো কিছুটা কম।তবে ম্যাডামের মতো কিছু কিছু হাত মাথার উপরে থাকলে জীবনটা সত্যি অনেক ভালো হয়।অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষন ভালো লাগলো। তবে প্রথম অনলাইন ইনকামের টাকা প্রিয় মানুষ বড় ভাইয়ের জন্য ব্যয় করেছেন।এটা ও কিন্তু পরম তৃপ্তির একটি জায়গা।ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

 2 years ago 

জি আপু এটাই কিন্তু আমার শান্তি যে নিজের আপন জনের জন্যই জীবনের প্রথম অনলাইন ইনকাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

অনেকের পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে জীবন যুদ্ধে নেমে পড়তে হয় একদম কিশোর বয়স থেকে, ঠিক তেমনি আমরাও কিশোর বয়স থেকে পরিবারের বিভিন্ন কাজকর্মে নিজেদের অবস্থান করে নিতে হয়েছিল পিতার বিভিন্ন অসুখের ফলে। লাইনে আসতে শুরুতেই আপনার এই পোস্ট সামনে পেয়ে সবেমাত্র পড়ার চেষ্টা করলাম বুঝতে পারলাম আপনার এসএসসি পাশের পর থেকে জীবন সংগ্রামের বিষয়। যাইহোক ভালো লাগলো এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিস্তারিত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে।

 2 years ago 

অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করে কাজের উৎসাহ বাড়িয়ে দিলেন। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

আপু প্রথমেই বলব আপনার পোস্টটি পড়ে আমার চোখে একেবারে পানি চলে এসেছে। আসলেই আমাদের চারপাশের মানুষরা কতই না কষ্ট করে তাদের জীবন যুদ্ধে টিকে থাকে এটা আপনাকে দেখে আজকে শিখলাম। আপনার মত এরকম কয়জন আছে যে এসএসসি পরীক্ষার পর থেকেই নিজের জীবনযুদ্ধে নেমে গিয়েছে। আর আপনার ভাইয়ের কথা শুনে আমারও খারাপ লাগলো অনেক। নিজের এত কষ্ট করে জমানো অনলাইন টাকাগুলো ভাইয়ের জন্য খরচ করেছে অন্য কেউ হলে হয়তো এটা করতেও না। প্রতিযোগিতা নয় আপনি একেবারে আপনার মনের দুঃখ এবং আনন্দের কথাটা আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। মানুষের দুঃখের মাঝেই তো আনন্দ লুকিয়ে থাকে। অথবা আনন্দের মাঝে দুঃখ। আপু আপনাকেই স্যালুট জানানো উচিত।

 2 years ago 

আপু অনেক সুন্দর এবং উৎসাহ মূলক একটি মন্তব্য করেছেন। জানিনা আমি পরিবারের জন্য কতটুকু করতে পেরেছি। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আপু আপনি আপনার নিজের জীবনে অনেক লড়াই করেছেন পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। সত্যি অনেক লড়াই করেছেন। আমাদের জীবনের গল্প কখনো কাউকে বলা হয় না। আপনার পোস্ট পড়ে সত্যি চোখে পানি চলে এসেছিল।

 2 years ago 

জ্বী আপু একেবারে সত্য কথা আমাদের জীবনের গল্প গুলো কখনো কাউকে বলা হয় না। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

বাহ আপনি তো অনলাইন থেকে অনেক টাকা ইনকাম করলেন আপু। জেনে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কারণ আপনার জীবনের জার্নিটা খুবই কষ্টের ছিল। কিন্তু কষ্ট হলেও আপনার জীবনে অনেক সফলতা এসেছে সেটা অবশ্যই মানতে হবে। সবচেয়ে আপনার একটা খুশির সংবাদ হচ্ছে আপনি সেই কষ্টের টাকাগুলো আপনার ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য খরচ করতে পেরেছেন। একজন বোন হিসাবে একজন ভাইয়ের জন্য তা করতে পারাটাই অনেকটা কষ্ট কমে যাবে। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনার সুন্দর অনুভূতি গুলো পড়তে পেরে অনেক ভাল লাগলো।

 2 years ago 

জ্বী আপু আমার ভাইটার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যাতে তাকে বেহেস্তবাসী করেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 
 2 years ago 

আপনার পোষ্টটি পড়ে তো মনটা খারাপ হয়ে লেগে গেল আপু। এসএসসি পরীক্ষার পরে আপনি জীবন যুদ্ধে নেমে পড়েছিলেন। তবে এখন আপনি একজন সফল ব্যক্তি এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন এজন্য শুভকামনা রইল। অনলাইনে প্রথম ইনকামের অভিজ্ঞতাটা সত্যি অসাধারণ ছিল আপু।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর এবং উৎসাহ মূলক একটি মন্তব করে পাশে থাকার জন্য।

 2 years ago 

আসলে আপু এই রকম সংগ্রামী জীবন বর্তমানে খুবই কম দেখা যায়। বেশিরভাগ লোক মামাখালুর প্রভাবে অনেক জায়গায় স্থান অধিকার করে থাকে। কারো কারো পরিবারের অঢিল টাকার কারণে সে যে কোন একটা স্থান লাভ করে। কিন্তু আপনি যেরকম কষ্ট করে নিজের জীবন যাপন করেছেন এটা জেনে আপনার প্রতি শ্রদ্ধা অনেক বেড়ে গেল। যাক এটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো যে আপনার অনলাইনে টাকা দিয়ে আপনার ভাইয়ের দাফনের কার্য সম্পাদন করতে হলো। যদিও একদিক থেকে এটি আপনার জন্য অনেক গর্বের বিষয়। কারণ আপনার ভাইয়ের জন্য আগে কিছু না করতে পারলেও, সময়মত হলেও কিছু করতে পেরেছেন। অন্য দিক থেকে আপনার ভাই পৃথিবী থেকে বিদায় নিল এটা জেনে খুব বেশি খারাপ লাগলো। ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

দোয়া রাখবেন ভাইয়া আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন। সুন্দর এবং উৎসাহমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আপনার পুরো পোস্টটি পড়ে অসম্ভব ভালো লেগেছে আপু।কারন এখানে শিক্ষা,অভিজ্ঞতা ও জীবনে চলার কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আসলে দুনিয়াতে ভালো খারাপ দুই ধরনের লোকই আছে।আপনার ম্যাডাম ও ম্যাডামের কাজিন অসম্ভব ভালো মানুষ ছিল।যাদের সহায়তা আপনি অনলাইনে প্রথম উর্পাজন করতে পেরেছিলেন।যদিও সেই আয়ের টাকাটা নিজের সখের কোন কাজে ব্যবহার করতে পারেন নি। তবে আমি বলবো,সেই টাকাটা একটা মহৎ কাজে ব্যবহার করেছেন।এটার পুরস্কার আপনি আল্লাহ তায়ালার নিকট অবশ্যই একদিন পাবেন।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর করে আপনার প্রথম অনলাইনে ইনকামের বিষয়টি এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

জ্বী ভাইয়া আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার পাওয়ার জন্যই আশা করে আছি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

প্রথমেই আপনাকে কনটেস্ট ৪৩ এর জন্য শুভকামনা জানাই।প্রথম অনলাইন থেকে ইনকাম,সেটা সবার জীবনেই ভিন্ন এক অনুভূতি।আর আপনি জীবনে অনেকটা স্ট্রাগল করেছেন।আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম আর এখন পর্যন্ত করে যাচ্ছেন।সৃষ্টিকর্তা আপনার জন্য ভালো কিছু রাখবেন হয়তো।কারণ পরিশ্রম কখনো বিফলে যায়না।আর সবার ইনকাম এর অনুভূতি জানতে পারলাম এই কনটেস্টটির মাধ্যমে।অনেক ভালো লেগেছে পোস্টটি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

জ্বী আপু আমিও বিশ্বাস করি পরিশ্রম কখনো বিফলে যায় না। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.34
JST 0.035
BTC 111194.05
ETH 4324.70
SBD 0.84