ট্রাভেল পোস্ট- " ভর্তি পরীক্ষার জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন" II written by @maksudakawsarII
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি আমার প্রিয় বন্ধুরা সবাই বেশ ভালো এবং সুস্থ আছেন। আমিও বেশ আছি আলহামদুলিল্লাহ্। চারদিকে বেড়েই চলেছে অসুখ বিসুখ। গরম আর ঠান্ডা দুই রকমের আবহাওয়ায় মানুষ হয়ে পড়ছে অনেক অসুস্থ্য। তার সাথে তো আছে জীবনের নানা রকমের টেনশন। জীবন তো আর সুখের নয় যে টেনশন থাকবে না। জীবিকার তাগিদে আর জীবনের তাগিদে মানুষের ভিতরে বয়ে বেড়ায় হাজারও টেনশন। তবুও মানুষ থেমে থাকে না।
সেই গত রাত থেকেই ভাবছি কি করবো ? কি পোস্ট করবো? কারন এত এত ক্রেয়েটিভ মানুষের ভিড়ে আমি তো একজন সামান্য ব্লগার। তাই পোস্ট নিয়ে প্রতিনিয়তই ভাবতে হয়। অবশেষে মোবাইলের গ্যালারী ঘেটে ঘেটে দেখলাম কিছুদিন আগে ভর্তি পরীক্ষার কাজে ঢাকার আগাঁর গায়ে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করে রেখে ছিলাম। যাতে করে কোন এক সময়ে সেই প্রকৃতি ঘেরা বিশাল জায়গা নিয়ে কিছু লিখতে পারি। ভাবলাম আর দেরী কেন লিখে ফেলি একটি ব্লগ। আর তাই তো এখন বসে গেলাম সেই স্মৃতির কিছুটা অংশ আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভর্তি পরীক্ষার জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন
ভর্তি পরীক্ষার জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন
Banner credit -@maksudakawsar
বেশ কিছুদিন যাবৎ আমাকে পরীক্ষার কাজে আমাকে ব্যাস্ত থাকতে হচেছ। আর এ নিয়ে আমি ইতি মধ্যে আপনাদের সাথে কয়েকটি পোস্ট শেয়ার করেছি। আজও আরও কিছু শেয়ার করার জন্যই আসলাম। আমাদের এবারের পরীক্ষার কেন্দ্র হিসাবে রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভাড়া করা হয়। তাই পরীক্ষার আগের দিন আমাদের মধ্যে দায়িত্ব প্রাপ্ত সকল কে চলে যেতে হয় সেই কেন্দ্র পরিদর্শন সহ সীট ফেলানোর কাজে। আর তাই তো আমরা সবাই দুপুরে অনুরাগে খাওয়া দাওয়া সেড়ে নিয়ে চলে গেলাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু সেখানে যেয়ে দেখি অলরেডি একটি নিয়োগ পরীক্ষা চলছে। তাই সেই পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ভিতরে প্রবেশ করতে পারবো না। তা আর কি করার? ঘুরে দেখলাম পুরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
বিশাল এক ক্যাম্পাস। একদিক দিয়ে ঢুকলে যেন বের হওয়ার রাস্তা খুঁজে পাওয়াটাই মুশকিল হয়ে যায়। তবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকার পথে যে ফুলের বাগান ছিল সেখানটায় কিছুটা সময় ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। আমার কাছে দারুন লাগছিল কিন্তু সেই বাগানটি। এক সাথে দুই কাজ করে নিলাম। শীতের দুপুরের রোদ পোহানো আর ফুলের সুবাস নেওয়া দুটোই হয়ে গেল। কিন্তু বাগানের চারদিকে তারের বেড়া থাকায় বাগানের ভিতরে আর ঢোকা হলো না। কিন্তু তাতে কি। চারদিকে ঘুরতেই তো বেশ সময় লেগে গেলো।
বাপরে বাপ কত যে ভবন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। যদি কেউ ঘুরে দেখতে চায় তাহলে কিন্তু একদিনে শেষ করা যাবে না। শেখ কামাল ভবন, টিএসটি ভবন, এগ্রিকালচার ভবন সহ আরও অনেক ভবন আছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এত গুলো ভবনের নাম মুখস্থ বলা কিন্তু আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আর সব গুলো ভবন ঘুরে দেখাও আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তো সু বিশাল রাস্তার মাঝখান দিয়ে যেয়ে কয়েকটি ভবন শুধু পরিদর্শন করে নিলাম।
এখানকার প্রতিটি ভবনই বেশ পরিস্কার আর পরিচ্ছন্ন।খুব সুন্দর করে গোছালো প্রতিটি রুম। আবার বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাস্তা গুলো। অবাক করা বিষয় হলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পাশ থেকে ওপাশে যেতে রিক্সা ভাড়া লাগে ৪০/- টাকা। তবে আমরা সব ভবন গুলো ভাগে ভাগে দেখে নিলাম। ততক্ষনে সেখানকার নিয়োগ পরীক্ষাও শেষ হয়ে গেল। তাই আমরা চলে গেলাম আমাদের আসল কাজ সারতে। মানে সীট ফেলা এবং কন্ট্রোলরুম সাজানো। কোন ভুল করা যাবে না বেশ সাবধানে কাজ করতে হবে। এরপর আমরা কন্ট্রোল রুমে ঢুকে সবাই কে সীট ফেলার কাজ বুঝিয়ে দিয়ে দিলাম। তারপর আমরা সেই রুমটিকে বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে নিলাম পরের দিনের পরীক্ষার জন্য।
শেষ কথা
শেষ কথা
মাঝে মাঝে কজের ফাঁকে এমন সুন্দর প্রকৃতি ঘেরা জায়গায় ঘুরে বেড়াতে কিন্তু খারাপ লাগে না। কারন এমন জায়গায় গেলে প্রকৃতি আর নিজে একাকার হয়ে যাওয়া যায়।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
ঢাকার আগারগাঁও এ অবস্থিত শেরে বাংলা কৃষিবিশ্ব বিদ্যালয় ভ্রমণ নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। পোস্টটি ভালো লেগেছে। আপু এই বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হবে। হয়ত আপনার প্রিন্টিং মিসটেক হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়টি খুব সুন্দর। আপনি ঠিক বলেছেন,"এখানকার প্রতিটি ভবনই বেশ পরিস্কার আর পরিচ্ছন্ন"।ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটি সঠিক ভাবে বলার জন্য।
ভর্তি পরীক্ষার জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এবং অনেক সুন্দর করে কয়েকটা ফটোগ্রাফি করেছেন। আর আজকে সেই মুহূর্তটা সবার মাঝে সুন্দর করে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লেগেছে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস টা অনেক বেশি বড় ছিল, এটা আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পারতেছি। সুন্দর করে পুরোটা লিখে সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ আপু আপনাকেও সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আজকে আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন সবার মাঝে। ভর্তি পরীক্ষার জন্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের পোস্ট টা শেয়ার করলেন, যেটা সম্পূর্ণ পড়ে উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশটা কিন্তু আমার সত্যি খুবই পছন্দ হয়েছে, পরিবেশটা ছিল অনেক বেশি সুন্দর। ক্যাম্পাসটাও দেখছি অনেক বেশি বড়। যাই হোক খুব সুন্দর করে এই বিষয়টা সবার মাঝে উপস্থাপন করলেন আপনি, এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সব সময়ে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনি একটি কাজ করতে গিয়ে আরও একটি কাজ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। হ্যাঁ আপু আপনি এত ব্যস্ততার মাঝেও বাংলা কৃষি কলেজ পরিদর্শন করতে গেছেন। আবার তার মাঝে খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে পোস্টি তুলে ধরেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার পোস্টের ভেতরের প্রতিটা ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমনের বর্ননা এত সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। এই জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আপনার পোস্টগুলো খুব ভালো লাগে। কারন আপনার প্রতিটি পোস্টের লেখেগুলো পড়লে মনে কেমন যেন একটা তৃপ্তি পাই । ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
বেশ ভালো লাগলো যে আপনার কাছে আমার লেখাগুলো বেশ ভালো লাগে জেনে। ধন্যবাদ ভালো ভালো মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।