কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি আমার মত করে আপনারাও বেশ ভালো আছেন।এ কথা সত্য যে এখনকার সময়ে ভালো থাকাটাও বেশ কঠিন। চারদিকে যে থমথমে পরিবেশ তাতে তো ভালো থাকাটাই এখন সবচেয়ে কঠিন। এখন তো চারদিকেই শুধু অশান্তির বসবাস। বাজারের দ্রব্য মূল্যের চাপের সাথে সাথে বেড়ে যাচ্ছে আমাদের আর্থিক বিড়ম্বনাও। সেই সাথে তো আছে জীবনের ঝামেলা গুলো। আমরা কিন্তু কেউ ঝামেলা মু্ক্ত থাকতে পারছি না। পারছি খুব সহজে সুস্থ জীবন যাপন করতে।

প্রতিদিনের মত করে আজও কিন্তু আপনাদের মাঝে চলে আসলাম। চলে আসলাম কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি নিয়ে।সত্যি বলতে ফটোগ্রাফি করতে এতই ভালো লাগে যে যখনই ফটোগ্রাফি করি তখনই কেন জানি ভুরি ভুরি ফটোগ্রাফি মোবাইলের ক্যামেরা বন্দী করি।আর তাই তো সেখানে থেকেই কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি। যাতে করে আপনাদের ও কিছুটা ভালো লাগা কাজ করে।তাহলে চলুন তো দেখে আসি আমার আজকের এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো।

ঘুরতে কিন্তু আামি বেশ পছন্দ করি। আর সেটা যদি হয় প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়ানো তাহলে তো আর কথাই নেই।যদিও সময়ের জন্য আজকাল তেমন একটা ঘুরে বেড়ানো হয়ে উঠে না। তাই মাঝে মাঝে মোবাইলের গ্যালারী তে রাখা কিছু ফটোগ্রাফি দেখেই দুধের স্বাদ গোলে মিটাই এই আর কি। এই তো বেশ কিছুদিন আগে ঘুরতে গিয়েছিলাম হাতিরঝিলে। হাতিরঝিলের বিকেলের প্রকৃতির কথা কারও কিন্তু অজানা নয়্‌। আমার কথা বিশ্বাস না হলে ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন কেমন সুন্দর প্রকৃতি হাতির ঝিলে। লেকের মধ্যে ছোট ছোট নৌযান গুলোর ফটোগ্রাফি না করে কি আর থাকা যায়?

আমরা কম বেশী সবাই কিন্তু রাজধানীর বসুন্ধরা শপিংমলে গিয়েছি। কারন আমাদের ভালো কিছু কেনার প্রয়োজন হলেই কিন্তু আমরা সেই বসুন্ধরা শপিংমলে যাই। আর বসুন্ধরা শপিংমলের মোবাইলের দোকান গুলোর কাছেই কিন্তু বেশ ‍সুন্দর করে একটি ময়ূর বানিয়ে রাখা আছে। কিছুদিন আগে যখন মোবাইল কিনতে গিয়েছিলাম তখন এই ময়ূরটি দেখে আর ফটোগ্রাফি না করে থাকতে পারলাম। আমার কাছে কিন্তু দারুন লেগেছিল ময়ূরটি।

সত্যি বলছি। মেঘে ঢাকা আকাশ আর মেঘলা দিনের নদী দুটোর প্রেমেই কিন্তু আমি বেশ পাগল। আর তাই তো এমন মেঘলা দিন গুলোতে চেষ্টা করি নদীর কাছাকাছি একটু ঘুরে আসতে। আর তাই তো বেশ কিছুদিন আগে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম এমন একটি মেঘলা দিনে। আকাশের বুকে মেঘের লুকোচুরি আর নদীর বুকে মেঘের ছায়া দুটোই কিন্তু আমাকে মুগ্ধ করে দিয়েছিল সেদিন।তাই তো এমন ফটোগ্রাফিও চোখে পড়ে গেল আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

প্রাচীন কাল হতে ঘোড়া আর ঘোড়ার গাড়ী দুটোই কিন্তু বাঙালির ঐতিহ্য বহন করে চলছে। আর তাই তো বাঙালির নতুন জেনারেশনের কাছে ঘোড়ার গাড়ীই মানেই আনন্দ আর উদ্দীপনা।ঘোড়ার পিঠে উঠলে তো নিজেকে রাজা রাজাই মনে হয়। মনে হয় বাংলার সেনাপ্রধান। আর যদি সেই ঘোড়া আর ঘোড়ার গাড়ী চোখের সামনে ঝুলে তাহলে তো দু একটু ফটোগ্রাফি করতেই হয়।তাই তো সেদিন কলেজের অনুষ্ঠানে ঘোড়ার গাড়ী দেখে শুধু ফটোগ্রাফি নয় ছুটেও গিয়েছিলাম গাড়ীর পেছন পেছন।

আচ্ছা বলেন তো এটা কি? এটা কি হাঁস নাকি বক নাকি ময়ূর?সেটা না হয় আপনারা বলবেন।তবে কিছুদিন আগে যখন পিরামিড দেখতে গিয়েছিলাম তখন পিরামিড দেখার সাথে সাথে আরও নতুন নুতন কিছু জিনিসও দেখেছিলাম। যার মধ্যে এটাও ছিল। আর তাই তো আপনাদের সামনে এই ফটোগ্রাফিটি তুলে ধরেছি। আর যদিও আমি নাম জানি কিন্তু বলেবো না দেখি আপনারা কে কি বলেন। তবে আমার কাছে ভালো লেগেছে বলেই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।

মাঝে মাঝে চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন নতুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্টও আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগবে।

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।

আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।