ফটোগ্রাফি পোস্ট- আড়ং এ কেনাকাটার কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয় সবাই বেশ ভালোই আছেন। যদিও চারদিকে প্রচুর গরম। তবুও আজ আবহাওয়া টা একটু ভিন্ন ধরনের। চারদিকে কেমন যেন শান্ত শান্ত। যাক, আজ আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করি আমার আজকের ব্লগটি পড়ে আপনাদের কাছে বেশ ভালই লাগবে।
মনের মত ঘর সাজাতে কার না মনে চায়। আমার তো বেশ মনে চায় ঘর কে ছিমছাম ভাবে গুছিয়ে রাখি। ঘরকে সাজিয়ে তুলি নতুন সাজে। আর তাই তো মাঝে মাঝে ছুটে চলে যাই কোন শপিংমলে নতুন নতুন ঘর সাজানোর জিনিস কিনতে। পছন্দ হলে তো আর কথা নেই মনের মতো জিনিস কিনে নিয়ে আসি, তা দাম যাই হোক না কেন।তাই তো এবার চলে গেলাম প্রিয় আড়ং এ। আড়ং এর মত মাতানো শোপিস আর রং বে রং এর চায়ের মগ গুলো আমাকে পাগল করেছে। তাই মনে মনে ভাবছি আমি একা পাগল হবো কেন আপনারাও না হয় একটু পাগল হন। হি হি হি।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
আড়ং এর একটি ফ্রোরের একটি অংশে বিভিন্ন ধরনের শোপিস রাখা আছে। অবশ্য এ সকল শোপিস এর দাম অনেকটাই হাতের নাগালের বাহিরে। শোপিস গুলো দেখতে সুন্দর হলেও অনেক সময় দামের জন্য হাত দেওয়া যায় না। আর দাম তো হবেই আড়ং বলে কথা। তাহরে চলুন দেখে আসি আড়ং এর নজর কারা কিছু শোপিস।
একেপাশে রাখা আছে পিতল কাসা আর মেটেল এর ঐতিহ্যবাহী আর খানদানী কিছু শোপিস। যেগুলো সাধারণত খানদানি লোকজন ব্যবহার করে থাকেন। এখানে লক্ষ্য করলেই দেখা যায় যে, ঘড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের খানদানি জিনিস গুলো রাখা হয়েছে। যেগুলোর দাম বেশী হলেও ঘরের সৌন্দর্য কিন্তু বাড়িয়ে তোলে।
এবার তো আপনারা দেখছেন বাংলার ঐতিহ্য নৌকা। পিতল নৌকাগুরো কিন্তু দেখতে বেশ লাগছে। আর ঘর সাজাতে এর জুড়ি মেলা ভার। সাথে আছে সুন্দর করে বানানো ঘোড়া। কিনবো কি দাম শুকে মাথা ঘুরে গেল গো।
আগে ছেলে বেলায় কত যে মাটির জিনিস দিয়ে খেলাধুলা করতাম। আগে ছেলে বেলায় মেলা হতে মাটির জিনিসি কিনে নিয়ে আসতাম। আর এখন এসমস্ত মাটির জিনিস গুলো পাওয়া যায় আড়ং এর মত বড় বড় শুরুমে। যেগুলোর দাম ও কিন্তু বেশ ভালোই। অবশ্য এসব মাটির জিনিসে খেলে কিন্তু শরীর অনেক সুস্থ্য থাকে।
চা কিন্তু আমার বেশ পছন্দের একটি পানীয়। সকাল সন্ধ্যায় কিন্তু আমার চা চাই চাই। আর সেই চা হয় রং বে রং এর কোন মগে তাহলে বলেন তো বিষয় টা কেমন রোমান্টিক হয়। তাই তো চলে গেলাম সেই রং বে রং এর মগের শোরমে। সেখান থেকে দুটো কিনে নিলাম। আর আপনাদের জন্য একটু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
তারপর চলে গেলাম কাপ পিরিচ আর প্লেট এর সাইটে। ভাবলাম আমিই শুধু রোমান্টিক হবো। আমার বাসায় আসা মেহমানরা কি দোষ করলো? তাই মেহমানদের জন্য কাপ পিরিচ আর রঙিন প্লেট নিয়ে নিলাম। ভাবলাম কি আর আছে জীবনে। একটু রোমান্টিক হয়েই না হয় বাচিঁ। হি হি হি।
বন্ধুরা কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ব্লগটি? একটু হলেও মাথা তো ঘুরলো, নাকি?হি হি হি। জানার অপেক্ষায় রইলাম।
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | VIVO-S22 |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
ভৌগলিক অবস্থান | খিলগাঁও, তালতলা, ঢাকা, বাংলাদেশ |
আমাদের কুষ্টিয়ায় প্রথমবারের মতো আড়ং এর শোরুম হয়েছে গত রমজানের ঈদের আগে এখন পর্যন্ত সেই একই রকম ভিড় লক্ষ্য করা যায় আমিও মাঝে মাঝে যাই ঘুরতে।।
আপনি কেনাকাটা করতে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।।
এগুলা দেখে আবার অনেকেরই লোভ হবে কিনে ঘর সাজাতে।।
জিভের কিছুদিন আগে আপনার একটি পোস্টের মাধ্যমে হয়তো কুষ্টিয়া একটি আড়ং এর শোরুম হয়েছেয ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এটা কেমন কথা আপু নিজে পাগল হবেন হন আমাদেরকে কেন পাগল করছেন। আসলেই আড়ং এর শোপিস গুলো এবং কোকারিজ জিনিস দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যায়। আমিও যখন যাই তখন বারবার দেখি এগুলো। মাঝে মাঝে কিনেও নিয়ে আসি। রোমান্টিক চা এর কাপ ঠিকই কিনেছেন কবে চা খাওয়াবেন তাই বলেন?
পাগল হব তো সবাইকে নিয়েই হব। একা একা পাগলা গারদে যেয়ে কিভাবে থাকবো। হিহিহি। ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আড়ং এর জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে বেশকিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু।খুব ভালো লাগে আসলে এসব সুন্দর সুন্দর জিনিসগুলো দেখে।ফটোগ্রাফির সবগুলো জিনিস ভালো লাগলো আপু।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আপু আড়ং এর শোপিস গুলো দেখতে এত সুন্দর লাগে যে লোভ সামলাতে পারলাম না। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলে সত্যি আপু চোখ জুড়ানো মন মাতানো এবং হৃদয়ে ধোলা দেওয়ার মতো বেশ কিছু শোপিসের ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে তো একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রত্যেকটা জিনিস আসলে পছন্দ হওয়ার মত। আপনি ঠিকই বলেছেন ছোটবেলায় মাটির খেলনা কিনে নিয়ে আসতাম মেলা থেকে আর এখন বড় বড় শোরুম এগুলোর স্থান পেয়েছে দেখে খুব ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে আড়ং এর শোপিসের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
কি যে বলবো আপু প্রতিটি শো পিস এত সুন্দর যে কোনটা রেখে কোনটা নিব চিন্তায় মাথা ঘুরে গেল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
https://twitter.com/maksudakawsar/status/1657247059718860801?s=20
আমারও অনেক ভালো লাগে রংবেরঙের শোপিস দিয়ে ঘর গুলো সাজিয়ে রাখতে। আড়ং এমন একটি শপিং মহল যেখানে সুন্দর সুন্দর জিনিস পাওয়া যায়। আড়ং এর জিনিস গুলো সব সময় ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছে জিনিস গুলো অনেক সুন্দর। ঠিক বলছেন সুন্দর জিনিস দিয়ে মেহমানদেরকে পরিবেশন করতে অনেক ভাল লাগে।
ঠিক কথাটি বলেছেন আপু। আড়ং এমন একটি শপিং মল যেখানে সুন্দর সুন্দর জিনিস পাওয়া যায়।
এত সুন্দর সুন্দর শোপিস এর ফটোগ্রাফি দেখে আমি তো চোখ ফেরাতে পারছি না। আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন। প্রত্যেকটা জিনিসের ফটোগ্রাফি দেখে আমার তো সবকিছু কিনে নিয়ে আসতে ইচ্ছে করছে। আসলে এরকম জিনিস গুলো দেখলে সবগুলো কিনে নিয়ে আসতে মন চায় যদি ওইটা সম্ভব না। যাইহোক বর্ণনা সহকারে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আপু চলে আসেন একদিন দুজনের ছুটির শপিং করব। তখন না হয় আপনার মনের মত জিনিসগুলো কিনে নিব।
চোখ জুড়ানো কিছু ফটোগ্রাফি ছিল আপনার। এরকম জিনিসপত্রগুলোর ফটোগ্রাফি দেখলে আমি তো চোখ ফেরাতে পারিনা। সরাসরি দেখলে ইচ্ছে করে সবগুলো নিয়ে আসতে। এরকম জিনিসপত্র গুলোর দোকানে গেলে আমার আর আসতে ইচ্ছে করে না। প্রত্যেকটা জিনিসই পছন্দ হয় ইচ্ছে করে সবগুলো নিয়ে আসতে। আপনি চায়ের কাপ কিনেছেন দুইটি। আমাদেরকে চা খাওয়াবেন কবে। চায়ের কাপ কিনে একা একা খাওয়া কিন্তু ভালো না। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
জি ভাইয়া মনে মনে ভাবছি আপনাদেরকে দাওয়াত করা দরকার। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্রাফি জাস্ট অসাধারণ ছিল।চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন,যেটা দেখেই অনেক ভালো লাগছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনাকেও ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।