রেসিপি পোস্ট- চাল ডালের বোয়া ভাতের সাথে বেগুন ভাজা রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
আমি @maksudakawsar। আপানাদের সাথে যুক্ত আছি বাংলাদেশ হতে। আপনাদের কাছে প্রতিদিন চলে আসি নিজের কিছু জ্ঞান অভিজ্ঞাতা আর সৃজন শীলতা শেয়ার করার জন্য। যদিও আমি আপনাদের মত এত সৃজনশীল নয়। আবার আমার জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা আপনাদের মত এত পাকাপোকাপোক্তও নয়। তবু আসি যদি নিজের ক্রেয়েটিভিটিকে একটু কাজে লাগাতে পারি।
মানুষের মনের ইচ্ছে, আকাংখা বা আকুতি যাই বলি না কেন সেটা কিন্তু প্রতিটি মানুষের মধ্যেই থাকে। এক এক মানুষের এক এক রকমের ইচেছ বা আকাংখা তৈরি হয়। হঠাৎ হঠাৎ মানুষের মধ্যে অনেক ভিন্ন ধরনের ইচেছ জাগে। যা হয়তো পূরন করা সম্ভব। আবার হয়তো বা পুরন করা সম্ভব নয়। এই যেমন কয়েকদিন যাবৎ আমার বেশ বোয়া ভাত খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছিল। যেটা আমার মায়ের হাতে অনেক বার খেয়েছি। কিন্তু এখন তো আর মা নেই। তো কে করে খাওয়াবে। কিন্তু আমার তো মন চাইছে। আসলে ভাগ্যে ছিল তাই সেদিন হঠাৎ আমার বাসায় চলে আসলো আমার বোন। আর তার থেকে মায়ের রান্না করা সেই বোয়া ভাতের রেসিপি নিয়ে আমি নিজেই রান্না করে ফেললাম। যা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
★চাল
★আলু
★মসুর ডাল
★তেল
★কাঁচা মরিচ
★আদা বাটা
★রসুন বাটা
★ হলুদ গুড়া
★মরিচ গুড়া
★পেয়াঁজ
★ লবন
★পানি
★দারচিনি
★এলাচ
★তেজপাতা
★লং
ধাপ-১
প্রথমে চাল এবং ডাল ভালো করে ধুয়ে নিয়ে পানি ঝড়াতে দিতে হবে এবং সাথে আলু গুলো কেটে ধুয়ে নিতে হবে। একই ভাবে প্রয়োজনীয় সব মসল্লা রেডি করে নিতে হবে।
ধাপ-২
এবার চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে তাতে পরিমান মত তেল দিয়ে তা গরম করে নিতে হবে। গরম করা সেই তেলের মধ্যে কুচি করে কেটে নেওয়া পেঁয়াজ দিয়ে ভালো করে ভেজে নিতে হবে।
ধাপ-৩
এবার ভেজে নেওয়া মাছের ভেজে নেওয়া সেই পেঁয়াজের মধ্যে একে একে আদা রসুন বাটা, এলাচ, দারচিনি, লং , তেজপাতা এবং পরিমান মত লবন দিয়ে একটু কষিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৪
এবার কষানো সেই মসলার মধ্যে ধুয়ে রাখা চাল ডাল গুলো দিয়ে ভালো করে ভেজে নিতে হবে। যতক্ষন না চাল এবং ডাল একটু লাল লাল না হয় ততক্ষন ভাজতে হবে।
ধাপ-৫
এবার ভেজে নেওয়া সেই চাল ডালের মধ্যে পরিমান মত পানি দিয়ে একটু নেড়ে দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। তবে কিছুক্ষন পর পর নেড়ে দিতে হবে।
ধাপ-৬
কিছুক্ষন পর ঢাকনা তুলে চাল এবং ডাল একটু ফুটে উঠলে তাতে কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিতে হবে এবং আবার ঢেকে দিতে হবে। তবে মাঝে মাঝে ঢাকনা তুলে নেড়ে দিতে হবে যাতে পোড়া না লেগে যায়।
ধাপ-৭
বেশ কিছুক্ষন পর চাল ডাল এবং আলু সেদ্ধ হয়ে আসলে এবং পানি কমে আসলে তাতে কয়েকটি কাচাঁ মরিচ দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিয়ে আবার ঢেকে দিতে হবে। যাতে চাল ডাল এবং আলু ভালো করে সেদ্ধ হয়।
৮ম ধাপ
কিছুক্ষন পর ঢাকনা তুললে দেখা যাবে যে আমার তৈরি করা সেই বোয়া ভাত হয়ে গেছে। এবার ঢাকনা দিয়ে চুলা বন্ধ করে একটু দমে রেখে দিতে হবে।
৯ম ধাপ
এবার একটি বেগুন কেটে নিয়ে তাতে হলুদ মরিচ এবং মসলা মেখে নিতে হবে। তারপর আর একটি চুলায় একটি পাত্রে তেল গরম করে মাখানো বেগুন গুলো কে একেে একে ভেজে নামিয়ে নিতে হবে।
শেষের ধাপ
এবার একটি ডিসে বোয়া ভাত নামিয়ে তার উপর দিয়ে ভাজা বেগুন সাজিয়ে দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
তো তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের চাল ডালের বোয়া ভাতের সাথে বেগুন ভাজা রেসিপি। রেসিপি টি করার সময় আপনাদের জন্য ইউনিক এই রেসিপিটির প্রতিটি ধাপের ছবি তুলে নিয়েছি। যাতে করে আপনারাও বাসায় তৈরি করতে পারেন মজাদার চাল ডালের বোয়া ভাতের সাথে বেগুন ভাজা রেসিপি।
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | VIVO-Y-22S |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের রেসিপি? আপনাদের উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম কিন্তু।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/maksudakawsar/status/1673720415116730368?s=20
আপনার এই রেসিপিটির নাম প্রথম শুনলাম। এটা কোন এলাকার খাবার আপু?খিচুড়ির মতোই মশলা ব্যবহার করেছেন দেখছি। নতুন একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আরে আপু আমি রান্নায় খিচুড়ি হলুদ মরিচ ব্যবহার করি নি। তাই এটি খিচড়ি নয়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে মজাদার ছিলও।তবে এইটাকে তো আমরা ডাল আলু আর চাউল দিয়ে তৈরি খাবার কে খিচুড়ি বলে থাকি।তবে আপনাদের ওখানে মনে হয় অন্য নাম। যাহোক আপু সাথে বেগুন ভাজা ছিলও মনে খেয়েছেন বেশ মজা করে। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল আপু।
নারে আপু এটা খিচুড়ি না। এটা এক রকমের বোয়া ভাত। এটা খুদের চাল দিয়েও করা যায়। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
চাল ডালের বোয়া ভাতের সাথে বেগুন ভাজা রেসিপিটি বেশ ইউনিক একটি রেসিপি। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। খুবই সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আসলেই খেতে বেশ স্বাদের ছিল ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বাহ্! দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। চাল ডালের বোয়া আমার খুব পছন্দ। সকালের নাস্তায় এই রেসিপিটা আমি মাঝেমধ্যে খেয়ে থাকি। তবে ঝাল ঝাল শুঁটকির ভর্তা দিয়ে। আপনি বেগুন ভাজি সাথে নিয়েছেন। বেগুন ভাজি দিয়ে বোয়া খেতে নিশ্চয়ই খুব ইয়াম্মি লেগেছিল। যাইহোক এমন মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এই তো ভাইয়া একমাত্র আপনিই বুঝলেস গো যে এটা বোয়া ভাত। আমি কখন থেকে বলছি যে এটা খিচুড়ি না। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
মাঝে মাঝে এরকম খাবার গুলো খেতে সত্যিই অনেক ইচ্ছে করে।ছোটবেলায় মায়ের হাতের খাবারের স্বাদ কখনো ভোলা সম্ভব নয়।আমি মাঝে মাঝে এরকম চাল ডাল দিয়ে মেয়েদের ভাত রান্না করে দেই কিন্তু এটার নাম বোয়া ভাত তা আমার জানা ছিলো না আপু।আপনার বোয়া ভাত আর বেগুন ভাজি দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে।অনেক সুন্দর ও লোভনীয় রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
হুম আপু এটা কে বোয়া ভাত বলে। খিচুড়ি তে তো হলুদ গুড়া দেওয়া হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
বোয়া ভাত নামটি নতুন শুনলাম।তবে রেসিপিটি দেখে বুঝলাম খিচুড়ি তৈরি করেছেন।আমরা খিচুড়ি অন্যভাবে তৈরি করি বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে।আপনার বেগুন ভাজি খুবই সুন্দর হয়েছে।খিচুড়ির সঙ্গে বেগুন ভাজা বেশ মজা লাগে খেতে।ধন্যবাদ আপু।
দিদি এটা তো বোয়া ভাত, খিচুড়ি না। ধন্যবাদ দিদি সাথে থাকার জন্য।
আপু চাল,ডাল ও আলু একসঙ্গে করে তৈরিকৃত রেসিপিকে আমরা খিচুড়ি বলি।
বোয়া ভাত নামটি প্রথম শুনলাম। এই রেসিপির সমস্ত উপকরণ দেখে মনে হচ্ছে খিচুড়ির মতোই। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
না না আপু এটা খিচুড়ি না গো। এটা বোয়া ভাত। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।