ফুলের রাজ্য গদখালী ভ্রমন
আসসালামু আলাইকুম
আজ সোমবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২২ ইং
বাংলা ২১শে কার্তিক ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে নানাবাড়ী যশোর জেলায় আমাকে বেশ কয়েকবার যেতে হয়েছে। আর নানাবাড়ীতে প্রয়োজনীয় কাজের পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোরও সময় বের করে নিয়েছি। তাইতো মামাতো ভাই বোন ও আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম যশোরের ফুলের রাজ্য গদখালী একটু বেড়াতে যাওয়ার। এছাড়াও আমার পরিচিত একজনের বাড়ী যশোর জেলায় হওয়ায় সেও আমাকে গদখালী ঘুরে আসার অনুরোধ করল। তাই একদিন বিকেলে সবাইকে নিয়ে চেলে গেলাম গদখালী ফুলের রাজ্যে।
যশোর জেলার ফুলের রাজ্য গদখালী ভ্রমন:
Device-OPPO-A16
লোকেশন
Device-OPPO-A16
লোকেশন
আমরা একটা রিজার্ভ অটোনিয়ে চলে যাই গদখালী ভ্রমন করতে। অটোথেকে নেমে ফুলের রাজ্যে ঢুকার সময়ে দেখা যায় রঙ্গিন মাছের একটি পানি ভরাট হাউজ। ফলের রাজ্যের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য নাকি কর্তৃপক্ষ এতসুন্দর করে মাছগুলো কে এখানে রাখার ব্যবস্থা করেছে। মাছগুলোর খাবার ব্যবস্থাও নাকি আছে। পানির বুকে মাছগেুলো খুব সুন্দর করে ভেসে বেড়াচ্ছে। আমি জানি এই দৃশ্য আপনাদের বেশ ভাল লাগবে। আর একটি কথা আমি ছেলেবেলা হতেই একোরিয়ামে মাছ রাখা বেশ পছন্দ করতাম। তাইতো এই মাছগুলোর সাথে কিছুটা সময়ও কাটালাম।
Device-OPPO-A16
লোকেশন
Device-OPPO-A16
লোকেশন
এরপর আমরা সবাই ধীরে ধীরে চলে গেলাম ফুলের রাজ্যের ভিতরে। সেখানে শুধু ফূল আর ফুল। নানা প্রজাতির ফুলের চাষ হয় এখানে। নান ধরনের গোলাপ, সূর্য্যমুখী, রজনীগন্ধা আরও অনেক জাতের ফুল চাষ হয়ে থাকে। আমরা অনেক দূর পর্যন্ত গেলাম। অবশ্য এখানে ফুলের সিজন হয় জানু-ফেব্রুয়ারীতে। আর আমরা তো সেই সিজনে যেতে পারিনি। শুনেছি এখানের ফুল বাগানের ফুল নাকি সমস্ত বাংলাদেশে পাইকারী বিক্রি করা হয়। আর ফুল বিক্রি করার জন্য এখানে একটি বাজারও আছে। তার নাম গদখালী ফুলের বাজার।
Device-OPPO-A16
লোকেশন
ফুলের বাগান থেকে বের হয়ে দেখি পাশেই চোরকি। আমি ছেলেবেলা হতেই চোরকিতে চরতে ভয় পাই। তাই কোনদিন আমার চোরকিতে উঠা হয়নি। তবে এবার পার পেলাম না সবার অনুরোধে আমাকে চোরকিতে উঠতে হলো। কিযে ভয় লাগলো আমার । চোরকি যখন উপর থেকে নিচের দিকে নামে তখন কলিজার ভিতর একটা চিপ মারে। আমি শক্ত করে ভাগনির হাত ধরলাম। দেখলাম না তেমন কোন ভয় লাগে না। এরপর খুব আনন্দ নিয়ে জীবনের প্রথম চোরকিতে চরলাম।
Device-OPPO-A16
লোকেশন
Device-OPPO-A16
লোকেশন
Device-OPPO-A16
লোকেশন
ঘুরতে ঘুরতে আমরা ফুলের রাজ্যের পাশে গড়ে উঠা দা ফ্লোয়ারস গার্ডন এন্ড রেষ্টুরেন্ট নামক খুব সুন্দর একটি রেষ্টুরেন্টের ভিতর প্রবেশ করি। এই রেষ্টুরেন্টের ভিতর সাধারণত কাউকে এমনিতেই ঢুকতে দেয়না। আমরা অনেক অনুরোধ করে এর ভিতর ঢুকতে পেরেছি। কিন্তু আমরা ভিতরে প্রবেশ করতেই সবাই চিৎকার দিয়ে উঠি। ভিতরে এত সুন্দর যা আপনারা সামনা সামনি না দেখলে বিশ্বাসই করতে চাইবেন না। তাইতো সবাই মিলে আমরা ফটোশেসনও করে নিলাম।
Device-OPPO-A16
লোকেশন
Device-OPPO-A16
লোকেশন
রেষ্টুরেন্টের ভিতরে রয়েছে কিছু মনোরম দৃশ্য। ঝর্ণা, লাভমার্ক, রিক্সা ইত্যাদি। শুনেছি এদেশের অনেক নাটক আর সিনেমার শুটিং ও নাকি এখানে হয়। ঝর্ণার পানি আর লাল নীল বাতি লাগানো লাভমার্ক দেখতে বেশ লাগছিল। আর আমার মনে হয় আমার মত আপনারাও মুগ্ধ হয়েছেন এই দৃশ্যগুলো দেখে।
Device-OPPO-A16
লোকেশন
Device-OPPO-A16
লোকেশন
বন্ধুরা রেষ্টুরেন্টের রাতের যে দৃশ্য আপনারা দেখছেন তা দেখে আপনাদের মত আমরাও বেশ মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। রাতের আলোয় রেষ্টুরেন্টটি সাজানো হয়েছে রঙ্গিন রঙ্গিন বাতি দিয়ে । দেখলে মনে হয় আমি দেশের বাহিরে কোথাও বেড়াতেে এসেছি। চারদিকে বাশেঁর বেড়া দিয়ে ছোট ছোট খুপরির মত করে এক একটি ঘর বানানো হয়েছে। আমি সাধারণত নাটক সিনেমায় এইরকম দৃশ্য দেখিছি। আর তাই আজ বাস্তবের দেখাটাও আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
Device-OPPO-A16
লোকেশন
এরপর আমাদের ফুলের রাজ্য ঘুরা শেষ হয়ে গেলে। আমরা সবাই মিলে ঝিকরগাছার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে চলে আসি । আর বিদায় জানাই ফুলের রাজ্য গদখালী কে।
বন্ধুরা আমার আজকের পোস্টটি দেখে নিশ্চয় আমার মত আপনাদেরও ফুলের রাজ্যে ঘুরে আসতে মন চাইছে। পোস্টটি কেমন হলো জানার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনারা ভাল ও সুস্থ্য থাকুন।
যশোরে যে গদ্যখালী নামে ফুলের রাজ্য আছে আমি আজ প্রথম শুনলাম।আপনার পোস্ট পড়ে তল আমার জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারি মাসে যেতে ইচ্ছে করছে।যাই হোক আসলেই রঙিন মাছগুলো খুবই চমৎকার লাগছে দেখতে।দা ফ্লোয়ারস গার্ডেন এন্ড রেষ্টুরেন্ট আসলেই সুন্দর ছবিতে গুলো দেখে মনে হলো।ভালোই সময় কাটিয়েছেন সবার সাথে।আপু বানান গুলো একটু দেখে নিয়েন। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ অবশ্যই দেখবোয
ফুলের রাজ্য গদখালী ভ্রমন করেছেন দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ফুলের বাগান দেখতে অনেক সুন্দর। আর লাভ কি দেখতে অসাধারণ লাগতেছে। রেস্টুরেন্ট ও অনেক সুন্দর। সব মিলিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দরভাবে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
খুবই ভালো সময় পার করেছেন দেখে মনে হচ্ছে। আপনার ঘোরাঘুরির মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। লাভ মার্ক এবং ঝর্ণার ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। লাভ মার্কের ফটোগ্রাফিটি খুবই সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। ঘুরাঘুরি করার সময় ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। অসাধারণ ছিল প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি।
ভাইয়া প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে এত সুন্দর উচ্ছে দেওয়ার জন্য। তারপর বলব ফটোগ্রাফি করতে আবারো বেশ ভালো লাগে।
রেস্টুরেন্ট এর ভিতরের ভিউ টা আসলেই মুগ্ধ হওয়ার মতো। বিভিন্ন ধরনের গাছ দিয়ে ডেকোরেশন করা যা দেখতেও খুব সুন্দর লাগে। পানির হাউজের রঙিন মাছগুলোও দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর কিছু মুহুর্ত পার করেছেন। আপনার ভ্রমণের মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বী ভাইয়া আসলে অনেক সুন্দর ছিল। আপনি কি অশেষ ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে মন্তব্য করার জন্য
আপনি আপনার মামাতো ভাইবোনদের সাথে গদখালী তে বেশ ভালো সময় পার করেছেন আপু ।আপনি ভ্রমণের সময় দারুন কিছু ফটোগ্রাফি ও করেছেন।প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দারুন লেগেছে।রাতে রেস্টুরেন্ট গুলো অনেক সুন্দর দেখতে লাগে আসলেই বিভিন্ন বাতির সাথে।ধন্যবাদ আপনাকে আপু আপনার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্যে।
ধন্যবাদ আপনাকে অপু এত সুন্দর ভাবে মন্তব্য করার জন্য।
ফুলের রাজ্য গদখালির নাম অনেক শুনেছি কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি,ইচ্ছে আছে একবার ঘুরে আসবো। যশোর আমার দাদীর বাবার বাড়ি তাই বেশ কয়েক বার যাওয়া হয়েছে আবারও যদি কখনো যশোর যাই অবশ্যই ফুলের রাজ্যে ঘুরে আসবো।আপু আপনার ফটোগ্রাফি দেখে খুবই সুন্দর লাগলো সত্যি অনেক মনোরম পরিবেশে ঘেরা জায়গাটি যতটুকু শুনেছি তার চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর। রেস্টুরেন্টের ভিতরের পরিবেশ অনেক সুন্দর। সবমিলিয়ে অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু আমার এতটুকু প্রয়াস যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আমি কৃতজ্ঞ।
বাহ খুব ভালো একটা সময় পার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।আর এরকম ফুলের রাজ্যে হরেক রকম ফুল একসাথে দেখতে পাওয়ার ব্যাপারটাই অন্যরকম।আর আমিও চরকিতে চড়তে ভয় পাই,কিন্তু তবুও চড়ি।😌
জি ভাইয়া চরকিতে চোকতে আমি সারা জীবন ভয় পেয়েছি। এবারের প্রথম উঠলাম।
আরে বাহ আসলে তো ফুলের রাজ্য ৷ তার সাথে আরও নানা ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো ছিল অসাধারণ ৷ পুকুরের মাছ গুলো এরপর চোরকি বাবা রে বাবা আমিও তো চড়তে পারি না ৷ যদি চড়ি তাহলে মনে হয় মারাই যাবো ৷ তবে রাতের দৃশ্যটি সত্যি অসাধারণ ছিল ৷ সব মিলে সবাই মিলে দারুন একটি সময় পার করেছেন. গদখালী ফুলের রাজ্যে ৷
জি ভাইয়া সত্যি বলেছেন সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি সময় পার করেছিলাম গদ খালি ফুলের রাজ্যে।
যাক আপনার বদৌলতে ফুলের রাজ্য ঘুরে দেখা হলো আমাদের। চারিদিকে কি সুন্দর ফুল ফুটে রয়েছে, সত্যিই মনোমুগ্ধকর একটি পরিবেশ। নাগর দোলা সবসময়ই আমার বেশ ভয় লাগে কারন মাথা ঘোরায় প্রচুর। রেস্টুরেন্টটি বেশ আলো ঝলমলে সুন্দর দেখাচ্ছে। অনেক সুন্দর ছিল পোস্টটি।