কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয় বেশ ভালো আছেন। আমিও কিন্তু বেশ ভালোই আছি। শত ব্যস্ততা আর ঝড় বাদল কাটিয়ে নিজেকে ভালো রাখার মত সুখ কিন্তু কিছুতেই নেই। মানুষের মন রঙিন। এই মনগুলো কখনও লাল, কখনও কালো। আবার কখনও বা সাজে নানা রঙে। প্রতিটি মানুষ চায় জীবনে প্রশান্তি। তাই তো যখনই মনের ভিতর কোন ঝড় উপলদ্ধি করে তখন ছুটে যেতে যায় মন ভালো করার অপরূপ প্র্রকৃতির কাছে। প্রকৃতির ভালোবাসায় মন কে করে তুলে স্নিগ্ধ আর সজীব। আমিও কিন্তু তার ব্যতিক্রম নয়। যখনই মনটা বিষন্নতায় ভরে উঠে তখনই চেষ্টা করি প্রকৃতির প্রেমে নিজেকে রাঙিয়ে তুলতে। আর আজ আমি আপনাদের সাথে প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য চলে আসলাম। আজ আমি বিকেলের সূর্যাস্তের কিছু মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হলাম। চলুন দেখি আসি সে সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো।

ষড়ঋতুর দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। পৃথিবীর মানচিত্রে এক অপার সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এ দেশের প্রকৃতি। সেই টেকনাফ হতে তেঁতুলিয়া আপনি যেদিকেই চোখ দেন না কেন শুধু সবুজ আর সবুজ। প্রকৃতি যেন প্রতিটি ক্ষন নিজেকে নতুন করে সাজাতে ব্যস্ত থাকে। যার কারনে কখনও এর সৌন্দর্য শেষ হয় না। প্রতিটি সিজনে নতুন সাজে নিজেকে সাজাতে প্রকৃতি কখনও কার্পণ্য করে না। আর সেই প্রকৃতির অপরূপ রূপ দেখে আমরা হয়ে যাই ফিদা। কারন প্রকৃতির প্রেম নিঃস্বার্থ। প্রকৃতি শুধু দু হাত বাড়িয়ে দেয়। বিনিময় খুঁজে না প্রতিদান কখনও।

নদীর পাড়ে পড়ন্ত বিকেলে দাঁড়ালে কিন্তু দেখা যায় যে সারাদিন যে সূর্য পৃথিবীকে আলো দিয়ে তরতাজা করে তুলে। তাকেই প্রকৃতি তার ভালোবাসায় ঢেকে দেয় রাতের অন্ধকারে। আর সেই সময়টায় ডুবন্ত সূর্যাস্ত দেখলে যে কেউ তার প্রেমে পড়ে যাবে। আকাশে ভেসে বেড়ানো মেঘের ভেলা সেই সূর্য কে ঢেকে দেয় তার পরশ দিয়ে। আর পৃথিবীর মানুষ সেই অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করে দু চোখ ভরে। অশান্ত হৃদয়টাকে করে তুলে শান্ত আর প্রশান্ত। আমার কিন্তু বিকেলের এমন সুন্দর সূর্যাস্ত দেখতে বেশ ভালো লাগে।

আর প্রকৃতির এই দৃশ্য দেখতেই মাঝে মাঝে ছুটে যাই নদীর পাড়ে। এক দুই ঘন্টা সেখানে থেকে মন ভরে ‍উপভোগ করি পড়ন্ত বিকেলের সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য। এই তো কয়েকদিন আগে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে থেকেই উপভোগ করছিলাম বিকেলের সূর্যাস্তের দৃশ্য। আর তখন ভাবলাম একা একা কেন আমি এমন সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করবো? একটু আমার প্রাণের প্রিয় বন্ধুদের কেও দেখার সুযোগে করে দিলে তো মন্দ হয় না। কি ভালো করি নাই?

এত সুন্দর দৃশ্যগুলো উপভোগ করার সময় হঠাৎ চোখে পড়লো গাছের ফাঁকে পড়ন্ত বিকেলর সূর্য দেখতে যে কত ভালো লাগছে সেটা ভাষায় প্রকাশ করা মুশকিল। এমন সুন্দর দৃশ্য আমি কিন্তু আজও সরাসরি দেখি নাই।যা দেখেছি সেটা শুধু ক্যালেন্ডার আর বইয়ের পাতায়। আর এমন দৃশ্য যদি চোখের সামনে দেখা যায় তাহলে কি তার ফটোগ্রাফি না করে থাকা যায়? তবে কি আর বলবো, ফটোগ্রাফি করার করছি আমি, আর নদী পাড়ের লোকজন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমাকে দেখছে। হি হি হি।

হঠাৎ আবার চোখে পড়লো যে পড়ন্ত বিকেলের এমন সুন্দর সূর্যাস্ত শুধু আকাশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেনি। সেই সৌন্দর্যের ছাপ যেয়ে পড়েছে জমিনে থাকা খালের পানিতেও। আমরা যারা সহজে থাকি তাদের কিন্তু এমন সুন্দর দৃশ্য দেখার সুযোগ হয় না। আর তাইতো শহরের এই লোকগুলো এমন দৃশ্যগুলো দেখলে নিজেকে ধরে রাখতে পারে না। উৎফুল্ল আর উজ্জীবিত হয়ে এমন দৃশ্য গুলোকে ক্যামেরা বন্দী করে নেয় বেশ তাড়াতাড়ি।

আজ এখানেই ইতি টানছি। আগামীতে আবারও ফিরে আসবো নতুন করে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে। কেমন লাগলো আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো? জানার আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করবেন।

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।