ফটোগ্রাফি পোস্ট- প্রিয় কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি ||original photography by @maksudakawsar||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
আসলে আমরা যে কি চাই তা কিন্তু আমরা নিজেরাই জানিনা। কারন চাওয়ার পর পেয়ে গেলে তখন আর আমাদের ভালো লাগেনা অনেক আকাঙ্খার পর পাওয়া জিনিসটিকে। এই যে আজ সারাদিন ধরে বেশ বৃষ্টি হচেছ। কিন্তু এই বৃষ্টি নিয়েও কিন্তু আমাদের চাওয়ার অন্ত নেই। বৃষ্টি হলেও জ্বালা আবার না হলেও জ্বালা। বেচারা বৃষ্টির হয়েছে যত জ্বালা। কি করে যে সে মানুষ কে খুশি করবে? আর মানুষের মন ভরবে সে নিজেও জানেনা। তবে এটা কিন্তু সত্য যে মানুষ কে কিন্তু কোন কিছুতেই খুশি করা যায় না। আর খুশি করাটাও তেমন সহজ বিষয় নয়। ভেবে দেখবেন একবার ঠিক না বেঠিক।
থাক বাবা, এত গবেষণার দরকার নেই আমার। আমি এমনিতেই আছি নানা রকমের ঝামেলায়। এই তো আজও একটি ছুটির দিন গেল। কই একটু নাক ডেকে ঘুমাবো । আরে সেই ভাগ্য নেই আমার। এত বৃষ্টির মধ্যেও সেই সকাল ৭.৩০ মিনিটে ঘুম ভেঙ্গে গেল। উঠে পড়লাম। আর শুরু করে দিলাম বাসার কাজ কাম। আর আমার খালার কথা কি বলবো। এমনিতেই নাচোনে বুড়ি, তার উপর আবার ঢোলের বাড়ি। ঐ যে বৃষ্টির দোহাই। তাই আমাকেই এক হাতে সব কিছু করে শেষ করতে হলো। আর যখন ফ্রি হলাম তখন চলে আসলাম আপনাদের সাথে আমার আজকের ব্লগটি ভাগাভাগি করতে। কি নিয়ে আজ লেখা যায়? সেই চিন্তা করতে করতে পেয়ে গেলাম বিখ্যাত একটি দোকান হতে নিজের ক্যামেরায় বন্দী করা কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি। ও বিখ্যাত বলছি কেন? সেটা পড়ে বলছি। আগে বলেন আপনারা কেমন আছেন? বৃষ্টি ভেজা এই দিনটিতে তো সবার ভালো থাকার কথা। আমি কিন্তু আজ বেশ ভালো আছি। সারাদিন কাটিয়েছি গানের তালে ঘরের কাজ করে। থাক সে সব কথা্ । চলেন ঘুরে আসি আমার আজকের ফটোগ্রাফি ব্লগ হতে।
বাসার কাছে হওয়ায় প্রায় সন্ধ্যায় চলে যাই তালতলা সিটি সুপার মার্কেটে। কিছু কেনাকাটা আর খাওয়া দাওয়ায় মনটা কে একটু ফ্রেশ করে নিতে। বেশ ভালো লাগে আমার এই জায়গাটায় যেতে। কি নেই এখানে? খাবার জন্য যেমন প্রিয় মেনু গুলো এখানে পাওয়া যায়, তেমনি করে পাওয়া যায় ঘর সাজানো থেকে শুরু করে নিজের প্রয়োজনীয় সব জিনিস গুলো। তো কয়েকদিন আগে হাটতে হাটতে গিয়েছিলাম সন্ধ্যায়। বেশ কিছু জিনিস কেনাকাটা করার পর , খাওয়া দাওয়া শেষ করে যখন বাসার দিকে আসছিলাম তখন মার্কেট থেকে বের হওয়ার দরজার পাশের একটি ফুলের দোকানের দিকে চোখ গেল। দূর থেকে দেখলাম আমার প্রিয় সব ফুলগুলো রয়েছে সেখানে। তো ভাবলাম কিছু ফটোগ্রাফি করে নেই। আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
দোকানেরে মধ্যে নানা রকমের ফুল রয়েছে। এর মধ্যে কিছু ফুল আমার চেনা আর কিছু আমার অচেনা। আমি আবার সব ফুলের নাম জানিনা। তো আমি তো এতটুকু জানি যে কোথাও যেয়ে ফটোগ্রাফি করতে হলে অন্ততঃ পক্ষে সেই দোকানের মালিকের অনুমতি নিতে হয়। তো আমি দোকানদার ভাইয়ার অনুমতি নিয়ে ফটোগ্রাফি করা শুরু করে দিলাম। মাত্র রজনীগন্ধা আর গোলাপ গুলোর ফটোগ্রাফি করেছি। এরমধ্যে ভোটকা একজন লোক দোকানে আসলো। বাপরে তার যেমন গলার ভয়েজ, তেমনি তার ব্যবহার। আমাকে ফটোগ্রাফি করতে দেখে তো সে যে কি রাগ। পারলে আমাকে পুলিশে দিয়ে দেয়। বাপরে পাশেই আবার খিঁলগাও থানা। ভয় পাবারই কথা। কিন্তু কে পায় ভয়। আমার জন্মস্থান এইটা। তাই তেমন ভয় পেলাম না। মনে জিদ ধরলাম এখান থেকে ফটোগ্রাফি করে আজ বাসায় যাবো। সাথে সাথে আমার ভাইয়ের ফ্রেন্ড কে ফোন করলাম। ওমা এ কি কান্ড?
যেই না আমার ভাই আর তার বন্ধুরা আসলো হুন্ডা করে সেই তো বেটার শুর পরিবর্তন হয়ে গেল। ভাইরে সাথে সাথে পেপসি আর কোকোকলা আনতে ভুল করলো না। আর আমাকে তো আপু আপু করতে করতে শেষ। তার কারন কি জানেন? আমার ভাইয়ের সেই ফ্রেন্ড হলো স্থানীয় এমপির ভাই। তাহলে বুঝুন তো উনাকে তো আমি কত অনুরোধ করলাম। বাট উনি আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করলো। আচ্ছা বলেন তো আমিতো জাস্ট কয়েকটা ফটোগ্রাফিই করতাম। আর কি কিছু করতাম। কিন্তু পরে কিন্তু অনেক জিদ হয়েছিল যে বেটা কয়েকটা ফুল নষ্ট করে দেই। না তা দিলাম না। কারন আমি ফুল কে অনেক ভালোবাসি।
এর পর মনের মত বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। যার মধ্যে নানা রকমের গোলাপ ফুল ছিল। গোলাপ ফুলগুলো বেশ দারুন ছিল। যেমন তাজা ছিল বালটিতে রাখা গোলাপ ফুল গুলো। তেমন সুন্দর ছিল বিভিন্ন ভাবে তৈরি করা গোলাপের থোরা গুলো। আবার প্যাকেট করা ফুল গুলোও কিন্তু আমার বেশ ভালো লেগেছে।
সেই ছেলেবেলা হতেই রজনী গন্ধা আমার বেশ প্রিয়। কেউ যদি আমাকে রজনীগন্ধা গিফট করতো তখন সে ফুল গুলো ছিড়ে ছিড়ে অনেকদিন বইয়ের পাতার ভাজে রেখে দিতাম। রজনীগন্ধা নিয়ে রয়েছে আমার হাজারও স্মৃতি। আর সেসব স্মৃতির কথা মনে পড়লে আজও হারিয়ে যাই সেই সময়ে। তবে দোকানে রাখা অন্য ফুল গুলো আর আমি চিনতে পারলাম না। তবে এমন ফুলের দোকান দেখলে কিন্তু আমার অনেক ভালো লাগে।
আজ এখানেই ইতি টানছি। আগামীতে আবারও ফিরে আসবো নতুন করে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে। কেমন লাগলো আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো? জানার আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করবেন। |
---|
পোস্টের ধরন | ফটোগ্রাফি পোস্ট |
---|---|
ডিভাইস | VIVO |
মডেল | VIVO-Y22S |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
স্থান | খিলঁগাও, তালতলা সিটি সুপার মার্কেট |
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আপনি তো বৃষ্টির দিনের মজাদার ঘুম মিস করে ফেললেন এত সকালে ঘুম থেকে উঠে । আর কাজের খালাদের কথা কি আর বলবো একটু সুযোগ পেলে ছুটি নিয়ে বসে । আমার খালাও আজকে আসেনি সারাদিন কষ্ট করতে হয়েছে ।ফুলের ছবিগুলো কিন্তু আপনি অনেক সুন্দর তুলেছেন । গোলাপ ফুল গুলো অনেক সুন্দর লাগে এমনিতেই । আর হলুদ ফুল গোলাপ ফুল গুলো অসাধারণ সুন্দর লাগছে ।
হি হি হি । চিমটি। আমি কেন একা একা কষ্ট করবো ? বেশ ভালো লাগলো মন্তব্য পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনার মতো আমারও একই অবস্থা বৃষ্টির মধ্যেও ছুটি নেই। এমনেতে সকালে ঘুম ভাঙ্গে না কিন্তু যেদিন একটু ঠান্ডা পড়ে আর চিন্তা করি আজ অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমাবো সেদিন তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙে যায়। আপনিও আমার মতো মজার ঘুম মিস করলেন। তবে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফির প্রতিটা ফুল দেখতে খুবই ভালো লেগেছে। আমি আবার বাহিরে গেলে ফটোগ্রাফি করতেই পারিনা ছেলেটার জন্য। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ভাগ্য বলে কথা। তাই শুক্রবারও ডিউটি করতে হলো। ধন্যবাদ সুন্দ একটি মন্তব্য করার জন্য।
অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ফুল আমরা সবাই অনেক ভাল বাসি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
প্রিয় ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো ভালই উপভোগ করেছি আপু। আপনারা দারুন দারুন ফুলের ফটোগ্রাফি করে থাকেন ।ফুল হলো সৌন্দর্যের প্রতীক যেটা পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে প্রত্যেকটা ফুলের ফটোগ্রাফি দারুন ছিল।
ভাইয়া আপনার মন্তব্যটিও দারুন ছিল। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
খুবই সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ও বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকেও ভাইয়া । সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
বৃষ্টির দিনে ঘুম যেতে অনেক মজা। আর ঘুম মিস করলে তাহলে তো মজাই বোঝা যায় না। যাই হোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। এ ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে মন চায়। সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাগ্য আমায় ঘুমের মজাটাই বুঝতে দিল না। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব করার জন্য।
প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অনেক বেশি পরিমাণে সুন্দর হয়েছে। আর সবগুলো ফটোগ্রাফির দিকে যেন তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করছে। আর এই ফুলগুলো আপনার প্রিয় ফুল শুনে খুবই ভালো লাগলো৷ আমার অনেকগুলো প্রিয় ফুল এখানে রয়েছে।
দয়া করে আপনার টাইটেল এ এই বানানটা একটু ঠিক করে নিবেন:
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এবং গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ঘুম থেকে উঠে এক হাতের সব কাজ করে ফেলেছেন। বৃষ্টির অজুহাত দিয়ে খালাটি আসলো না । যাইহোক আজকে আপনি খুব চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ অসাধারণ হয়েছে। সত্যি বলতে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি হা করে তাকিয়ে রইলাম। অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কি আর করার খালা না আসলে তো এক হাতেই করতে হয় সকল কাজ। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ওয়াও ফটোগ্রাফি পোস্টটি একটু বেশিই সুন্দর ছিল।আমার ফটোগ্রাফি পোস্ট গুলো দেখতে ভালো লাগে অনেক।সেটা যদি আবার হয় ফুলের ফটোগ্রাফি তাহলে তো কথাই নেই।আপনার করা সবগুলো ফুলের ফটোগ্রাফি দারুন ছিল আপু।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।