বন্ধুরা কেমন আছেন আপনারা? ভালো আছেন নিশ্চয়। আমিও কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ্ বেশ ভালো আছি। আর তাই তো আজ আবার আপনাদের মাঝে চলে আসলাম। চলে আসলাম নিজের মনের কথাগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।মনের কথা যদি মনের মধ্যে বন্দী হয়ে থাকে তাহরে কিন্তু দম বন্ধ হয়ে মরে যাওয়ার উপক্রম হয়। দেহ আর মনে নেমে আসে অশান্তি। তাই তো মনের কথা গুলো অবশ্যই প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে শেয়ার করা উচিত।

আমি @maksudakawsar, বাংলাদেশ হতে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন নিয়মিত ইউজার। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি হাজারও ব্যস্ততার মাঝে আপনাদের সাথে যুক্ত থাকার। আর নিজের একটিভিটিস ধরে রাখার। কারন দিন শেষে তো নিজের কাজের হিসাব নিজেকেই করতে হবে। প্রতিদিনের মত করে আজও চলে আসলাম নিজের একটি লেখা শেয়ার করার জন্য। হয়েতো আমি আপনাদের মত এত ক্রেয়েটিভ মানুষ নয়। তবুও নিজের যতটুকু মেধা আছে তাই নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। যদি আপনাদের দোয়া পাই।

ভাবছি আজ কি নিয়ে আপনাদের মাঝে লিখবো। আসলে এতগুলো বিষয় মাথার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে যে কোনটা নিয়ে লিখবো সেই চিন্তা করতে করতেই দিন পার। তবে এ কথা সত্য যে জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কিন্তু বেশ কঠিন একটি বিষয়। পাছে কোন ভুল হয়ে যায়। কিন্তু কিছু না কিছু তো শেয়ার করতেই হবে। তানাহলে যে আমার মনটাই খারাপ হয়ে যাবে। সত্যি বলতে আপনাদের মাঝে কিছু না কিছু শেয়ার করতে না পারলে বেশ মন খারাপ লাগে।

মাঝে মাঝে চিন্তা করি আমার যদি আলিফ লায়লার মত একটি আলাদিনের দৈত্য থাকতো তাহলে কোন চিন্তুা করা ছাড়াই নাক ডেকে ঘুমাতাম। কারন তখন তো দৈত্য এসে সব কাজ করে দিয়ে যেত। তখন আর কোন চাপ থাকতো না নিজের মাঝে। সব কাজ আমার দৈত্য মামা করে দিতেন। আর সেই আলাদিনের দৈত্য দিয়ে আমি পৃথিবীর অনেক অসাধ্য জিনিস ‍গুলো বা কাজ গুলো পূরণ করে নিতাম। সেই সাথে আমার চারপাশের মানুষগুলোকে ভরিয়ে দিতাম সুখ আর শান্তিতে। পূরণ করে দিতাম তাদের সকল চাওয়া আর পাওয়া কে। কারন তখন তো আর টাকার প্রশ্ন আসতো না। দৈত্য মামাকে বললেই হয়ে যেত চোখের নিমিষে। কিন্তু না রে ভাই সেই আকাশ কুসুম ভেবে লাভ নেই। আলাদিনের দৈত্য শুধু কল্পনায় মানায়।

জীবনের দায়িত্ব গুলো এতটাই কঠিন যে কোন একটি বিষয়ে যদি নিজের দায়িত্ব পালন করতে না পারা যায় তাহলে পরিবার বলেন আর সমাজ বলেন সবার কাছেই একটু অবহেলার পাত্র হয়ে যেতে হয়। কারন সবার চোখ শুধু দায়িত্ববান মানুষটির দিকে। সব কিছুর দায়িত্বটাই যেন তাকে বহন করতে হবে। এখন যে দায়িত্ব পালনে অপারগ সে তো অবহেলার হবেই্। কিন্তু মানুষ কি চাইলেই সব দায়িত্ব পালন করতে পারে? তারও তো কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সে চাইলেও সেই সীমার বাহিরে যেতে পারে না। চাইলেই পারে না আকাশের বুকে জেগে উঠা চাঁদ টিকে ধরে নীচে নামিয়ে দিতে। পারে না সূর্যাস্ত বা সূর্যাদয় কে থামিয়ে দিতে।

আমাদের মনে রাখা উচিতে যে আমরা চাইলে পৃথিবীর সব দায়িত্ব আমরা একা পালন করতে পারবো না। কারন সব জয়গায় রয়েছে সীমাবদ্ধতা। শুধু পারবো যে মনের মাঝে এক রাশ কষ্ট নিয়ে বেচেঁ থাকতে। তবে কি জানেন মাঝে মাঝে মনে হয় কেন ক্ষমতাধর বা তেলবাজ হতে পারলাম না? যদি আজকে এই দুটো গুনে গুনানীত্ব হতে পারতাম তাহলে সুবিধাভোগ করে আশে পাশের সবাই কে করতে পারতাম সুখী আর আনন্দিত। কিন্তু এমনই গুনের অধিকারী হলাম যে এমন সুন্দর দুটো বিশ্লেষণ নিয়ে জীবন চালানো কে ঘুণা করি। ঘৃণা করি অন্যের প্রতি দায়িত্ব পালনের উছিলায় নিজেকে তথাকথিত নোংরা বিশ্লেষণে সম্পৃক্ত করতে।

অথচ দায়িত্ববান মানুষ হয়ে আজ অসহায় হয়ে গেলাম। ফুটাতে পারলাম না কারও মুখে হাসি। দিতে পারলাম না কাউকেই সুখ। কারন চারপাশে যখন মানুষ তাদের ক্ষমতার দাপটে নিজের স্বার্থ হাসিল করে নেয়, তখন পরিবার পরিজন আর প্রতিবেশী তাদের কৌতূহলের চোখে জানতে চায় আমি কেন পারলাম না এমন করে স্বার্থ হাসিল করতে। কিন্তু আপনারাই বলেন তো পৃথিবীর সবাই কি সব দায়িত্ব পালন করতে পারে? সবাই কি আর তার প্রিয় মানুষগুলোর মুখে হাসি ফুটাতে পারে? না হয় আমি নিজেই হলাম না পারা মানুষগুলোর কাতারের একজন। তাতে কি জীবনে শান্তি তো পাবো। নিজের বিবেকের কাছে তো নিজেকে আর দাঁড়াতে হবে না অবরাধীর বিবেক নিয়ে। না হয় এই পৃথিবীতে গ্রহণ করলাম কিছু অপূর্ণতার স্বাদ।

জীবনটা ক্ষণস্থায়ী নয়। জীবন কে সুন্দর করে সাজাতে অতিরিক্ত কোন কিছুর দরকার পরে না। দরকার পড়ে না কোন অসৎ পথ অবলম্বন করার। জীবনে চলতে হলে প্রয়োজন শুধু একটি সুন্দর বিবেক। আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।