মানুষ হিসাবে আমরা কিন্তু বেশ রসনা প্রিয়। আমাদের চাই প্রতি বেলায় বেশ মজাদার ও সুস্বাদু খাবার। আর সুস্বাদু খাবার না হলে যেন আমাদের খাবারের তৃপ্তি কোন ভাবেই পূরণ হতে চায় না। প্রতিদিনই মনে হয় মজাদার আর সুস্বাদু সব রেসিপি দিয়ে নিজের খাবারের টেবিলটিকে সাজিয়ে তুলি সু-ঘ্রাণে।হ্যাঁ বন্ধুরা আমি কিন্তু এই রকমের। সব সময়ই একটি ভিন্ন স্বাদে খাবার খেতে পছন্দ করি।

ভালো আছেন নিশ্চয় সবাই? আমি কিন্তু দারুন আছি। যতই ব্যাস্ততা আসুক না কেন দেহ মন ভালো থাকলে ব্যাস্ততা যেন কোন কিছু কে স্পর্শ করতে পারে না। আর তাই তো আজও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে ভালো লাগার মত একটি রেসিপি নিয়ে। আজ চেষ্টা করেছি আপনাদের জন্য ভিন্ন স্বাদের কিছু একটা তৈরি করতে। কারন এক ঘেয়ামি রান্না দেখতে দেখতে কেমন জানি হাপিয়ে উঠেছি। আশা করি আমার আজকের রেসিপিটিও আপনাদের কাছে আরও বেশী ভালো লাগবে

প্রথমে রান্নার জন্য মাছ এবং সিমের বিচি কেটে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর তেল মসলা, টমেটো, পেঁয়াজ এবং ধনেপাতা প্রস্তুত করতে হবে।

তারপর তেল মসলা, টমেটো, পেঁয়াজ এবং ধনেপাতা প্রস্তুত করতে হবে।

এবার ধুয়ে রাখা মাছ গুলোতে ভালো করে হলুদ মরিচ এবং লবন ভালো করে মাখিয়ে কিছুক্ষন রেখে দিতে হবে।

এবার চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে তাতে তেল গরম করে মসলা মাখা মাছ গুলো আস্তে আস্তে ভেজে নিতে হবে।এরপর ভেজে রাখা মাছগুলো একটি আলাদা পাত্রে তুলে নিতে হবে।

এবার চুলায় মাছ ভাজা সেই তেলের ভিতর কেটে রাখা পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে ভেজে নিতে হবে।

ভেজে রাখা সেই পেঁয়াজের মধ্যে হলুদ গুড়া, মরিচ গুাড়, আদা রসুন বাটা এবং লবন দিযে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।

যখন মসলার উপর তেল ভেসে উঠবে তখন ধুয়ে রাখা সিমের বিচি গুলো দিয়ে দিতে হবে।এরপর সিমের বিচি গুলো মসলার সাথে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে

বেশ কিছুক্ষন পর যখন দেখা যাবে যে সিমের বিচি গুলো মসলার সাথে ভালো করে কষিয়ে নেওয়া হয়েছে তখন তাতে পরিমান মত পানি দিয়ে দিতে হবে।

বেশ কিছুক্ষন পর যখন পানি গুলো ফুটে আসব এবং জ্বালে আসবে তখন তাতে ভেজে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে।

মাছগুলো বেশ কিছু সময় চুলায় রান্না করার পর দেখা যাবে যে মাছের পানি শুকিয়ে এসেছে এবং রান্নাও প্রায় হয়ে গেছে।

এবার মাছের মধ্যে একে একে কেটে রাখা টমেটো, ধনেপাতা এবং কাচাঁমরিচ দিয়ে আরও কিছু সময় রান্না করতে হবে।

কিছু সময় পর দেখা যাবে যে তরকারির পানি শুকিয়ে রান্না হয়ে গেছে।

এবার পরিবেশনের জন্য আলাদা একটি পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।

রান্না শেষে রেসিপিটি গরম গরম পরিবেশন করতে হবে। এই রেসিপিটি গরম ভাতের সাথে খেতে কিন্তু দারুন লাগবে। তাই রান্না হওয়ার সাথে সাথে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

এমন একটি রেসিপির টেস্টের কথা মুখে বললে কমই হয়ে যাবে। আপনারা চাইলে রেসিপিটি বাড়িতে করে খেয়ে দেখতে পারেন।

গরম ভাতের সাথে এমন একটি রেসিপি খেতে যে পরিমান স্বাদ লেগেছে সেটা এক কথায় বলা মুশকিল। কেমন হলো আজকের রেসিপিটি জানার অপেক্ষায় রইলাম।

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।

আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।